Header Ads

জাপান ভিসা গাইড ২০২৬ : বাংলাদেশিদের জন্য সর্বশেষ নিয়ম, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রক্রিয়া

 japan visa

ভূমিকা
জাপান একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি নিরাপদ পরিবেশে ভ্রমণ এবং কাজের জন্য খুব আকর্ষণীয় দেশ। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই স্বপ্ন দেখে জাপান ভ্রমণ, কাজ বা পড়াশোনার জন্য। তবে যেকোনো ভিসা প্রক্রিয়া সহজে সম্পন্ন করার জন্য জাপানের ভিসা নিয়ম, আবেদন প্রক্রিয়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গাইডে, আমি তোমাকে ২০২৫-এর সর্বশেষ নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য জাপান ভিসার সব ধাপ বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করব।


. সাম্প্রতিক পরিবর্তন: নভেম্বর ২০২৪ থেকে নতুন ব্যবস্থা

  • VFS Global-এর মাধ্যমেই আবেদন
    ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে, জাপান দূতাবাস (ঢাকা) সরাসরি ভিসা আবেদন গ্রহণ বন্ধ করেছে এবং ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে VFS Global-এর হোকছে।
  • VFS সেন্টার:
    VFS Global Japan Visa Application Centre (VAC)
    ঢাকায় অবস্থিত: Delta Life Tower, 4th Floor, Road 90, Plot 37, Gulshan-2, ঢাকা।
  • প্রসেসিং টাইম:
    সাধারণ ক্ষেত্রে, আবেদন জমা দেওয়ার দিন থেকে কার্যদিবস লাগতে পারে ভিসা মঞ্জুরিতে (যদি সব কাগজপত্র ঠিক থাকে) 
  • ভিসা ফি:
    বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য জাপান ভিসা ফি মুক্ত (free)
  • VFS সার্ভিস চার্জ:
    VFS-
    এর অতিরিক্ত চার্জ থাকতে পারে। (উদাহরণস্বরূপ, ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে BINGE Travelers বলেছে প্রায় BDT 1,900)

আরো পড়ুন- খুব সহজে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে গাইড

. ভিসার ধরণ (Types of Japan Visa)

জাপানে যেতে চাইলে বিভিন্ন ধরণের ভিসা থাকতে পারেভ্রমণ, কাজ, পড়াশোনা ইত্যাদি। নিচে কয়েকটি প্রধান ধরনের ভিসা এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলে ধরা হলো:

  1. টেম্পরারি ভিজিটর (Tourist / Visitor Visa)
    • ভিজিট, পর্যটন, বন্ধুবান্ধব/পরিবার দেখার জন্য।
    • সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য, এবং “non-paid activity” হলে এই ভিসা ধরতে পারে।
  2. কর্ম (Work Visa)
    • কাজ করার জন্য প্রযোজ্য।
    • প্রায় সব ক্ষেত্রে Certificate of Eligibility (COE) লাগবে, যা জাপানি মন্ত্রণালয় (Ministry of Justice) ইস্যু করে।
    • আগের কাজের অভিজ্ঞতা, কোম্পানির তথ্য ইত্যাদি জমা দিতে হবে। 
  3. Specified Skilled Worker (SSW) ভিসা
    • বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন এমন কাজের জন্য।
    • বাংলাদেশিদের মধ্যে এটি জনপ্রিয় কারণ কাজের সুযোগ বেশি।
  4. Dependent Visa
    • যদি জাপানে যাওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা সন্তান ইত্যাদি হয়, তাদের জন্য ডিপেন্ডেন্ট ভিসা। 
  5. স্টুডেন্ট ভিসা (Study Visa)
    • জাপানে পড়াশোনার জন্য।
    • এক্সেপ্টেন্স লেটার (acceptance letter) + COE প্রয়োজন। 
  6. Business / Manager Visa

. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (Required Documents)

