Header Ads

ভুলে গেছি সব কিছু (প্রণব চৌধুরী) কবিতা গুচ্ছ।

 

Pronab

ভুলে গেছি সব কিছু

কবিতা(গদ্য)

তাং-০৮,১০,২০২০,

 

ভুলে গেছি সব কিছু,

কোথায় আমরা আজ বেঁধেছি বাসস্থান

সেইযুগ বোধহয় তবুও ভালোই ছিল নদীর তীরে, ছিল জলের সংস্থান

সুস্থ প্রাণের পরশে প্রাণেতে প্রতিষ্ঠিত হত প্রাণ,

যা বিকশিত হত আপন ভহিমায় আবাহমান কাল ধরে যা ইতিহাস তার স্বাক্ষ্য বহন করে আজও

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পরিবর্তনের চাপে তাপে আমরা আজ ফসিলে পরিবর্তিত

তাই তো আজ আমরা রুপান্তরিত দাহ্য পদার্থে

সুযোগ খুঁজি ছুঁয়ে দেওয়ার

তাহলেই ব্যাস সবশেষ |

জ্বলে পুড়ে একেবারে ছাই

সেই সময়ের ক্ষন হোক না কেন সকাল, বিকাল, বা মধ্যরাত্রির নির্জনতার আবেশে

আমরা ছুঁয়ে দিলেই খালাস,

বর্তমানে তাতে আবার যোগ দিয়েছে অ্যাডামস্মিথের অদশ্য হাতের নিঁপুনতার ছোঁয়া

অর্থনীতিতে আজ খুব তাৎপর্যপূর্ণ

শুধু দাও আর দাও দশ, পনেরো, বিশ, ত্রিশ লাখ

এযেন এক অদৃশ্য ব্যাঙ্ক, ব্যাঙের ছাতার মত যেখানে সেখানে গজিয়ে উঠেছে

একবার কিক্সভ ডিপোজিড করো আর মাসে মাসে তার থেকে সুদ হিসাবে টাকা নাও

চুলোয় যাগ তোমার সমাজ, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, কালচার শিক্ষা

ভুলে গেছি আজ আমরা মানব

তারা আজ পশুদের সাথে নিজেদের পার্থক্য নিরুপণ করতে পারে না

পঞ্চইন্দ্রিয় আজ আর কোন কাজ করে না

চোখের দৃষ্টিশক্তি অনেক আগেই লুপ্ত

সম্প্রতি গন্ধ অনুভূতিও বিলুপ্তির পথে

ভুলে গেছি আজ ,

কে ভক্ত ?

আর কে ভগবান |

ছানি পরা চোখে সব ঝাপসা সৌরজগত |

মরচে ধরা বিবেক আর অসুস্থ মন

যথাক্রমে- আই সি ইউ তে

পাগলা গারদে

তাই তো ভুল করে ভুলতে বসেছি যে-

সূর্য্য ব্লাক হোলে পতিত প্রায়

 

কে যেন কি বলেছিল ?

গদ্যকবিতা

তাং-০৩,১০,২০২০,

 

কে যেন কি বলেছিল তোমায়,

মনে পড়ে কি সেই কথা ?

সেই যে পড়ন্ত বিকেলে বটবৃক্ষের নীচে সন্ধ্যা যখন সাজ করছিল তার সাজঘরে ডেসিং টেবিলের সামনে,

সমস্ত কুন্তলরাশিএলিয়ে দিয়ে মনে হচ্ছিল

পৃথিবীর

সব রঙ শুষে নিয়ে নিকষ কালো তমসার আহ্ববানে ব্যস্ত

ক্লান্ত সারসের দল অবসন্ন কায়া নিয়ে কলতানে মুখরিত করছিল সেই সময়ের সন্ধিক্ষন,

দূর আকাশে শুক্রগ্রহ হাতছানি দিয়ে করছিল ইশারা,

আর কতক্ষন ?

