Header Ads

মাসিক কবিতাকণ্ঠ, জুন-২১, সংখ্যা ৬২, বর্ষ-১৪

                                  kobitakontho

পরিচালনা পর্ষদ

সম্পাদক :

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

 

নির্বাহী সম্পাদক:

কবির পথিক

প্রধান শিক্ষক(উপশহর  আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়,বগুড়া)

 

উপদেষ্টা সম্পাদক: 

কাজী হানিফ

(সিনি: ইন্সটাক্টর, টিটিসি)

 

প্রচ্ছদ:

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

জুন- ২০২১ (বর্ষ- ১৪, সংখ্যা- ৬২)

আর  একজন   নজরুল   চাই

বিউটি অব ল্যান্ডপোর্ট

আমিনুল ইসলাম

 

সোনাহাট স্থলবন্দেরেতে টাকা অনেক,

তার চেয়ে বেশি ধুলো,

করি না এখন ধানের আবাদ -

হারিয়ে গেছে কুলো।

হয় না এখন পড়াশোনা

ছাত্ররা সব লেবার,

ট্রাক ভরা পাথর বিক্রি করে

কেক বিস্কিটই মেন খাবার।

লুঙ্গি ছেড়ে জিন্স উঠছে পরনে

ভাত ছেড়ে সব চায়ের কাপে,

চুমুক ফুকায় টাকার কারণে।

শিক্ষিতের মান আজ মিটারে মাপা,

কে বেশি টাকা কামায়,

ডিগ্রি এখন ভাঙা কুলো-

শুধু ময়লা ছাই নামায়।

 

সোনাহাট স্থলবন্দর, কুড়িগ্রাম।

 

মাজলুমদের গল্প

রাজীব আহমাদ

 

আমরা মুসলিম সেজন্য কি এই ধরণীর বুকে আমরা লান্চিত..??

কিন্ত আল্লাহ্ বলছেন সূরা ইব্রাহীম আয়াত: ৪২

কখনও মনে করনা যে যালিমরা যা করছে সে ব্যাপারে আল্লাহ্ উদাসীন,

তিনি তাদের কে সে দিন পর্যন্ত অবকাশ দিয়েছেন মাত্র।

হয়তো ভাবছেন কেন তবে হয়নি অনেক রোহিঙ্গাদের দাফন,

সিরিয়ার বিল্ডিংয়ের নিচে চাপা পরে আছে কত শত

কঙ্কাল হয়নি তাদেও দাফন,

কত কাশ্মীরি জেলে মরে পঁচে আছে হয়নি ফেরা বাড়ি,

আজও ফিলিস্তিনিরা পৃথিবীতে শান্তির আবাস্থল পায়নি খুঁজে,

ইরাকের সেই মানুষ গুলো মৃত্যুর সময় পায়নি খুঁজে তাদের আপনজনদের,

দ্বিখণ্ডিত হয়েছে কত সুদানের মানুষ ছুরির আঘাতে

পেট পুরে পায়নি খেতে কত ইয়েমেনী

খোরাসানের মাটিতে বারেবার হয়েছে যুদ্ধ

হয়েছে বন্দি কত শত আফগানি,

উইঘুরের মুসলিমরা আজও এই ধরণিতে থেকেও

মনে হয় অন্য গ্রহে আছে,

আবুগারিব কারাগারে কত যন্ত্রণা তা শুধু নির্যাতিতরায় বুঝে,

এত কিছু দেখার পরেও আমি করিনি প্রতিবাদ

থেকেছি নিঃশ্চুপ,

এখনও আমি ভালো আছি তবুও বলিনি

আলহামদুলিল্লাহ্ করিনি দো' সেই অসহায় মুসলিম ভাই বোনদের ত্বরে।

 

বন্ধু হও

ন্যান্সি দেওয়ান

 

বন্ধু হারা বন্ধু হও।

হয়েও না দুর্বল, হয়োনা পথভ্রষ্ট।

এবং দিশেহারা,

হাও জীবনসঙ্গী

আলো জ্বালো তারি বুকে।

বন্ধু হাও মায়াবতী,

ছেড়ো না কোন বন্ধুর হাত,

ছেড়ে দাও লোভ এবং পাপ

বন্ধুরা সবই পারে,

হাতে রেখে হাত, বন্ধু তুমি হও স্মৃতি

এক বন্ধু ,অন্য বন্ধুর মুখের হাসি

 

আকাশের ঐ নীল পাড়ে

মোঃ ইব্রাহিম

 

সবুজ শ্যামল মাঠের কোণে

শীতল হাওয়ার মাদুর ঘাসে,

দিয়েছিলে কথা হেসে হেসে

সারা জীবন থাকবে আমার পাশে

স্বাক্ষী ছিল তরুলতা

গাছে বসা ময়না তোতা,

ভূলবেনা আমার কথা

তবে কেন দিলে এত ব্যাথা ??

