ভুল প্রেমিক (ছোট গল্প) এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ভুল প্রেমিক
এম, আব্দল্লাহ আল মামুন
মেয়ে- কি প্রতিদিন এই রাস্তায় এতো ঘুর ঘুর করো কেন ? বাবা দেখলে তোমাকে কুচি কুচি করে ফেলবে। তুমিতো আমার বাবাকে ভাল ভাবে চিনো।
ছেলে- তাতো চিনি কিন্তু তোমার হাসি না দেখলে যে থাকতে পারি না।
মেয়ে- ও তাই। আমার হাসিতে কি দেখতে পাও ?
ছেলে- সব দেখতে পাই। সারা দুনিয়া আছে তোমার ঐ সুন্দর দুটি চোখের মধ্যে।
মেয়ে- বাজে কথা ছারো। বিয়ে করবে কবে। তোমার ছোট বোনকে তো বিয়ে দিয়ে দিলা। এখন তুমি করছো না কেন ?
ছেলে- ঠিক তোমার মত যেদিন একটা মেয়ে পাবো। সেই দিনই তাকে বিয়ে করে ফেলবো।
মেয়ে- কেন আমার মতো কেন ?
ছেলে- জানি না। কেন জানি তোমাকেই ভাল লাগে।
মেয়ে- কিন্তু আমিতো দুনিয়াতে একটায়। আমার মতো তুমি আর একটা মেয়ে পাবে কোথায় ?
ছেলে- তাহলে বিয়ে করবো না।
মেয়ে- যাই কেউ দেখলে বাবাকে বলে দিবে ।
ছেলে- কাল কি তোমার চোখ দুটি দেখতে পাবো?
মেয়ে- না
ছেলে- কেন?
মেয়ে- কেন আবার আসবো না।
ছেলে- ঠিক আছে আমি এসে সন্ধা পযর্ন্ত দাঁড়িয়ে থাকবো।
মেয়ে- লাভ নেই । আমি আসবো না।
ছেলে- না আসলে তবুও দাড়িয়ে থাকবো।
এই বলে মেয়েটি চলে যায় এবং পিছনে তাকায়।
মেয়েটি চলে যাওয়ার সাথে সাথে ছেলেটির বন্ধুর কাছে ফোন দেয়।
-- দোস্ত প্রেম মনে হয় হবে।
- কিভাবে বুঝলি ?
-- আজ একটু নরম সুরে কথা বলেছে। কাল আসতে বলেছি যদি আসে তাহলে বুঝবো ও আমার প্রেমে পরেছে।
- শোন প্রেম যদি হয়ে যায় তাহলে প্রথম আমার বাসায় দিয়ে আসবি।
-- তাতো আনবই। আমিতো যানি তোর বাসা সারাদিন ফাকা থাকে।
- পারলে কালকেই নিয়ে আসিস । দুজন মিলে আদর যত্ন করবো।
-- ঠিক আছে চেষ্টা করে দেখি, পারি কিনা।
- পারবি পারবি। এটাতো আর নতুন না। তোর তো পুরান অভিজ্ঞতা আছেই।
-- ওকে দোস্ত রাখি কাজ হলে ফোন দিব।
পরের দিন
ছেলেটি ওয়েট করে।
মেয়েটি একটু পরেই চলে আসে।
ছেলে- আমি জানতাম তুমি আসবে।
মেয়ে- কিভাবে জানলে?
ছেলে- ওই যে তোমার চোখ দেখেই আমি সব বুঝতে পারি। গতকাল তুমি যাওয়ার সময় আমি বুঝতে পেরেছি আজ তুমি আসবে।
মেয়ে- চলো আমরা বসে কথা বলি।
বসার পর
ছেলে- তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে। আচ্ছা তুমি কি কখনো পরি দেখেছো ? মেয়ে- না। তোমার কথা শুনে মনে হচ্ছে তুমি দেখেছো ?
ছেলে- হ্যাঁ দেখেছিতো ?
মেয়ে- কোথায় কিভাবে দেখলে ?
ছেলে- এই যে আমার সামনে বসে আছো, তুমি ।
মেয়ে- যাহ কি যে বলো না।
ছেলে- আচ্ছা আমরা দুজনে মোবাইলে একটা ছোট্ট ভিডিও করি ?
মেয়ে- কেন ভিডিও করবে কেন ?
