ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে লভ্যাংশ খাওয়া কি হালাল ? জানুন বিস্তারিত।
ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে লভ্যাংশ খাওয়া কি হালাল ? জানুন বিস্তারিত।
ইসলামী ব্যাংক বলতে বাংলাদেশে এখন অনেক গুলো ব্যাংক আছে। এই ব্যাংক গুলোতে টাকা রেখে আর লভ্যাংশ নিতে পারব কিনা এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরামদের একাধিক মত আছে। ইসলামী ব্যাংকের গবেষনা অন্তে তারা বলেন যে ইসলামী ব্যাংক গুলো আমাদের দেশের পরিসরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে থাকতে হয় দেশে প্রচলিত নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয় যার কারণে এবং অনেক ক্ষেত্রে সদইচ্ছার অভাব বা ঘাটতি থাকার কারণে পরিপূর্ণ ইসলামীক না। যেহেতু পুরোপুরি ইসলামীক না, সেজন্য এখানে টাকা রেখে তার লভ্যাংশ নেওয়া যায়েজ নাই।
আবার কিছু কিছু ওলামায়ে কেরাম বালেন যেহেতু ইসলামী ব্যাংকে সরিয়াহ বোর্ড আছে এবং সেই সরিয়া বোর্ড এ গ্রহনযোগ্য ওলামায়েকেরাম বসে আছেন তাদের দায়িত্ব্য হলো এটা পুরোপুরি ইসলামী মোতাবেক চলছে কিনা তা মনিটরিং করা, পরামর্শ দেওয়া। সে ক্ষেত্রে এই ওলামায়েকেরামদের উপর আস্থা রেখে সেখানে টাকা রেখে তার লভ্যাংশ খাওয়া জায়েজ আছে।
এই দুই মত কে সমন্বয় করে শায়েখ আহমাদুল্লাহ তৃতীয় একটি মত দিয়েছেন তা হলো- ইসলামী ব্যাংক গুলোতে টাকা জমা রাখা এক জিনিষ আর সেখানে টাকা রেখে কিস্তীতে টাকা লভ্যাংশ নেওয়া আরেক জীনিষ । ইসলামী ব্যাংক গুলোতে শুধু টাকা রাখা শুধু জায়েজই নয়, এটা উত্তম। টাকা জমা রাখা যেকোন ইসলামী ব্যাংকে যায়েজ। কারন সুদি ব্যাংকে টাকা রাখলে তাদেরকে সুদের কাজ কারবারে সহায়তা করলাম। ইসলামী ব্যাংক গুলো আর কিছু করুক আর না করুক একটা কাজতো তারা করবে। তা হলো আমার এই টাকাটা নিয়ে সুদ যে হারাম এই একটা কন্সেপ্ট বাংলাদেশে বিস্তার করছে। কিন্তু অন্য ব্যাংকে বলে কয়ে সুদ দেয়।
সেই কারণে ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখা ও সুদি ব্যাংকে টাকা রাখা অনেক পার্থক্য আছে। সুদি ব্যাংকে টাকা রাখা মানে সরাসরি সুদখোরকে সাহায্য করা। সেই কারণে অন্য ব্যাংকের থেকে এই ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখা অনেক ভাল।
তবে সবচেয়ে উত্তম এবং ভাল মত হচ্ছে যদি আপনার ব্যাংকে টাকা না রেখে অন্য কোন মাধ্যম আপনার কাছে থাকে সেটা সবচেয়ে ভালো। বা ব্যবসায় খাটাতে পারেন। আর যদি আপনার কোন পথ না থাকে তাহলে ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে তার লভ্যাংশ খাওয়া যায়েজ আছে।


কোন মন্তব্য নেই