blogger-disqus-facebook
  • Home
  • About Me
  • Contact Me
  • Disclaimer
  • Terms and Condition
  • Privacy Policy

Channel M News

Header Ads

    • Featured
    • Tech Update
    • ট্রাভেল্স এন্ড ভিসা
    • লেখাপড়া
    • Tech news
    • স্বাস্থ্য প্রসঙ্গ
    Home / উপন্যাস / দুই পুরুষ (উপন্যাস) পর্ব-৪

    দুই পুরুষ (উপন্যাস) পর্ব-৪

    Channel M News মে ২৪, ২০২০ 0

    দুই পুরুষ
                                  এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

     উপন্যাস) পর্ব- ৪
     
    পাবার জন্য উৎসুক থাকবে । তিনি এতদিন সেই সুযােগ সুবিধেই পেয়ে এসেছেন । 

    কিন্তু এবার থেকে তা আর হবে না । এবার তাঁর চেয়ার গেল । ফেয়ার ওয়েল পার্টিতে তিনি যতই ফুলের মালা পান না কেন এ ফুল কাঁটা ছাড়া আর কিছু নয় । এরপর থেকে তাঁকে আর অফিসে যেতে হবে না । তাঁর অভাবে । অফিসও অচল হবে না । অফিস যেমন চলছে তেমনি চলবে । তাঁর চেয়ারে এখন । থেকে নতুন যে বসবে , তাঁকেই সবাই সালাম করবে । জীবনের নিয়ম এই , একজন যায় আর একজন আসে । কারাে অভাবে সংসারে কিছু অচল হয় না । ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম জর্জ চলে গেছে , দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের নায়ক চার্চিল চলে গেছে , জার্মানির হিটলার চলে গেছে , মহাত্বা গান্ধী চলে গেছে তবুও কারাের কিছু অসুবিধা হয় নি । তাঁদের যায়গায় আবার অন্য লােক এসে তাঁদের চেয়ারেই বসেছে । তবু পৃথিবী চলছে । আগেও যেমন চলেছে এখনও তেমনই চলছে এর পরেও তেমনি চলবে । 


    এসব চিন্তা তিনি রিটায়ার করবার আগ থেকেই করছিলেন এখন আবার নতুন করে চিন্তা করে কোন লাভ নেই । ভেবে ছিলেন ব্যাংকে যা টাকা আছে । তাতে তাঁর জীবনটা চলে যাবে আর যদি তিনি সে টাকাটা বাড়াতে চান তাে । ইনভেস্ট করবেন । সব চেয়ে ভাল ইনভেষ্টমেন্ট হচ্ছে শেয়ার মার্কেট । বাজারে যখন শেয়ারের দাম কমবে তখন কিনবেন আর যখন দাম বাড়বে তখন বেঁচবেন । বুড়াে বয়েসেও মােটা টাকা জমাতে পারবেন । তাঁরতাে ঐ একটাই মেয়ে , মেয়েটার একটা ভালাে পাত্র দেখে বিয়ে দিয়ে দিলেই নিশ্চিন্ত । 

    মেয়েটাকে তিনি লেখাপড়া শিখিয়েছেন , মেয়েও বুদ্ধিমতি । দেখতেও বেশ সুন্দর । সে দিক থেকে তাঁর কোন দুশ্চিন্তা ছিল না । 

     কিন্তু আশ্চার্য , যে দিক থেকে দুশ্চিন্তা আসবার কথা নয় সেই দিক থেকেই চরম দুশ্চিন্তা এলাে । এ এক আশ্চার্য ঘটনা । 

    পুলিশে খবর দেওয়ার পর অনেক দিন কেটে গেল , তবুও কোন খবর পেলেন না । মিসেস জাকির সেই দিন থেকে যে সেই শয্যা নিয়েছেন আর উঠেন নি । 

    - মিস্টার জাকির সান্তনা দিয়ে বললেন , ও রকম ভেঙ্গে পরলে কি চলে ? সংসারে দুঃখ , শােক , যন্ত্রণা আসবেই ।

    - ভেঙ্গে পরবাে না । তুমি বলছাে কি ? খাইয়ে পড়িয়ে এতদিন তাকে মানুষ করলাম আর সে কি না আজ এই রকম কাজ করল , আমি সােসাইটিতে মুখ দেখাব কী করে ? 