ছেলে- যেদিন আমার পরিকে দেখতে পাবো না। সেদিন বসে বসে মোবাইলে পরি দেখবো।
ভিডিও করার সময় ছেলে- আজকে আমার একটা বিশেষ দিন। অনেক কষ্টের পর আমি আমার পরিকে পেয়েছি। তাই এই ভিডিওটি স্মৃতি স্বরুপ রেখে দিলাম। যেদিন আমার পরিকে দেখতে পাবো না সেদিন এই ভিডিওটি দেখে কাটিয়ে দিবো।
মেয়ে- আচ্ছা আমি যাই অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে।
ছেলে- সত্যি চলে যাবা তাহলে কালকে চলে এসো।
মেয়ে- কেন আসবো ?
ছেলে- একটু ভালবাসা নিবো। প্রতিদিন তোমার ভালবাসা না পেলে আমি দম বন্ধ হয়ে মারা যাবো। আর তোমার সাথে দেখা হলে মনটা আনেন্দে লাফায়। অর্থাৎ তুমিই আমার অক্সিজেন বুচ্ছ।
একটু লজ্জার হাসি দেয় মেয়েটি। দিয়ে চলে যায়। যেতে যেতে মেয়েটি তার বান্ধবিকে ফোন করে।
হ্যালো দোস্ত একটা কথা বলার জন্য ফোন দিয়েছি
- বল কি বলবি
--একটা ছেলেকে আমার ভিষণ পছন্দ হয়েছে। দেখতে ভীষণ সুন্দর। তাই নিজেকে আটকাতে পারলাম না।
- তাই নাকি। তাহলে তো ভাইকে দেখতেই হয়।
-- দেখবি দেখবি । এখন বল ছেলেটি ভাল তা বুঝবো কি করে?
- আমি বুঝবো কি করে ?
-- বুঝবি না। তুইতো আকাশের সাথে ৫ বছর ধরে রিলেসন করেছিস।
- আচ্ছা শোন ছোট্ট করে বলি যে ছেলে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় সে ১০০% ধান্দাবাজ। এরকম কিছু যদি তুই দেখতে পাস তাহলে সংগে সংগে ব্রেক আপ করে চলে আসবি। আর যদি এমন কিছু না দেখিশ, যেমন ধর সে বলল তোমাকে দেখলেই আমার প্রাণটা শান্তি পায় আর কিচ্ছু চাই না। তাহলে বুঝবি তোকে সত্যিকার ভালবাসে। এমন ছেলেকে তুমি কখনো ছাড়বি না।
-- তোকে অনেক ধন্যবাদ। এতো সুন্দর সাজেশান দেওয়ার জন্য। রাখি বাই।
পরের দিন।
ছেলে- আমার মনে হয় আমরা আর কখোনই দুজন দুজনকে ছাড়া থাকতে পারবো না।
মেয়ে- ঠিক বলেছো। বাসায় গেলে মনে হয় কাল হবে কখন ! কাল হবে কখন।
ছেলে- সত্যি বলছো ?
মেয়ে- হ্যা একদম সত্যি বলছি।
ছেলে- আচ্ছা শোন আমরা এমন বাহিরে রদে বসে বসে গল্প না করে। আমার এক ফ্রেন্ডের বাসা আছে, ওখানে এসিও আছে । সারা দিন ওর বাবা মা অফিসের কাজে বাহিরে থাকে। চলো ওখানে গিয়ে গল্প করি।
মেয়েটি একটু চিন্তিত হয়ে- কি বললা ফ্রেন্ডের বাসায় যাবা। কেন এখানেই তো অনেক ভালো সুন্দর বাতাস। মনোরম পরিবেশ।
ছেলে- সবতো আর বাহিরে হয় না । বোঝনা ।
মেয়ে- মানি কি। ছি ছি আমি তোমাকে কি ভেবে ছিলাম আর তুমি কি বললা।
আসলে তুমি আমাকে নিয়ে যা ভাবতেছ আমি সে রকম মেয়ে নই। আর বিয়ের আগে যে ছেলে এমন প্রস্তাব দিতে পারে। আমার মনে হয় আমি সেই ছেলেকে ভালবাসলে ভুল করবো। সরি রাহুল আমাকে ভুলে যাও।
কোন মন্তব্য নেই