ভিসার ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আলাদা হতে পারে। নিচে সাধারণ এবং বিশেষ কিছু কাগজপত্র দেওয়া হলো (জাপান দূতাবাসের অফিসিয়াল দৃষ্টিতে)

সাধারণ / সাধারণ ভ্রমণ (Tourist) ভিসার জন্য:

  • ভ্যালিড পাসপোর্ট
  • পুরানো পাসপোর্ট (যদি থাকে)
  • ২টি ছবি (আকার: . × . সেমি, 최근 মাসের) )
  • ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম (দূতাবাস থেকে বা অনলাইনে ডাউনলোড করা যায়
  • ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট (অর্থ প্রদর্শনের জন্য
  • চাকরির সনদপত্র (যদি চাকরি থাকে)
  • এয়ারলাইন বুকিং স্লিপ (প্রায় রাউন্ড-ট্রিপ
  • ভ্রমণের প্রস্তাবিত স্কেজুল / ভ্রমণ পরিকল্পনা (itinerary) 

ব্যবসায় (Business) ভিসার জন্য:

  • উপরের সাধারণ কাগজপত্র
  • কোম্পানির ব্যাংক স্টেটমেন্ট (শেষ মাস
  • জাপানে যোগাযোগকারী প্রতিষ্ঠানের কনফার্মেশন লেটার (Invitation বা প্রপোজড ভিজিটের সময়কাল
  • ব্যবসায়িক কাগজপত্র (B/L, ইনভয়েস, চুক্তিপত্র ইত্যাদি)

কাজ (Work) ভিসার জন্য:

  • পাসপোর্ট এবং পুরানো পাসপোর্ট
  • ২টি ছবি
  • ভিসা ফর্ম
  • COE (Certificate of Eligibility), যা জাপান মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত হতে হবে 
  • কাজের সনদপত্র / পুরানো চাকরির রেফারেন্স
  • কোম্পানির তথ্য (রেজিস্ট্রেশন, ঠিকানা ইত্যাদি

ডিপেন্ডেন্ট ভিসা:

  • বৈধ পাসপোর্ট
  • ২টি ছবি
  • বিবাহ সনদ /Nikah নথি (যদি জীবিকা পান
  • জাপানে থাকা ব্যক্তির পাসপোর্ট কপি এবং Alien Registration Card (যদি থাকে
  • COE (Dependent) 

স্টুডেন্ট ভিসা:

  • এক্সাম সনদপত্র (SSC, HSC, অন্যান্য
  • জাপানে সংস্থার “Acceptance Letter” বা ভর্তি চিঠি 
  • COE (যদি প্রযোজ্য
  • কেন পড়তে চান এবং কী উদ্দেশ্যে প্রেরণা (Motivation / ঝুঁকি ব্যাখ্যা

 আরো পড়ুন- খুব সহজে আমেরিকা যাওয়ার নিয়ম

. আবেদন প্রক্রিয়া ধাপ-বাই-ধাপ (Step-by-Step Process)

নিচে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জাপান ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো (সর্বশেষ নিয়ম অনুযায়ী):

