স্বপ্নের ফেরিওয়ালা (মো: তাইজুল ইসলাম) কবিতা গুচ্ছ

স্বপ্নের ফেরিওয়ালা
আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা,
তোমার নিয়ে অচেনা শহরে হারিয়ে যাবো!
তুমি মোর জীবনের বেঁচে থাকার আশা,
প্রথম যেদিন দেখেছি, এ মনেতে নতুন স্বপ্ন বুনেছি!
তুমি কি জানো না, তুমি মোর জীবনের ভালোবাসা!!
তোমার নিয়ে স্বপ্ন দেখি রে প্রিয়, তুমি কি জানো না!!
তাই তো এসেছি আমি এ মন উজারো করে দিতে!!
নাও তুমি ভালোবাসা যতো পারো নিতে !!
তোমার একটি মন কয় জনাকে দাও রে প্রিয়!!
আমি তো তোমায় নিয়ে নানান ধরনের স্বপ্ন দেখি!!
তুমি কি বুঝ না,
আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা !!
ইচ্ছে ঘুড়ি মতো তোমাকে নিয়ে উড়াল দিয়ে যায় অচেনা স্বপ্নের শহরে!!
মনের প্রদীপে আশার আলো জ্বেলেছি,
তুমি প্রত্যাশা'কে অপূর্ণতা দিলে, একাকীত্ব বড্ড একা লাগবে!!
স্বপ্নের এসে দাও সুখের চাবি,
তোমার পরশে এ মন উদাসী অনুভবে আকাশ ছোঁয়া!!
স্বপ্নের মাঝে পেয়েছি তোমায়, স্বপ্নে করেছি নিয়েছি বকুল ফুলের মালা বরণ!!
তোমায় নিয়ে এই এলোমেলো জীবনের নতুন করে স্বপ্ন রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া আশা!!
স্বপ্নকে কখনো আড়াল করতে দিব না, সবসময় চোখে চোখে রাখবো তোমায়!!
আমি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, তোমার ভালোবাসা পাগল ছেলে!!
চলি মোরা একসাথে
চল দামাল ছেলের দল
চলি মোরা একসাথে
কাঁধে রাখি হাত
ভয়কে করবো মোরা জয়!!
চল যায় একসাথে
মানবতার সেবা করতে
অপরাধীদের ভালো পথে
আসার সুযোগ করে দাও!!
সবাই মোরা ভাই ভাই
এই সমাজের
ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে
চলি মোরা একসাথে!!
ভালোবাসা দিয়ে
বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ি
সকল ধর্মের মানুষ
মোরা ভাই ভাই, এসো হাতে রাখি হাত!!
ভুলে যাবো মোরা
ধনী-গরিব-মধ্যবিত্ত মধ্যে ভেদাভেদ
চল নতুন প্রজন্মকে
নেশা, মাদক মুক্ত করতে!!
চল সামনে চল
আলোর প্রদীপ জ্বালিয়ে
অন্ধকার থেকে বেরিয়ে
চলি মোরা একসাথে!!
চল যাই যুদ্ধে
নেশা, মাদকের বিরুদ্ধে
চল যাই যুদ্ধে
ধর্ষন কারীর বিরুদ্ধে!!
ফিরে এসো - ২
তুমি ফিরে এসো
রাখবো না কোন অভিযোগ, অভিমান
চাইবো না বেশি কিছু
শুধু তুমি ফিরে এসো !
যদি খুব সাধ হয় আমাকে একবার দেখার
তুমি ফিরে এসো,
আমি আছি দাড়িয়ে ঠিক আগের ঠিকানায় !!
যেখানে দেখা প্রথম পুরোনো জায়গায় !!
যদি খুব ইচ্ছে হয়
একবার কথা বলতে
তুমি ফিরে এসো,
মনে কোনো সংশয় না রেখে !!
বিশ্বাস করো আমি তোমায় ফিরিয়ে দিবো না
কারণ আমি ফিরিয়ে দিতে শিখি নাই !
তুমি ফিরিয়ে দেওয়ার আঘাত সইতে পারবে না !
