কবিতার মানববন্ধন (কবির পথিক)
কবিতার মানববন্ধন
কবির পথিক
১ম প্রকাশ : ২১ শে বই মেলা ২০১০
স্বত্ব : লেখক
প্রকাশনা
সেবা প্রকল্প : এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
সম্পাদক- কবিতাকণ্ঠ (একটি সাহিত্য
সেবা মূলক পত্রিকা, শুধুমাত্র কবিতার)
প্রচ্ছদ ঃ খায়রুল আনাম
---------------------------------------------------------------------------
১ স্নিগ্ধা
আ/ এ, নিশিন্দারা, উপশহর, বগুড়া - ৫৮০০ থেকে
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
কর্তৃক প্রকাশিত,
দ্রুতি প্রিন্টিং প্রেস,
বাদুরতলা থেকে মুদ্রিত ,
বর্ণ
বিন্যাস ও জান্নাতুল ফেরদাউস বেবী
মূল্য ঃ ৬০ টাকা মাত্র
price : 60 taka
only
KOBITAR MANABBONDHAN
by KABIR PATHIK publishiead
by KOBITAKONTHO
Bogra.
ISBN- 978 984 33 1144 3
উৎসর্গ
কবিতাকণ্ঠ ও জনাব এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন কে
লেখালেখির জগতে যাদের জন্য আর একবার
ভীরু পায়ে পথ চলা।
কিছু
কথা
ডিজিটাল আর স্যাটালাইটের এই বিপ্লবের যুগে মানুষ কৃত্রিমতাকে বড় বেশী
ভালবাসে। গাটের পয়সা খরচ করে আজকাল কেউ আর যাই করুক কবিতার বই বা কবিতার
পত্রিকা কেনার মত ভুল করে না। অনেকের আবার অভিযােগ কবিতার চেয়ে কবির
সংখ্যায় বেশী, পড়ার মত মান সম্পন্ন কবিতা কোথায় ? এসব বিষয় মাথায়
নিয়েই কবিতার বই ছাপানাের মত অদৃশ্য ঝুঁকি নিয়েই ফেললাম। আমার একটি
কবিতাও বা কোন একটি কবিতার লাইন পাঠকের শুপ্ত আবেগের ডালপালাকে নাড়া দেয়
তবে স্বার্থক জন্ম হবে আমার।
অনেক চেষ্টার পরেও বর্ণ, শব্দের ত্রুটি
বিচ্যুতি আমার পিছু ছাড়ে নি। ঐ অনিচ্ছাকৃত অপরাধ টুকু আশা করছি সবাই ক্ষমা
করবেন। যে কোন ধরণের সমালােচনা, পরামর্শের ঢাবুকে আমার লেখার হাত আরাে
ক্ষতবিক্ষত হােক সেই পথ চেয়ে রইলাম।
চারদিকে শুর হােক কবিতা বিপ্লব।
কবিতায় হােক সমাজ বিপ্লব। বিশ্ব সয়লাব হােক মানবতা মানবতায় এবং সকলের
মাঝে জাগ্রত হােক মানবতা। ধন্যবাদ পুনশ্চ:
কবির পথিক
দেওয়ান
কবির হাসান। কবিতা মহলে কবির পথিক নামেই পরিচিত তিনি। করতােয়ার সুবিল
বিধৌত বৃন্দাবন পাড়ার গরীব কেরানী ঘরে যে দিন এসেছিলেন সে দিন ৩১ শে
ডিসেম্বর ১৯৭০। নেহায়ৎই খেলার ছলে বন্ধু বান্ধবদের সাথে ঠাট্টা করতে করতে
কবিতায় হাতে খড়ি সেই ১৯৮৯ সালে । তারপর থেকে গুড়িগুড়ি পায়ে পথচলা।
একজন অন্তর্মুখী ও প্রচার বিমুখ স্বভাবের কবি কবির পথিক। শুরু থেকে আজ
পর্যন্ত ৭/৮ টি উপন্যাস, ২০/২৫ খানা ছােট গল্প আর প্রায় ৫০০ কবিতা লেখকের
পাণ্ডুলিপি বাক্সে জমা আছে, যার কিছু কিছু লেখা প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি
কবিতাকণ্ঠ’২০০৯ সালের শ্রেষ্ঠ কবি হওয়ায় অসংখ্য পাঠক পাঠিকার অনুরােধে
কবিতাকণ্ঠের সার্বিক সহযােগীতায় তাঁর কবিতার ভাণ্ডার থেকে কিছু কবিতা
নিয়ে এই ‘কবিতার মানববন্ধন' বইটি প্রকাশ করা হলাে। আশা করি প্রতিটি কবিতা
আপনাদের মনের গভীরে দাগ কাটবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি
বিভাগে অনার্স সহ মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি বগুড়া নুনগােলা
ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক হিসেবে নিয়ােজিত আছেন। তাঁর একমাত্র মেয়ে সন্তানকে
নিয়ে তিনি সুখেই আছেন। তিনি সবার কাছে দোয়া প্রার্থী। আমরা সকলেই তাঁর
জন্য দোয়া করবাে। অনেক শুভেচ্ছা রইল তাঁর জন্য ।
কবিতাকণ্ঠ
কবিতার মানববন্ধন
একদিন
ঘুম থেকে উঠে
আমার চক্ষুতাে চড়ক গাছ !
সাত সকালে হকার দিয়ে গেল দু টি
কবিতা,
মােড়ে গিয়ে হাঁক দিল
‘পত্রিকা বিক্রি বন্ধ আজ থেকে।
কাজের মেয়েটা
চা- এর বদলে এনেছে দু' টি কবিতা
এখন থেকে না-কি কবিতাই সকালের নাস্তা।
বাথরুমের ব্রাস, টুথপেস্ট, সেভিং ক্রীম
কবিতা হাতে দিয়ে বললো- গুড মর্নিং ।
নাস্তার টেবিলে সবাই কবিতা পড়ে
তৃপ্তির ঢেকুর তুলে চলে গেল,
যানবাহনের
ভাড়া দিতে গেলেই
সবাই হা করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল-
‘দু’টি কবিতা
দেন সাব’
ক্লাশে পড়া না পারলে
বেত্রাঘাত বা নিলডাউনের বদলে করতে হয় কবিতা
আবৃত্তি
আইন, বিচার, সংবিধান তুলে দিয়ে
সকল অপরাধীর শাস্তি এখন শুধুই
কবিতা আবৃত্তি
সে দিনতাে এক আশ্চর্য ঘটনা।
সকল মিডিয়ার শিরােনাম
ক্লিনটন,
বুশ, ওবামা, নেতানেহাযু, লাদেন
সবাই নাকি যুদ্ধ ভুলে শুধু কবিতা পড়ছে।
ইসরাইল সমস্ত অস্ত্র নিষিদ্ধ করে
শুধুই করছে কবিতার আমদানী ।
কাশ্মির,
পাঞ্জাব, আফগানিস্তান
এমন কি অতি সম্প্রতি বিডিআর বিদ্রোহ
সৰ শান্ত এখন,
তাদের নাকি দাবি একটাই
‘ন্যায্য মূল্যে কবিতা চাই’- ভাবুন অবস্থাটা !
