Header Ads

মাসিক কবিতাকণ্ঠ, মে-২১, বর্ষ-১৪, সংখ্যা- ৬১

 kobitakontho

পরিচালনা পর্ষদ

সম্পাদক :

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

 

নির্বাহী সম্পাদক:

কবির পথিক

প্রধান শিক্ষক(উপশহর  আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়,বগুড়া)

 

উপদেষ্টা সম্পাদক: 

কাজী হানিফ

(সিনি: ইন্সটাক্টর, টিটিসি)

 

প্রচ্ছদ:

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মে- ২০২১ (বর্ষ- ১৪, সংখ্যা- ৬১)

আর  একজন   নজরুল   চাই

শিক্ষা অশিক্ষা

এবং

সত্য অসত্য

প্রণব চৌধুরী

 

পুঁথিগত শিক্ষাতে পুঁথিতে জমেছে ধূলো,

সামাজিক শিক্ষার সমাজবিজ্ঞান পিঠে বেঁধেছে কুলো

যখন পথিকৃৎ দেখায় দিশা ঘোর অনামিশায়,

তখন সৃষ্টি হবেই ধ্বংস তাতে তার কি এসে যায় ?

বর্ণ পরিচয়ের স্রষ্টা যদি হয় মাতঙ্গীনি,

তবে তো গোমূত্রে মিলবেই সোনা তো জানি

এই ধ্যানে এই জ্ঞানে যদি হয় কান্ডারী,

অকুল পাথারে ডুববেই তরী সে মোরা ভালোভাবে জানি

প্রশ্ন হচ্ছে সেটা নয় জেনেও কেনো করো ভুল,

আগামী তবে থাকবে তো আগামীতে থাকবে তো মাথার চুল ?

সত্য অসত্যের লড়াই সৃষ্টির জন্মলগ্ন থেকে,

অসত্য পড়ে ঝাঁপিয়ে নিজের স্বার্থকে আগলিয়ে রেখে

বিশাল বাহীনি হয় তার শুধু চায় যেন তেন প্রকারেন ক্ষমতা,

বোমা, পিস্তল, গোলা. বারুদ মারদাঙ্গা, লাশ চরুক না পারদের উচ্চতা |

অপরপক্ষে সত্য বেচারী চলে একা একা,

তবুও তার ব্যাপ্তি শিখা যায় নাকো রোখা

পুড়ে ছাই করেই একদিন ধূয়ে মুছে করে দেয় সাফ,

নবারূনের নব কিরণে প্রজ্বলিত করে মঙ্গল দ্বীপ বাজিয়ে মঙ্গল শাঁখ

 

স্বপ্ন অথবা বাস্তব

Adv Prithwish Ganguli

 

ঝাপসা হলেও বেশ স্পষ্ট,

বন্ধ চোখের ওপারে ধোঁয়া ভরা জগতে

বেশ স্পষ্ট তোমার মুখখানি।

নিদ্রাচ্ছন্ন হলেও যথেষ্ট সচেতন ছিল আমার চেতনা

ভুলিনি বাস্তবের শুন্যতা

তোমার শারীরিক অনুপস্থিতি

তা সত্ত্বেও একবার, --

একবার চেয়েছিলুম জড়িয়ে ধরতে

সেই সেদিনের মতন।

গাঢ় হলো ধোঁয়া, মিলিয়ে গেলে।

কোথায়? কোথায় গেলে হঠাৎ করে

কেনই বা গেলে!

তমসাচ্ছন্ন ঘোরের মধ্যে হাঁতড়াচ্ছি এখনো।।

 

ক্ষতর চিহ্ন

ন্যান্সি দেওয়ান

 

আলিঙ্গন করেছে মানুষ অতৃপ্ত আত্মাকে

দেহ হতে খসে পরছে মরা চামড়া

ধর্ষিতা নারীরা পাবে কি ?

তাদের বিচার,

তাদের দেহ হইতে শুধু লাঞ্ছনার

আর এক একটি ক্ষতর চিহ্ন

আর আছে আছড়ে দাগ

অবাধ্য পুরুষেরা,

সমাজে করছে সন্ত্রাস

খাবলে খাচ্ছে পুরোটি শরীরের হাড় মর্যা

লজ্জায় নগ্ন হচ্ছে নারীর ভূষণ

মানুষের আর্তনাত আর কতদিন ?