আমি তো তোমার জন্য মঙ্গল দ্বীপ প্রজ্বলিত করেছি,

শুধু তোমার আসার অপেক্ষায়

সেইসময়ের মহেন্দ্রক্ষনে সাক্ষী রেখে তুমি কথা দিয়েছিলে আমায়,

একটু কর অপেক্ষা ফিরব সেই ঊষায় কৃষকের ভূমি কর্ষনের ভাটিয়ালী গানের সুরে,

মোহিত করব আকাশ বাতাস,

শ্রাবণের অমিয় ফল্গু বারিধারা রূপে বর্ষিত হয়ে

করব সবুজের আহ্বান |

কিন্তু কথা রাখোনি তুমি ?

দূর আকাশে চাতকের "ফটিক জল"" "ফটিক জল"

কলতান সেই ধ্বনি শুনতে শুনতে কর্ণকূহর প্রায় অক্ষম হয়ে পড়েছে

বর্তমানে Smart Phone এর যুগ,

তোমার সংগে vedio call তো হয়,

তাতে কি দুধের স্বাদ ঘোলে মিটানো সম্ভব ?

খরতাপে বায়ু যতটা উতপ্ত,

তাতে শান্তমন্ডল ক্ষুব্ধমন্ডলে পরিনত !

আজ খুব অসহয় বোধ করছে হিমমন্ডল,

আর ওজোন স্তরের কথা বলছেন ?

তার সর্বশরীর আজ বিষময় ,

বিষ ফোঁড়ার ব্যাথাতে জর্জরিত

সেই আজ বিগত প্রায় দশ বছর যাবৎ কোমায় নিমজ্জিত |

সে কালে অনেক নাম করা সার্জেন ছিল,

কিন্তু আজ সব নকল কাগুজে চিকিৎসক

তাই তাকে কে সুস্থ করবে ?

কারো ক্ষমতা নেই ,

দুই একজন ব্যতিত |

তারা আবার কি করবে ?

তারা তো আবার অলরাউন্ডার |

MD ডিগ্রী নিয়ে ডক্টর

তাদের তো আবার কলেজে কলেজে লেকচার না দিলেই নয়

তাই তো তোমায় বলছি ?

কি যেন তোমায় কি বলেছিল ?

মনে আছে কি সেইসব অঙ্গীকার !

 

তুমি কি থাকবে সাথে প্রিয়া ?

গদ্য কবিতা

তাং-০১,১০,২০২০

 

আসন্ন কুয়াশা ঢাকা সর্পিল, বন্ধুর ,কণ্ঠাকীর্ণ, পথে তুমি কি আমার সাথ দেবে প্রিয়া ?

জীবন নদীর এই উচ্চ গতিতে মোর যে প্রবাহমানতা বড়ই মন্থর,

যদি হিমবাহ আর একটুখানি জলরাশি আমাকে করত প্রদান,

তবেই অদূরের সমতলের হাতছানি কে আমি অবশ্যই সাড়া দিতে পারতাম,

যদি তুমি পাশে থাকতে

তুমি কি থাকতে পারবে না আমার সংগে ?

দুই জনের মিলিত প্রবাহে,

অবশ্যই গড়ে তুলতে পারি সবুজ অববাহিকা,

যেখানে থাকবে শুধু সবুজের সমারোহ,

থাকবে প্রাণের ছোঁয়া,

যদি তুমি পাশে থাকো

তুমি কি জানো প্রিয়া ?

সবুজের ক্লোরোফিল আজ প্রায় বিনষ্ট

ক্রমেই তারা নীল রং ধারন করে বিবর্ণ হতে হতে হলুদে পরিণত হতে চলেছে

এমনিতেই বায়ুমন্ডলে আজ প্রাণবায়ুর খুবই অভাব ,

সেই স্থান পূর্ণ করতে তোমার খুব,

খুউব প্রয়োজন প্রিয়া

আশা করছি আমার কথা না হয় তুমি নাইবা ভাবলে,

কিন্তু তাদের কথা চিন্তা করে,

যে তোমার একটু ছোঁয়ার জন্য অনন্ত কাল ধরে বসে আছে প্রকৃতির জঠরে

তাদের কি হবে প্রিয়া ?