আচ্ছা
পৃথিবী কি এমন হবে না কোন দিন ?
খুন,
হত্যা, ছিনতাই, ঘুষ, দুর্নীতি, মাদকাসক্তি
সব বন্ধ হবে কবিতার বিনিময়ে,
আয়েশা, জুলেখার মুখে
এসিডের বদলে কবিতা ছুঁড়বে সবাই।
সারাদেশ-
কবিতার
মিছিলে মিছিলে সয়লাব হবে
কবিতা গুলাে একটার পর একটা দাড়িয়ে
সারা বিশ্বে
রচিত হবে-
কবিতার মানববন্ধন।
বিপরীত ধর্মী
পৃথিবীর
সবাই ভালবাসা চায়
এমন কি পৃথিবীর একমাত্র যান্ত্রিক
এই আমিও।
নিঝুম রাতে
একলা একান্তে
জোনাকীর পিঠে চড়ে
তােমার গালে এঁকে দেই জোস্না
অথচ তােমাতে
শুধু মেহেদী পাতা সৃষ্টি
উপরে সবুজ তার
ভেতরটা লাল রক্তিমতা।
পানি চক্র
বােঝ
অথচ তার বিপরীত ধর্মে প্রবাহী হও।
আজকের কবিতা
আমার
অণ্ডেকোষ ছিড়ে ফেলাে তােমরা।
আমার ভােকাল কর্ডটা ছিড়ে নিয়ে
তােমাদের
কোমরের বেল্ট বানিও,
আমার চোখ দু'টো উপড়ে ফেলে
বানিও - তােমাদের হাতের
অদৃশ্য আংটি।
আমার যে হাত কবিতা লেখে সে হাত কেটে নিয়ে
তােমাদের মাথার
কাটা বানাও অথবা ব্রার হুক।
তােমাদের ঋতুস্রাব-
আমাকে রােগীর পথ্য হিসেবে
দিও
অথবা, এর চেয়েও বড়, কঠিন, নিকৃষ্ট ঘৃণ্য
হৃদয় বিদারক অথবা জঘন্য তম
শাস্তি আমায় দিও
তবুও এ দেশটাকে নিয়ে
আমার এ অভাগা মাকে নিয়ে
এ সব খেলা
বন্ধ কর তােমরা।
এ দেশকে একটু ছাড় দাও, একটু ভালবাস, একটু !
৭১'এর সমস্ত
মা বােনের ইজ্জতের দোহাই তােমাদের।
জ্বীনত্তত্ব
পৃথিবী
একটা আশ্চর্য কম্পিউটার
অপারেটর গুলো সব দাঁতাল এ্যামিবা
এখানে-
জঠোর
জ্বালার কাতরতা না ফুরাতেই
বজ্ৰমুঠে জোর কদম
আর কুকুরের বুক পকেটে
পাঁচ
তারার বাৎসরিক গেটপাস।
ডাস্টবিনে হয় অবাক খাদ্য বিপুৰ
চিরনি অভিযানে অন্ন
খোঁজ মানব ভ্রুণ ।
দু'টো রুটি আর বুকের দুধের মূল্য দিতে
আলাে-আঁধারের
খেলায় বিষাক্ত সাপের ছােবল।
বেজন্মা বেওয়ারিশ লাশের ভয়ে
বিভিষীকাময়
প্রতিটি পদ
৫ বছরের টুনিও আজ পূর্ণাঙ্গ '৭১।
হায়রে অভাগা জন্ম !
ছােট
পলিথিনে আজ নগ্ন বিধাতা
আর-
পশুতে- মানুষে শংকর জ্বীন।
কাঠফাটা জমিনে নৌকাবাইচ
শূন্য-পূর্ণ ডাষ্টবিনে সয়লাব স্বদেশ
মনের
মধ্যে
অনুক্ষণ কণ্ডুলী পাকায় মানবতার “আইলা”
বার বার বুড়াে আঙ্গুল
দেখায়।
একাত্তরের শকুনেরা,
তাকে অনবরত স্যালুট করে “বিভ্রান্ত রােবট”
দেশ
প্রেমের পারদ আজ হিমাঙ্কের নীচে।
মুরগা কাব্যে সয়ব সংসদ, সচিবালয়
চোখে
আঙ্গুল দেয় পতাকার ঘুণ পােকা।
কর্নিয়া, ভােকাল কর্ড আর
নাড়ি ছিড়ে
বেঁধেছি হৃদয়।
গুলশান, বারিধারা আর বনানীতে
ভগবানের সূদৃশ্য এপার্টমেন্ট।
বুলডােজার থেতলে দেয়-
না খেয়ে থাকা স্লামডগ মিলেনিয়ামের ভ্রণ।
মঙ্গল গ্রহে
কোমরে আঁচল গােজে “দু’জন”
বিবেকের পােষ্টমাের্টেম করি অন্ধ হয়ে
আত্মর
কাঠগড়ায় বিচিত্র জবাবদিহিতা
কাঠফাটা জমিনে হয় নৌকা বাইচ
অথচ “শুন্য”
“পূর্ণ” ডাষ্টবিনে সয়লাব স্বদেশ।
নীল তিমির ক্ষুধামন্দা
ভুখা নাঙ্গা বাংলাদেশ
হাওয়াদের
যারা “বনফুল”
নিয়ে যাই তাদের সাহেবী বাংলােয় মধ্যরাতে।
অবাক বিনিময়
প্রথায়
অনবরত গিলে গ্যালন গ্যালন এইচ.আই.ভি।
শতশত ঋণের বােঝা মাথায় নিয়ে
আকবরিয়া গুলাের সামনে-
মধ্যরাতে ভুখা নাঙ্গা বাংলাদেশের লাইন,
অবাক
স্নিগ্ধতায় প্রতিটি বনলতা সেনের
জলজোস্নার জলকেলি।
অজির্ণ তার ক্ষুধা
মন্দায় বুঝি
শীতন্দ্রিায় সর্বগ্রাসী নীল তিমি
সমাজ পতির লেবাসে সব
নিওনার্দো-দা-ভিঞ্চি।
ল্যাম্প পােস্টের আবছা আলােয়
মােনালীসার’ কানে
ফিসফিসানি
তাই- প্যান্টের চেইন খুলে নিজের মুখেই করি পেচ্ছাব ।
তবু আশায়
থাকি-
আশায় বুক বাধি
কবে আসবে সেই কাবুলিওয়ালা
বিকাবে
এ্যালমেক্স-মটিগার্ড- জিংক
আত্মজো হবে মনুষত্ব-বিবেক-মানবতা।
চাই
চিৎকার
চাই
তীব্র ঝাঁঝালাে চিকার ।
ক্রন্দন চাই
যে ক্রন্দনে অশ্রু ঝরে না এক
বিন্দু।
সংগ্রাম চাই
জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত,