    - সোসাইটির কার সঙ্গেই বা দেখা হচ্ছে , আমরা তাে আর এখানে থাকছি না।

    - কিন্তু রাজশাহীতেই বা মুখ দেখাবে কি করে ? সেখানেও তাে আত্মীয় স্বজন আছে । তারাতাে খবরটা শুনলেই আল্লাদে আটখানা হয়ে নাচবে ।। 

    - মিস্টার জাকির সান্তনা দিলেন বললেন , তাদের সঙ্গে না মিসলেই হয় । কোন দিন আত্মীয় স্বজনদের আমল দিই নি , এবার থেকেও তাদের আমল দিব । না । চুকে গেল লেটা । 

    - মিসেস জাকির বললেন , তা না হয় মানলাম কিন্তু খবরটা শােনার পর তারাতাে নিজে থেকেই আমাদের বাড়ি আসবে তখন ? তারা যদি জিজ্ঞেস করে । কচি কোথায় ? 

    - বলবাে কচির বিয়ে হয়ে গেছে । 

    - যদি জিজ্ঞেস করে কোথায় বিয়ে হয়ে গেছে ? 

    - বলবাে লন্ডনে বিয়ে হয়ে গেছে । লন্ডনে তাে আর কেউ দেখতে যাচ্ছে না । 

     - খারাপ খবর আবার আগুনের মত ছড়ায় । তুমি যখন ডি সি হয়েছিলে তখন তাে আত্মীয় স্বজনের মুখ গম্ভীর হয়ে ছিল । কিন্তু আমাদের কোন খারাপ  খবর শুনলে দেখবে সকলের মুখে আবার হাসি বেরিয়েছে । 

    কথা গুলাে এতাে সত্যি যে আর মিস্টার জাকিরের মুখ থেকে এর কোন জবাব বেরুলাে না । 

    পরের দিন তিনি আবার পুলিশ স্টেশনে ফোন করলেন । জিজ্ঞেস করলেন কোন । খোঁজ পেলেন আমার মেয়ের ? 

    - ওপাশ থেকে জবাব এলাে , না স্যার কোন হদিস পাই নি , খবর পেলেই আপনাকে জানাব । 

    মিস্টার জাকির বুঝতে পারলেন যে আর সে মেয়ের খবর পাবেন না । এখন সে স্বাবালিকা , এখন আর তার মেয়ের উপর কোন অধিকার নেই । এখন সে যাকে খুশি বিয়ে করতে পারে ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে । রেজেস্ট্রি । ম্যারেজ শুধু তিনজন সাক্ষী হলেই চলে যাবে । হয়তাে তা - ই - ই করে ফেলেছে । সে , তার নিজের ইচ্ছে মত কাউকে হয়তাে বিয়ে করেছে । 

    দেখতে দেখতে একমাস কেটে গেল । এবার তাঁকে কোয়ার্টার ছাড়তে হবে । কোয়াটার ছাড়বার নােটিসও এসে গেছে । রাজশাহী যাওয়ার সব কিছু তিনি ঠিক করে ফেললেন । 

    ২

                                          চলে গেলেন রাজশাহীতে । কিন্তু মুশকিল হচ্ছে মিসেস জাকির কে নিয়ে , এখানে এসে তিনি আরাে অসুস্থ হয়ে পরলেন । অসুখ মানুষের হয় ঔষধ খেলে আবার ঠিক হয়ে যায় । 

    থাকতে থাকতে টুকটাক লােক জনের সাথে পরিচিত হয়েছেন মিস্টার । জাকির , লােকজন জিজ্ঞেস করলাে , আপনার স্ত্রী নাকি অসুস্থ ? 

    - জি এখানকার পানি , বাতাস সহ্য করতে পারছে নাতাে তাই । 

    মিস্টার জাকিরের ওসব রােগ নেই । তাঁর শুধু সময় কাটানেনা । তাই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে ঘুরতে পারেন না বলে একটু মন খারাপ লাগে । প্রথম দিকে শুধু জ্বর হয় আবার সেরেও যায় , কিন্তু মানসিক আঘাত পেলে সামান্য জ্বরও গিয়ে বেশী জ্বরে দাঁড়ায় । রাত্রে ঘুম আসে না । 

    - মিস্টার জাকির তাঁকে সান্তনা দিতে চেষ্টা করেন , বলেন , মনে করে নাও না যে তােমার মেয়ে কচি মারা গেছে । যে আমাদের উপর এত অকৃজ্ঞ হতে পরে তার কথা না ভাবাই ভালাে । কিন্তু ভাবা না ভাবা কি মানুষের আয়েত্বের মধ্যে ? 

    তারপর এই জ্বর একটু কমে আসে তাে আবার বাড়ে । ডাক্তার ডাকা হয় । হােমিওপাথি সবই চেষ্টা করে দেখা হয় । যাতে রােগ সারে তাই ভালাে , সেটা । এলােপ্যাথি হােক আর কবিরাজই হােক । ঘুম থেকে উঠেই মিস্টার জাকির জিজ্ঞেস করেন , আজ কেমন আছাে ? 