একবারও কি ভাবছো তাদের কথা !

যাত্রা যতই হবে কঠিন ততই তোমার উৎসাহ প্রেরণা মোর প্রাণের দ্বীপ কে আরো বেশী করে প্রজ্বলিত করতে সাহায্য করবে ,

সেই আলোকে আলোকিত করে মোরা হাত ধরাধরি করে এগিয়ে যেতে পারি না নবদিগন্তের নতুন আলয়ে প্রিয়া ?

চুপ করে বসে থেকে আর যে ,

বসে থাকার মোটেয় সময় নেই প্রিয়া

পুবের কোনে পৃথিবীর যে রঙ ধরেছে তা বোধহয় তুমি দেখো নি প্রিয়া ?

যারা তোমার পরশে পেতে চায় প্রাণের পরশ

করুণ আহ্বান তাদের !

সাড়া দেবে না তুমি ?

থাকবে না কি মোর পাশে এই কঠিন যাত্রায় প্রিয়া ?

অবশ্যই বলবে মোরে ,

নতুন পৃথিবী গড়ার স্বপ্ন নচেৎ যে স্বপ্নই থেকে যাবে !

পারবে না কি তুমি ?

মম সাথ দিয়ে প্রিয়া থেকে প্রাণপ্রিয়া রুপে নিজেকে পরিগনিত করতে ?

আমি কিন্তু প্রতীক্ষায়

 

জ্যান্ত লক্ষ্মীরা আজকের দিনেও লাঞ্ছিত

গদ্য কবিতা

তাং-৩১,১০,২০২০

 

কি অদ্ভুদ পৃথিবী !

আর কি তার অদ্ভুদ অদ্ভুদ নিয়ম বলুন তো ?

জ্যান্ত লক্ষ্মীরা সব রাস্তাঘাটে, ট্রামে,বাসে, শপিংমলে সর্বপরি একান্তে নিভৃতে নিজ বাসভবনে প্রতিনিয়ত প্রতিক্ষনে পলে পলে হচ্ছেন লাঞ্ছিতা,ধর্ষিতা খুন

অথচ সেই দিকে আমাদের কোনো দৃষ্টি নেই,

নেই সেই চলাফেরা করা জীবন্ত লাশের প্রতি সহানুভূতির ছোঁয়া

হয়ত একটু ছুঁয়ে দিলেই,

প্রাণের সঞ্চার সেখানে সঞ্চারিত হবেই,

সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না

অথচ আজকের এই কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্নিমার দিবসে ঘরে ঘরে হচ্ছে পুজিত ধনদেবীর আরাধনা

সাড়ম্ভেরের সহিত

সকলেই উঠে বাজার যাচ্ছিলাম,

না,

পুজোর বাজারের জন্য নয়,

সমস্ত রাত্রি ঘুমোতে পারি নি দাঁতের ব্যাথ্যার জন্য

তাই তড়িঘড়ি করে ঔষধ আনার জন্য

আমাদের পাশের বাড়ির পরের বাড়ি,

কাজের মেয়ে লক্ষ্মী কাজে আসতে দেরি করায়,

গৃহকর্ত্রী বলে কিরে লক্ষ্মী ?

জানিস না আজ লক্ষ্মী পুজা ?

কত কাজ সকাল থেকে ?

আর আজকেই কিনা---------- তুই ?

কাল রাত্রি থেকেই আমার ছেলেটির খুব জ্বর,

তাই ভোর ভোর থাকতেই ডাক্তার বাবুর বাড়ি গিয়েছিলাম ,

তাই আসতে একটু দেড়ি হলো

গৃহকর্তা বলে বসেন,

তোর তো শুধু বাহানা

আর বিশেষ বিশেষ দিন গুলিতে যেইদিন করে কাজের ভির থাকে,

সেইদিন গুলিতে তোর ছেলের জ্বর হয়

হতচ্ছাড়ি !