জীবন চলার প্রতিটি পদক্ষেপে ।
বিপ্লব চাই একটি চূড়ান্ত বিপ্লব,
যে বিপ্লবে ধ্বংস হবে সমাজের চোরা কাটা।
অস্ত্রের ঝনঝনানি ঢাই
যাতে মৃত্যু হবে শকুনদের।
ছিটকে যাবে হায়নাদের লাশ
টা ।
একটা ঝড় চাই
চাই টর্নেডাে, জলােচ্ছাস, সুনামি
দেশটা হােক সাটুরিয়া,
উড়িচর
সাফ হয়ে যাক-ক্লান্তি, হতাশ 'আর যন্ত্রণা।
খুন চাই
প্রকাশ্যে দিবা
লােকে খুন, যাদের খুন
করলে বিচার হয়। তাদের খুন চাই।
দীর্ঘ নিঃশ্বাস চাই
শান্ত, নির্মল যে নিঃশ্বাস
দেহ হয়ে যায় সাইবেরীয়া।
প্রেম চাই
একটি
শান্ত, প্রশান্ত প্রেম
যাতে মৃত্যু হবে হিরােইন আর ড্রাগসের,
যুবকেরা হবে
না হতাশাগ্রস্ত
একটা মুষ্টিতে আনবে সমাজের আমুল পরিবর্তন
হাসি চাই, - যে
হাসিতে
জগৎ ভােলে, সমুলে বিনষ্ট হয় এইচ আই ভি’
ঐ গােমরা মুখটা হয়ে যায়
একটা সাবোভৌম মানচিত্র।
স্নেহ চাই, চাই ভালবাসা
যা বন্ধ করবে ড্যাডি,
পাপ্পার মত উগ্রট ডাক
বন্ধ করবে স্ট্যাটাসের নামে ক্লাব বা পার্টি '
যে
স্নেহ ফিরে আনবে
পাগল করার মত ডাক - 'মা' কিংবা মারে ।
জীবন চাই, একটা
পরিপূর্ণ জীবন
একটা পরিপূর্ণ মানুষ, যে মানুষ- ঠেলবে পৃথিবীকে,
ঐ দিকে, যে
দিকে স্বর্গের দুয়ার খােলা।
এই রােদ এই বৃষ্টি
আমাদের
জীবন
আমাদের প্রেম, ভালবাসা, স্নেহ
কখনাে জলবায়ু, কখনাে মহামন্দা
কখনাে
বা অন্য কোন ইস্যুর মত।
আসলে এই পৃথিবীর সব
কেমন যেন এলাে মেলাে, ভাসা,
আসা।
জীবন যেন খেক শিয়ালের বিয়ে
এই রােদ-এই বৃষ্টি
কখনাে বা রােদেলা
বৃষ্টি।
এই দেশে, এই বেশে
কেউ
কথা রাখে না।
কেউ কথা রাখে নি।
স্বাধীনতা আর আমি দাড়িয়ে এক বৃন্তে।
একদিন বন্ধুর প্রশ্ন-
‘তােরও এই অবস্থা!
তাের না কাড়ি কাড়ি সার্টিফিকেট
পাহাড় সম মনুষত্ব
আমি শুধু আড়ালে গিয়ে বলি-
‘একটা বিড়ি আছে? দে না দোস,
এ বুকে বড় জ্বালা।
পথে শিক্ষককে সালাম দিতে ধরা পরি-
তােমার এই অধঃপতন,
তােমার না চোখে আগুন ছিল,
বুক পকেটে খাতা ছিল,
তুমি না কবিতা লিখতে!
আমি
ফিস ফিস করে বলি-
সার্টিফিকেট নিবেন স্যার- বিক্রি করবাে।'
এখন নিজের উপর
নিজেরই ঘেন্না হয়
নিজের বুকেই বসাই বর্শা
এ দেশটাকে, এ সংসদকে বলি
কেউতাে
কথা রাখলাে না মাগাে,
কেউ কি কথা রাখবে না!
তখন কেউ কথা বলে না।
শুধু একটা
ভিখারী এস বলে
একটা ভিক্ষা দ্যান গাে সাব।'
আমি ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকি
আমি নাকি সাব? আমি হাসি
আড়ালে গিয়ে বলি-
একটা ভাঙ্গা থালা দেবে!
কেউ কথা
রাখে না
কেউ কথা রাখে নি।
স্বাধীনতা আর আমি দাঁড়িয়ে এক বৃন্তে।
দীর্ঘ নিঃশ্বাস
একটু
আগেই বিদ্যুৎ চলে গেল।
বাবার পায়চারী বেড়ে গেল কয়েকগুণ
মায়ের ঘরের
দরজা বন্ধ
ক্ষণপর ভেসে এলাে শিশু কান্না।
মানুষ সুখেও কাঁদে, দুঃখেও কাঁদে
কিন্তু কান্না দেখে কেউ আনন্দ পায়
এই প্রথম জানলাম।
তারপর সংগ্রাম,
হৃদয়ের জীবন বীমায় বাঘের অন্ন গ্রাস
হৃদরক্ত দিয়ে কয়েক লক্ষ আলপনা,
শিশুটি একদিন অষ্টাদশী চাঁদ।
তারপর একটা হেঁচকা টানে
বাবার চোখ উপড়ে
নিখোঁজ মেয়েটি।
তসবিহ ছেড়ে বাবা মূর্তি
আর্তনাদ ছেড়ে মা বােবা।
শুধু কথা
বলে উঠলাে
টেবিলে রাখা কাগজের বংশধর,
তাতে লেখা-
‘বাবা,
আমি বড় হয়েছি।
করেছি বিয়ে
নিজের ভালাে যথেষ্ট বুঝি
দোয়া করাে হই সুখি।
তারপর !
তারপর আর
কি
বাবার নাকের সুড়ঙ্গ দিয়ে কাল বৈশাখী
ব্যাস। এ পর্যন্তই।
পূণর্বাসন
সবাই
হৈ চৈ-এ মশগুল
আমি শুধু পূণর্বাসনের কথা ভাবছি।
ক'দিন আগে
হৈ চৈ করে
গণতন্ত্র এলাে
আমি প্রস্তুতি নিলাম হারাবার,
আরাে কঠিন স্বৈরাচার সহ্যের।
সেদিন ছেলেটাকে ভার্সিটিতে ভর্তি করালাম
পূণর্বাসন করতে বানালাম কফিন
আর
বাঁশতলায় কবরের প্রস্তুতি।
মেয়েটাকে স্কুলে দিলাম
হাসপাতালে তাই সিট
বুকিং
ছেলেটা হবে লাশ
মেয়েটা ধর্ষিতা কিম্বা এসিডদগ্ধা
পূর্ণবাসন তাে করতে
হবে !