ছোট বেলা খেলার ছলে

বউ খেলা খেলে,

ভাবের পালকির ঘোমটা কনে

সেজেছিলে আপন মনে,

থাকবে তুমি আমার সনে

বধূ হয়ে ঘরের কোণে

বৃষ্টি ভেজা বিকাল বেলা

তুমি আমি একলা,

শালুক তোলার দীঘির জলে

শাড়ির আচল ঘোমটা খোলে

জড়িয়ে ধরতে আমার গলে,

বলতে তুমি কানে কানে

ভূলবেনা মোরে কোন কালে

 

বাবার রাজকন্যা

সামিয়া আক্তার

 

বাবার বাড়ির রাজকন্যা আমি,

শ্বশুর বাড়ির ঝি।

বাবা আমার ভাবলো বুঝি,

শ্বশুর বাড়ি গিয়ে মেয়ে আমার;

থাকবে হয়ে চোখের মণি।

করবে তাঁকে আদর শ্বশুর শ্বাশুড়ি ,

স্বামী ভাসবে ভালো।

বাবার স্বপ্নগুলো মিছে আজ,

রাজকন্যা হয়েছে শ্বশুর বাড়ির ঝি।

বাবা আজ কষ্টে বড়,

যায়না আর

শ্বশুর বাড়িতে মেয়ের।

চোখের অশ্রু গড়িয়ে পড়ে,

বাবার বুকফাটা শত কষ্টে।

বাবা ভাবে

জীবন যদি হয়গো এমন,

দিওনা আর মেয়ে।

জীবন গেলো মেয়ের আমার,

মানুষ নামের পশুর সাথে হয়ে বিয়ে।

শ্বশুর আছে শ্বাশুড়ি আছে

ননদ আছে দেবর আছে,

পায়না কাউকে পাশে মেয়ে আমার

তাঁর বুকফাটা শত কষ্টে।

সকাল শুরু কাজে কাজে

রাত গড়িয়ে যায়,

দিন যে কাটে মেয়ের আমার;

সংসার নামক জেলখানায়।।

 

কলুষিত নফছ।

ফরিদুজ্জামান।

 

নফছ আমার কলুষিত আজ

পরাজিত ধরাতলে,

বুক পাঁজরের বাঁপাশটা ঠিক

হিংসার দখলে।

লোভ লালসায় বিবেক নষ্ট

আত্মতৃপ্তি নাই,

স্বপ্নের বাস উঁচু তলায় তাই

আরো পেতে চাই।

অপরের সুখে ঝলসে দুচোখ

হৃদয়ে লাগে ব্যথা,

হারিয়ে ফেলেছি মনুষ্যত্ব আজ

হারিয়েছি মানবতা।

বিস্তৃত আজি স্বার্থের অনল

হৃদয় পুড়ে ছাই,

মিথ্যের বুলি উড়িয়ে চলি

জবানের ঠিক নাই।

হিংস্র পশুর মতোই করি

হিংস্র মনোভাব,

অর্থ স্বার্থে ভুলেছি সততা

ভুলে গেছি যেন সব।

ভুলে গেছি যতো প্রেমপ্রীতি

শিখেছি অভিনয়,

আজ স্বার্থ খুঁজি স্বার্থ বুঝি

অন্য কিছু নয়।

নষ্ট আমার হৃদয় দুয়ার

হয়েছি ভাইরাল,

আমায় দেখে কষ্টরা কাঁদে

ভালো দেয় গালাগাল।

নফছ আমার কলুষিত আজি

বিলাস বহুল জীবন,

ক্ষান্ত হবে সব খেলা ভবে

আসিবে যেদিন মরণ।

 