শুধু তুমি ফিরে এসো না হয় শেষ গোধূলি সন্ধ্যায় !!
তুমি চলে এসো
আবারো হাঁটব এই অচেনা পথে
যে পথটায় তুমি একা করে রেখে গেছো আমাকে,
আমি আজও দাঁড়িয়ে !!
তুমি চলে এসো
যদি খুব সাধ হয় আমায় আবারো ভালোবাসতে
ফিরে এসো তুমি,
মনে কোনো সংশয় না রেখে !!
যদি কোন দিন হাতটি বাড়িয়ে দাও
আমি দুরন্তর মতো ছুটে যাব,
আমি আছি ঠিক আগের মতো
নেই কোন পরিবর্তন আমার মাঝে !!
আজও আমি তোমার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছি !!
তোমার ভালোবাসার পাগল ছেলে,
স্বপ্ন দেখতে চাই
অর্থ নয় আমি সুখ চাই
কষ্টের মাঝে আমি ভালোবাসা দিবস চাই ,
অহংকারী নয় বিশ্বাসী একটি মন চাই
দুঃখ মাঝে আমি স্বপ্ন দেখতে চাই !
ভালোবাসার প্রিয় কাছে থাকলে
স্বল্প নিয়ে শান্তিতে বাঁচতে চাই,
স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করতে চাই
স্বপ্নকে কাছে দেখতে চাই !
দিবানিশি আমি স্বপ্নের মধ্যে থাকি
স্বপ্নের মাঝে আমার বসবাস,
স্বপ্নকে আজ করেছি নিজের সঙ্গী
স্বপ্ন আমার আপন জন !
তুমি চাইলে
স্বপ্নকে করবো বাস্তবায়ন,
স্বপ্নকে সাজাবো রঙ্গিল ভুবনে
স্বপ্নকে নিয়ে দিতে পারবো সাত সাগর পাড়ি !
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখতে চাই
স্বপ্ন বিলাসী হতে চাই,
স্বপ্নকে নিয়ে আমার বসবাস
স্বপ্নই আমার ঠিকানা !
চিরকাল তোমার হৃদয় জুড়ে বসবাস করবো
প্রিয় হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই,
শুধু দূর থেকে যোগাযোগ রেখো !
যখন থাকবে নিরবে তখন না হয় মনে করিও,
মিথ্যে না হয় গোলাপ হাতে নিও !
হঠাৎ করে বৃষ্টির পানি ভিজবো,
দু'জনে একসঙ্গে অভিনয়ে !
নদীর তীরে উন্মুক্ত বাতাস,
খোলা মেলা বাতাসের দীর্ঘশ্বাস নিব !
প্রকৃতির প্রেমে হারিয়ে যাব,
খোলা আকাশের নিচে বসে !
গল্পের আড্ডায় মন মাতাবো,
নদীর ধারে বসে দু'জনে !
হঠাৎ করে হাত বাড়িয়ে দিও শেষ গোধূলি সন্ধ্যায়
মিথ্যে অভিনয় এর ছলে !
মাঝে মধ্যে হারিয়ে যাব,
সকাল বেলা কোকিল ডাকে !
সব খানেই পাবে আমায় খুঁজে
রয়ে যাব আমি চিরকাল তোমার হৃদয় জুড়ে
তুমি চাইলে
চিরকাল তোমার হৃদয় জুড়ে বসবাস করবো !!
একটু আশ্রয় দাও
রাগ করিস না,
আমার জ্বালানিতে
আজ বেঁচে আছি,
তো কাল চলে যাবো
কে জানে যে,
কখন কে হারিয়ে যায়
এখনই ওই সময় যে
আমাকে ক্ষমা করে দিও !
তুলে নিলাম
আছে যতো অভিযোগ !
রাখবো না
কোন প্রতিশোধের আগুন !
আছে যতো ভুল
শুধরে নেবো সবকিছু ।
তুমি চাইলে
সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে।
রাখবো না আর
কোন হারিয়ে যাওয়া ভয় !!
তোমার বসত ঘরে
একটু আশ্রয় দাও প্রিয় আমায় !!
