মাসিক ‘কবিতাকণ্ঠ’ (সেপ্টেম্বর -২০২০) বর্ষ-১৩, সংখ্যা-৫৩
১৩ তম বর্ষ, সংখ্যা-৫৩, সেপ্টেম্বর-২০২০
পরিচালনা পর্ষদ
সম্পাদক :
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
নির্বাহী সম্পাদক:
কবির পথিক
প্রধান শিক্ষক(উপশহর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়,বগুড়া)
উপদেষ্টা সম্পাদক:
কাজী হানিফ
(সিনি: ইন্সটাক্টর, টিটিসি, ঢাকা)
প্রচ্ছদ:
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আর একজন নজরুল চাই
----------------------------------------------
সম্পাদকীয়
কবিতাকণ্ঠ পরিবারের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা । এই করোনা কালিন সময় আমরা এখন পর্যন্ত ভাল আছি এ জন্য আল্লাহ পাকের কাছে হাজারো শুকরিয়া। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, আপনারা কবিতাকণ্ঠ পরিবারে কবিতা প্রকাশ হলে সবাই লাইক দিবেন কমেন্ট করবেন। তাহলে আমরা সবাই কবিতা লিখতে উৎসাহ পাই। আপনাদের ফেসবুক একাউন্টে যতগুলো কবি পরিচিত বন্ধু আছে তাদেরকে ইনভাইট করবেন। যেন তারা কবিতাকণ্ঠ পরিবারে নিয়মিত কবিতা দিতে পারে। ধন্যবাদ সবাইকে।
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
হিসেবের
এক ঘটি জল (১৫৬)
সেলিম আলতাফ
খুলনা
শ্রাবণ চলে গেল ভিজে বাতাসে
ভেজা সুখ মেখে,
গাছে গাছে বেড়ে ওঠে সবুজের
মনমুগ্ধ রূপমাধুরী,
বারান্দার রেলিঙে উদাসী অলসে
সকালের হাসিতে অনিমেষ দেখি-
পেয়ারা বাগানে ডাঁসা ডাঁসা
যৌবনবতী পেয়ারার উঁকিঝুঁকি,
বয়সী বিশাল আমগাছের
কালো চামড়ার নরম আলাপন,
নাকে ভাসে পুরনো কদমের
উন্মাতাল সম্মহনী সৌরভ।
হঠাৎ বৃষ্টি নামলে -
উচাটন মনেও বৃষ্টি নামে,
পাতা বেয়ে পড়ে ফোঁটা ফোঁটা
অবিরাম ঝরে যাওয়া।
আমারও তখন ইচ্ছে করে
নিজেকে এভাবে ভেজাই,
ইচ্ছে করে ঝেড়ে ফেলি
জমা যত অস্ফুট দীর্ঘশ্বাস,
দুরে সরে যাই নীলচে নীল
কস্টের ফেনিল ঢেউ থেকে।
আর ভুলে যাই চোখের শরীরে
জেগে ওঠা যত বিষকাঁটা।
শ্রাবণের ছায়া সরে যায় -
শরতের সাদা সাদা কিশোরী উচ্ছাস
ছুটে বেড়ায় নীলাম্বরী পাখায়।
আর আমার স্মৃতির হাতব্যাগে থাকে
অবারিত পোড়খাওয়া আবেগের ঢল,
এবং
প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির নির্ভুল
হিসেবের এক ঘটি জল।
প্রথম দিন (১৫৭)
পৃথ্বীশ গঙ্গোপাধ্যায়
কলকাতা
প্রথম দিনটা আজও মনে আছে,
সারাজীবনই মনে থাকবে।
বোধহয় প্রথম দিনটা ভোলা যায় না,
হয়তো তাই ---
জানি না।
কেন ভালো লেগেছিলো?
জানি না। সত্যিই জানা নেই।
নিজেও ভেবেছি অনেক,
কোনো উত্তর পাই নি।
বোধহয় এমনটাই হয় --
জানি না।
প্রথম শুরু? তাও মনে নেই ভালো করে,
দমদমে ! নাকি শেয়ালদায়?
প্রথম শুরু কার ! তোমার নাকি আমার?
সেটাও মনে নেই আজ।
এমনটাই কি হয়?
জানি না।
তবে মনে আছে --
একরাশ ভালোলাগা বিকেল,
সেই অধৈর্য ভরা সন্ধ্যে,
প্রথম ঘুমোতে না পারা রাত,
সকালের ব্যাকুল অপেক্ষা।
দুপুরে তুমি এসেছিলে
নীল সাদা ছাপা শাড়িতে, দমদমে।।
বদলে যাওয়ার পথে (১৫৮)
নব কুমার
ভারত
প্রথম দেখায় ওই দু’চোখে
জ্বললো আগুন বক্ষ মাঝে
মদন-বাণে বিঁধলে আমায়
তোমাতে ডুবে সকাল সাঁঝে।
শীতের রোদ বুলিয়ে পিঠে
প্রেমের সুবাস গায়ে মেখে
হারিয়ে গেলাম সুখের দেশে
হাতের উপর হাতটি রেখে।
অনেকটা পথ এগিয়ে গিয়ে
বললে আমায় ফিরতে একা
বক্ষ মাঝে সেদিনও আগুন
শরীর জুড়ে দিয়েছে ছ্যাঁকা।
কথা ছিলো হাঁটবো দু'জন
অচেনা কোনো পথের বুকে
মুছবো জল ঝরলে চোখে
দুঃখ নেবোই বদলে সুখে।
দোষের বোঝা চাপিয়ে পিঠে
ক্লান্তিতে আসে চোখটি বুজে
বদলে যাওয়া পথের দিশায়
ভুললে কথা সুখের খোঁজে।
বদলে যাচ্ছে সবটাই যখন
তুমিও কেনো থাকবে একই
ব্যথার উপর লাগিয়ে মলম
বদলে যাবো আমিও ঠিকই।
আবারও যদি দেখা মেলে
নতুন কোনো পথের বাঁকে
না দেখার অভিনয়ে তুমি
নামিয়ে নিও চোখ-টাকে!!
প্রার্থনা (১৫৯)
নন্দিনী সাহা
ভারত
বছর ঘুরে এলো আজ আবার খুশির রাখি বন্ধন উৎসব,
ভাইয়ের সাথে বোনের বন্ধন হোক আরো সুদৃঢ় এই করি মন থেকে ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা,
ঘুচে যাক সকল মান অভিমান,মুছে যাক উচ্চ-নীচের বৈষম্য,দূর হয়ে যাক সকল ধর্মীয়
ভেদাভেদ,
সুদৃঢ় হোক ভ্রাতৃত্বের বন্ধন,ভুলে যাক সকলে কে হিন্দু,কে শিখ,আর কে মুসলমান!
মানবতার মন্ত্রে হই সকলে বিশ্বাসী,মিশে যাক একত্রে গীতা,বাইবেল,গ্রন্থসাহেব,আর
কোরান।
এসো না,সকলে হাতে হাত রাখি,অন্তরে প্রজ্জ্বলিত করি মানবতার
অনির্বাণ দীপশিখা,
সকল সংকীর্ণতার শিকল যাক ছিঁড়ে,কেবল থাকুক বেঁচে মানুষে মনুষ্যত্ব আর মানবতা!