  1. ভিসার ধরন নির্ধারণ করুন
    প্রথমেই ভাবুনআপনি কোন উদ্দেশ্যে জাপান যেতে চান? ভ্রমণ, কাজ, পড়াশোনা বা অন্য কিছু? আপনার ভিসার ধরণ নির্ধারণ করা হলে, কাগজপত্র, সময় প্রক্রিয়া অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
  2. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জড়ো করুন
    উপরেরপ্রয়োজনীয় কাগজপত্রঅংশ থেকে চাচ্ছি। প্রতিটি কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন।
    • ছবি নিন: . × . সেমি, সাম্প্রতিক ( মাসের মধ্যে
    • ব্যাংক স্টেটমেন্ট: আপনার ব্যাঙ্ক থেকে স্টেটমেন্ট নিন যা দেখায় আপনার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বা লেনদেন।
    • কাজ বা পড়াশোনা সংক্রান্ত কাগজপত্র (যদি প্রযোজ্য)
    • যদি একটি COE প্রয়োজন হয় (যেমন ওয়র্ক বা স্টুডেন্ট ভিসা), তাহলে COE পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জাপানি সংস্থার সঙ্গে কথা বলুন বা নিয়োগকর্তার সাহায্য নিন।
  3. VFS অনলাইন রিজার্ভেশন করুন
    যেহেতু নভেম্বর ২০২৪ থেকে VFS Global পরিচালনায় ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া, তাই আবেদনপূর্বে VFS-এর ওয়েবসাইটে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করা দরকার। 
    • সাধারণতমাস পরের মাসরিজার্ভেশন প্রতিমাসের ১৫ তারিখে প্রকাশ করা হয়। 
    • যদি জরুরি হয়ে থাকে, VFS একই দিনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নাও দিতে পারেতবে কিছু ক্ষেত্রে অপেক্ষমান তালিকা থেকে স্লট পাওয়া যেতে পারে। 
  4. আবেদন জমা দিন এবং ইন্টারভিউ দিন (যদি প্রয়োজন হয়)
    • নির্ধারিত দিনে VFS সেন্টারে গিয়ে আপনার কাগজপত্র জমা দিন।
    • অনেক ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ হয় একই দিনে আবেদন জমা দেওয়ার সময়েই। 
    • আবেদন জমা দেওয়ার সময় একটিঅ্যাপ্লিকেশন রিসিপ্টদেওয়া হবে, যা আপনি পাসপোর্ট তুলতে সময় প্রয়োজন হবে।
  5. ভিসা প্রসেসিং এবং অনুমোদন
    • সাধারণ প্রক্রিয়ায়, পূর্ণাঙ্গ ফাইল থাকলে ~ কার্যদিবস লাগে। 
    • যদি আপনার কাগজপত্র অসম্পূর্ণ হয় বা আরও যাচাই প্রয়োজন হয়, তবে প্রসেসিং সময় আরও বাড়তে পারে (কখনও কয়েক সপ্তাহ বা মাস) 
  6. পাসপোর্ট পুনরায় সংগ্রহ
    • অনুমোদনের পর, আপনি VFS- ঠিক করা দিনে পাসপোর্ট তুলে নিতে পারবেন।
    • পাসপোর্ট নেওয়ার সময় আপনার আবেদন রিসিপ্ট এবং পরিচয় প্রমাণ সঙ্গে রাখতে হবে। 
    • কেউ যদি আপনার পরিবর্তে পাসপোর্ট তুলতে যায়, তাহলে আপনাকে একটি অথোরাইজেশন লেটার দিতে হবে এবং তাদের আপনার স্বাক্ষরিত অনুমোদন রূপে একটি নথি তৈরি করতে হবে।

. বিশেষ বিষয় টিপস (Tips & Important Points)

🇯🇵 মাল্টি-এন্ট্রি ভিসা (Multiple Entry)

  • যাদের জাপানে প্রায়-প্রায় ভ্রমণ বা বারবার যাওয়া-আসা করার পরিকল্পনা আছে, তাদের জন্য বছরের মাল্টি-এন্ট্রি ভিসা পাওয়ার সুযোগ আছে।
  • এর জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্র লাগতে পারে, যেমনঃ একটি ব্যাখ্যাপত্র (explanatory letter) যার মধ্যে থাকবে আপনার ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা, বারবার যাওয়ার কারণ এবং আপনার সামাজিক অবস্থা ইত্যাদি।

📌 ভ্রমণ পরিকল্পনা (Itinerary) তৈরি করুন

  • আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা (পর্যটন কোরস, কোথায় থাকবেন, কী দেখা যাবে) যত স্পষ্ট হবে, ভিসা আবেদন গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়ে।
  • যদি কোনো গ্রান্টর থাকে (যেমন জাপানে বন্ধু বা আত্মীয়), তাহলে তাদের আমন্ত্রণ চিঠি এবং আর্থিক সমর্থনের ডকুমেন্ট সঙ্গে রাখুন।

