৩ মাস পর পেট থেকে গজ ও তুলা বের করলেন ডাক্তার। ভুলে ছাড়া পড়েছিল পেটে ।
চ্যানেল এম নিউজ : এক রোগী পেটের ভীষণ ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল । চিকিৎসক পরীক্ষা ছাড়াই অপারেশন করেন অ্যাপেন্ডিসাইটের ব্যথা মনে করে । পরে সেলাই করে দেন পেটের মধ্যে তুলা, গজ রেখেই । তার ব্যথা কমেনি অপারেশেনের দুই মাস পরও, বরং প্রচন্ড হরে বেড়েছে। ব্যথা সহ্য করতে না পেরে পরে পুনরায় অপারেশন করা হয় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ।
এ ঘটনায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেন রোগীর স্বজনরা রবিবার কুমিল্লার আদালতে । কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ফেয়ার হসপিটালে এই ঘটনা ঘটে। আসামি করা হয়েছে ডা. মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন ও ডা. রাশেদ-উজ-জামান রাজীবকে এ মামলায়। মামলাটি করেন রোগীর ভাই তানজিদ সাফি অন্তর বাদী হয়ে । পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য । মামলার বিবরণ অনুযায়ী জানা যায়, বরুড়ার রাজাপুর গ্রামের কাশেম শফি উল্লার মেয়ের পেটে প্রচন্ড ব্যথা হয় ১২ এপ্রিল রাতে। ওই দিন রাতে তাকে ভর্তি করা হয় বরুড়া ফেয়ার হসপিটালে । ১৩ এপ্রিল অপারেশন করেন ডা. মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের তত্ত্বাবধানে ডা. রাশেদ-উজ-জামান রাজীব ।
এ সময় ডা. রাজীব পেটে গজ রেখে সেলাই করেন । পরে ব্যথা অনুভব হয় রোগীর পেটে । ব্যথা কমাতে হাই পাওয়ার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখে দেন ডা. ইকবাল । এভাবে রোগীর ব্যথা কমেনি ৩ মাস চলার পরেও । পরে রোগীর আলট্রাসনোগ্রাফি করান ভাই তানজিদ সাফি অন্তর তার বোনকে । পেটে লক্ষ করেন অস্বাভাবিক কিছু । রোগীকে পুনরায় অপারেশন করান ১৮ জুলাই কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডা, আজিজ উল্লাহ ও ডা. মাহমুদ ।
অন্তর বলেন, আমার বোনের রোগ নির্ণয় ছাড়া অপারেশন করেন “ডা, ইকবাল ও রাজীব । পরে পেটে গজ রেখেই সেলাই করেন। অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করেন আবার ব্যথা হলে । আমার বোনের অবস্থা আরও খারাপ হয় তিন মাস এমন ওষুধ খাওয়ার পরেও । আমি সঠিক বিচার চাই। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
কোন মন্তব্য নেই