বলেই কতগুলি কাপড় তার মুখের দিকে ছুঁড়ে দিল

গালে বাসিয়ে দিল ঠাস করে কষিয়ে একটি .চড়

গিন্নী মা পাশ থেকে চিৎকার করে বলে,

নে দাঁডিয়ে আর ঠং করে কাঁদতে হবে না

কাপড় গুলো কেঁচে তারপর সমস্ত উঠোন বাড়ি ভালো মুছতে হবে

নাঃ,

দাঁতের ব্যথায় আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলুম না

আমি চলে গেলাম ঔষধ আনতে

ফিরছিলাম ঔষধ নিয়ে

একই রাস্তায়,

আর রাস্তার পাশেই তাদের বাড়ি পড়ে

বাড়ির পাশে আসতেই লক্ষ্মীর গলার আওয়াজ পাই,

না ছোটকর্তা আমায় ছেড়ে দিন,

পাশ থেকে চাপাগলায় পুরুষ কন্ঠ বলে ওঠে,

কাউকে যদি বলেছিস,

তো খবর আছে

সেখান থেকে হাউ মাউ করে লক্ষ্মী কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে আসতেই,

গৃহকর্ত্রী ছোঁ মেরে তার হাতটি ধরে বলে,

হাঁরে লক্ষ্মী ?

তুই বলছিলি না তোর ছেলের জ্বর ,

এই পাঁচশত টাকাটা নে,

ছেলের ঔষধ পথ্য কিনে দিবি

আর যদি-------------!

লক্ষ্মী রুদ্ধশ্বাসে সেখান থেকে বেড়িয়ে চলে যায়

তাই তো ভাবি !

আর ভাবি!

আর কতদিন !

জ্যান্ত লক্ষ্মীকে পণ্য,

আর মুত্তির লক্ষ্মী কে ধন্য করব !

আমরা নাকি আবুনিকতম শিক্ষার আলোকে

আলোকিত !

 

এই চরম সময়

কবিতা(গদ্য)

তাং-২৭,১০,২০২০,

 

তুমি কি শুনতে পাও তাদের আর্তনাদ ?

শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে অনুচর বর্গের সমবিব্যাহারে একের পর এক রঙ্গীন পানীয় শেষ হয় অট্টহাস্যে

হাসির ফোয়ারায় উঠে হিল্লোল শত কান্নার করুন মর্মন্তুতের মর্মান্তিক প্রতিচ্ছবি !

আর তোমাদের অট্টহাস্যের বিদ্রূপ অসহনীয় পরিস্থিতি করে তোলে তাদের জীবন জীবিকা |

রাজা রামমোহন তো সতীদাহ প্রথা করেছিলেন নিবারন,

তাঁদের আর্ত চিৎকার যাতে কেউ শুনতে না পায় তার জন্য বাজানো হত ঢাক,ঢোল, কাঁসর, ঘন্টা খুব ঘটা করে,

তাতে তোমাদের সমাজের মান উজ্জ্বল রাখতে

আজকের দিনেও কি তার পরিবর্তন হয়েছে বিন্দুমাত্র ?

উৎসবের নামে তুমি আজ যে সতীদাহ প্রথা দেখালে তা সতীদাহ কে ছাপিয়ে

যায়,

এইখানে শুধু সতী নয এই অর্ন্তজলী যাত্রায় একযোগে সামিল আবাল বৃদ্ধ বণিতা সব !

আর তোমার এই চড়াম চড়াম ঢাকের আওয়াজে

কতদিন থাকতে পারবে তুমি কানে তুলা গুজিয়ে

আচ্ছা বলতো তুমি মুন ?

কখন উৎসবের পরিস্থিতি আসে ?

সকল কর্ম র্নিবিগ্নে পরিসমাপ্তির অন্তে ক্লান্ত কায়া অবসন্ন মন যখন একটু চায় স্বস্তির শ্বাশ,

তখনই আমরা আহ্বান করি উৎসবের

যাতে দেহ মন পুনর্জীবিত হয়ে ওঠে কর্মক্ষম,

এবং পুনরায় ঝাঁপিয়ে পড়ি কর্মযজ্ঞে

সত্যি করে তোমার বুকে হাত দিয়ে বলতো, এবারের পরিস্থিতি কি তাই ছিল ?