💰 আর্থিক প্রমাণ (Financial Proof)

  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি দেখায় যে আপনার পর্যটন বা কাজের সময় আপনি আর্থিকভাবে পার করতে পারবেন।
  • স্টেটমেন্ট যত ভালো বিস্তারিত, ভিসা মঞ্জুরির সম্ভাবনা তত বেশি।
  • পুরাতন ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সেভিংস, ইনকাম সোর্স (চাকরির সার্টিফিকেট) সব মিলে প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।

📆 সময় নির্বাচনে সচেতন থাকুন

  • ভিসা জন্য আবেদন করার সময় আগে থেকেই পরিকল্পনা করুনবিশেষ করে ব্যস্ত সময়গুলিতে (যেমন উৎসব, ছুটি) VFS- অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট দ্রুত ভরে যায়।
  • একই সাথে, ফ্লাইট বা হোটেল বুক করার সময়বুকিং স্লিপনিন যেটি ভিসা আবেদন পাসপোর্ট জমা দিতে দরকার হবে (বুকিং অবশ্য পুরো অর্থপ্রদত্ত না হলেও, “আংশিক বুকিংবা রিজার্ভেশন দেখানো যায়)

📜 COE (Certificate of Eligibility) সম্পর্কে

  • কাজ বা পড়াশোনা ভিসার জন্য COE অপরিহার্য।
  • COE পেতে আপনার নিয়োগকর্তা বা স্কুল/বিশ্ববিদ্যালয়কে জাপানে আবেদন করতে হবে।
  • COE প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হতে পারেতাই আগেভাগে পরিকল্পনা করা উচিত।
  • COE পেয়ে গেলে সেটি ভিসা আবেদন ফাইলে অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি ভিসা ভেরিফিকেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

📰 ব্যবসায় (Business) ভিসায় পরিবর্তন

  • সাম্প্রতিক সংবাদ অনুযায়ী, জাপান Business Manager Visa-এর জন্য সর্বনিম্ন পুঁজির (capital) প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়েছে।
  • এই পরিবর্তন নতুন ব্যবসায়ী আবেদনকারীদের ওপর প্রভাব ফেলবেযারা ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন, তাদের এই নতুন প্রয়োজনীয়তা মাথায় রাখতে হবে।

. SSW (Specified Skilled Worker) ভিসাবাংলাদেশিদের জন্য একটি সুযোগ

  • SSW ভিসা এমন কাজ-ভিসা যেখানে নির্দিষ্ট দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশী শ্রমিককে জাপানে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। 
  • SSW প্রোগ্রামের অন্তর্গত কাজগুলোর জন্য একটি দক্ষতা পরীক্ষা বা ভাষা পরীক্ষা দিতে হতে পারে (যেমন JLPT বা JFT)
  • খরচ: আবেদনকারীকে বাংলাদেশে কিছু খরচ করতে হতে পারেভাষার কোর্স, পরীক্ষার ফি, মেডিক্যাল চেকআপ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি।
  • বেতন: SSW কাজগুলোতে সাধারণত প্রশিক্ষণ-পরবর্তী সময় ওভারটাইম সহ ভালো ইনকামের সুযোগ আছে।
  • সীমাবদ্ধতা: কিছু ধরনের SSW ভিসা পরিবারকে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। 

. সাধারণ চ্যালেঞ্জ ঝুঁকি (Common Challenges & Risks)