প্রকৃতির ভ্রূণে জন্ম আমাদের,আমরা সকলেই প্রকৃতি মায়ের সন্তান,
এক আকাশের নীচে আমরা করি সকলে বসবাস,আমরা সকলেই আমাদের পৃথিবীকে ভালোবাসি,
তবে কেন করি বিভেদ-বৈষম্যের বৈঠক কার আল্লাহ,কার খ্রিস্ট অথবা কার ভগবান?
সকল ধর্মাধর্ম,মৌলবাদী,গোঁড়া ধারণার হোক স্বাহা,ভাসিয়ে দেওয়া
হোক সেই ভস্ম গঙ্গা,পদ্মার জলে,
বন্ধ হোক ভাইয়ে ভাইয়ে রক্তক্ষরণ,এসো আওয়াজ তুলি একত্রে সাম্প্রদায়িকতার
বিরুদ্ধে,
সাম্প্রদায়িকতা মানবতার বিরুদ্ধে বিষবৃক্ষ,সাপের মতো ফণা তুলে করো অন্যায়ের
বিরুদ্ধে প্রতিবাদ,
আজ এই রাখি বন্ধন দিবসে এসো সকলে করি প্রতিজ্ঞা, একসাথে গেয়ে উঠি সাম্যের গান,
দূর হয়ে যাক সকল ব্যবধান,করি প্রার্থনা থাকুক মিশে একত্রে
হিন্দু,মুসলিম,বৌদ্ধ,জৈন,শিখ,আর খ্রিস্টান।
অজানা
স্নিগ্ধময় সৌরভ (১৬০)
অভ্র ওয়াসিম
ঢাকা
তুমি উদ্ভ্রান্তের মত এসেছ আমার জীবনে
আষাঢ়ের অমাবশ্য নয় পূর্ণিমার মত।
তটনির তীর ভাঙ্গে বিমিশ্র অনুভুতির যাতনায়
সহিতে পারি না পলিজমা বুকে শস্য ফলন্ত।
কাল বৈশাখী ঝড় কালের আহ্বান
নিয়মের অপেক্ষা ওড়ে টিনের চাল।
শীতের কুয়াশা ফাঁড়িয়া উঁকি দেয়
কিশোলয়ের পূর্ণ বিকাশে আমের মুকুল।
তুমি যৌবনের অবাধ্যতা নিয়ন্ত্রণে অসীম সাহসী
ভালোবাসার চম্বুক মাদকতায় বুঁদ প্রেম প্রিয়সী।
তুমি চেনা ফুল অজানা স্নিগ্ধময় সৌরভ
তোমার জন্য বাঁচতে শিখি, বলি ভালোবাসি।
স্বাধীনতার সন্মান (১৬১)
দেবলীনা চক্রবর্তী
কলকাতা
আচ্ছা রুমানি! তুই কি নিজেকে স্বাধীন বলেই ভাবিস?
এত শাসনের মাঝেও নিজেকে স্বাধীন অনুভব করিস?
এটা পরিসনা, ওটা করিসনা, সেইখানে যাওয়া মানা!
এটাকে সত্যি স্বাধীনতা বলে?আমার নেই তা জানা।
সত্যি কি দেশ স্বাধীন হয়েছে,এতগুলো দিন পরও?
সত্যিই কি আর আমাদের পরে অধিকার নেই কারোও?
দেশটাকি আজও স্বাধীন হয়েছে, দুর্নীতিরাজ থেকে?
নারীরা কি আজও নয় পরাধীন,সমাজের বাকা চোখে?
রুমনির ঠোটে হাসি লাগা দেখে,চুপ করে যায় মিতা
আলতো আওয়াজে রুমা তাঁকে বলে,"কিসের পরাধীনতা?"
এইযে আজকে বলছিস কথা,এটা স্বাধীনতা নয়?
স্বাধীনতা শুধু পোশাকে কিংবা চলাফেরাতেই হয়?
আমার বাবাও শাসন করেন,আগলে রাখতে চায়,,,
আমার কাছে ভালবাসা সেটা,পায়ে বেড়ি বাধা নয়।
বেশি রাত করে বাড়িতে ফিরলে আমারও বাড়িতে বকে,
সবারই বাড়িতে কিছু না কিছু নিয়ম কানুন থাকে!
মুখের কথাটা শেষ না হতেই প্রতিবাদ করে সীমা,
এইসব কথা দিদিমারা বলে,তুই কোন যুগে পড়ে রুমা?
আমি কি পড়ব,কোথায় বেরোব,কটায় ফিরব ঘরে?
কিকরে সেটা আমার বাবা বা মা নির্ধারণ করে?
আমার জীবন আমি কি করব,আমার ব্যাপার সেটা,
এগুলো নিয়েও দেওয়া হয় বাঁধা,অধিনতা নয় এটা?
আবারও বলছি,পোশাকের ভারে স্বাধীনতা মাপা যায়না,
বড়োরা তাদের উপদেশ দিয়ে অধীনে রাখতে চায়না।
ভালবাসে বলে আমাদের চায়,রাখতে যত্ন করে,
দয়া করে এটা চাপিয়ে দিসনা পরাধীনতার ঘাড়ে।
পোশাকের মাপ,ঘড়ির শব্দ,কিংবা মদ্যপান,
কোনটা করেনা স্বাধীনতা টাকে যথার্থ সন্মান।
স্বাধীনতা আর স্বেচ্ছাচারিতা, ভিন্ন শব্দ গুলো,
দুখানার মাঝে সূক্ষ্ম রেখাটা করিস না এলোমেলো।
স্বাধীনতা পাক প্রতিটি মানুষ,এইটা সবাই চায়,
সেটা শালীনতাটাকে বজায় রেখেই, স্বেচ্ছাচারিতা নয়।
ভালোবাসতে চাই (১৬২)
জান্নাতুল ফেরদৌস
খুলনা
আমি একটিবার...
ভালোবাসতে চাই।
নিজেকে ভেঙ্গেচুরে চুরমার করে
একটিবার ভালোবাসতে চাই।
কারো রাতের সাথী নয়...
আমার রাত জাগার কারণ করে
কাউকে ভালোবাসতে চাই।
পূর্ণতার আনন্দে ভাসতে নয়...
না পাওয়ার বেদনায় অশ্রুসিক্ত হতে
কাউকে ভালোবাসতে চাই।
ঘর বাঁধার জন্য নয়...
একাকী নিঃসঙ্গতাকে ঘর বানাতে
কাউকে ভালোবাসতে চাই।
সবাই বলে...