তাহলে অহেতুর হেতুর কারন হলো কিভাবে জানতে পারি কি ?

কোন অভিসন্ধি সিদ্ধ করতে আর্তের আর্তনাদ আজ তোমার খুব প্রয়োজন ?

মনে নেই শান্তি,

অয়বব ক্রমশ শীতল থেকে শীতলতর,

আর কর্ম ?

তার তো শুধুই রূপরেখার পর রূপরেখা প্রস্তুতেই ব্যস্ত,

কখন ,কিভাবে ,কেমনে ,কোথায় হবে সমাপন তার আগাম বার্তা কেউ দিতে পারে না,

তবে এই চরম সময় উৎসবের খুব কি ছিল প্রয়োজন ?

যার হাত ধরে হতে পারে ছিয়াত্তরের মন্বান্তর

তুমি কি তাই চাও মুন ?

এই রকমই হোক বাস্তব পরিস্থিতি,

যাতে তুমি ঘোলা জলে শোল মাছ ধরে ভালো ভাবে ঝোল খেতে পারো ?

 

তুমি কি দেখেছো তাকে ?

কবিতা(গদ্য)

তাং-২১,১০,২০২০,

 

তুমি কি দেখেছো তাকে ?

এই আগমনির শুভ প্রাক্কালে

বোধনের দিনতো আসন্ন,

কিন্তু !

খোঁজ মিলছে না তার

কতই না খুঁজেছি তাকে ঊষার প্রাক্কালে শিশির ভেজা ঘাসের ডগায়

সবুজ শ্যামল ধান্য ক্ষেত্রে |

জিজ্ঞাষা করেছিলাম সব ধানের পল্লবে

না, পাইনি কোনো উত্তর

একটি পল্লব মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল,

মনে হলো সে আমার প্রতি খুব আকৃষ্ট

মাথা হেলে কাছে ডাকলো আমায়

বল্ল কি খবর ?

কাকে খুঁজছেন মহাশয় ?

আমি হতচকিত হয়ে দাঁডিয়ে পড়লাম তার সম্মুখে

তারপর কিছুক্ষন,

নিজেকে সামলিয়ে বললাম,

তার যে আসার কথা ছিল তাকে তুমি দেখছো কি ?

কার কথা বলছেন ?

ওঃ তার বুঝি ?

আপনার কি মাথা খারাপ হয়েছে মহাশয় ?

এখন তিনি কি সেই তিনি তে আছেন ?

ভারি বুদ্ধির বলিহারি আপনার

শোনেননি তাকে মোটা টাকার বিনিময়ে তারা কেড়ে নিয়েছে ?

সে কি আর আপনার আমার আছে ?

আর তিনি আসবেন বা কেন এই জল, কাদা, মশার মিছিলে ?

যেখানে পদে পদে কঠিনের কড়াল কামড়

তাছাড়াও ডেঙ্গু যেখানে ওৎ পেতে আছে বসে

তিনি তো এখন একশ শতাংশ অ্যালকোহলে নিজেকে স্যানিটাইজ করে সো পিস রূপে তাদের সো কেসের শ্রীবৃদ্ধি করছে শ্রীদের সমাহারে

আমি খুব লজ্জিত বোধ করলাম

সত্যিই তো আমি একটা র্নিবোধ |

বৃথায় আমি তন্ন তন্ন করে খুঁজেই চলেছি আসমুদ্র হিমাচল

কতজনকেই না বলেছি তার কথা

কত আশা আকাঙ্খা স্বপ্ন নিয়ে ইচ্ছা গুলি কে একটু তার হাতের ছোঁয়ায় ছুঁয়ে দেব বলে

এমনিতে শত প্রতিবন্ধকতা তার উপর প্রাকৃতিক বিপর্যয়,

তার উপর গোঁদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত কঠিন কঠোর

ভুলেতে ভুলে গিয়েছিলাম আমরা সাধারন জনগন

আর দশজনের মতো

আরো গিয়ে ছিলাম ভুলে এখন তারাও তাদের মত সাধরনের আর্জি আর শোনে না

দেব দেবীরও তো একটা স্ট্যাটাস রয়েছে

তাই তুমি কি দেখেছো তাকে ?

