যৌতুকের পরিণতি
যৌতুকের পরিণতি !
চামেলী। গায়ের রং উজ্জল শ্যামা। চেহারায়
সুন্দর একটি আর্ট আছে।ঠোটের উপরে তিল, হাসলে তিলের সুন্দরযটা রাড়ে। চুল গুলো অনেক
লম্বা, চুল বললে ভুল হবে বলতে হবে কালো কেশ। বলা যায় চুল দেখেই যে কেউ পাগল হবে।
দেহ ব্যাবসা করে চামেলী। ঢাকার এক অভিযাত
হোটেলে, বেশ ভাল ইনকাম তার, দিনে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। ১৫ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে এক
ফ্লাটে থাকে চামেলী একা। চলাফেরা ফাস্টক্লাস নাগরিকদের মত। হোটেলে অনেক পুরুষ আসে যায়,
১৫ থেকে ২০ জন মেয়ে থাকে সেই হোটেলে। ৮০% পুরুষ পছন্দ করে চামেলীকে। কোন বিশ্রাম নেই,
শরীরটা হয়ে গেছে মেশিনের মত। একের পর এক পুরুষ হজম করছে চামেলী, সারা দিন সারা রাত।
একদিন পরপর হোটেলে আসে সে। সেদিন বিশ্রাম দেয় শরীরটাকে। বেশ আনন্দেই দিন কাটে তার।
টাকা থাকলে মনটা এমনিই ভাল থাকে। এটাওতো একটা কাজ, সবাইতো কাজ করেই টাকা ইনকাম করছে।
সমাজকে শুধু বলা যায় না। সমাজতো আর ঢাকায় নেই, সমস্যা কিসের।
পলাশ চাকরি করে ঢাকার এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অনেক
টাকা বেতন পলাশের। ব্যাচেলর, পুরো ফ্যামিলী আমেরিকায়। দেহের যৌবন তৃষ্ণা মেটানোর জন্য
১৫ দিন পরপর ঐ হোটেলে যায় সে। পছেন্দের মেয়ে চামেলী, চামেলী না থাকলে ফিরে আসে সেদিন।
প্রতি ১৫ দিন পরপর দেখা হয় চামেলীর সাথে পলাশের, কথা হয় নি কোন দিন। এভাবেই চলে ৬ মাস।
কথা না হলেও চোখ চেনা তাদের।
আজ ঠিক করেছে
পলাশ চামেলীর সাথে কথা বলবে। তাই বেশী টাকা দিয়ে ২ ঘন্টার জন্য কিনে নেয় চামেলীকে।
রুমে ঢুকতেই পলাশ বলে-আজ শধু তোমার সাথে কথা বলা জন্য এসেছি অন্য কিছু করার জন্য নয়।
চামেলী- বলুন কি বলবেন?
পলাশ- কেন তুমি এই কাজ কর?
চামেলী- শোনার কি দরকার, যে কাজ করতে এসেছেন সে কাজ করে
চলে যান।
পলাশ- তোমাকে দেখে এমন মনে হয় না। তোমাকে কি এরা জোড়
করে নিয়ে এসেছে?
চামেলী- না আমি নিজের ইচ্ছায় এখানে এসেছি।
পলাশ- তাহলে কি বলা যাবে কারণটা কি ?
চামেলী- আমি গরিব পরিবারের এক সাধারণ মেয়ে। বাবা মা আমাকে
বিয়ে দিবে বলে এক ছেলে পছন্দ করে। ছেলের পরিবারও আমাকে পছন্দ করে। আমাকে যেদিন দেখতে
আসে আমাদের ঘরের বাহিরে যেতে বলে বাবাকে কিছু বলছে তারা। আমি দরজার আড়াল থেকে শুনছি,
তারা দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। বাবা দিতে পারবে না বলে অনেক আকুতি মিনতি করে।
কিন্তু তারা শোনে না। তাদের এক কথা দুই লক্ষ টাকা দিলে বিয়ে হবে, না দিলে হবে না। বাবার
আকুতি মিনতি দেখে আমি থাকতে না পেরে ঘরে এসে তাদেরকে বলি। আমরা টাকা দিতে রাজি কিন্তু
আমাদের ১ বছর সময় দিতে হবে। তারা রাজি হয়ে যায়। আর বাবা মাকে একটা চাকরির কথা বলে ঢাকায়
আসি।
সেই যৌতুকের
টাকা জোগার করতেই আজ আমি এই পথে। পলাশ কথা গুলো শুনে হতবম্ভ! কি বলবে ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।
তাই সকলের
উদ্দেশ্যে বলতে চাই। যৌতুক কখনো দাবি করবেন না। তার পরিনতি কোন দিন, কোন সময় ভাল হয়
নি।
এই গল্পটি নিয়ে কোন অভিমত, বা সমালোচনা
করার থাকলে কমেন্ট করে জানান আর ভাল লাগলে লাইকে ক্লি করতে ভুলবে না। ধন্যবাদ সবাইকে
।
রচনা- এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
কোন মন্তব্য নেই