কতদিন শুনতে হবে

তাদেরই লুকানো আর্তনাত

কেন মাটি ভিজে যাচ্ছে রক্তে

বাড়ে বাড়ে , কেন মাটি কেঁপে উঠেছে ?

ভোরে যাচ্ছে , গুবরে পোকায় ।।

পৃথিবীতে তাহলে কি

ধর্ষিতাদের, জায়গা নেই

জায়গা কি হবে না,

তাহলে কি ফুটবে না বিয়ের ফুল

কেউ কি দেখবে না বাসর তাদের নিয়ে ?

তারও হতে পারে কারো

প্রেমিকা বা অর্ধাঙ্গী

মুখোশের আড়ালে

মানুষরুপি জানোয়ারা

কেবল স্বপ্ন ভঙ্গ করতে জানে

গড়তে জানে না পূত ইতিহাস

রক্ত যেন হিঁম হয়ে গেছে

চামড়া হয়েছে রক্তাত্

স্বপ্ন এখন শুধুই"আলেয়ার আলো"

ধর্ষিতার স্বপ্ন বৃথা হয়ে যাবে

সন্তুষ্ট হওয়া কেবল দূর স্বপ্ন

বুকের মধ্যে ভাঙ্গা চূড়া অবৈধ প্রেমের

ফসল হল, কচি নতুন প্রাণ

লোককে বলে সেটা কেবল

অদৃষ্টের পরিহাস

নিকশিষ্ট জাত - কুলাঙ্গার মাত্র

নিষ্পাপ,কচি প্রাণ

শুধুই মৃত্যুর ছোবলে

নষ্ট হচ্ছে কত শত নবজাতক

তোদের কি দোষ বললো ?

তোমাদের পাপের বোঝা কেন

বহন, করবে ওই নিষ্পাপ প্রাণগুলি

এই প্রশ্ন, আজ আমি রেখে যাই

সেই সব মুলহীন মানুষদের কাছে

দেহ ভোগী মানুষরা শোনে না

নারীর লুকানো আর্তনাত

ক্ষতর চিহ্ন আর কত বয়ে বেড়াবে তারা

এই শতাব্দীর দাঁড় প্রান্তে দাঁড়িয়ে

পৃথিবীর বুকে

 

মুসলমানের লেবেল লাগিয়ে

ফরিদুজ্জামান

 

মুসলমানের লেবেল লাগিয়ে চাপার জোরে চলি,

ঈমান আছে ঈমান আছে মুখেই শুধু বলি।

নামাজ আমার হয়না পড়া দেইনা ভুলেও যাকাত,

সুদ ঘুষ আর জুয়ার নেশায় কাটাই দিনরাত।

বলছি মিছে কথায় কথায় সত্য গেছি ভুলে

রমজান মাস এলে আমার গ্যাসে পেট জ্বলে।

দিনেদুপুরে টানছি বিড়ি মুখে জর্দা পান

তার পরেও বলছি হেসে আমি মুসলমান।

ছেলেটা ঘুরে নেশা করে মেয়েটা গায় গান

বউ আমার পার্লারে যায় করে নিত্য ফ্যশান।

আত্মীয় স্বজন যে যার মতোন করে পাপ কাজ

তবু জানি মুসলমান আমি জানে - সমাজ।

 

 

ঈদ শপিং

মো: আলী আশরাফ মোল্লা

 

আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা ঈদ শপিং যায়

ঈদের জামা গায়ে দিয়ে হসপিটালে যায়

মহামারীর এই সময়ে ঈদ শপিং খুবই মজা

বাইরেতে শার্টার ফেলা ভেতরেতে মানুষের ভীড়।

পাশের দেশ ভারতে মরছে যখন হাজারে হাজারে

লাশ পরে আছে এখানে সেখানে রাস্তা ঘাটে

আমরা তখন শপিংমল থেকে অন্য শপিংমলে যাচ্ছি

নতুন নতুন বাহারী কালেকশন সংগ্রহের খু্ঁজে।

সংক্রামিত বহু মানুষের ভীষণ প্রয়োজন অক্সিজেনের

আর কিছু কিছু মানুষের এখনই দরকার শপিং এর

যতই আসুক লকডাউন, যতই আসুক বাধা বিপত্তি

বিভিন্ন অজুহাতে শপিং বাইরে যেন বের হতেই হবে।

আমার দেশেই এখন প্রতিদিনই মরছে শতে শতে

তদাপিও কোন হুশ ফিরছে না আমাদের মনে

কোন হসপিটালেই নেই আইসিও বেড খালি

তারপরও সচেতন আর সজাগ হচ্ছি না আমি!

মহামারী করোনার দাপটে বহু রাষ্ট্র হয়েছে ধরাশায়ী

তুমি আমি কিসের ভরসায় নিত্যই ঘুরিফিরি

যার যায় সেই বুঝে হারানোর ব্যথা কত যন্ত্রনার

প্রার্থনা করো এক সৃষ্টিকর্তার, অনুগ্রহ চাও তার।

করোনার ভয়াল থাবা গ্রাস করেছে যাকে

সেই কেবল জানে অসহ্য যন্ত্রনা কাকে বলে

পরিবার আত্নীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব সবই আছে

অথচ মিনিমাম চৌদ্দ দিন সংঘনিরোদ থাকতে হবে।

ভাগ্য কেবল সুপ্রসন্ন হলে এরই মধ্যে ভালো হবে

আর না হলে আরও অনেক বেশী সময় অতিবাহিত হবে

হায়াত না থাকলে এরই মধ্যে চলে যেতে হবে সব ছেড়ে

চিরন্তন সত্য সুন্দর অন্ধকার সাড়ে তিন হাত মাটির নীচে।

সময় থাকতে হও হুশিয়ার, হও আরও সচেতন

এবার আর নয় শপিং, আর নয় অপ্রয়োজনে ঘুরাঘুরি

বাড়ি ফিরো, নিজে সুস্থ থেকো, সবাইকে নিরাপদ রেখো

বেচেঁ থাকলে পরের ঈদে না হয় ডাবল শপিং করে নেবো।

 

বিনম্র শ্রদ্ধা

সামিয়া আক্তার

 

জম্ম হয়েছে যখন,

মৃত্যুটা হবে একদিন।

জন্মের বিপরীতে মৃত্যুটা অবধারিত,

সকলের নয়কো অজানা।

সময়ের আগেই যাঁরা গিয়েছেন চলে,

পরপারের মাটির কবরে;

তাঁদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।

মৃত্যুটা দেখিয়ে গেছে,

কে বা আপন কে বা পর।

প্রিয়জনকে একা করে

যাঁরা গিয়েছেন চলে,

তাঁদের প্রতি রইলো বিনম্র সালাম।

খোদা তায়ালার নিকট

করি শুধু এই পরিহাদ,

মরণের পরে পাইগো যেন

হাজারো মুসল্লির জায়নামাজ খানা।

এমন মৃত্যু দিওনা মোদের-

আপন হবে পর,

পর করবে আপন।

এমন মৃত্যু হয়না যেন কারো,

পরের কাঁধে চড়ে যেতে হয়

যেন আঁধারের ঘর।

গিয়েছেন যাঁরা চলে সময়ের আগে

পরপারের আঁধার ঘরে,

তাঁরা যেন পায়গো খোদা

বেহেশতের সম্মানিত স্থানখান।।

 

অপেক্ষা

মুন্সী মো: তোফায়েল আহমেদ

 

অপেক্ষা,

আজ কতদিন ধরে আছি বসে,

করবো ধন্য তোমার আগমনে।

অপেক্ষা,

আজ এতদিন ধরে আছি বসে,

ভেজাবো অঙ্গ তোমার আগমনে।

অপেক্ষা,

আজ ক্ষণেক্ষণে প্রহর গুনে,

করবো শীতল তোমার আগমনে।

অপেক্ষা,

আজ অনিচ্ছায় বসে থাকা,

দোলাবো অঙ্গ তোমার আগমনে।

অপেক্ষা, অপেক্ষা, অপেক্ষা,

ঘটিয়ে দাও অবসান তুমি এসে,

ভেঙ্গে যাক তোমার আগমনের প্রতীক্ষার।।

 