জরুরী
তুমি ছাড়া এ শহর দেখা,
বড্ড বাড়াবাড়ি।
এই আমিটা প্রেমের পাগল,
একটু খানি বেশি।
তোমার ভাবানায় অষ্টপ্রহর,
কাটছে একাকী।
একা আমিটা আজ ভালোই আছি,
শুধু তুমিটা পাশে জরুরী।
প্রিয় হতে চাই
আমি প্রিয় হতে চাই,
শুধুই তোমার।
প্রিয় থেকে আরো প্রিয়,
আপন থেকে আরো আপন,
শুধুই তোমার !!
আমি প্রিয় হতে চাই
শুধুই তোমার।
তুমি কি প্রিয় হবে আমার!
আমি তোমার সঙ্গী হতে চাই
তুমি কি সঙ্গী হবে আমার !
শুধুই তোমার !!
আমি প্রিয় হতে চাই
শুধুই তোমার।
ভালোবেসে তোমার ঐ হৃদয় ঠায় করে নিতে চাই,
তুমি কি একটু দিবে আশ্রয় !
আমি জানি তোমার হৃদয় মাঝে পৌঁছাবার ক্ষমতা নাই !
তবুও তোমাকে কাছে পেতে চাই ।
আমি প্রিয় হতে চাই,
শুধুই তোমার।
তুমি কি প্রিয় হবে আমার !
তুমি কি প্রিয় বানাবে আমায়,
কথা দাও প্রিয় হবে আমার !
শুধুই তোমার !!
তোমার ভালোবাসা পাগল ছেলে !!
চলেই যদি যাবে
বলেছিলে প্রিয় তুমি
হাত দুখানি ধরে,
আমায় তুমি কেনদিনও
যাবে না কো ছেড়ে।
চলে যদি যাবে
কেন কথা দিয়েছিলে,
এই অবুঝ হৃদয়ে ব্যথ্যার ঝরতুলে
তুমি অট্টালিকায় নতুন সাথী পেয়ে মহা সুখে আছো।
নতুন সাথী পেয়ে তুমি
আমায় গেছো ভুলে,
রেখে গেছো স্মৃতির পাতা
আমায় করেছো একা ।
শ্রাবণের ধারার মত
আমার অশ্রু ঝরে,
বসে থাকি একাকী
নীরবে নদীর কূলে।
রাত্রে ঘুম আসেনা
ভেবে তোমার কথা,
চলে গেলে অজানা শহরে
দিয়েছো মনে ব্যথ্যা।
আমার কথা পড়বে মনে
যখন আমি রয়বনা,
হাজার কেঁদে ও সেদিন
আমাকে যে পাবেনা।
আকাশের ঐ নীলিমায়
মিশে রব আমি,
হারানো দিন আসবেনা
তবুও খুঁজবে তুমি।
চলেই যদি যাবে
শুধু একবার কারণটা বলে যায় প্রিয়,
এভাবে চলে গেলে অজানা
প্রশ্নগুলো আমায় কুড়ে কুড়ে খাবে,
চলেই যদি যাবে
পুরনো স্মৃতিগুলো মুছে ফেলে যায়,
কোন দিন যদি এই পাগলের কথা মনে পড়ে
তাহলে ফিরে আসিও ঠিক আগের ঠিকানায়,
তোমার ভালোবাসা পাগল ছেলে !!
শ্রেষ্ঠ মা
যার হাত ধরে এই ভুবনে আগমন
তিনি হচ্ছেন আমার মা জননী,
আমার এই জীবন বেঁচে থাকতে
কোনদিন ভুলবো না মাগো তোমায়!
মায়ের মতো আপন করে
এতো ভালোবাসবে কে,
মায়ের মিষ্টি হাসি দেখলে
জুড়ায় আমার প্রাণ!
মা যে আমার হচ্ছে
সবার চেয়ে সেরা,
মায়ের আঁচলে আছে ভাই
স্নেহ ভরা মধুর খনি!
মায়ের মতো আপন জন
যার হয় না তুলনা,
মা হচ্ছে আমার শ্রেষ্ঠ
শিক্ষা গুরু, প্রথম হাত ধরে পথচলার সাথী!