সেদিন মেয়ের বিয়ে দিলাম
কিনলাম দড়ি ক’গাছা, করবে আত্মহত্যা
নিদেন
পক্ষে বিয়ে অন্যত্র,
ওতাে যৌতুকের বলি হবেই
এখন শুধু আমারই পূণর্বাসন
বাঁকি,
আমার এ হাত দু'টোকে
বানাতে চাই শাঁড়াশি
যাতে একবার গলা টিপে ধরলে
রক্ষে নেই কোন হারামজাদার।
উপলব্ধি শুধু
বুকসেলফে
সাজানাে মানচিত্রে
লেগেছে কয়েক লক্ষ উই পােকা
ইদুর দিচ্ছে পাহারা।
ইদুর
গুলাে পালালাে সব
উইকে দিলাম থেতলে
কাঠের ফ্রেমে বাঁধলাম মানচিত্র।
উইগুলাে
প্রতিশােধ নিলাে এবার
কাঠের ফ্রেমে ধরলাে ঘুন
তেলেপােকা দিচ্ছে পাহারা
ঘুনপােকা দেখতে পেলাম না এবার
তেলেপােকা গুলাে গেল উড়ে।
রােদে পােড়া
হরিণীর মতাে
লােলুপ জিভ চেটে পুটে খাচ্ছে স্বদেশ
আমরা যেন বুড়াে অশ্বত্থ
মাটির ভেতর চলে গেছে লতা-ডাল-শেকড়।
বিদায়
সাগর
সেঁচে মুক্তা এনে দিলাম।
১০১ টা নীল পদ্ম বলছাে কি
২৯২০ টা বিরল প্রজাতীর
নীল পদ্ম দিলাম তােমায়,
প্রাণান্ত টানে তুমি এলে,
জীবন রাঙ্গালে দুর্বোদ্ধ
আলপনায়।
কি যে হলাে প্রিয়া !
ব্যথার বীণ আর
পুড়ে খাক হওয়া সলতে
আমার
হাতে দিয়ে বললে-বিদায়।
আমি শুধু আকাশ পানে চাই-বুঝি না কিছু।
দুর্বোধ্য সমীকরণ
গ্রহ
হলেই পৃথিবী হয় না
জল থাকলেই কি নদী,
ফুল হলেই গন্ধ থাকে না
আসে নাকো সব
অলী।
ভালবাসা থাকলেই ভালবাসা যায় না
মানুষ হলেই কি ‘মানুষ’
চাঁদেরও
অমাবশ্যা হয়
পুরুষ হলেই কি ‘পুরুষ’ ?
আর নারী !
নারী হলেই কি ‘নারী হওয়া
যায়
পথে তাদের চোরা কাটা,
এক পা এগিয়ে দু’পা পিছিয়ে
করতে হয় চলা হাটা।
ভাষার জন্ম
জারী
হলাে ১৪৪, মিছিল, মিটিং বন্ধ
এক সংগে সারা দেশ বললাে- না - না'।
এগিয়ে
চললাে মিছিল
এগিয়ে এলাে কালাে কালাে নল
বেরিয়ে এলাে গুলি
ছিদ্র হলাে
রক্তের থলে,
এ জমিন হলাে খাতা
ঐ রক্তই হলাে কালি
একে বেঁকে চললাে রক্ত
লেখা
হলাে অ-আ-ক-খ।
ভাষার অমৃত পান করলাে তারা
শহীদেরা পেল শান্তির ঘুম।
তাদের
আর কেউ ডাকে না
ওদের চোখে ঘুম, শুধুই ঘুম।
ওরা ভাষাকে জন্ম দিল ।
ভাষা ওদের
কে অমরত্ব দিল।
সভ্যতার এ প্রান্তে-
এ এক অনন্য আদান প্রদান।
ভেবে নিব
যদি
না ফোটে কোন গােলাপ
পাতা বাহারে রং না থাকে
রজনীগন্ধাটাও থাকে মুখ থুবড়ে,
তবে ভেবে নিব-
তুমি আজ গােমরা ছিলে
হাতটাও বুলাও নি কোন গাছে।
যদি চাদ না
দেয় আলাে।
জোনাকির আলাে যায় নিভে
সূর্যটাও ঢাকা পড়ে মেঘে,
ভেবে নিব-
তুমি আজ হাস নি
মনের প্রদীপটাও গেছে নিভে।
যদি প্রজাপতি হারায় ডানা
ভ্রমর
না ধরে গান
কোকিলের কণ্ঠ যায় শুকে একেবারে
তবে ভাববাে-
তুমি আজ কবিতা পড়
নি
নিজের অজান্তে ধর নি কোন গান।
যদি পৃথিবী হয় মাের দুঃখময়
জীবন লাগে
দুর্বিসহ
যদি মৃত্যু জানায় স্বাগত
তবে ভেবে নিব-
তুমি আমায় ভালবাস নি
আপন
কর নি
যুগ যুগান্তরের জন্য।
ভালবাসার জন্ম।
সহস্র
দিন প্রতিক্ষায়
একটি একটি স্মৃতি,
একটি একটি স্মৃতি হতে
একে গেছি স্বপ্ন।
একটা একটা স্বপ্ন মিলে
জীবন বাঁচতে শিখেছে,
বাঁচার জন্য স্মৃতি মন্থনে।
ফিরে গেছি ছােটতে ।
ছােট বেলায় ফিরে গিয়ে
পেলাম একটি ছবি,
ছবিতে পেলাম
প্রাণ।
ফিরে এলাে অনুভূতি।
অনুভূতি নিয়ে খেলতে খেলতে
জন্ম নিল শূন্যতার
শূন্যতা পূরণ করতে
পেয়ে গেলাম হৃদয়।
হৃদয় দিয়ে হৃদয় নিয়ে
শুরু হলাে
লুকোচুরি,
লুকোচুরি খেলতে গিয়ে
হারিয়ে গেল মন।
সে মনকে খুঁজতে গিয়ে
পেয়ে গেলাম আশা,
আশা থেকে জন্ম নিল
তােমার জন্য ভালবাসা।
দেবে
এই
মেয়ে-
তােমার চোখ দুটো আমায় দেবে !
কিংবা হাসিটা
আমি হারিয়ে যাবাে আর
খুঁজবাে
নিজের স্বত্বাকে।
এই'মেয়ে-
তােমার দুঃখ গুলাে আমায় দেবে !
আমি
হবাে নিঃস্ফূপ, কঠোর
তােমার বিরহে টলবাে না এক বিন্দু।
এই মেয়ে-
তােমার
একাকিত্ব আমায় দেবে !
কিংবা কান্না,
আমি ঘুচিয়ে দেব তােমার একাকিত্ব
কান্নার অশ্রু করে দেব সুখস্বর্ণ বিন্দু।
এই মেয়ে-
তুমি আমার হবে !
আমি
হারিয়ে যাব তােমার মাঝে
আমার নিজেকে বিলিয়ে দেব তােমার জীবনে।
কি দেবে না
!
আমি কি থাকবাে একাকী একাকী
সেই শুরু থেকে আজ অবধী।
এই মেয়ে-
একটা ফুল
দাও না , ছাই !
কত যে কথা
এ
প্রকৃতি এই ধরণী
লাগে বড় ভালাে
সরষে ক্ষেতের হলদে ফুল
বলছে সাথে চলে ।
সকাল-সাঁঝে নিত্য সময়
নদী ডেকে কয়
এসাে না ভাই খেলা করি
কিসের এতাে ভয় ?