বিরহ বেলা

মোঃ ইব্রাহিম

 

অশুভ এক কাক পাখি

ঘরের কোনায় করে শুধু ডাকাডাকি

যখন তখন কা কা

ভাল লাগেনা একা একা

যতই বলি এখন যা

চাহিয়া দেখি,

কাকের চোখে শোকের ছায়া,

কি যানি কি বলতে গিয়া

ছুটে আসে আমায় একলা পাইয়া,

জলে ভাসা আঁখি তার

একটা কথা বলার আবদার

দেখতে কি পাওনা তুমি?

ছন্নহারায় গুমরে কাদেঁ

আমার এই মাতৃভূমি,

বিশ্ব যে আজ মৃত্যু পুরী

সে ভয়ে কাদঁছে বাংলা মায়ের সোনার তরী,

কখন যে তার ছেলের গায়ে,

লাগে কলঙ্কের ঝুরি

করোনার রক্ত চক্ষোর তীক্ষ্ম তীরে

আজ কত লাশের প্লাবন ধরনীর পাড়ে,

চারিপাশে মানবতার এত চিৎকার

তবে স্তব্দ কেন কলম তুমার ?

তুমার লেখার রঙ তুলে

মানুষকে সাহস যোগাউ প্রাণ খুলে,

গর্জে উঠ,

জাতির এই দুর্যোগ প্রহরে

ভয় পেয়োনা করোনার হুঙ্কারে

চারিপাশে কালো শ্বাষ

বইছে ঝড়ের পূর্বাভাস,

সাবধানে বাঁধ পাল

রক্ষা পাবে জাতির হাল

 

ঝড়ের পাখী

ফিরোজা বেগম

 

ভাসিয়ে দশদিক রমনীর বুকে এল

জলের প্লাবন।

জমিনে বৃষ্টির ক্রমাগত তরল-নাচন

দিক,পাল

সীমানা সব অবিরল জলের ছলছল

দুঃখের হাহাকার তুলে তৃষ্ণার সুরে বাজে

উন্মুখ, বুকের মোড়ক খোলা

রাজভিখারীনি বিষন্ন রমনী।

ক্লান্ত মন

উড়ে চলা তবু

সাজিয়ে বিশ্বাস হাওয়ায় রোদনে।

যেন এক

ডানাঝাপটানো একাকী ঝড়ের পাখী।

 

শিহরণ জেগেছে মনে

মোঃ রায়হান কাজী

 

তোমায় দেখে শিহরণ জেগেছে মনে,

কৌতুকছটা উচ্ছ্বসিত চোখে মুখে।

কোমল চরণ দুখানা পড়েছে ধরনীতে,

অঙ্গের বাঁধনে বাঁধিয়াছি রঙ্গপাশে।

বাহুতে বাহুতে অফুরন্ত ভালোবাসা,

তবে নিশ্চুপ কেন তুমি বসে একা?

আঁখি জোড়া মেলে তাকিয়ে আমার দিকে,

অব্যক্ত কথা কেন জমিয়ে রাখো হৃদয়ে?

দাঁড়িয়ে দেখছি ইচ্ছে হলে তোমায় জনসম্মুখে,

সায় দিচ্ছে প্রকৃতি ভাসছে কথা বাতাসে।

কত কথা বলছি তোমায় আড়াল থেকে?

সবার মাঝে তুমি কী শুনতে পেয়েছিলে আমাকে?

উদাসিনতা মাঝে কাটছে বেলা শব্দভান্ডারে,

অদৃশ্য তুমি কেন রৌদ্রের আলোকছটা ছায়াতে?

হেলিয়া আঁচল পলকে অলক উড়িয়ে,

যেন বাঁধছিলে চুল যতনে সাজিয়ে পুষ্পকাননে।

বসনে শাসনে চয়নে শয়নে সম্পর্কের বাঁধনে,

কেন জানিনা শুধু তোমাকেই চাওয়া?