ভালোবাসলে নাকি কষ্ট পেতে হয়।
নিজেকে একবার অতল কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে,
ভালোবাসার গভীরতা মাপতে
একটিবার ভালোবাসতে চাই।
কোনো একজনকে দূর থেকে দেখে,
প্রশান্তিতে যে চোখ ভিজে যায়
এমনভাবে ভালোবাসতে চাই।
কারো জীবনসঙ্গী নয়,
কলঙ্ক হতে চাই।
ভালোবেসে ভালোবাসা নয়,
বিরহ চাই।
পাওয়ার বিজয় উল্লাস নয়,
না পাওয়ায় মর্মাহত হতে চাই।
একটা প্রেম নয়,
ভালোবাসা চাই।
শরীরের নগ্ন খেলায় মত্ত একাত্ততা নয়,
দূরত্বের মাঝেও আত্মার মিলন চাই।
আমি একটিবার আমার আমিতে ডুবে
শুধু ভালোবাসতে চাই।
নিজেকে ভেঙ্গেচুড়ে চুরমার করে
ভালোবাসার কলঙ্কের কালি মেখে,
রাধা হতে চাই।
আমি একটিবার...
শুধু একটিবার ভালোবাসতে চাই।
জ্যোৎস্না
আধার (১৬৩)
রতন সেনগুপ্ত
কলকাতা
ভূমিকা মুখর শব্দ লোক
তুমি এত আলো জ্বালিয়েছ
আমি অন্ধ হয়ে যাই
জোনাকির লাশ দেখি জ্যোৎস্না আধারে
উল্টো চাকার জোরে ঘোরে মহারথ
প্রবল সারথি
মৃত সৃজন সদর
বিকল্প ছাই মেখে খেয়েছে যৌবন
পলাশ ফোটেনি নিয়ত কেটেছি গাছ
কার ভাগ্যে কে খেলা করে
নিপুণ আঁটুনি বাঁধা পুতুলের তাস
দাবার চৌকাঠ মোছে
শম্বুক-রক্ত হাত আবীর রাঙানো
রঙিন কার্পেটে বাজে ধ্রুপদ ধামার
সাষ্টাঙ্গ গর্ভগৃহে অস্ত্র রেখে আসে
নাড়ি নক্ষত্র জানে যাদুকর
অজ্ঞতা কিভাবে বিকাশ বাজায়
আর কেন, এবার নির্বিকার বনবাস
রাবনের একমাথা অশ্রু নয়ন
কোন স্থগিতাদেশ চলে না এখানে
প্রিয় নিমন্ত্রণ চায়ের
আড্ডার (১৬৪)
মোঃ তাইজুল ইসলাম (তাজ)
ঠাকুরগাঁও
প্রিয়
নিমন্ত্রণ চায়ের আড্ডার
কোন এক বিকালে
হারিয়ে যাবো দু'জনে একসঙ্গে!
কথোপকথনের আড্ডায়
মেতে উঠবো নতুন করে !
তুমি একা থাকবে যখন,
একটুখানি সময় দিও
একসাথে চায়ের কাপে চুমুক
দিয়ে পার হয়ে যাবে ব্যস্ত সময়!
যে কথা বলা হয় নি
আজ সে কথা বলতে চাই,
চলো না প্রিয়
দূরে কোথাও রিমঝিম বৃষ্টিতে ভিজতে,
প্রিয়
নিমন্ত্রণ চায়ের আড্ডার,
সময় পেলে আসিও
এই পাগলের নিমন্ত্রণে!
সেই পুরোনো ঠিকানায়
ফেলে আসা স্মৃতিগুলোকে
গল্পের সাথে কিছুটা সময় দিবো!
তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত আজও মনে পড়ে
কারণ স্মৃতিগুলো হৃদয়ে জমা আছে!
ভুলতে পারিনি আমি আজও,
তোমার ভালোবাসা পাগল ছেলে!!
শুন্য বুকে (১৬৫)
এইস এম আকাশ
নাটোর
শুন্য বুকের সাঁতরানো ভাললাগা
রাঙ্গিয়ে নিল অসীম সুন্দরতা,
মেঘলা হাওয়ার কষ্টপাতা
স্নান করালো তৃপ্ত বৃষ্টির ধারা।
পায়ে পায়ে ছবি হল ভালবাসা
পেয়েও না পাওয়ায় ধন্য স্বপ্নবাসা-
শুন্যতা বুকে একঝাক ছায়া তবু
ম্লান হৃদয় হাসে সত্য এ প্রেমের যাদু।
শতাব্দীর প্রেরণায় ধূসরে আবেগ
খেয়ায় ভাসে হিয়ায় আনতে সতেজ-
রঙ্গের রঙ্গে রাঙ্গানো এ ভূবন
শিশিরে গাঁথা পাপড়ির মালায় সাজানো
আপনের চেয়েও আপন।
বুকেরই বুকেতে আঁকানো এ ভাষা
উল্লাসে স্পষ্টত আজ শুধু ভালবাসা-
শুন্য বুকে সাঁতরানো ভাললাগা
বাধিছে বাসা অপার পূর্ণতা ।।
আমি (১৬৬)
ফরিদুজ্জামান
পঞ্চগড়
একাকী নিরালায় ভাবনার রাজত্বে
ঠায় দাড়িয়ে আমি,
অজানা চিন্তাদের স্লোগানে
বিষন্নতার কানাকানি।
প্রশ্নবিদ্ধ মন খুঁজেফিরে বার বার
কে আমি?
অহমিকার দাবানলেে পুড়ে ছাই
হয়ে অন্তর,
ক্ষনিকের মেহমান হয়ে বেচে আছি
তবুও অহংকার।
মিথ্যে অহমিকা নিয়ে বেঁচে থাকা
সেই আমি।
আসার আগেই চলে যাওয়ার স্লোগানে
মুখরিত ধরনী,
বৃথা আয়োজন বেচে থাকার লড়াইয়ে
মৃত্যুর হাতছানি।
তবে কেন আসা যাওয়ার মাঝখানে
এ-ই আমি।
ভালবাসার টানে আত্মীয়তার বন্ধনে বাঁচার
প্রবল ইচ্ছে,
বারবার ধোঁকা খেয়ে পাওয়া না পাওয়ার
হিসেব কষে,
স্বপ্ন আর বাস্তবের ফরাকে বেঁচে আছি
তবুও আমি।
গল্প তোমার (১৬৭)
রানা শাহীন
তিক্ত কথায়, রিক্ত হয়ে
কোন পথে তে যাই।
এখন আমি,একলা একা
তোমার শূন্যতায়।
মিষ্টি হাসি,একটু ঝারি
এইতো আমি চাই।
ভালোবাসা হয়ত হবে,
তাঁর ই প্রতীক্ষায়।
আঁধার আলো কাটবে কখন,
মনের তালা খুলবে যখন।
তোমার মনের বারান্দাতে,
চাঁদের আলো হাসবে তখন।
আকাশ কুসুম কল্পলোকে,
গল্পটা তো সত্যি হলে,
মনের মেঘের আকাশ জুড়েই,
মুষলধারে বৃষ্টি ঝড়ে।
তোমার তিলে,তোমার ঠোঁটে
স্বর্গ যেন বসত গড়ে।
অল্প সময়,অল্প কথায়
মনের মায়ায়,হৃদয় হারায়
এইতো তুমি হাসলে পরেই,
হৃদয় হাসে,হৃদয় ভাসে
মেঘের ভেলা পাহাড় চূড়ায়,
ধাক্কা লেগেই পথটা হারায়।
বৃষ্টি হলেই সব ভেসে যায়,
পাহাড় কাঁদে,ঝর্ণা ধারায়।
গগনচুম্বী আকাশটা তে,
মানব সমাজ বসত গড়ে।
অল্প হলেও গল্প তোমার,
গল্পে শুধু,তুমিই আমার
অহেতুক আস্ফালন (১৬৮)
লেফাফা দুরস্ত
জয়পুরহাট
চামচিকার আস্ফালনের সঞ্জীবিনী সঞ্চার
এ যেনো সময়ের অবতার
কে আর কি? মুর্খের অকাল প্রলাপ
কে যেনো তারে দিয়েছে পদ
তাই তার আস্ফালনের সঞ্জীবিনী সঞ্চার
অশিক্ষিত প্রচারকদের প্রভাবে
শিক্ষিত সমাজ আজ নাজেহাল।
কবে যে কালো মেঘেরঘটা দূর হবে
কে জানে? কে বা তার খবর রাখে!