    - কাল রাতে এক মিনিটও ঘুম হয় নি । কেবল কচির কথা মনে পরছে । কোথায় আছে কি খাচ্ছে , কী পরছে সেই কথাই কেবল ভাবছি । 

    - ও সব আর ভেবাে না , সে এখন ম্যাচিউর্ড হয়েছে । তার একটা স্বাধীন ইচ্ছে বলে কথা আছে । এখন সে যা ইচ্ছে করতে পারে । 

    - কচি এমন করবে যদি জানতাম তাহলে তাে আগেই ধরে বেঁধে বিয়ে দিয়ে দিতাম ।

    - সে চেষ্টা তাে আমরা কতবার বলেছি । সেই রিটনের মতো ভালো ছেলেকেও সে কালাে বলে নিজেই করে দিল । তখনই বুঝা উচিৎ ছিল যে ওর । কপালে অনেক কষ্ট আছে । 

     মিসেস জাকির বিছানা থেকে উঠতেন না তখন , কােন মেয়ের কথাই মনে । পরতাে । কোথায় না জানি সে কত কষ্টে আছে , সকালবেলা তার এক কাপ দুর্গ খাওয়া ছিল তার অভ্যেস । গােসল করার আগে দুধের সর আর কমলালেবুর খােসা একসঙ্গে বেটে সারা শরীরে মাখতাে পাবাের চামড়া ভালাে থাকলে ললে ।। কলেজ থেকে এসে পেস্তা বাদাম , আঙ্গুর , আপেল ছিল তার দৈনিক জলখাবার । মেয়ের জন্য কত কি করেছে বাপ মা । সেই সমস্ত কথা ভুলে গিয়ে মেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেল । 

    আগের থানার পুলিশ একদিন খবর দিল ফোনে , আপনার মেয়ের খবর পাওয়া গেছে । 

    চমকে উঠলেন মিস্টার জাকির । বললেন , কোথায় আছে ? 

    - আপনার এলাকাতেই , নদীর ধারের এক বস্তিতে 

    - সে কি আমার মেয়ে বস্তিতে আছে । আমি চিনব কিভাবে সেখানকার ঠিকানা ?

     আগামী কাল আমি আসছি , আপনি কোন টেনশন করবেন না , কাল আপনাকে নিয়ে যাবাে । 

    - সঙ্গে কে আছে ? 

    - একজন মােটর মেকানিক , একটা কারখানার । 

    - সে কত টাকা মাইনে পায় যে আমার মেয়েকে নিয়ে সংসার চালায় ? 

    - কোন রকমে চালায় , মাইনে তাে বেশী পায় না । আর আপনার মেয়ে তাে কোর্টে প্র্যাক্টিস করে । 

    - কোর্টে প্রাক্টিস করে অবাক কাণ্ড ! 

    পরের দিন পুলিশ মিস্টার জাকিরকে নিয়ে নদীর ধারের বস্তিতে গেলেন । ঠিক বস্তির সামনে একটা ছােট পুরােনাে টিনের বাড়ি । সেখানেই তাঁর মেয়ে থাকে ভেবে চোখ দিয়ে পানি এসে গেল মিস্টার জাকিরের । মেয়ে এতাে আদরে মানুষ করেছেন , সেই মেয়ে কি না এই রকম বাড়িতে থাকে । এটা ভাবতেও তার লজ্জা হচ্ছে । 

    দরজার কড়া নাড়াতেই একজন ঝি ভেতর থেকে দরজা খুলে দিল । পুলিশের গায়ে সাদা সিধে পােষাক পুলিশ বলে চেনা যাচ্ছে না ।

    - জিজ্ঞেস করল , রাসেল কি বাড়িতে আছে ? 

    - ঝি ভিতর ভিতর থেকে বলল , উনি তাে বাড়িতে নেই অফিসে গেছেন । 

    - কখন আসবে ? 

    - বাড়ি আসতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে । 

    - আর তার স্ত্রী ? 

    উনি কোর্টে গেছেন । 

    - তুমি এ বাড়িতে কাজ কর ?
     
    - হ্যা।
     
     উনি কখন কোর্টে যান ? 

    - তা জানি না । 

    মিস্টার জাকির এতক্ষণ কিছুই বলছিলেন না , তিনি শুধু চারদিকে চেয়ে দেখছিলেন , এই পাড়া এই বস্তি এই কষ্ট .... এ ... কেমন করে কষ্ট করছে কচি !