আম গাছ

বুলবুল হাসান

 

 

প্রচণ্ড রোদ্রের অসহনীয় তাপদাহে

আমার বাড়ির আঙিনায় প্রিয় আম গাছটির নীচে

সারাটি দুপুর কাটালাম আজ-

নীরবে-নিশ্চুপে কখনো আবার হাসি-আনন্দে।

তার শরীরে ঝোঁপা ঝোঁপা আম,চিরল পাতা

অনেকগুলি ডাল-পালা চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে

বোবা মুখে সে কিছুই বলতে পারে না

তবু,কি যেন বার বার বলতে চেয়েছিল আমায়।

চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে কতো কিছু ভাবলাম

জীবনের প্রয়োজনে বৃক্ষ অভাবনীয় এক নিয়ামক

সে শুধু ফুল আর ফল দিয়েই ক্ষান্ত থাকে না

সময়ে-অসময়ে নিজের ছায়াও পরকে বিলায়।

গাছটির কাছ দিয়ে হেঁটে গেল কতো পথিক

অনেক পথচারি কিছুক্ষণ বসে গেল আমার পাশে

কথায় কথায় সবাই তার ভূয়সী প্রশংসা করলো

আমি ভাবলাম,তার নিঃস্বার্থ ছায়া দানের কথা!

 

ইসরাইল ব্যতিত

মো আব্দুর রহিম

 

ওরা মানুষ না!

ওরা মানুষ হয় কি করে

ওরা মানুষ হলেই তো ওদের জন্য মানবতা কাঁদতো।

ওদের ভিটে মাটি থাকতে নেই,

থাকা উচিৎ নয় পৈতৃক বলে কোনো কিছু,

ওদের ভিটে মাটি কেড়ে নিয়ে ইসরাইলকে দাও, হে অ্যামেরিকা!

ওদেরকে মারতে, পুড়তে, খুবলে খেতে

ইসলাইলকে আরো অস্ত্র দাও,

বোমা দাও, পারলে আজরাইল এনে ইসলাইলকে দাও।

সে যেনো ইসরাইলের কথায় ওঠা বসা করে

যেমন টা করছে মধ্য প্রাচ্যের কিছু রাষ্ট্র প্রধান।

তুমি তদবির করো হে অ্যামেরিকা!

যেনো বাংলাদেশসহ গোটা পৃথিবীর মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানরা

স্বীকৃতি দেয় মধ্য প্রাচ্যেরবিষফোঁড়াইসলাইলকে।

আর পাসপোর্ট থেকে মুছে ফেলেইসরাইল ব্যতিতশব্দ দুটি।

ফিলিস্তিনিদের রক্ততো মানুষের রক্ত নয়

ওগুলো আটলান্টিকের পানি,

নীল নদের পানি,

যার ওপর দিয়ে চলে ইসরাইলের বোমা ট্যাংকসহ

আরও সব মারণাস্ত্র¿

পূর্ব তিমুর নিয়ে তোমার মাথা ব্যাথা তো থাকবেই হে অ্যামেরিকা!

তোমার মাথা ব্যাথা মানায় না চেচনিয়া, কাশ্মিরসহ

আরও মুসলিম প্রধান প্রদেশগুলোর স্বাধীনতাকামীদের নিয়ে।

ওদের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রপাগান্ডা চালাও বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে।

মুসলিমদের জন্য মানবতার প্রয়োজন নেই

যারা মানুষ নয় তাদের জন্য কিসের মানবতা তাই না ?

ওরা তো নিজেই নিজের ইতিহান ভুলে থাকা জাতি

ওরা তো নিজেই অন্যের পায়ে সেলাম ঠুকতে ব্যস্ত।

না ওদের জন্য কোনো করুণার প্রয়োজন নেই,

ওরা যেদিন মাথা উচুঁ করার সিদ্ধান্ত নেবে

সেদিনই মাথা কাটবার ব্যবস্থাটুক করতে দেরী করো না।

হে অ্যামেরিকা!