আশাবাদী মানুষের ভাবনায় নতুন কিছু নাই,
দাবী একটাই গগনতলে মেঘেরঘটা দূর হক।
আকাল পুনরুজ্জীবন প্রবন্ধটি
নতুনত্বে ভরে যাক।
দুর হক অহেতুক আস্ফালনের দ্বার
উন্মোচিত হক লেবাসধারী মুখ।
নাই অনুযোগ শুধু সময়ের তাপস্য
অহেতুক বিমর্ষ দার্শনিকের জন্য নয়
নতুনত্ব চাই নির্ভরতার,কর্তৃত্ব বাদীর।
কে জানে, কবে কি হয়?
শুধু আক্ষেপ, আর অপেক্ষা
দেখি না কি হয়,কবে আসে সেই সুসময়।
শুনেছি
কিন্তু চাক্ষুশ হয়নি (১৬৯)
প্রণব চৌধুরী
ভারত
শুনেছি তোমার অনেক গল্প গাঁথা কাহিনী ও কিংবদন্তী ৷
পড়েছি তোমার মনলোভা কত কাব্য ও
উপন্যাস যা হৃদয়ের মণিকোঠায় সযত্নে লালিত হবে আবাহমান কাল ধরে ৷
বিবর্তনের ইতিহাসের কালের চক্র চক্রকারে চক্রবুহ্য রচনা করলেও পর ৷
তোমার কায়ায় এত টুকুও কালির ছিঁটে ফোঁটা তোমার পোশাক কে মলিন করতে পারবে না ৷
তা সর্বজন বিদিত ৷
মিথ্যুকরা তো মিছে নিম্দা তোমার করবেই,
কারন তাদের কায়েমী স্বার্থ চরিতার্থ করার অশুভ প্রয়াসে তুমি যে প্রধান প্রতিবন্ধক
|
স্বকীয় হও তুমি ৷
তোমার সত্যের ব্যপ্তি শিখায় জ্বলে পুড়ে সব খাক্ করে দাও তাদের কামনা বাসনার
লেলিহান শিখা কে ৷
পৃথিবীতে কেউ অজেয় নয় বা কেউ অমরত্ব লাভ করে নি একমাত্র তুমি ছাড়া ৷
আমরা জানি একমাত্র তুমিই পারবে এর যোগ্য জবাব দিতে ৷
তোমার তুণীরে অবশ্যই সেই বাণ গুলি রয়েছে ৷
তা বোধহয় ভুলে গেছ ?
তমসাঘন কুহকের যুগে তোমার পাশুপথ তবে কি কাজে লাগবে তা তুমি বলতে পারো ?
নাকি তোমার প্রতি তোমার বিশ্বাস একেবারে হারিয়ে ফেলছো ?
কঠোর অণুশীলন তো করছো তুমি |
প্রয়োজনে তুমি ত্রিদেব ও মহামায়ার আরাধনা করে নিজেকে সমৃদ্ধ করে তোলো ৷
গল্প গাঁথা কাহিনী কিংবদন্তির জীবন্ত কিংবদন্তি হয়ে চাক্ষুষ করাও আমাদের ইহায় প্রার্থনা ৷
নজরুল (১৭০)
সৌরভ মজুমদার
তুমি বাঙালির অহংকার
তুমি বাঙালির গর্ব
তোমার অবদান সাহিত্যে অতুলনীয়
যা ভোলা যাবে না কখনো।
তুমি দিয়েছে সাহিত্যে নতুন রূপ
তুমি পরিচিত বিদ্রহী স্বরূপ।
তোমার আদর্শে উজ্জীবিত কত কবি
তোমার লেখা গান বিখ্যাত সবি।
তুমি আমাদের জাতীয় কবি
তোমায় নিয়ে যা লেখি কম সবি।
কে বলেছে তুমি নেই ধরায়
তোমার লেখা তোমায়
বাঁচিয়ে রেখেছে প্রতিটি পারায়।
তোমার প্রতি শ্রদ্ধা শত
এই অধমের ভালোবাসা রেখ।
অনলাইন শিক্ষা (১৭১)
উত্তম দত্ত
আজ মন নেই ঠিক
কবে ফিরে পাবো সেই দিনসকল
যা করেছি আমরা অতিবাহিত,
যেথায় ছিল সঠিক তাল ও ছন্দ
এই করোনা আবহের পূর্বে।
হয়েছে আনলক আমার এ পাড়া,
আনলক হয়েছে আমার এ শহর,
তথাপি নেই সেই তাল মাফিক ছন্দ,
হয়েছে ছন্নছাড়া আমার স্বপ্নের এই শহর।
ফিরে চাই আমার এ শহর
যা ছিল করোনা আবহের আগে,
যা ছিল ২০২০ এর আগে।
পাই না আমি এ শহরে সেই সকল
রাগ-রাগিনীর আলাপ,
পাই না আমি তবলায় সেই সকল
তাল ও ছন্দের আওয়াজ সমুহ
শুনতে পাচ্ছি না ত্রিতাল ও চারতালের শব্দসমুহ।
আরও শুনতে পাই না শিশুদের পড়ার আওয়াজ,
শুনতে পাই না এখন শিশুদের স্কুলে কোনো কোলাহল
শুনতে পাই না উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রদের সেই ব্যাস্ততা
আর মহাবিদ্যালয়গুলো আজ রয়েছে স্তব্দ......
নেই সেথা কোনো ছাত্র-ছাত্রী,
আজও সব বিদ্যা নিকেতন রয়েছে লকডাউনে।
আজ অনলাইনের মাধ্যমে হচ্ছে সব পড়াশোনা,
মনে হয় লাগবে না কোনো স্কুল কলেজ....
আগামীতে করতে পড়াশোনা
থাকবে না কোনো স্কুল কলেজ
থাকবে কেবল অনলাইন পড়াশোনা।
গুরুকুল কি জিনিস ভুলে গেছে,
একালের মানুষজন.....