ভাের বেলাতে উঠি যখন
বলে শালিক ডেকে,
এসাে বন্ধু তােমার চোখে
রংধনু দেই
এঁকে।
তােমার মায়ের করছাে ভয়।
দাওনা তাকে চিঠি
তােমার মা দেখবে তখন
হাসবে
মিটিমিটি।
সকাল বেলার হিমেল হাওয়া।
দিচ্ছে নিমন্ত্রণ
আমার সাথে যাবে
চলাে।
ঐ সে দূরের বন।
এমনি করেই লেখে ফেলি।
একটি কবিতা ছােট
বাবুই পাখি
বললাে তখন
হয়েছে কবি ওঠো।
আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি
আমি
স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
দেশের যে মানচিত্র
তার কোণায় কুটুশ কুটুশ করছে।
অগনিত দাঁতাল ইদুর।
আর জাতীয় পতাকা !
উই দিয়ে ভরে গেছে সব
মাঝে মধ্যে
এরােসল।
কিন্তু পরক্ষণেই জন্ম নিচ্ছে কয়েক লক্ষ উঁই।
আমি স্পষ্ট দেখতে
পাচ্ছি-
সংসদ ভবনের নিচে
তৈরী হয়েছে গভীর সুড়ঙ্গ
যা দিয়ে প্রবেশ করছে।
গ্যালন গ্যালন লবনাক্ত পানি
সাথে কিছু রাক্ষুসে হাঙ্গর।
রমনার বটগাছটায়
এখন
একলক্ষ শকুনের বাস
যাদের হিংস্র নখের আঁচড়ে
প্রতি সেকেন্ডে রক্তাক্ত
হচ্ছে।
শাপলা আর দোয়েল।
আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি,
সংসদে বসে আছে কিছু
শার্দুল
পাকস্থলী যাদের
সম্প্রদায়ীকতা হজম করছে সব সময়।
আমরা যেন
অথর্ব-নপুংশক
তাই মরণই ভালাে আমাদের
কি দরকার আছে।
লজ্জার এ জীবন বয়ে
বেড়াবাড়।
যুবকের হলাে না কিছুই
সবার
এত কিছু হয়, এত কিছু হলাে
যুবকের হলাে না কিছুই।
ওর লাশটা পর্যন্ত ছুঁলাে
না কেউ।
এতটুকু বয়সে যুবক মাতৃহারা।
বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীর আঁচল ধরতে
গিয়ে।
রক্তে ক্ষত-বিক্ষত হাত
যুবকের আর মা পাওয়া হলাে না - সে যে সৎ মা ।
বগলের তলায় বই গুজে
বুক চিড়ে, রক্ত বেঁচে
যুবকের কোর্ট ফাইল
সার্টিফিকেটে সয়লাব,
কিন্তু যুবকের চাকরি হলাে না।
নেহায়েৎ টাকা আর মামা
চাচা নেই বলে ।
কে একজন আশ্বাস দিয়েছিল
কিন্তু তার সময় হলাে না
ক্লাব,
রঙ্গিন পানি আর বুকের সাথে
টসটসে রমণীর জন্য ।
যুবকের দক্ষিণা জানালায়
একদা ভ্রমর এসেছিল
ভ্রমর গান গাইতাে, ফুল ফোটাতাে
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলার
একটা সাথি পেল সে
কিন্তু নেহায়ৎ
পকেটের স্বাস্থ্য খারাপ বলে
ভ্রমরটা দিয়ে
গেল নির্বাসন।
যুবকের তল পেট যখন শিরশির করে
অগ্যতা নিজেকে আবিস্কার করে
বেশ্যার নরম বিছানায়
সস্তায় কেনে নেশা
এক সময় ধর্ষণ করে বসে কিশােরীকে
সমাজের বাবুরা তাই
যুবককে বানিয়ে দেয় ক্লাব
অবশেষে যুবক আত্মহত্যা করে
বসে।
কিন্তু ওর লাশটা
শৃগাল নিয়ে গেল
মৃত্যুর ঠিক চারদিন পর।
সবার এতাে
কিছু হয়
এতকিছু হলাে
যুবকের হলাে না কিছুই
ওর লাশটা পর্যন্ত ছু'লাে না
কেউ।
এ্যামিবা তুমি
ঐ
সূর্যকে দ্যাখাে
আলাের নির্যাস নিংড়ে দিয়েও
স্বাধ মেটে না তার
তবু
দিয়েই চলছে প্রতিদিন সব সময়।
আর সাগর !
সে তাে উদভ্রান্ত এক প্রেমিক
প্রতিনিয়ত আত্মায় টানে নদীকে।
আমিও তাে সূর্য, সাগর
তুমি কেন এ্যামিবা ।
আমি নিস্তব্ধ একেবারে
ভার্সিটির
হল ঘরে আর
কবিতার ঝড় তুলি না আমি
বিতর্কে হয় না চোখাচোখি
মিছিল করে
গলাটা বসে গেলে
কেউ আর বলে না চা খেতে।
পত্রিকার প্রথম পাতায়
আর
সম্পাদকীয় লেখি না আমি
ফোন বন্ধ করে না কেউ
অভিমান করে,
তাই আমি নিস্তব্ধ
একেবারে ।
ক্লাসে দাঁড়িয়ে স্যারের কথা ধরে না কেউ
গাছ তলায় আঙ্গুল তুলে
বলি না গরম কথা
হাতে আসে না কলম লেখি না কবিতা
কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বিলাই
না পত্রিকা
সব কিছু যে মরা নিভে গেছে একেবারে
তাই আমি নিস্তব্ধ একেবারে।
আর
অপেক্ষা করি না কারাে জন্য
বাদামের খােসা ছিটায় না কেউ,
চায়ের টেবিলে
ঝড় উঠে না আর
সিগ্রেট খেতে কেউ নিষেধ না করে,
তাই আমি নিস্তব্ধ একেবারে ।
ভার্সিটি বন্ধ হলে-
আর কেউ কাঁদে না হাত ধরে
কবিতার প্রশংসা করে না কেউ
বলে
না- লেখ কেমন করে?'