চলাতে ফিরাতে মুষ্টিবদ্ধ করে আনতে গিয়ে,

মূর্খ আমি বলতে পারিনি কথাগুলো তোমাকে।

বিপুল আঁধারে অসীম নীলের সীমানা ছুঁয়ে,

গগনের গায়ে প্রেমের দৃষ্টান্ত রেখা এঁকে।

মধুর মন্ত্র কেন জানি ভুলছি আমি বারেবার,

কেমন করে করবো প্রকাশ তোমার কাছে?

 

বৈশাখ

বুলবুল হাসান

 

বৈশাখ এলো-

নিয়ে এলো যে এক হাতে শান্তির বার্তা

অন্য হাতে ধ্বংস উল্লাসের জয়-ধ্বনি

ঝড়ো-বৃষ্টির মেঘের ভেলায় সে এলো।

বৈশাখ এলো-

আমাদের পূর্ব পুরুষদের আনন্দ নিয়ে

হাট-বাজারে,গঞ্জে-গঞ্জে বসবে মেলা

সে তাই নাগর দোলায়ও দুলতে এলো।

বৈশাখ এলো-

মহাজনের পুরান খাতার ভাঁজে ভাঁজে

গত সনের লেনদেন সবকিছুই চুকিয়ে

নতুনদের স্বাগতম জানাতে সে এলো।

বৈশাখ এলো-

আগামীর ভাগ্য পরিবর্তনের গল্প বলে

সব দুঃখ,বেদনা,কষ্টদের পিছনে রেখে

সকলের মঙ্গল কামনায় সে যে এলো।

বৈশাখ এলো-

শিল্পীর গানে,রং তুলি কবির মননে

নব্য চেতনার দ্বার খুলে গল্প-কবিতায়

হেঁটে,হেঁটে নেচে,নেচে আজ সে এলো।

 

হারাতে চাও? হারাবে !

মো আব্দুর রহিম

 

তুমি হারাতে চাও!

আগাম বার্তায় কি

আমাকে প্রস্তুত করো সে বেদনা সয়ে নেবার।

কোথায় হারাবে কোন মেঘের আড়ালে।

কালো, সাদা নাকি হলদে মেঘের কোলে?

অন্য কোথাও না খুঁজে

নীলিমার কোল ঘেঁষে আমিও সেখানেই যাবো।

রেখে দিও সংকীর্ণ হলেও একটু আশ্রয়

তোমার মনের গভীরে।

বয়ে যাবে অনন্ত কাল,

নিরন্তর কান্নার রোল থাকবে,

তুমি তো ওসব শুনতে পাবে না।

চোখের কান্না সান্তনার বাণীতেই থেমে যায়,

মনের গহীন থেকে গহীনে

অরণ্যের গভীরতর গভীরে

আন্দোলিত কান্নায় সান্তনার ভাষা নেই।

সকল দরজা রুদ্ধ করে

হারাতে ভুলো না,

রাতের জোৎস্নায় খুঁজবো

সেখানে ঠাঁই নিও,

জোনাকীর আলোর মতো করে

দীপ্তি দিও, আমি সে দীপ্তিতে

আগামীর পথ ধরে হাঁটবো।

আমি তোমাকেই খুঁজবো।

অতীত নির্বাসনে পেয়েছো কি কিছু?

পাওনি কিছুই হারিয়েছো অনেক,

হারিয়েছি পুঞ্জিভুত ভালোবাসার

উত্তাল হাওয়া, গগণভেদী প্রেমালাপ।

হারাতে চাও হারাবে !

আগাম বার্তায় বেদনাহত করে

হৃদয়ে কালি না জমিয়ে

হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ার মতো হারিয়ে যেও।

ভাটার পানির মতো ভেসে নিও

ভালোলাগা, ভালোবাসা, প্রেম কাকলী।

তুমি বয়ে বেড়াতে পারবে তো ?

সুশোভিত কানন ছেড়ে যজ্ঞপুরীতে স্বেচ্ছা

নির্বাসিত জীবনের মর্মর বেদনা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.