সেইভাবে ভুলে যাবে
একদা ছিল হেথা স্কুল কলেজ,
যেথা পেত শিক্ষা সকল ছাত্রসমাজ।
করোনা পরবর্তী আবহে প্রচলিত হবে
অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা।
নদীর
তীরে বিন্দাবনে (১৭২)
মোঃ রায়হান কাজী
নদীর তীরে বিন্দাবনে
অসময়ের ছেঁড়া জালে।
সহপাঠীদের অগোচরে
আনমনে লিখতেছিলাম।
ছন্দের সাথে তালমিলিয়ে।
হঠাৎ করে নদীর সরু পথে,
ঝড় ওঠে ছিলো জলরাশি জুড়ে।
লঞ্জ টার্মিনাল দুলতে ছিলো,
ঢেউয়ের সাথে কাঁপুনি দিয়ে৷
লোকজন সব হকচকিয়ে ওঠে,
ঘূর্ণিঝড় ছাড়া জলোচ্ছ্বাস দেখে।
আপন উন্নতি হচ্ছে দেখে,
হিংসায় কিছু লোকের মাঝে,
আগুনের ফুলকি ছুটে শরীর জুড়ে।
শুধালাম সনাতন পদ্ধতিতে,
কোথায় থেকে আগমন ঘটে?
একদিন নিশি ভোরে,
স্বপ্নে দিবো তোমায় চুয়ে।
পুরিবে মোর প্রার্থনা রৌদ্র দিপ্ত দিনে,
পদ্মা নদীর তীরে বসে রুপ সুধানোকে ঘিরে।
বিষণ্ণ মনে দিনের আলোর সাথে,
সকল হাসি কেন যেন অমলিন হয়ে ওঠে?
নিজের অজান্তেই নয়ন
জোড়া দিয়ে অশ্রু পড়ে।
গাঁ জুড়ে কাঁপুনি ওঠে,
রোগব্যাধি উপশমে কিছু না থেকেও।
কেন জানি পুড়নো কথামালা,
লোকজনদের মুখে উঠছিলো জেগে।
কী যেন আছে এখলাছপুরে?
বলাবলি করছিলো আমার দিকে আঙ্গুল তুলে।
নদীর পাড়ের দিগন্তে জুড়ে,
অস্তাচলে রক্তছবি উঠছিলো ভেসে৷
সাধুর বীণায় গানের পসরা সাঁজে,
কথার মাঝে স্মৃতি রোমন্থন করে।
মনের
দুঃখ মনেই থাকে (১৭৩)
বিশ্বজিৎ মেটে
ভূমিকম্পে চাপা পড়ে যাওয়া কতো সহস্রাধিক তকতকে প্রাণ আজ অতৃপ্ত
আত্মা!
দুঃখ রোদের আঁচ খুব প্রকট,
আর বসন্ত রোগের থেকেই ভয়ানক মানসিক রোগ।
আজকের মানচিত্রে শত শত বিদ্রুপ নারী দাড়িয়ে আছে
সারি সারি,
সুযোগ বুঝেই ছিনিয়ে নেবে হৃদয় নিঙড়ানো সমস্ত চেতনা।
রোজ কতো প্রেমিক ভালোবাসা হারানোর যন্ত্রনায় জ্বলছে..
হৃদয় জুড়ে এক আকাশ কষ্ট জমে আছে এখনও,
অচেনা শহরে পাগলের মতো ঘুরে বেড়ায় সংযতবাক্যে।
হয়তো কেউ প্রেম কে শপথ করে মৃত্যুর হাসি হেসে
দিচ্ছে!
কেউবা শত কষ্ট চাপা দিয়ে একাকী শূন্য জীবনে প্রহর
প্রহর কাটিয়ে দিচ্ছে..
কিন্তু দুঃখের কথা প্রকাশিত করতে অনুত্তীর্ণ চিরকাল।
আজকের প্রেমিকরা সমস্ত প্রেম কামোচ্ছ্বাস ভুলে গিয়ে,
অন্যের স্বাধীনতার সাথে তাল মিলিয়ে, হাসি খুশিতে জীবন কাটাচ্ছে..
কিন্তু মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা কষ্ট মৃত্যু পর্যন্ত
স্থির..
মেঘের ছায়া (১৭৪)
দেওয়ান এহছান কবির
মানুষ বদলে যায় অচিরেই
তার রং ঢং এর প্রতিকুলতায়,
ভুলে যায় আপন-পরিজন
এ কি আকাশের মেঘের বিষন্নতা?
মেঘের গর্জনকে করি না ভয়
হোক সে ভয়ংকর ঘুর্নিঝড়,
জানি তার পথ চলা, ক্ষনিক রং এর মেলা
প্রাকৃতিক দুর্যোগই তার ঘর ।
কোন এক সোনালী সন্ধ্যায়
ছোটে আসি তোমার দ্বারে,
দেখতে পাই তুমি লোকালয়ে
আছ দিব্যি লোকের ভিড়ে ।
আমার উপস্হিতি যেন বিরক্তিকর,
বিষন্নতা আনে তোমার সুন্দর চেহারাতে,
ফিরে আসি কোন এক নদীর তীরে
মেঘের ছায়া ঘেরা সব সুখ যেন এ ধরনীতে ।
মানুষ (১৭৫)
মেহবুব চৌধুরী
মানুষ মানুষ হয় মনুষ্যত্ব গুনে,
গঠন যে তার যথেষ্ট নহে।
পৃথিবীতে আছে যত জীবন্ত প্রাণ ,
মানুষ হলো তার মাঝে সেরা প্রতিদান।
শক্তি বুদ্ধি আর জ্ঞানের সমাহার,
তাইতো মানুষই সৃষ্টির সেরা সার।
মানুষ মানুষ হয় মনুষ্যত্ব গুনে,
গঠন যে তার যথেষ্ট নহে।
পাপের নেশায় মত্ত, হয়ে লোভে আকৃষ্ট,
মানুষ যে হারায় তার মনুষ্যত্ব।
মানুষ হারিয়ে তার মনুষ্যত্ব,
হয়ে যায় পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট।
মানুষ পারে সমাজকে করতে উন্নত,
আবার মানুষই করে সমাজকে বিনষ্ট।
মানুষ হল এই ধরার সুন্দর্য্য,
মানুষই আবার হয় ধরার কলঙ্ক।
মানুষ মানুষ হয় মানবিক গুনে,
নয়তো মানুষ-পশুর ব্যবধান কিসে?
মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব তার বিবেকের জন্য
হারিয়ে বিবেক হয়ে যায় ঘৃণ্য।
মানুষ মানুষ হয় মনুষ্যত্ব গুণে
গঠন যে তার যথেষ্ট নহে।
ভুলতে
চাই তোমায় (১৭৬)
চন্দ্র শেখর
ভুলতে চাই তোমায়
মনের গহিন থেকে
যেখানে রেখেছিলাম সবার
থেকে লুকিয়ে।
ভুলতে চাই তোমায়
তোমার দেওয়া ডাকনাম গুলো থেকে
যেগুলো ডাকার অধিকার দিয়েছিলাম এই মন থেকে।
ভুলতে চাই তোমায়
আমরা সাজানো স্বপ্ন গুলো থেকে
যেখানে রেখেছিলাম তোমায় পরম যতনে।
ভুলতে চাই তোমায়
আমার নিশ্বাস থেকে
যেখানে ছিলে তুমি,
আমার নিজের অজান্তেই।
ভুলতে চাই তোমায়
আমার চোখের সামনে থেকে
যে চোখে রেখেছিলাম পলকে পলকে।
ভুলতে চাই তোমায়
আমার সকাল থেকে
যে সকালে তুমি ছিলে ভোরের আলো হয়ে।
ভুলতে চাই তোমায়
আমার দুপুর থেকে
যে দুপুর তোমায় খুঁজতাম, দক্ষিণের হাওয়ার ভিরে।
ভুলতে চাই তোমায়
আমার ঘুম না আসা রাত থেকে
যে রাতে তুমি শুধুই আমার হতে।
ভুলে চাই তোমায়
আমার সকল রঙ থেকে
যে রঙে তুমি মিশে রংধনু এঁকে ছিলে।
ভুলতে চাই তোমায়
আমার ভেতর থেকে
যেখানে ছিলে তুমি আমার সবটা জুড়ে ।
মন বোঝে না কোন কারন
মানে সে বারন,
তবুও ভুলতে চাই
এ জন্মে আমরন।
এই
পৃথিবীতে কে বাঁচিতে চায় (১৭৭)
অভ্র ওয়াসিম
চুয়াডাঙ্গা
তুমি অন্ধকার দেয়ালের ওপাশে
উজ্জ্বল আলোয় দাঁড়িয়ে ব্যস্ত।
আমি দু'হাতে আঁধার সরাতে যেয়ে
ক্লান্ত, উন্মাদ অগ্রসর হতে ব্যর্থ ।
আমি ঘুমিয়ে পড়ি স্বপ্নে তুমি আসো
উজ্জ্বল আলোর জ্যোতি কমে আসে।
আমি বিহ্বল হই আলো, আলো চাই
তবুও কেন আঁধার ফিরে আসে?
এখানে পড়ন্ত বিকালে হাজার প্রজাপতির
মেলা বসতো লাল নীল হলুদ ফুলে ফড়িং।
আমি সেই বৈচিত্র্যপূর্ণ বিকাল ফিরে পেতে
প্রিয়তমা, বুড়ো বটগাছের তলায় বসাবো আড়ং।
আঁধার চাই না মিথ্যা শুনতে চাই না
সবুজ পৃথিবীতে সত্যের চাষ চাই।
হতাশ হইও না বন্ধু সত্য ছাড়া
এই পৃথিবীতে কে বাঁচিতে চায়?
কল্পনায়
ডুব সাঁতার (১৭৮)
হৃদয় হাসান নিরব
ডুবে যাচ্ছি গতানুগতিক তোমার
ভালোবাসার গভীরে
হারিয়ে যাচ্ছি তোমার চোখের মায়ার
বিস্তার জুড়ে,
একটা সময় ছিল তোমাকে নিয়ে ভাবতাম, তোমাকে কবিতায় আবৃত্তি করতাম।
এখনও "তোমাকে" নিয়েই ভাবছি,
একটু নিজের করেই ভাবতে চেষ্টা করছি
তোমার একগুচ্ছ ভেজা চুল নিসংকোচে মুঠোবন্দী করা ধারুণ ইচ্ছে।
স্বপ্ন ও দেখি,
দোঁপ্যাচে শাড়িতে
সকালের মিষ্টি রোদে অথবা বিকালে,
এককাপ চা হাতে
তোমাকে দাঁড় করিয়ে রাখবো কিছুটা সময়।
অতঃপর আমার তুচ্ছ কবিতা লেখা
রেখে তোমার দিকে তাকাবো
দোঁপ্যাচে শাড়িতে এলোচুলে
তোমাকে
হুরের থেকে কোন অংশে কম লাগবে না।
মাঝে মাঝে হঠাৎ করে পিছন থেকে
চার আঙ্গুলের মাঝে তোমার আঁখি
দুটি বন্ধ করে লুকোচুরি খেলবো...
একটু ভুল হলেই
দপ করে রেগে গিয়ে বলবো
দশ বছরের সংসারে
তুমি আমার
হাতের পরশটা চিনতে পারলে না!
তারপর তুমি একটু হেসে দিয়ে বলবে
না চিনলে তোমার পাগলামি টা যে
হাড়িয়ে যেতো......!
--তোমার জন্য পাগলামি আমার আজীবনই
রয়ে যাবে।
দেখো! চল্লিশে ও কোনো একদিন দুইটা
সরিষা ফুল তুলে এনে
তোমার খোপায় গুজে দিয়ে
বলবো, চলনা একটু ফুচকার দোকান
থেকে ঘুরে আসি।
তুমি ফুচকা খাবে আর আমি নব প্রেমিকের মত
অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবো।!
নিশ্বাসের
বেদনায় (১৭৯)
শিশির আজাদ চৌধুরী
চট্টগ্রাম
যখন নিগুঢ় আঁধারে ভাসে ঝিঁঝিঁর গান।
কে রাখে কথা, চিৎকার কি শুনে না কেউ?
আওড়ানো নিশ্বাসের বেদনায় ফেনা ওড়ে ওড়ে
ধূসর হয়ে ওঠে রাতের আকাশ।
ঝিঁঝিঁর গানের শব্দও নিবিড় থেকে আরো নিবিড়
এখন বাতাস শোনায় শুকরের উন্মাদ হাসি।
তবে এ হাসি শোনে না কেউ- কেউ রাখে না কথা,
একের পর এক ক্ষান্ত হীন দেহ দস্যু
নারীর কোমল বুকে এঁকে দেয় কলঙ্কের দাগ।
সুখ (১৮০)
নেপাল
সরকার
ভারত
সুখের সন্ধানে ঘুরি আমরা সকলে।
কেউ কি সুখী বলতে পারো এই জগত?
সুখেরই চেষ্টা করেছো যত।
বেদনা পেয়েছো ততো।
ভগবান সবাইকে যা দিয়েছে। জো
সন্তুষ্ট কেউ নাইকো তাতে।
লোভী মানুষের লোভ সামলাতে না পেরে।
মরে তারা বিভিন্ন উপায়ে।
কেউবা গাড়ির তলায়।
কেউবা চুরির জ্বালায়।
খুনের দায়ে কেউ জেলে পচে মরে।
ভালো মানুষেরা সৎ পথে চলে।
তাদের জন্য পৃথিবীটা সকলের তরে।
জগতকে তারা দিয়েছে আনন্দ ভরে।
স্বার্থহীন ব্যক্তিরা সুখের চিন্তা করে না।
সকলের মাঝে তারা মরে ও মরে না।
সুখ যদি কেনা যেত আপন ঘরে।
সুখ তবে থাকতো ধনী ব্যক্তির তরে।
সুখ আছে সকলের মাঝে ।
চিনে নাও তারে।
কখনো কখনো হাজির দেয় সকলের দুয়ারে।
তখনই ঘরে তুলে নিতে হয় পরম আদরে।
অবহেলা করলে তারে মরিতে হয় জ্বরে।
এখন সুখের কথা বিপদে স্মরণ করে।
সুখ সুখ করে বাচিনা জীবনে।
মরিলে সব সুখ পাবো চিতার আগুনে।।
যৌতুক (১৮১)
সোহাইল আল হাবিব
খোকা......