কথাটা আজকে বড়ই অপ্রাসঙ্গিক ?

তাই নয় কি ?

কি বলেন আপনারা ?

 

 মন

তাং-২০,১০,২০২০,

 

মনের মানসিক অবস্থায় আজ ধরেছে মরচে খুবই মর্মান্তিক

মরিয়া গিয়াছে সে মানবের মরমে মরমে মমতায় নেই মায়া তাই সে অমানবিক

কার্বনডাইঅক্সসাইডের কার্বনের কারনে কপালে তার কার্বোঙ্কাল

রক্তিম রক্ত আজ নেই রঙ্গীন ষড় রিপু আজ রিক্ত হয়েছে রসাতল

বিকারে বিকারগ্রস্থ সে বিনম্রতা নেই বিষয়ে আশয়ে বিনিময়ে

মনেতে মাতিয়া আছে মাতন মনে মনে করো রচনা মহাভারত লক্ষ্য রামায়ণে

কেন ,কখন ,কিভাবে, কেমনে, কোথায় ,কিরূপে করবে কভার, কাফন কবরে

নেশা তার নিত্য নিত্য করে নিপীড়ন নিদারুনে হয় নিরুপন নিয়ম করে নিরবে

বসন্তের বাহার নেই বহাল আর বপুতে বয়না শিহরণের বায়ু

শরতের শেফালী আর হয়না সুসোভিত শাপলা,শতদল, শালুক নেই পরমায়ু

শীতের শীতলতর হস্ত শিথিল করেছে মনের শিশমহল

বর্ষায় হয়না বর্ষন অমিয় বারিধারা বর্ষিত হয়. শুধু অশ্রুজল

মন তুমি কেন আজ নও মানবিক মাঠে ময়দানে তাই দামালরা মাতাল |

বিবেককে কি দিয়েছো. বিকিয়ে বন্দরের বাজারে মিছে ব্যস্ততায় আজ হযেছো বাচাল

 

শুধু জানি তুমি যদি একবার বলতে

কবিতা(গদ্য)

তাং-১৭,১০,২০২০,

 

শুধু জানি তুমি শুধু একবার বলতে-

তবেই সূর্য্য হত রঙ্গীন খুশীতে হেসে উঠত সকাল খিলখিলিয়ে,

মেঘের আড়াল থেকে হাতছানি দিয়ে করতে ইশারা আমি আছি তোমার পাশে

কুয়াশায় সমাচ্ছন্ন যত সব বাগ- বাগিচায় রঙ্গীন প্রজাপতি গুলি রঙের বাহারে আরও আর্কষিত করত সকলকে