তাই আমি নিস্তব্ধ একেবারে ।
আমার জীবন আর শূন্য
শূন্য
আর জীবন
একে অপরের সাথে মিশে আছে একাকারে
আমি তাই-
বড় শান্ত, নিপ,
নিস্তব্ধ একবারে ।
মাভৈ
চেঙ্গিশ,
হালুকা, হিটলার আর বুশের
অস্থি-মজ্জা চেটে পুটে
আজো আস্ফালন দেখায়
পৃথিবীর জারজ সন্তান
মানব অস্তিত্ব কে নিয়ে খেলে এক্কা দোক্কা
এক
গুয়েমিতায় সে এক বখে যাওয়া আজাজিল
আর ওবামারা,
মিথ্যে আস্ফালনে
সুড়সুড়ি দেয়।
তাতে হাস, আশায় বুক বাঁধে
৬০০ কোটি মানব জিবাশ্ম। আর
জঘন্য সংঘের হৃষ্ট পুষ্ট সংবিধানে
কুটুস কুটুস দাঁত বসায় পাঁচটি দাঁতাল
প্রেতাত্মা ।
ইথিওপিয়া, নিকারাগুয়া, আফগানিস্তান
ক্রমে ক্রমে গ্রাস করে
সৌরজগৎ
তবু বিধাতার নাকে খাঁটি সরিষার তেল।
শুধু ক্ষণে ক্ষণে, কালে কালে
ধাবমান হয় গীতাঞ্জলী, সঞ্চয়িতা প্যারাডাইস লস্ট
হুংকার দিয়ে বলে ‘মাভৈ’
স্বার্গের সিঁড়ি রচিব আমরাই
জীবন্ত হবে সব
শুপ্ত, ঘুমন্ত ও মৃত ‘বিভ্রন্ত
রােবট।
নেই
আমাদের
কিছু নেই
না কি সব আছে
না কি সব থেকেও আমাদের নেই।
আমাদের জীবন নেই
আমাদের
মনুষ্যত্ব বিকৃত
আমাদের জন্ম নেই
জন্মটাই আমাদের মৃত্যু।
আমাদের হাসি নেই
কান্নাই আমাদের সাথি।
আমাদের বাবা-মা আছে।
আমরা এতিম সর্বহারা
আমাদের যৌবন
আছে।
ড্রাগসে পরি মারা।
আমাদের স্নেহ নেই, আদরের বকুনি নেই
আমাদের বুয়া
আছে।
তবে আমাদের বাবা-মা নেই।
আমাদের দেশ আছে সে দেশের মানচিত্র নেই
আমাদের
বাগান আছে ফুল ও ভ্রমর নেই।
আমরা ফুল তুলতে যাই- সাপ ছােবল মারে
আমরা
বাঁচতে চাই - চলে যাই মৃত্যু কারাগারে।
আমরা মাকে চাই- ক্লাব পার্টি এসে
পড়ে
আমরা বাবাকে চইে- কিন্তু কাউকে পাই না ঘরে।
আমরা বাঁচতে চাই- আমাদের
সে অধিকার নেই
আমরা দাড়াতে চাই- মেরুদণ্ড সােজা নেই।
আমরা ভিক্ষা চাই-
ভাঙ্গা থালা নেই
আমরা কাজ চাই- কোন ভ্যাকান্সি নেই।
আমরা ঢাকুরি চাই- কোন
মামা চাচা নেই
আমরা ঘুষ দিতে চাই- সে অর্থও নেই।
সত্যই কি আমাদের কিছু নেই
না কি সব থেকেউ নেই।
কে দেৰে এর জৰাৰ
না কি উত্তর দাতাও নেই।
তবে কি আমরাও নেই !
আমরা সবাই কি তবে মৃত্যু পথযাত্রী।
অবিসংবাদী
গন্ধক
ফল খেয়ে নিলে,
বেহেস্ত থেকে আদম বহিস্কার।
সেই যে জিতেই চলেছে
রােম গেল,
ট্রয় গেল, গেল ভেনিস।
এত যে নহর বৃষ্টি
তােমাদের বুঝি হারতে নেই !
জীবন্ত ফসিল
বিধাতাও
আজ অবগুণ্ঠিত করে।
একদিন যাদের নিয়ে
করেছিল সর্বশ্রেষ্ঠ অহংকার
তারাই আজ
ভুলুণ্ঠিত করে
সৃষ্টি কর্তার উর্ধব শীর।
আমরা তাে মানুষ নই
জীবন্ত ফসিল সব,
ক্লাব, পার্টি, স্ট্যাটাস আর
মানবিক অবক্ষয়ে
সন্তানেরা আজ আশ্চর্য
হ্যামিলিনের ইঁদুর।
পশুতে মানুষে আজ একাকার
কোথাও কোথাও পশুর নিচে মানুষের
বাস
আমরা সব নপুংশক অথবা ক্লীব ।
ঝুলিতে বাংলাদেশ
কাঁধে
একটা ব্যাগ
হাতে একটা কলম
মাথার চুল উস্কো খুস্কো
ভ্রুক্ষেপ নেই কে কেমন ?
উদাস চোখ, হঠাৎ থমকে দাড়ায়
এদিক সেদিক তাকায় উদভ্রান্তের মত।
ব্যাগ
থেকে বের করে মানচিত্র
আবার রেখে দেয়
হঠাৎ ধরে গান কিংবা কবিতা।
আবার
ব্যাগে হাত দেয়
এবার বেরােয় সাহিত্য, বিলিয়ে দেয়।
বাহবা পায়, ধন্যবাদ
পায়
প্রশংসায় ভরে যায় শূন্য ব্যাগ
কিন্তু পেটের শুন্যতা ভরে না।
আবার
ব্যাগে হাত দেয়- শুন্য ব্যাগ
পকেটে হাত দেয়- শুন্য পকেট
আবার ব্যাগে হাত
দেয়।
এবার পেয়ে যায় ভাঙ্গা খুলি, উলঙ্গ শিশু, লাশ
আর একটা ভাঙ্গা থালা।
তারপর !
তারপর চলে যায় আপন মনে।
শুধু দূর থেকে দেখা যায়।
কে যেন যায়-
কাঁধে ঝােলানাে ব্যাগ।
লকলে জিভচাটে
আরেক সৌরজগৎ
ওদের
চোখের মধ্যে
অনুক্ষণ কুণ্ডুলী পাকায় সাদ্দাত আর ফেরাউন।
নােবেল পুরস্কার
ইউনেস্কো, জুলিও কুরি
এগুলাে এখন নিভৃত অবরােধ কৌশল
জাতীসংঘ,
জি-সেভেন,জি-টুয়েন্টি
নিউটন, গ্যালিলিওর আধুনিক স্বংস্করণ
ওপেক, আইডিবি,
ওআইসি বজুর্গ মুরিদ
নানা আবিস্কারন্তে আজ ‘জলবায়ু জিলাপি।
লাঞ্চে
আমন্ত্রিত তৃতীয় বিশ্ব, চতুর্থবিশ্ব, পঞ্চম বিশ্ব
মুকাভিনয়ে তারা গলধরণ
করে জিলেপি, ডিশ, কাটাচামচ
উদারাময়ে ভােগে মন্দা, বন্ধ, শিল্পধস
প্রেসক্রিপশ, ঔষধ দেয় আইএমএফ,
বিশ্ব ব্যাংক বিশ্ব বানিজ্য কেন্দ্র, লাদেন,
এখন চীন দিকে হাটে।
গণতন্ত্রের ধূয়া তুলে-
চেটে পুটে খায় নতুন নতুন
ইরাক, আফগান, ফিলিস্তিন
বিশ্ব বেহায়া কাছে এলেই সব
এক চোখা দৈত্য রূপকথার ।
নিজে নিজে হতে চায় আল্লাহ, ভগবান, ঈশ্বর
মানবতার পাঁজর ভাঙ্গে ঋণের
বুলডােজার।
আর সব ঝুট, মিথ্যে, মেকি অভিনয়
শুধু লকলকে জিভচাটে ‘আরেক
সৌরজগৎ।
কাল আসুন
অবসরে
গিয়ে আমি যেই পেলাম পেনশন
অফিস আর বাড়ি করে যায় যে দিন এখন।
প্রতিদিন
ধন্না দিয়ে কাটে মাের অফিসে
হয় না কাজ বসে বসে ভাবি বড় নিঃশ্বাসে।
কেরানীকে বেশী বললে গরম করে চোখটা
বলে ব্যস্ত আছি বড় কাল করব সবটা।
কথা
শুনে হাসি মুখে ফিরে যাই বাড়িতে
চকচকে হাসি নিয়ে হাত নাড়ি দাড়িতে।
পরদিন গিয়ে দেখি নতুন সব ভেল্কি
সব্বায় বলে শুধু কাল আসলে ক্ষতি কি ?