আচ্ছা বাবা আমার দিদি মরল কেমন করে
জান বাবা দিদির কথা অনেক মনে পরে।
ছোট্ট কালে রাখতে কোলে
কাজল দিত রোজ কপালে।
ঘুম পারাত আমার মাথায় ভুলিয়ে হাত
কান্না করলে ঝিঙে ফুলে করত বাজিপাত।
বলনা বাবা কাঁদছ কেন চোখে কেন পানি
দিদিমণির কি হয়েছিল একটু বল শোনি।
বাবা.......
আমার ঘরে প্রথম মানিক সে কল্যাণী হয়ে জুটে
অনেক সখে করেছিলাম লালন নিয়ে কোলে পিঠে।
ধীরেধীরে বড় হল সে বিয়ের হল সময়
অর্থ ছাড়া কোন পাত্র নাহি কিছু কয়।
আমার তেমন ছিলনা অর্থ শুধু ছিল ভিটেখানি
মেয়ের পেরেশানে রোজ রজনী ঝড়াতাম চোখের পানি।
একদিন এক আসল ঘটক ছুরে দিল শত শর্ত
সব শুনেও হয়েছি রাজি দেব যাহা চাই অর্থ।
অর্ধেক ভিটে বিক্রি করে দিয়ে দেয় এক লোকে
যত সমাদর করেছি আদর তবু মেয়ে থাক সুখে।
হাট পালং আরো কত কি দিয়েছি টুকিটাকি
যৌতুকের কিছু অর্থ রেখেছিলাম বাকি।
মাস কয়েক ভালই ছিল এরপর শুনি কানে
রোজ রোজ তাকে করত প্রহার টাকা দে সব এনে।
কিছুদিন পরপর আসত মেয়ে করত কান্নাকাটি
নারী হয়ে বুঝি পাপ করেছি দিয়ে ফেল মোরে মাটি।
তার চোখের জল দেখলে মনে হতো যাই মরি
শান্তনা দিতাম আর কিছুদিন দেব সব হিসাব করি।
বাকি ভিটে যদি বিক্রি করি আরত কিছু নাই
পরিবার নিয়ে যাব কোথায় কে দেবে মোরে ঠাঁই।
একদিন শুনি ফোনে গুণগুণি করছে জামাই পেশ
তরি করে এসে নিয়ে যাও লাশ মেয়ে যে তোমার শেষ।
গলা চেপে মেরে মোর মেয়ে টারে মুখে ডালে বিষ পানি
সমাজের মাঝে রটিয়ে দিল সে নাকি কলঙ্কীনি।
শত অপবাদ দিয়েছে তারে কত ছলেবলে
টাকার কেনা শাসকগনও তাদের কথা বলে।
যেই বুকে ধরে বড় করেছি আমার সোনামণি
সেই বুকে তারে শুধু চেপে ধরে ফেলেছি চোখের পানি।
যেই হাতে তারে রেখেছি কোলো করেছি লালনপালন
সেই হাতে তারে সাড়ে দিনহাত ঘরে দেয়েছি সেদিন দাফন।
যেই দেশের আইন শাসকের কাছে পাইনা গরীব বিচার
ঐ সব বাজে আইন শাসকের পানে থুথু মারি বারবার
টাকার কাছে যারা বিক্রি নীতির কাছে নয়
উচ্চ কন্ঠে পৃথিবীর বুকে হায়াওয়ান তাদের কয়।
যৌতুক নামে অসৎ রীতিতে যারা বিদ্যমান
নিকৃষ্ট জালেম তারা মানব রুপি শয়তান।
কাদিসনে বাছা তর দিদি আছে হাজার তারার মাঝে
যদি পরে মনে তাকাস আকাশের পানে রজনীতে যবে সাজে।
পুরোনো
দিনের কথা (১৮২)
অলোক রায়
অতীত স্মৃতিরা আজ মনের গহীন কোণে এসে ভীড় করছে,
ব্যথিত অনুভবেরা মাতাল হাওয়ায় ভেসে বৃষ্টি হয়ে অঝোরে ঝরছে।
ফেরারী মন বৃষ্টি ভেজা সাঁঝে সিক্ত,
পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ছে আজ অতিরিক্ত।
গোপনে গোপনে মনে জমেছে অনেক ব্যথা,
অঝোর বৃষ্টিতে মন কি বলছে সেসব কথা।
মাঝে মাঝে মেঘের গর্জনে চমকে ওঠে চারপাশ,
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে সঙ্গী হয়ে বইছে শীতল বাতাস।
ভাবছি অনেক পুরোনো দিনের কথা,
ফেলে এসেছি কত সোনালী দিন
কত স্মৃতি হাসি কান্না ব্যথা।
ভিজে হাওয়া লেগে ফেরারী মন আজ ভিজেই গেল বুঝি,
হয়তো তাই আমি ব্যথিত হৃদয়ে পুরোনো স্বপ্ন গুলো খুঁজি।
বৃষ্টিধারা অঝোরে ঝরছে বাইরে চেয়ে দেখি,
মনে পড়ে বৃষ্টি ভিজে ফুটবল খেলার কথা,
কতকিছু ভেবে চলি আনমনে,
আর মনের স্বপ্নীল ক্যানভাসে কত ছবি আঁকি একাকী।
মনে পড়ছে ভীষণ আজ পুরোনো স্মৃতি একলা ঘরে বসে,
মনে পড়ছে তাদের কথা
যারা ছিল জীবনের সাথে,
ওতপ্রোতভাবে ভাবে মিশে।
প্রিয় মুখ গুলো ভীড় জমায় এসে হৃদয়ের দ্বারে,
সেই সোনালী স্মৃতিরা আজ হারিয়ে গেছে সময়ের ঝড়ে।
পুরোনো দিনের কত কথা পড়ছে আজ মনে,
তাই কল্পনার ক্যানভাসে ডুব দিলাম এই বৃষ্টি ভেজা ক্ষণে।
নিরাপত্তাহীনতা
(১৮৩)
আইনুন্নাহার আল্পনা
বগুড়া
হ্যা কবিতা লিখতে হয়তো ভুলেই গেছি।
দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে কি কবিতা লেখা যায়?
যেখানে আকাশ দেখতে পাইনা,পাখি দেখতে পাইনা ফুলের
সুভাস নিতে যেতে পারিনা।
তাঁরা দেখবো কোথায় রাতের হিমেল হাওয়ায় ভাসবো কিকরে
সেভেবে পাইনা
কবিতা লিখবো কি দিয়ে ভাবতে পারিনা
প্রেসার কুকারের শব্দেই যখন আতকে উঠি,
মনে হয় কোনো লুটেরার আওয়াজ নয়তো!
রাত তো দূরে দিনেই দরজা খুলতে ভয় পায়
কে জানে কে চুরি ছিনতাই আরো কত কির জন্য উত পেতে আছে?
সদ্যজাত শিশুকে ঘরের বাহির করতে ভয় হয় কে লালসায় কামড়ে দিবে কে জানে
প্রতোক পুরুষের চোখ দুটিকে ধষকের অধিকার পাওয়ার মত কু মনে হয়
এখানে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল নারীকে কেবল শরীর মনে করা হয়,
এটাকে কি সভ্যতা বলে?