  • ডকুমেন্ট ইনকমপ্লিটনেস: অনেক আবেদনকারী তাদের কাগজপত্র ঠিকমত প্রস্তুত না করায় আবেদন খারিজ বা স্থগিত হয়।
  • আর্থিক প্রমাণের অভাব: পর্যাপ্ত ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, ইনকাম সোর্স বা আর্থিক ব্যাকিং না দেখালে সমস্যা হতে পারে।
  • COE প্রক্রিয়া বিলম্ব: COE পেতে সময় অনেক লাগে, যদি কাজ বা পড়াশোনার অংশীদার সঠিকভাবে প্রক্রিয়া না করে।
  • ভ্রমণ ইতিহাস (Travel History) নেই: যদি আপনার আগে বড়-দেশে ভ্রমণের ইতিহাস না থাকে, ভিসা অফিস এটি পেছনে দেখতে পারে এবং এটি ভিসার সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করতে পারে।
  • ভাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট সংগ্রহ করা কঠিন: VFS- স্লট সীমিত, বিশেষ করে ভিজিট সিজনে।
  • ব্যবসায়ীক পরিবর্তন: নতুন ব্যবস ভিসা বিধি (যেমন পুঁজির বাড়ানো) কিছু আবেদনকারীর জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

. বারবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

প্রশ্ন : বাংলাদেশি হিসেবে কি জাপান ভিসা ফি দিতে হয়?
উত্তর: না, জাপান দূতাবাস বলেছে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ফি মুক্ত

প্রশ্ন : VFS-এর সার্ভিস চার্জ আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ, VFS সার্ভিস চার্জ থাকে। উদাহরণস্বরূপ, BINGE Travelers বলেছে প্রায় BDT 1,900 

প্রশ্ন : COE কী এবং কেন লাগে?
উত্তর: COE বা Certificate of Eligibility একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট যা জাপান মন্ত্রণালয় (Ministry of Justice) ইস্যু করে। এটি কাজ বা স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন কারণ এটি দেখায় আপনার যে চাকরি বা পড়াশোনার উদ্দেশ্য রয়েছে জাপানে, সেটি বৈধ এবং অনুমোদিত।

প্রশ্ন : মাল্টি-এন্ট্রি ভিসা পাওয়া যায় কি?
উত্তর: হ্যাঁ, নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে (যেমন ভ্রমণ) এক বছরের মাল্টি-এন্ট্রি ভিসার সুযোগ আছে, অতিরিক্ত প্রমাণ এবং ব্যাখ্যাপত্র দিতে হতে পারে। 

প্রশ্ন : SSW ভিসার জন্য কত খরচ হতে পারে?
উত্তর: বাংলাদেশ থেকে SSW ভিসার জন্য ভাষা কোর্স, পরীক্ষার ফি, মেডিক্যাল চেকআপ, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদির মিলিত খরচ থাকতে পারে। আনুমানিক মোট খরচ . লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে (সংগৃহীত তথ্য অনুসারে) 

কাজ ও তথ্য নিতে পারেন এম্বাসি অফ জাপান ইন বাংলাদেশ   এই ওয়েবসাইট থেকে।


. শেষ কথা

জাপান ভিসা আবেদনের পথ যখন কখনও জটিল মনে হতে পারে, ঠিক পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির মাধ্যমে সেটি অনেক সহজ স্বাচ্ছন্দ্যভন্ন করা যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য, VFS Global-এর মাধ্যমে আবেদন, COE-এর গুরুত্ব বোঝা, এবং সব কাগজপত্র সঠিকভাবে প্রস্তুত রাখা অত্যন্ত জরুরি।

তুমি যদি ভ্রমণ, কাজ বা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে জাপান যেতে চাওএই গাইড তোমাকে একটি শক্ত ভিত্তি দেবে। তবে মনে রাখো, নিয়ম পরিবর্তন হতে পারে, তাই আবেদন করার আগে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করতে হবে। বিশেষ করে জাপান দূতাবাস ঢাকার অফিস VFS গ্লোবাল-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখে সবশেষ নিয়ম, চার্জ এবং প্রসেসিং টাইম নিশ্চিত করো।

তুমি যদি চাও, আমি ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্তজাপান ভিসা (বাংলাদেশিদের জন্য)”-এর নতুন আপডেট এবং ভবিষ্যত প্রবণতা (trend) নিয়ে আরেকটি ব্লগ পোস্ট তৈরি করতে পারিকরতে চাই?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.