১৭ ধরণের মানুষ মুসলিম হয়েও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
১৭ ধরণের মানুষ মুসলিম হয়েও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
সেই সমস্ত ভয়ংকর গুনা গুলো নিচে দেওয়া হলোঃ-
১. সহিহ বুখারি : ৫৫২৫ এ বর্ণিত আছে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
২. সুনানে বায়হাকি : ৫৫২০ এ বর্ণিত আছে হারাম খাদ্য ভক্ষণকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
৩. সহিহ মুসলিম : ১৩১ এ বর্ণিত আছে গর্ব-অহংকারকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার রয়েছে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না ।
৪. আবু দাউদ : ৩১৭৯ তে বর্ণিত আছে দুনিয়াবি উদ্দেশ্যে ইলম অর্জনকারী জান্নাতে যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন :যে ইলম দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষণ করা হয় সেই ইলম যে ব্যক্তি দুনিয়াবি কোনো স্বার্থ-সম্পদ হাসিলের উদ্দেশ্যে শিক্ষা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।
৫. সহিহ বুখারি : ৬২৬৯ এ বর্ণিত আছে অন্য পিতার সঙ্গে সম্বন্ধকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। অর্থাৎ নিজেকে অন্য পিতার সন্তান বলে পরিচয় দেয়, তার জন্য জান্নাত হারাম।
৬. সহিহ মুসলিম : ১৯৬ এ বর্ণিত আছে অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। যদিও পিপুল গাছের একটি ছোট ডাল হোক না কেন।
৭. সহিহ মুসলিম : ১৫১ তে বর্ণিত আছে চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
৮. সহিহ মুসলিম : ৬৬ তে বর্ণিত আছে প্রতিবেশীকে কষ্ট দানকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
৯. আবু দাউদ : ৪১৬৮ তে বর্ণিত আছে অশ্লীলভাষী ও উগ্র মেজাজি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
১০. মুসতাদরাকে হাকেম : ২২৬ এ বর্ণিত আছে মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান ও দাইয়ুস নারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেনঃ ৩ শ্রেনির মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না–
১০/ ১. মাতা, পিতার অবাধ্য সন্তান।
১০/২. দাইয়ুস অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার স্ত্রী-বোন প্রমুখ অধীনস্থ নারীকে বেপর্দা চলাফেরায় বাধা দেয় না এবং
১০/৩. পুরুষের মত ধারণকারী মহিলা।
১১. সহিহ বুখারি : ৬৬১৮ তে বর্ণিত আছে প্রতারণাকারী শাসক জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
১২. সুনানে নাসায়ি : ৫৫৭৭ এ বর্ণিত আছে খোঁটাদানকারী, অবাধ্য সন্তান ও মদ্যপানকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
১৩. সহিহ বুখারি : ৬৭৩৭ এ বর্ণিত আছে রাসুলুল্লাহ (সা:)-এর নাফরমান জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। রাসুলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেন যে আমার আনুগত্য করে, সে জান্নাতে যাবে। আর যে আমার নাফরমানি করে, সে জান্নাতে যেতে অস্বীকার করেছে।
১৪. সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৬৯৪ এ বর্ণিত আছে ওয়ারিসকে বঞ্চিতকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। রাসুলুল্লাহ (সা:) ইরশাদ করেন -যে ব্যক্তি কোনো ওয়ারিসকে তার অংশ থেকে বঞ্চিত করল, আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন।
১৫. সহিহ মুসলিম : ৩৫২৭ এ বর্ণিত আছে লৌকিকতা প্রদর্শনকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না: হজরত আবু হুরাইরা (রা:) সূত্রে বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন- কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম একজন শহীদকে ডাকা হবে। অতঃপর একজন কারিকে। তারপর একজন দানশীল ব্যক্তিকে হাজির করা হবে। প্রত্যেককে তার কৃতকর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। অতঃপর শহীদকে বীর-বাহাদুর উপাধি লাভের উদ্দেশ্যে জিহাদ করার অপরাধে, কারি সাহেবকে বড় কারির উপাধি ও সুখ্যাতি লাভের জন্য কিরাত শেখার অপরাধে এবং দানশীলকে বড় দাতা উপাধি লাভের নিয়তে দান-সদকা করার অপরাধে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
১৬. সুনানে নাসায়ি : ৪৯৮৮ তে বর্ণিত আছে কালো কলপ ব্যবহারকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না: রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘শেষ যুগে কিছু লোক কবুতরের সিনার ন্যায় কালো কলপ ব্যবহার করবে। তারা জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।
১৭. তিরমিজি : ১১০৮ এ বর্ণিত আছে অকারণে তালাক কামনাকারী নারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।

কোন মন্তব্য নেই