সহবাস করে গোসল না করে সংসারের কাজ করা যাবে কি না ?
স্ত্রী সহবাস করে ফরজ গোসল
না করে সংসারের কাজ করা যাবে কি না।
আসলে এটি একটি গুরুত্বপুর্ণ বিষয়, সকলেরই জানা দরকার।
বুখারী শরীফের ৪২ নাম্বার পৃষ্টায় আছে হযরত আবু হোরাইরার সংঙ্গে বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মাদ (স:) এর রাস্তায় দেখা হলো কোন এক দিন। তখন মহা নবী (স:) প্রথমে সালাম দিলেন কিন্তু আবু হোরাইরা (র) কোন সালামের উত্তর দিলেন না। তার পর জিজ্ঞেস করলেন আবু হোরাইরা তুমি কোথায় ছিলে ?
আবু হোরাইরা বললেন- হুজুর আমি নাপাক ছিলাম। আমার গোসল ফরজ হয়েছিল।
তখন মহা নবী (স:) অবাক হয়ে বললেন মুসলমানতো নাপাক হয় না। তুমি স্ত্রী সহবাস করেছো বলেই সালাম কালাম নেওয়া বা দেওয়া যাবে না বিষয়টি এমন না। তার মানে এটা দারায় যে সহবাস বা স্বপ্ন দোষ হলে কাপড়াটা পরিস্কার করে বাজার ঘাট, রান্নাবান্না সব করা যাবে। কিন্তু নামাজের সময় গোসল না করে নামাজ পড়া যাবে না। কাবা শরীফ তোয়াব করা যাবে না। পবিত্র কোরআন শরীফ ধরে ধরে বা দেখে দেখে পড়তে পাড়বে না। তবে এমন কিছু আয়াত আছে যা দোয়া হিসেবে ব্যবহার হয় সেগুলো আপনি পড়তে পারবেন। তবে বেশিক্ষণ এভাবে আপনি থাকতে পারবেন না।
মুসলিম শরীফে আসছে কেউ যদি স্ত্রীর সাথে একাধিকবার মিলন করতে চায় তাহলে মাঝখানে সে অজু করবে। অজু করতেই হবে বেপারটা তা না। অজু করাটা ভাল, মনটা ভাল থাকে ,পরের বার আবার সহবাস করতে ভাল লাগে।
দুই একজন বলেছেন অজু করাটা ওয়াজিব। আসলে অজু করাটা মুস্তাহাফ। কেউ যদি অজু করে তাহলে সে সোয়াব পাবে কিন্তু অজু নো করলে তার কোন গুনা হবে না।
ধরুন আপনি কিছু খাবেন, রমজান মাসে সেহেরী করবেন। স্ত্রী সহবাস করেছেন এখন গোসল করে সেহেরী করলে সময় পাবেন না। সেক্ষেত্রে আপনি অজু করে নিন। নাপাক অবস্থায় নামাজ নিষেধ কিন্তু রোজা নিষেধ না। রোজার নিয়ত করতে পারবেন, রোজা থাকতেও পারবেন। আবার নামাজের আগে আপনি গোসল করবেন।



কোন মন্তব্য নেই