বলে সভ্যতা?
এখানে মানুষ মানুষের শিকার ওহ ভুল বললাম
মানুষ শিকারি হতে পারেনা মানুষের হৃদয়তো পবিত্র মানুষের তো বিবেক আছে আছে ধরমে
এখানে মানুষ অমানুষের শিকার মাত্র
এখানে কবিতা নেই যেখানে খোলা আকাশ থাকেনা সেখানে কবিতা কি করে থাকে?
আমাকে এক চিলতে ভরসা দাও আমি সদ্যজাত শিশুকে পৃথিবীর সৌন্দর্যে
ভরিয়ে দিতে চায়
ভয়ে আতংকে লুকিয়ে বাঁচতে শিখাতে চাইনা
জন্মটা একবারের সে জন্মকে অনিরাপদ করে বৃথা করে দিওনা,
দিওনা কুৎসিততায় বৃথার বেদনায় বিষাদ করে।
গল্পের
ইতিবৃত্ত (১৮৪)
হাসিবুর রহমান ভাসানী
কিছু গল্পের জন্য কোনো ভাষা বরাদ্দ থাকে না।
কিছু গল্প হয় বেনামী-অশরীরী।
আর কিছু গল্প একান্তই ব্যক্তিগত,
সময়ে অসময়ে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে;
আবার হারিয়েও যায়
নতুন কোনো গল্পের ভীড়ে।
আমার কোনো গল্প নেই;
সত্যি আমার কোনো গল্প নেই।
আমার কাছে গল্পের মানে
একজোড়া নেশাগ্রস্থ লাল চোখ।
তাই আমার গল্পের কোনো
বিশেষ মৃত্যুবার্ষিকীও নেই।
নির্জনতা (১৮৫)
শান্ত কুমার
নিঃসঙ্গতাই যদি প্রিয় হবে তবে কেন আজ
হন্যে হয়ে খুঁজছো জনারণ্য!
মানুষের ভীড় আজ আশি টাকা তোলা
শোনা যাচ্ছে কাল নাকি আরও বাড়বে
টিনের চশমায় দেখা পৃথিবী আজ খসে পড়েছে
তাইতো মহাসমুদ্রের মাঝে কেবল তুমি আর তুমি।
শ্রদ্ধাঞ্জলে
তুমি রবে চিরদিন (১৮৬)
মোঃ শাহিনুর রহমান রাসেল
রাজবাড়ী
তব শ্রদ্ধা এমনে আজ যাহার সনে
সেতো বিশাল হৃদয়ের অনুভবতা দুলে এমনে।
তুমি কাঁদিও না, কাঁদিও না কুসুমের মত কমল মনে
দেশের বিজয়ে,ভালোবাসার টানে অমৃতলোকে।
তুমিই তো মোদের দেখিয়েছ কত মনি মুক্তার ভান্ডার
আছে লুঁকিয়ে,সুজলা -সুফলায় ভরা আমার সোনার বাংলা, বাংলাতে।
আজ দুহাত ভরে, অর্ঘ্য করি সমর্পণ তোমাতে।
তুমি রবে চিরকাল এ মনে, সন্ধ্যা তাঁরার আলো হয়ে
জ্বলিবে এ মনে, শান্তির দূত হয়ে সমস্ত অশান্তির
অবসানে,ঘোর অন্ধকারে আলোর পথের দিশারী হয়ে।
হারার আগেই নাহি হারি, শুরুর আগেই নাহি থামি
চলিতে জীবন কণ্টকময় ফুলে ফুলে বাঁধা,
সাঁজিয়ে নিও নিজের মতো হয়ো না গাঁধা।
জীবনের পদে পদে ঘটিবে কত অদ্ভুত নীলা
কিছু ঘটিবে ভীষণ যন্ত্রণা, কিছু রটিবে সুখের বন্দনা।
তুমিই মোদের বলেছিলে যখন আমরা পড়েছিনু ঝিমিয়ে,
"রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিবো তবুও এদেশকে
মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ"।।
তাইতো দেশপ্রেমে এক হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সমস্ত
বাংলা।
অনেক ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছিল একটি দেশ
সে যে আমার সোনার বাংলা, লাল সবুজের মানচিত্রে আঁকা।
যার রুপকার তুমি যে মহান নেতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চির স্মরণে হৃদয়ে গাঁথা।
আজ তোমার প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি করি নিবেদন।।
তুমি (১৮৭)
মাহবুবা সিদ্দিকা
সিলেট
কোনো একদিন
হয়তো কোনো একবেলা
আমার অনুপস্থিতি তুমি টের পাবে
ভীষনভাবে,বড্ডরকম ভাবে
তুমি ফিরে আসতে চাইবে
আমার ভালোবাসা তোমায় ভীষন টানবে।
সাথে তোমার ভুলগুলোও
আমার কাছে টানবে,
শুধরানোর জন্য।
তুমি ভালোবাসতে চাইবে
যতোটা ভালোবাসা তুমি পেয়েছিলে,
আমার কাছ থেকে।
সেদিন তোমার প্রচন্ড অস্থিরতা অনুভব হবে।
তুমি ছটফট করবে।
তুমি ফিরে আসতে চাইবে।
তুমি কাছে টানবে আমায়।
কিন্তু
সেদিন আমি ফিরবনা।
চাইলে ও ফিরতে পারবোনা।
তখন বড্ড দেরী হয়ে যাবে।
অনেক দেরী।
ইচ্ছে গুলো (১৮৮)
সুশান্ত দত্ত
ভারত
ইচ্ছে গুলো ডানা মেলে
মেনের কাছে আসে
মন যে তাকে ভালবাসে
বলে কাছে এসে।
নীল আকাশের বুকে তুমি
মেলবে কখন ডানা।
মন খুলে যে নিতেও শাস
আজ হয়েছে মানা
আপন মনে হাইতে গান
সুর গেছে সব ভুলে
জীবন খেয়া আছে বাঁধা
সব নদীর কুলে
তুমি
এলে তাই (১৮৯)
আফরোজা চৌধুরী সেতু
চট্টগ্রাম
তুমি এলে তাই,
আকাশটা পড়েছে নীল বেনারশী শাড়ি!
তুমি এলে তাই,
কালো মেঘেরা পাড়ি জমাল বাড়ি।
তোমার সাথে সঙ্গী হয়ে আসলো দারুণ ফাগুন।
কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে লাগলো যেন আগুন!
তুমি এলে তাই,
সোনালী রৌদ্দুরে ভরে গেছে চারিপাশ।
তুমি এলে তাই,
প্রকৃতি দিয়েছে অন্য রকম সাজ!
তুমি এলে বলে,
মনের উঠোনে বৃষ্টি নেমেছে খুব।
তুমি এলে বলে,
বিষর্ণতারা আজ দেখেছো কেমন চুপ?
তুমি এলে তাই,
সব কিছুই লাগছে এতো ভালো!
মনের সকল কালো মুছে গিয়ে
ছড়িয়ে পড়ল আলো!
কোন মন্তব্য নেই