প্রথম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়
আমার মা জননী,
বিদেশ থেকে বাড়ি গেছে,
প্রথম দেখতে পাই মায়ের হাসি!
মা যে আমার স্নেহের কান্ডারী
তাই তো আমার মা'কে শ্রেষ্ঠ মানি,
অসুস্থ হলে বিনামূল্যে,
সেবা করেন আমার মা জননী!
মা যে আমার স্নেহের সাগর
মা মানে সুখের চাবি,
রোজ রোজ গল্প বলে ঘুম
পাড়িয়ে দেয় আমার মা জননী!
মাগো তোমার মুখের হাসি দেখলে
ভুলে যায় সকল দুঃখ-কষ্ট,
সারাজীবন ধরে
তোমার সেবা, পাশে থাকতে চাই!
ঘুম থেকে উঠে দেখি
মা খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে,
দূরে থেকে করছি
মাগো তোমায় স্মরণ চোখের জল ফেলে!
তোমার কোলে মাথা রেখে
সকল সুখ খুঁজে পায়,
মা যে আমার অতি আপন
সবার চেয়ে সেরা!
মা'কে নিয়ে লেখার অনেক কিছু আছে
মাঝপথে কলমের কালি ভুরিয়ে যায়,
মাগো আমি করতে পাড়ি যেন
দিবানিশি তোমার সেবা!
আমাদের গ্রাম
ঐ দেখা যায় আমাদের গ্রাম খানি
ঐ আমাদের বাড়ি,
সবুজ শ্যামলে ঘেরা
আছে গাছ চারপাশে।
গ্রামের পাশে নদী বয়
মাঠে মাঠে ফসলে ভরা ,
দামাল ছেলের দল
মেতে ওঠে ফুটবল খেলায় ।
বনে বনে পাখির ঝাঁক
করে কিচিরমিচির,
চাষীরা করে চাষ আর
ফসলে ফুটে ওঠে হাসি।
গ্রামের আঁকাবাঁকা পথ
যার নাই শেষ কোথাও ,
ছেলে মেয়ের কলরব
সারা গ্রাম জুড়ে।
সকাল বেলা চাষী ফসলের
মাঠে যায় ধান কাটতে ,
চাষা কাজ শেষ করে
আল্লাহু আল্লাহু জিকির !!
বোবার কান্না
অচেনা শহরে পথ হেঁটে এসেছি
অনেক কেঁদে ভাসিয়েছি,
চিৎকার করি নাই বলে
তুমি শুনতে পাওনি প্রিয় !
আমার কান্না শুনছে
আকাশ, বাতাস, নদীর ঢেউ
এলোমেলো চারিদিকে অন্ধকার
হাসিমুখে কান্নার শব্দ বাজে উঠে !
তোমার ভাবনায় দিবানিশি
কাটছে একাকী,
একা আমি আজ ভালোই আছি
শুধু তুমিটা পাশে জরুরী !
না পারে কহিতে, না পারে সহিতে
নীরবে জড়িল বারি, আঁখি তারায়
তোমার নিষ্ঠুরতা আজও আমায় তারা করে
স্বপ্নময় শহরে দাঁড়িয়ে আমি একা !
বহুদিন ধরে হারানো ব্যথায়
চাপা কান্নায় বুকের গভীরে গুমরে গুমরে মরছে
সান্তনা পাইনিকো কভু যতই মরি শোকে
তাইতো সকল যন্ত্রণা নিয়ে পাথর বেঁধেছি বুকে !
দেখেছো কি কখনো
হৃদয় পুড়ে যাওয়ার কান্না, হাহাকার মরুভূমির জলশূন্য
আচ্ছা বলতে পারো কি দোষ ছিল আমার,
তবে কেন মিথ্যে অভিনয় করলে বলো প্রিয় !
হ্যা আমি খারাপ
কারণ বারবার কান্না করার পরও হাসতে থাকি,
খুব তো বলেছিলে হাত দুখানি ধরে
যতই ঝড় আসুক কোন দিন ও হব নাকো পর !