     এরপর আর দাঁড়িয়ে থাকার প্রয়ােজন হয় না । পুলিশের সঙ্গে মিস্টার জাকির চলে এলেন । জীবনে তিনি অনেক লােককে কষ্ট দিয়েছেন , অনেক নেতাকে জেলে পুরেছেন । কত মানুষকে কত অত্যাচার করেছেন । কত লােককে গুলি করে গুম করে দিয়েছেন তার কোন ইয়ত্ব নেই । কত স্ত্রীকে বিধবা করেছে তখন তার কোন কান্না আসে নি । কিন্তু আজ নিজের মেয়ে এই দূর্দশা দেখে তাঁর ভীষণ কান্না পাচ্ছে । 

    সন্ধ্যা বেলা রাসেল কারখানা থেকে ফিরল । 

    সাধারণত সে - ই আগে আসে । সারাদিন কারখানায় কাজের মধ্যে ডুবে থেকে এই সময়ে বাড়িতে এসে গােসল করে নিয়ে আবার সেজে গুজে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে ওঠে । 

    তারপর বাড়িতে আসে কচি । সারাদিন কোর্টে মক্কেল আর জজদের এজলাসে এ ঘর থেকে ও ঘরে ঘুরাঘুরি করে ক্লান্ত হয়ে পড়ে । তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে বাসে চড়ে বাড়িতে এসে পৌছায় ।

     রাসেল বাড়িতে আসতেই ঝি খবরটা দিল । বলল , আজকে দু'জন লােক এসেছিল আপনাকে খুঁজতে। 

    আমাকে ? রাসেল একটু অবাক হয়ে গেল । বলল , আমাকে না কচিকে ? 

    দু’জনের নামই বলল । দু'জনকেই খুঁজছিল , আর জিজ্ঞেস করেছিল এ বাড়ির ভাড়া কত । 

    - তুমি কি বললে ? 

    চলবে.................







    Tags:
    উপন্যাস

    উপন্যাস

    কোন মন্তব্য নেই

    এতে সদস্যতা: মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন ( Atom )
  • Popular Posts

    • একটি ভুলে সারা জীবন কাঁদবেন না।
      মেয়ে - শোনা আমরা না চরম একটি ভুল করে ফেলেছি । আমার প্রিয় বান্ধবি আমাকে ফোন করেছিল । ছেলে - মানে কি ? কি ভুল করেছি আমরা...
    • টাকা ধার দিয়ে না পেলে তা জাকাত হিসাবে দেওয়া যাবে কি না।
      টাকা ধার দিয়ে না পেলে তা   জাকাত হিসাবে দেওয়া যাবে কি না ।          অ নেক সময় আমরা মানুষকে টাকা পয়সা ধার দেই । টাকা...
    • বন্ধু যখন বন্দুক
      শাকিরা , সিয়াম , বিপ্লব , সোহেল একই সাবেজেক্ট এ পড়ে। বেশ ঘনিষ্ট বন্ধু তারা। ক্লাস শেষে শাকিরা , সিয়াম ব্রেঞ্চে বসে গল্প করছ...
    • উলঙ্গ হয়ে গোসল করা যায়েজ কি না
      উলঙ্গ হয়ে গোসল করা যায়েজ কি না উলঙ্গ হয়ে গোসল করার ব্যাপারে বুখারী শরিফ এবং মুসলিম শরিফের হাদিসে আছে যে এখানে হযরত ...
    • যৌতুকের পরিণতি
      যৌতুকের পরিণতি ! চা মেলী। গায়ের রং উজ্জল শ্যামা। চেহারায় সুন্দর একটি আর্ট আছে।ঠোটের উপরে তিল, হাসলে তিলের সুন্দরযটা রাড়ে। চুল গুলো অন...

    Recent

    5/recent-posts

    Facebook Page

    Channel M

    Tags

    ইসলাম প্রসঙ্গ উপন্যাস ওয়েব সিরিজ কবিতা কবিতাকণ্ঠ ছোট গল্প ট্যুর ট্রাভেল্স এন্ড ভিসা বিনোদন মোবাইল লেখাপড়া স্বাস্থ্য প্রসঙ্গ Featured News tech news Tech Update

    আমার সম্পর্কে

    আমার ফটো
    Channel M News
    আমার সম্পূর্ণ প্রোফাইল দেখুন

    মোট পৃষ্ঠাদর্শন

    Popular Posts

    • একটি ভুলে সারা জীবন কাঁদবেন না।
      মেয়ে - শোনা আমরা না চরম একটি ভুল করে ফেলেছি । আমার প্রিয় বান্ধবি আমাকে ফোন করেছিল । ছেলে - মানে কি ? কি ভুল করেছি আমরা...
    Created By SoraTemplates | Distributed By GooyaabiTemplates
    Blogger দ্বারা পরিচালিত.