রোযা অবস্থা স্বপ্ন’দোষ হলে রোজা হবে কি না। জানুন বিস্তারিত।

চ্যানেল এম নিউজ:- একজন লোক হুজুরকে প্রশ্ন করেছিল গোসল ফরজ হলে কি সেহেরীর আগেই গোসল করে সেহেরি করতে হবে। নাকি সেহেরী করে গোসল করা যাবে ? আবার সেহেরী খেয়ে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পরি সেই ঘুমানোর পর যদি স্বপ্নদোষ হয় তাহলে কি রোযা নষ্ট হয় না মাকরুহ হয়ে ?
হুজুর ওনার প্রশ্নের উত্তরে বললেন আসলে রোযা অবস্থায় সপ্ন’দোষ হওয়ার বেপারটা কেউ কাউকে বলতে চায় না, ভীষণ লজ্জাবোধ করে। সে কারণে তারা নিজেরা যা ডিসিশন নেয় সেটাই করে, কেউ মনে করে আমার রোজা হয় নি, এটা ভেবে খাওয়া দাওয়া করে নেয়। আবার কেউ কেউ রোজা রাখে। এ বিষয়টি জানা কোন প্রকার লজ্জার বিষয় নয়। যারা মনে করেন রোজা নষ্ট হয় তাদের ধারণা ভুল আসলে রোজা কোন প্রকার নষ্ট হয় না। স্বপ্নদোষ হওয়া মাত্রই সে যেন গাসল করে নেয় তাহলেই হবে। সেটা যখনই স্বপ্নদোষ হক না কেন।
এমন কি সেহেরী খাওয়ার পরও যদি স্বপ্নদোষ হয় তবুও রোজার কোন ক্ষতি হয় না। এ বেপারে হাদিস শরিফে আসছে-
“عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِيِّ قَالَ” : “قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ثَلاَثٌ لاَ يُفْطِرْنَ الصَّائِمَ: الحِجَامَةُ، وَالقَيْءُ، وَالاِحْتِلاَمُ”
হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। তিন কারণে রোযা ভঙ্গ হয় না: বমি করা স্বপ্নদোষ হওয়া এবং সিঙ্গা লাগানো । “সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৮০৩৪” মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৫২৮৭,“সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৯৭৮”
এ বেপারে আরও একজন জিজ্ঞেস করেছিলেন সাইখ বিন বাজ (রহ) কে : তিনি বলেন কোন ব্যাক্তি যদি রোজা থাকা অবস্থায় দিনের বেলা স্বপ্ন দোষ হয় বা নিজে অজান্তেই বীর্য বের হয়ে যায় তাহলে কি সেই ব্যাক্ত সেই রোজার কাজা পালন করবে ?
এ কথার উত্তরে তিনি বলেন : তার কাযা রোজা পালন করা কোন জরুরী নয়। বা দরকার নাই। তার কারণ তার এটা ইচ্ছাকৃত হয় নি। তবে সে জরুরী ভিত্তিতে গোসল করে নিবে। কারন গোসলটা তার ফরজ হয়েছে।
তবে সেহেরীর আগে যদি স্বপ্নদোষ হয় আর যদি সময় থাকে তাহলে গোসল করে সেহেরী গ্রহন করবে আর যদি সময় না থাকে তাহলে সে যেন সেহেরী করে গোসল এর কাজ সম্পন্ন করে।
কোন মন্তব্য নেই