আমি কল্পনা হয়ে আছি আশেপাশে
খুঁজে পাবে আমায় প্রতি নিঃশ্বাসে,
আমার কষ্টে কারো সুখের কারণ হয়
তাহলে আমি আজীবন শত কষ্ট পেতে রাজি আছি
আমার কান্না যদি কারো হাসির কারণ হয়
আমি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত কান্না করতে রাজি আছি,
আমার দূরত্ব যদি ভালো থাকে
তাহলে আমি দূরত্বকে আজীবন সাথী করে নেব !
তার কাছে মৃত হয়ে থাকতে চাই
তারপরও ভালোবাসার বিনিময়ে,
ভালোবাসা চাইবো কোন দিন
বন্দী কাঁচা থেকে মুক্ত করে দিলাম !
কখনো যদি ফাঁকা ফাঁকা লাগে
তবে ফিরে আসিও ঠিক পুরোনো ঠিকানায়,
আমি আছি দাঁড়িয়ে আগের ঠিকানায়
সব অভিমান মুছে ফেলে, কালো গোলাপ দিয়ে বরণ করবো তোমায় !
এই পাগলের লেখা কি কখনো পড়ে দেখ না,
নাকি পরে থাকে বালিশের নীচে জলের ধারায়,
আমি এতো সহজে ভুলে গেলে,
অপেক্ষার কষ্টটুকু বয়ে বেড়াতাম না !
তুমি যদি বলো আমি তোমার কেউ না
এই অবুঝ হৃদয় কি মানে,
পাষাণের বুকে তুমি আমার বটবৃক্ষের ছায়া !
এই পাগল ছেলে "স্বপ্নের ফেরিওয়ালা"
অমলিন স্মৃতিগুলো জমা
রয়েছে তোমার বুকে,
যতন করে রাখিস,
সেখানে আমার স্পন্দন জরিয়ে রয়েছে !
আজ আমি শিখে গেছি
মনের মধ্যে কষ্টটা চেপে রাখতে,
এক বুক চাঁপা কান্না নিয়ে হাসিমুখে খুলতে
পারিনা হাজার চেষ্টা করেও ভুলে যেতে তোমায় !
আজও এই বোবা ছেলেটি ভালোবাসে
তুমি বুঝলে না আজও বুঝলে না,
একদিন ফিরে আসবে
তোমার ভুলটা বুঝতে পারবে,
সে দিনের অপেক্ষায় রইলাম প্রিয় !
তোমার ভালোবাসা পাগল ছেলে !!
ইচ্ছে ছিলো
ইচ্ছে ছিলো দূরের শহরে
আড্ডা জমাবো ভোরের আলোয়,
মন মাতাবো দু'জনে
এলোমেলো সুরে সুরে।
চারপাশে দেখবো
নতুন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য,
প্রাণ খুলে বৃষ্টি ভেজা
খোলা আকাশের নীচে।
নদীর পাশে বসে
গল্পের তালে হারিয়ে যাব,
অচেনা শহরে পাড়ি দিব
তোমার হাত দুখানি ধরে।
বিকেলে বেলায় চায়ের
কাঁপে চুম্বন দিব,
আর অনেক ইচ্ছে ছিলো
নতুন স্বপ্ন দেখতে।
তোমার ইচ্ছে জাগে না
একটুও মনে এ পাগলের জন্য,
আমি কল্পনা স্বপ্নের রাজ্যে
হারিয়ে যেতে চাই।
একা একা লাগে
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে
পথে মাঝে কান্ত,
প্রতিদিন নতুন স্বপ্ন দেখে
ঘুম থেকে উঠি !
একা একা লাগে যখন
তুমি পাশে নেই,
অন্ধকার লাগে চারপাশে
খুঁজে ফিরি গোধূলি সন্ধ্যায়
সকাল দুপুর গোধূলি পেরিয়ে
চতুর্দিক জলশূন্য !
দিবানিশি পথ চেয়ে
ক্লান্ত হয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরে,
হঠাৎ তবে বদলায় রং তারা
জীবনটাও তখন এলোমেলো !
আকাশের তারা গুলো
নিশ্চুপ হয়ে গেছে,
রাত্রে জোনাকিরা
মিটিমিটি হাসে না !