হাত
জোড় করি তবু ভরে নাতাে মন টা
ভাবে নাতাে আর কত খালি রবে পেট টা ।
বাড়িতে
সবাই শুধু বসে থাকে পথ চেয়ে
আমি একা কাঁদি শুধু পেনশন না পেয়ে।
পরদিন
আবার দেখি ফাইল টা বন্দি
এক্ষুণি হবে কাজ টাকায় করলে সন্ধি।
প্রতি টেবিল
আসবে ঘুরে রাজি হলে সন্ধিতে
নইলে বন্ধো ফাইল কুচক্রের ফন্দিতে।
সেই থেকে আর
আমার আসে নাকো কালকে
বুড়াে হয়ে বি শুধু ধরবে এ হাল কে।
মৃত্যুই বুঝি এসে
গেল পেলাম নাতাে পেনশন
তুব তারা বলেই গেল-“আজ নয় কাল আসুন।
কোনদিন
এই
বাংলার শ্যামলিমা, মাট ঘাট প্রান্তর
প্রশান্ত কাজল দিঘী ছুঁয়েছ কি কোন
দিন ?
বাঁশঝাড়, মেঠোপথ, বিস্তির্ণ ধানক্ষেত
জান কি তুমি এদের কাছে আছে কত
ঋণ।
সকালের কাশফুল, দূর্বাঘাস
উলঙ্গ শিশুর বুকের হাড়
রােদে পােড়া একটি
পিঠ ছুঁয়েছ কি কোন দিন ?
রাখালের বাঁশি, কলতান, কাকলি
ভ্রমরের গান শুন ঝড়
তাণ্ডবে
কোনদিন কি বাজিয়েছ তােমার মনবীণ ?
বাংলার মাটি গাছ পালা
ঘাস,
বাতাস, ডােবা নালা।
পথের ধুলাে, শুভ্র মেঘ ছুঁয়েছ কি কোন দিন ?
তুমি-
প্রাণের সব রক্ত দিয়ে
ভালবাসা, স্নেহ, আদর দিয়ে
এই মাটিতে মাথা বুকে
জীবনটাকেও বিলিয়ে দিয়ে
আমার প্রাণের সােনার বাংলার
শেধাতে পারবে কি ঋণ ?
গ্রীন সিগনাল
আচ্ছা
বলােত-
চোখের কোণে চিক চিক করে যে হাসি
অনেক্ষণ ঠোটের কোণে থাকে যা
আবার
চোখ, ঠোট, ফঁকি দিয়ে
মনের নিভৃতে হাসে সে হাসি
তাকে কি বলা যায় ?
তুমি
বললে- ‘কাছে ডাকা’
আমি বললে- ‘উ, হুঁ
তুমি বললে- তবে ওটা কি?
আমি বললাম- তুমি
পাগল একটা,
ভালবাসা না হলে কেউ কি
ইশারায় কাছে ডাকে।
তুমি বললে- ‘তবে ওটা
কি ভালবাসা?
আমি বললাম- ‘উ, হুঁ
ওটা ভালবাসার গ্রীন সিগন্যাল।
জীবন আমার কাছে।
জীবন
আমার কাছেও
একটা অনন্ত জীজ্ঞাসা
একবুক জ্বালা, একাকিত্ব
এবং মাদক দ্রব্যের
স্বাগত গ্রহণ করা।
জীবন আমার কাছে অনিশ্চয়তায় ভরা
সমুদ্র সন্ত্রাস, ঘনঘন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
পড়ার টেবিলে ভ্যাট সিক্সটি নাইন
মিছিল, মিটিং,
হামলা
এবং ছাত্র রাজনীতির নামে সব চক্রান্ত।
জীবন আমার কাছে।
একটা জলসা
খানা।
অনন্ত যৌন ক্ষুধা
সব কিছু ফেলে একটা বেশ্যার নিকট গমন।
জীবন আমার
কাছে।
চাকুরি আর একটা স্ত্রী
আর জীবন আমার কাছে স্রেফ মৃত্
যু আমাদের
জন্মটাই যে মৃত্যু।
মানচিত্র
চারিদিকে
অরাজকতা, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়ীকতা,
তখন সংগ্রাম চাই।
প্রসব বেদনা হতে
মৃত্যু পর্যন্ত।
আমাদের ভালবাসায় আজ
নৃশংসতা জেগে উঠুক
সকলের গােমরা মুখটা
হয়ে যাক-
সার্বভৌম মানচিত্র।
বঞ্চিত
শত
আঘাত আর ধাক্কায়
আমাদের মেরুদণ্ড সােজা হয় না
চিৎকার করতে চাইলেও মুখ
নড়ে
কিন্তু কথা বের হয় না।
রাতে ফুটপাতে শুয়ে
নিজের অধিকার ঘােষণা করি।
গভীর রাতে তলপেট যখন শির শির করে
শাশ্বত প্রেমে কাউকে পেতে চাই কাছে
তখন
চৈতন্য হয়।
স্মরণ হয়।
আমাদের সে অধিকারও নেই
আমরা দরিদ্র । আমরা বঞ্চিত ।
একদিন
একদিন-
মুছৰে সবি, জমবে ধূলাে
খাতাটাও যাবে ছিড়ে
একদিন-
কোথায়ে আমি হারিয়ে
যাবাে
শত শূণ্যতার ভিড়ে।
একদিন-
ধূলাের রেখায় লেখা কবিতা
মুছে যাবে
একেবারে
একদিন-
চুপটি করে দেবে সব ডুব
নিরাশার আঁধারে।
একদিন-
কবিতা গুলাে
মুছবে সৰি
ধূলাের রেখার মত,
একদিন-
পরে রবে খাতা ধূলাে পরে সব
ঢেকে যাবে
স্মৃতি যত।
একদিন-
জন্ম মৃত্যু হবে শূণ্য
পড়ে রবে শুধু খাতা
একদিন-
জীবনের
হাতে হাত মিলিয়ে
শুরু হৰে নৰ পাতা।
একদিন-
তুমি, আমি, সে হারিবে সবাই
ধূলাের ধারায় থেকে
সে দিন-
খাতা খানি মাের রবে পরে একা
ধুলােয় যাবে
ঢেকে।
এখানে
এখানে-
কৃষ্ণচুড়ায় আজ জেগেছে রংধনু
ভ্রমরের মধুর সুরের ব্যঞ্জনা
তব শাড়ির
আঁচলে অবাক শিশির সিক্ত সকাল।
এখানে-
প্রজাপতির পাখায় তােমার দু'চোখ
কাশবনে কাঁপানাে বাতাস
গােলাপের তন্ত্রে তন্ত্রে
ভ্রমরের সূরের মূৰ্ছনা।
এখানে- বলা কথাগুলাে অবলিলায় বলা হয়।
নিজের অজান্তে-
চোখে চোখ পড়ে
দু’জনার
মনের জানালায় উঁকি দেয় ভালবাসা,
এখানে শুধু আমাদের নিজস্ব ভূবন
কাছে যাওয়া, কাছে আসা।
জানাে
জানাে
! সে দিন তুমি হাসলে না
আমার মন বাগানে আর
গােলাপ ফোটে না তাই
ভােমরটাও আর
গান গায় না
চঞ্চল প্রজাপতিটাও
উড়ে বেড়ায় না যত্র তত্র।
আচ্ছা ! সে দিন
তুমি হাসলে না কেন
আমার মনে সেকি বিরহ তুমি জানাে !