ওদের বিভক্তি আর বিভাজনে তো তোমারই সুবিধা।

ওরা কোথাও দেশের সীমানা নিয়ে,

কোথাও ভাষার চাটুয্যে,

কখনও বা ধার করা পঁচা আদর্শে নিজেদের বিলিয়ে দিতে ব্যস্ত।

না ওদের জন্য কোনো মানবতা নেই,

মুক্তির যে পথ ওদের মুক্ত করবে

সে পথ থেকে নিজেই মুক্ত,

থাক ওরা সেখানেই।

 

কি এমন যুক্তি

বাবুল আখতার

 

চাল চোর,তেল চোরের নেই কোনো প্রতিরোধ,

প্রতিবাদী বিবেকটাই আজ যেনো অবরোধ!

চামচ কান্ড,পর্দা কান্ড আরো কান্ড বালিশ,

এসব নিয়ে আদালতে হয়না তেমন সালিশ।

পাপিয়াদের নিয়ে চলে হরেক রকম খেলা,

সব শাহেদের নাম লিখলে চলে যাবে বেলা।

হাজার রকম অপরাধে ভরেছে গোটা দেশ,

সোনার বাংলা নিত্য এরা করে যাচ্ছে শেষ।

এদের বিচার হয়না কেনো? কি এমন যুক্তি?

সব দোষ করেছে কি মাওলানা আর মুফতি?

আমরা সব মানুষই ভুল করি,ভুলে মানুষ ভরা,

তবে বিচার শুধু হচ্ছে কেনো ভিন্ন মতের যারা?

অপরাধী যেই হোক বিচারের আওতায় আনো,

নিরাপরাধ মানুষ গুলো জেল থেকে সব ছাড়ো।।

 

শ্বাস প্রশ্বাস

কায়সার ওমি

 

আমার প্রতিটি শ্বাসপ্রশ্বাস জানে

তুমি মানে সকল চাওয়ার মানে

আমি তেমন করে তোমায় চাই

যেমন করে বৃষ্টি নামে গবীর প্রার্থনায়

আমি তেমন করে তোমায় চাই

যেমন করে দুজন দুজনাতে মিশে যাই

আমি তেমন করে তোমায় চাই

যেমন করে আমৃত্যুতে না হারাই!

 

এখনও বেঁচে আছি সেটাই আশ্চর্য

লপ্রণব চৌধুরী

 

হ্যাঁ,

প্রকৃতির প্রখর প্রকটে পৃথিবী যখন প্রায় পরিসমাপ্তির পথে,

পথিকৃৎগনরাও দর্শায় পথের দিশা পরতে পরতে কেমনে উঠবে পারদ চরম পর্যায়ে

রণাঙ্গনের রোষানলে রমণ রমণীরা রসাতলে,

রক্তে রাঙা রাজপথে উঠে রব,

করুণ আর্তনাদে,

রাজন্যবর্গের রথে তুবও রথীদের নেই কোনো রশীর টান

মির্জাফর শুধু মিথ্যে কথা বলে মিলিয়ে মিশিয়ে দেয়নি মলয়ে বিষ,

ময়না যে আর মনের কথা মন খুলে বলতে পারে না,

ময়নামতি মনের মন মন্দিরে আজ পালন করে মৌনব্রত,

মানুষ মানবের মন নামক বস্তুটি মাঠে ময়দানের মায়াকান্নায় মরে গেছে

কোষাগারের কোষ থেকে কাড়ি কাড়ি কড়ি খয়রাতি হয়েছে এই কঠিন সময়ে ক্লাবের কসরত যাতে কমতি না হয়

কিন্তু এই কঠিনের কামড়ে কারও কায়া করে না কর্ণপাত কোথাও !

অথচ আমরা যাঁরা আদুল গায়ে অযুতে অর্থব,

আসীন মোরা মোদের আসনে,

আসনকে আলোকিত করবার অভিপ্রায়ে নিজের জীবন বাজী ধরে অকুতভয়ে নির্দেশানুসারে কর্ম অনুসরন করি এই দ্রব্য মুল্যের বাজারে,

আবাহোমান কাল থেকে,

কতপান তারা জানেন ?

পাঁচ থেকে সাত হাজার !

আর আর্মত্যদের অসুবিধা যাতে না হয় তাই তারা পান লাখে অযুতে কোটিতে,

আমাদের অবোল সন্তানদের বোল যাতে না ধরে,

আবোল তাবোলে অবেলায় অস্ত যায়,

অশনিসংকেত কি অঙ্গুলি সেই দিকে নির্দেশ করে না ?