অন্ধকার লাগে চারপাশে
কান্ত পথিক,একা একা লাগে !
চাষা
সারাদিন পরিশ্রমে
বাংলা চাষা ফসল রোপণ করে,
ভিন্ন ভিন্ন ফসলে ভরে উঠে
বাংলার চাষার মাঠে মাঠে।
ঝড় বৃষ্টির দিনেও তারা
মাঠে কাজ করে চলে,
কত মানুষের মুখে
হাসি জগাই তারা।
ফসলের মাঠ দেখে
চাষার মুখে মিষ্টি হাসি,
লক্ষ লক্ষ অর্থ দিয়েও
কেনা যাবে এই হাসি।
ছয় ঋতুকে সাথে নিয়ে
মাঠে থেকে ফসল আনে,
বাংলা চাষাকে জানাই
আমি হাজার স্যালুট।
আজও কি পায় তারা
ফসলের ন্যায্য মূল্য,
অল্প আয়ের উৎস দিয়ে
সংসারে থাকে হাসি মুখে!
দিবানিশি ভাবে শুরু
ফসলের কথা, চিন্তা নিয়ে
কয় জনে দিতে জানে
বাংলার চাষার পরিশ্রমের মূল্য!!
চলি মোরা একসাথে
চল দামাল ছেলের দল
চলি মোরা একসাথে
কাঁধে রাখি হাত
ভয়কে করবো মোরা জয়!!
চল যায় একসাথে
মানবতার সেবা করতে
অপরাধীদের ভালো পথে
আসার সুযোগ করে দাও!!
সবাই মোরা ভাই ভাই
এই সমাজের
ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে
চলি মোরা একসাথে!!
ভালোবাসা দিয়ে
বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ি
সকল ধর্মের মানুষ
মোরা ভাই ভাই, এসো হাতে রাখি হাত!!
ভুলে যাবো মোরা
ধনী-গরিব-মধ্যবিত্ত মধ্যে ভেদাভেদ
চল নতুন প্রজন্মকে
নেশা, মাদক মুক্ত করতে!!
চল যাই যুদ্ধে
নেশা, মাদকের বিরুদ্ধে
চল যাই যুদ্ধে
ধর্ষন কারীর বিরুদ্ধে!!
পথিক
একদিন একলা পথিক হাঁটছিলাম আমি
হঠাৎ তুমি এসে হাতটি ধরে আমায়।
নিয়ে গেলে তোমার ওই অচেনা পথে
আমি বিশ্বাস করে গিয়েছিলাম।
ওই পথে, ধরে তোমার হাত
কখনোই বুঝতে পারিনি আমি।
তুমি আমায় সমুদ্রের মাঝ খানে
একলা পথিককে ফেলে চলে যাবে।
অন্ধ হয়ে হারিয়ে ছিলাম আমি তোমার পথে,
তোমার হাতটি ধরে আমি।
পথিক তুমি হারিয়ো না আর
ঐ পথ হারানো বাকে।
একলা চলো রে
অপূর্ণতা
আমি মন খারাপ করতে চেয়েছি,
আকাশের মেঘ জড়ো করেছে।
আমি গাইতে চেয়েছি,
দোয়েল ইচ্ছে পূরন করেছে।
আমি অন্ধকার থেকে মুক্ত হতে চেয়েছি
রাতের জোনাকি তা পূরণ করে দিয়েছে !
আমি নাচতে চেয়েছি,
ময়ূর তা দেখিয়েছে।
আমি জীবনকে জানতে চেয়েছি,
বাস্তবতা তাই সুযোগ করে দিয়েছে।
আমি স্বর্গ চেয়েছি,
তাও পেয়ে গেছি !
আমি তোমাকে কাছে চেয়েছিলাম,
সেই পূর্ণতা হলো না, অপূর্ণতায় থেকে গেল !
তুমি নেই বলে,
এই জীবনের পূর্নতাও রয়ে গেল ।
সব কিছুতেই পূর্ণতা পেলাম,
শুধু তোমার ভালোবাসার অপূর্ণতায় রয়ে গেল !
অসাধারণ কবিতা গুলো
উত্তরমুছুন