জানাে ! তুমি সে দিন
চোখে চাইল না
আমার দৃষ্টি শক্তি তাই হারিয়ে গেছে।
জোনাকিরা আর দেয় না
আলাে
পূর্ণিমাও হয় না তাই
লেখতে পারি না কবিতা।
আচ্ছা ! তুমি সে দিন চোখে
চাইলে না কেন
আমার মনে সে কি হা-হা কার, তুমি জানাে !
আচ্ছা !
তুমি কি আমার
হবে না কোন দিন
তুমি তাে আমার হলে না
আমার মনে আজ
সে কি শূণ্যতা, তুমি
জানাে!
এমন পৃথিবী
পৃথিবী
কি এমন হবে না ?
চারিদিকে ভালবাসার হুলিখেলা
কোথাও উঁচ পরিমাণ জায়গা নেই
ভালবাসার জন্মাধিক্যে।
সাত সকালে যখন।
বিছানায় আড়মােড়া দিয়ে উঠতাম
ভালবাসা দরজায় এসাে বলতাে- গুড মর্নিং।
টুথব্রাশে লাগাতাম আশ্চর্য ভালবাসা
অথবা যখন ক্ষুধা লাগবে-
তখন টপাটপ ভালবাসা মুখে দিতাম।
চোখের চশমাটাও হয়ে
যেত
এক ব্যতিক্রম ভালবাসা।
সারাদিন যখন থাকবাে অত্যন্ত কর্ম ব্যস্ত
তখন
ভালবাসাই দূর করবে ক্লান্তি
আর সংগ দেবে-
ঘন্টায় ৯৬ বার মােবাইল করে।
বৈকালে যখন সিগ্রেট মুখে দেবাে।
তখন ঘর ভরে যাবে ভালবাসার ধোঁয়ায়
আর এক
চুমুক চা
হয়ে যাবে অফুরন্ত ভালবাসা।
আচ্ছ! পৃথিবী কি এমন হবে না কোন দিন
অন্য সব অসাড়, মিথ্যে
জগৎ সয়লাব হবে শুধু ভালবাসায়।
স্যাটালাইট বৃষ্টিতে টাইফয়েড
গাটের
পয়সা বেঁচে
কে আর কেনে সাহিত্য-সংস্কৃতি। ড্
রইং, ডাইনিং, বেডরুমে
যে
অনবরত স্যাটালাইট বৃষ্টি
তাতে মানবতা, মননশীলতা রুগ্ন-কোনঠাসা ।
তবু ধুকে
ধুকে পথ চলে
মদনমােহন, ঈশ্বর চন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ
দ্রৌপদীর পরিণতি আজ বাংলা
সাহিত্যে।
নজরুল জীবনানন্দ, শামসুর রাহমান
বাক্সবন্দী টকশাে
অথচ সােনার
গাঁ, শেরাটনে
থার্টি ফাস্টের বল ড্যান্স। হায়রে বাঙ্গালী !
আমি হাসিও না,
কাঁদিও না
শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকি।
সাহিত্য সংস্কৃতিতে কি আজ
স্যাটালাইট টাইফয়েড !
তবু তুমি আমার
যদি
তারা না ওঠে কোন দিন
সাগর হয়ে যায় শুস্কো
সূর্য না দেয় আলাে
চাঁদ না
দেয় জোস্না।
যদি ওঠে প্রচণ্ড সাইক্লোন
হয়ে যায় সব একাকার,
সব কিছু ধ্বংস
হলেও তবু তুমি আমার।
যদি বাগানে না ফোটে ফুল
সুর হারায় কোন ওলি
ডানা
ভেঙ্গে কোন পাখিও
উড়তে না পারে আর,
যদি শুরু হয়, হিরােশিমা, গৃহযুদ্ধ
গণঅভ্যুথান, ২৫শে মার্চ। তােমার জন্য
যদি প্রতিক্ষায় থাকতে হয় বছরের পর
বছর।
যদি বৈষম্যের দেয়াল এসে যায় কখনাে
পৃথিবীটা হয় শশ্মান
অথবা ধ্বংস
হয় বারংবার,
যতই খেলা খেলুক এ জীবন
তবু তুমি আমার ।
আশ্চর্য মানবতা
আমি
চিৎকার করি।
শূণ্য থালা, একটা ঝােলা
ছুঁড়ে ফেলি ঐ আবর্জনায় ।
আমার
মেরুদণ্ড সােজা হয় না,
পেট যখন চো করে
তখন আর সয় না।
মাঝে মাঝে রাগ হয়
মনের মাঝে জমে ক্ষোভ
ছুঁড়ে ফেলি গল্প, কবিতা, উপন্যাস
হাতে নেই চাকু, খুর,
আগ্নেয়াস্ত্র ।
কিন্তু পারি না-
এ মরা বিবেকটা বাধ সাদে
আশ্চর্য হই আমি,
আশ্চর্য আমার মানবতা।
আমায় ক্ষমা কর
আমায়
ক্ষমা কর প্রভু।
কত অন্যায়, কত অনাচার
দেখি আমি মোর চারিধার
তবু তার কোন
প্রতিবাদ
করতে পারি না কভু
আমায় ক্ষমা কর প্রভু।
বড্ডো ভীতু জীবনের মায়া
বেঁচে আছি তাদের দয়া
বাঁচার জন্য তাই হয়েছি অধির
প্রার্থনা করি প্রত্ করে
দাও বধির
অন্যায় কিছু যেন শুনতে পাই না কভু
আমায় ক্ষমা কর প্রত্।
সব
দরজা তব আজ বন্ধো
বাঁচার নেশায় দেখি না মন্দ
নাকেতে পাই না না দুর্গন্ধ
মনেবাজে হাজারাে দ্বন্দ্ব
প্রার্থনা করি প্রভূ করে দাও অন্ধ
অন্যায় কিছু
যেন দেখতে পাই না কভু
আমায় ক্ষমা কর প্রভু।
আমায় অন্ধ, মুক বধির করাে
পঙ্গু করে দাও
আমার এ জীবন খানা
প্রভু তুমি নাও।
যাবার বেলা শেষ মিনতী
করি
আমি প্রভু
আমার যা অপরাধ তা
ক্ষমা করা কি যায় না প্রভূ ?




কোন মন্তব্য নেই