বৃদ্ধ বাবা বসুধাকে যেনো বকলমে বৃদ্ধাশ্রমে বাধ্য করি বাস করতে,

বদ্ধভূমিতে বাসনার বধ তো বদ্ধপরিকর,

তবে তারা কেন তাতিতে তাতায় তরণী এই ঘোর তমসাতে বলতে পারবে তুমি ?

নররা নরমে নতুনের নতুনত্ব এই নভে না হয় আনিল এইরূপ নরকযন্ত্রনা !

কেমনে কিভাবে কখন কোথায় উত্তর দেবে তুমি ?

তাই তো-

আমরা তাই আজও এই আবোহতে অস্তিত অমলিন রেখেছি,

এটা কি আশ্চর্য নয় কি ?

 

মায়ের অকৃতজ্ঞ সন্তান

মুন্সী মোঃ তোফায়েল আহমেদ

 

পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ মা

পৃথিবীর সর্বশেষ আশ্রয় মানবের মাঝে মা।

মা- ছোটবেলায় আমার সামান্য ক্রধণে

সমস্ত জগৎ করেছিল অস্থির।

অনেকেরই মাঝে সকলকে দিয়েছিল

সমান সবকিছুই।

আজ আমরা হয়েছি বড়

আর মা হয়েছে বয়স্ক বলেই,

আসবাবপত্রের মত আমরাও করি ভাগ মাকে,

অসুখেতে নেয় না কোনো খোঁজ।

সেই মা- ভিক্ষা করে দেখো রাস্তার পাশে,

কাজ করে খায় অন্যের জমিতে,

ময়লা আবর্জনা খায় তুলে,

ঝিয়ের কাজ করে অন্যের বাড়িতে।

আমরা মায়ের কত অকৃতজ্ঞ সন্তান!

আমরা মায়ের কত বোধহীন সন্তান!

আসুন মাকে করি যত্ন নিজের সেই ছোটবেলারও মতন।

এমনও করিলে হবে নাকো মায়ের

এক ফোঁটা দুধেরও ঋণেরও শোধ।

আমরা কত মায়ের অকৃতজ্ঞ সন্তান!

 

রৌদ্রছায়া মুখখানা তার

মোঃ রায়হান কাজী

 

রৌদ্রছায়া মুখখানা তার হাসির রেখায় ভরা,

স্নেহ মায়ায় আবদ্ধ তার অতিমধূর ধারা।

কাজল কালো আঁখি জোড়া তোমার

দুই গালে আর ঠোঁটে পরম মোহনাতে।

উঠলো জেগে হৃদয় মাঝে অন্তরালে,

যেন বুকের মাঝে ঢেউ খেলিয়ে ওঠে।

পরিপুষ্ট অঙ্গখানা তার হরিণীর রক্তিম আভা,

ভুরুর খাঁজে রেখেছি উল্কা আঁকা ফোঁটা।

তোমার কাছে আছে যে এক নিত্যসহচর,

হেলার কালে দেখে রাখি রাত্রি দুপুর ভর।

সঙ্গে রাখা যাবেনা তো জমলো কত কথা?

তুমি কী আর রাখবে খেয়াল আমার বেলা?

জানোই তো এই অসময়ে তোমায় দেখা ভাঁড়,

গুনছি প্রহর একাকী কখন তোমার দেখা পাই?

শুনতেছিলাম তোমার কথা বসে রাস্তার মোড়ে,

আবেগপ্রবণ হচ্ছি দেখ তোমার মিষ্টি কথা শুনে।

নিত্যনূতন সাঁজের বেলা দীর্ঘশ্বাস ফেলে,

কৌতুকময়ী তুমি বিচরণ করো আমার দেহ জুড়ে।

অন্তরজামী হয়ে কথা বলতে গেলে তোমার কাছে,

সবকথায় নিচ্ছ কেড়ে খেয়ালির বাঁশির সুরে।

লোক সম্মুখে বহির্মুখে ভাসছে কথা হাওয়ার তালে,

লিখছি আমি প্রেমকাব্যে মৃয়মান তোমায় ভেবে।

হে মায়ামুরতি বলেছো কী বাণী কাব্যিক ভাষায়,

ডুবিয়ে আমায় নব কৌশলে বিস্ময়ের পাতায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.