ক্ষেতলালে বারোমাসি তরমুজ চাষে সাফল্য।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার চাষিরা বারোমাসি তরমুজ চষি করে ব্যাপক ভাবে সাবলম্বি হচ্ছে। প্রতি দিন বিক্রয় করতে পারছেন উৎপাদন করা তরমুজ। এই বারমাসি তরমুজ চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে আর্থীক ভাবে সফলতা পাওয়ার কারনে।
ক্ষেতলাল থানার কৃষি অফিস ও এনজিও (এসো) সুত্রে জানা যায়- এবার অন্যান্য ফসলের পরিবরতে বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে আলু ওধান চাষের পরিবরতে এবার হলুদ মধুমতি, ব্লাক কিং, ব্লক বেবি, জেসমিন, মধুবালা সহ বিভিন্ন ধরণের তরমুজ আবাদ হয়েছে। তরমুজ গুলো ব্যাপক চাহিদা হয়েছে সাধে মুখরোচক ও রসালো হওয়ায়। ষাট থেকে আশি টাকা কেজি বিক্রয় করা হচ্ছে এই তরমুজ গুলো বর্তমান বাজারে।
ক্ষেতলাল থানার একটি গ্রামের কৃষক বলেন কিছু সংখক উচঁ জেমিতে মাচায় হলুদ কিং ও ব্লাক কিং জাতের তরমুজ চাষ করে এ পর্যন্ত ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। আরও ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে । তরমুজ চাষের জন্য জমি প্রস্তুতসহ বীজ, সার, ওষুধ, ও মাচা তৈরি করতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বেলগাড়ি গ্রামের একজন বলেন, ৩৩ শতাংশ জমিতে ২৫টি বেড তৈরি করে মাচায় হলুদ মধুমিতা ও ব্লাক কিং জাতের মরমুজ চাষ করে এবার এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। আশাকরা যায় আরও ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ক্ষেতলাল উপজেলার কৃষকরা এর আগে ধান ও আলু চাষে বেশি আগ্রহী ছিল। এতে কৃষকের লাভ ও লোকসান দু'ই হত। বর্তমান অর্থকারী ফসল হিসাবে বারোমাসি বিভিন্ন জাতের তরমুজ মাচায় চাষ করার জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণসহ মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে। এ ফসল ইতিবাচক সারা ক্ষেতলালে মানষের।



কোন মন্তব্য নেই