আমি জানি শুধু তুমি একবার যদি বলতে-

তবে প্রবাহীনি প্রবাহ হত কলকলিয়ে ছন্দ,তাল, সুর,লয়ের সমবিব্যাহারে

বায়ু সেতো কতকাল ধরে তোমার অপেক্ষায় অপেক্ষারত তেপান্তরের বোধীবৃক্ষ তলে

একদিন সে বলেছিল আমায় -

তুমি যদি শুধু একবার বলত তাকে-

তবে কি আর আমি হাত পা গুটিয়ে এইখানে বসে থাকি পৃথিবীকে মৃতপ্রায় রেখে

তুমি যদি একবার শুধু বলতে-

হিমশৃঙ্গ হিমগিরি আজ হতনা বিগলিত,

বাদল ভাঙা হরপাবানে ধ্বংস হতনা প্রাণীকূল |

বিনম্রতায় মাথা নোয়াত সে তোমার পদতলে

জানি শুধু তুমি একবার যদি বলতে-

মরুসাহারায় দেখা দিত সবুজের সমারোহ,

নীল নদ বলত ডেকে দেখো-

আমি আমার প্রবাহধারার হাত ধরে পৌঁছে যেতে স্বর্গের নম্দন কাননে

পেয়ে যেতে অমরত্বের স্বাদ

জানি শুধু তুমি একবার বলতে-

মারিয়ানা খাত সেও বলত তোমায় ,

আসো তোমায় নিয়ে ঘুরে আসি স্বর্ণলঙ্কায়

দেখবে তোমার দুই নয়ন যাবে জুড়িয়ে

জানি শুধু তুমি একবার বলতে -

ল্যাম্ববার্ট সেও আলমোড়া ভাঙ্গিয়ে হাই তুলে অস্পষ্ট স্বরে বলত ডেকে তুমি কি ডাকলে আমায় ?

বল কি করতে হবে ?

একমুঠো উষ্ণতা উজ্জ্বল আলোকে প্রাণবন্ত পৃথিবী দেব উপহার তোমায় ?

তুমি যদি বলতে.................!

 

যেদিন আমি তোমার মত হব

কবিতা(গদ্য)

তাং-১৬,১০,২০২০,

 

যেদিন আমি তোমার মত হব-

তুমি তো শুধু ইচ্ছে গুলিকে করে দাও খুন |

আমি কিন্তু ইচ্ছে গুলিকে দেখিয়ে রঙ্গীন প্রজাপতিকে মানিয়ে দেব হার সকলের মুখ করে দেব চুন

যেদিন আমি তোমার মত হব-

তুমিতো শুধু কন্ঠগুলি কে দিয়ে যাও নিয়মিত সিরাপ,

যেন শুধু তোমার কথায় কথা মিলিয়ে বলতে পারে হ্যাঁ

আমি কিন্তু তোমার মত হয়েও তবুও করবনা তোমার মত কাজ,

সিরাপের বদলে দেব দুধ জল ফোঁটাব ভাষা যেন তারা স্পট করে বলতে পারে কথা পরিষ্কার বাংলা ভাষায় বলবে বাংলা আমার সত্যিকারের মা

যেদিন আমি তোমার মত হব-

তুমি তো শুধু বাধ্য কর থাকতে বাধ্য হয়ে,

মানুষকে বানাও তোতা, কাকাতুয়া, টিয়া

আমি কিন্তু তা করবনা কখনো খাঁচার সকল দ্বার করব উন্মুক্ত ভালোবেসে,

বলব তাঁদের যাও মুক্ত গগনে কর বিচরণ বন্ধু আমার,

দেখ কত সুন্দর প্রকৃতি তোমাদের জন্য করছে অপেক্ষা,

চোখের তৃষ্ণা মনের তৃপ্তি মিটিয়ে পেটের টানে যখন পরবে টান,

তখন মোর কথা মনে কর বন্ধু ফিরে এসো তোমার বন্ধুর জীর্ণ পর্ণ কুঠিরে যথা সাধ্য করব আপ্যায়ন,

মানুষ করে তুলবো তোমাদের

যেদিন আমি তোমার মত হব-

তুমি তো শুধু তোমার স্বার্থে বায়ুমন্ডলে করছ কার্বনডাইঅক্সাইড এর পরিমান বৃদ্ধি,

যাতে অবশিষ্ট প্রাণীকূল হয় তোমার স্মরণাপন্ন

আমি কিন্তু কখনোই করবনা তা,

প্রথম কাজই হবে আমার অপরিমিত বৃক্ষরোপন |

সুন্দুর পৃথিবীতে যেন কেউ আর তার প্রাণ বাঁচানোর জন্য কারো নিকট প্রাণভিক্ষা নিতে ছুটে যেতে না হয়

যেদিন আমি তোমার মত হব-

তুমি তো শুধু গভীর হতাশা গাঢ় অন্ধকারে ছেয়ে দাও পৃথিবী,

যাতে অনাচার, ব্যাভিচার, প্রতারণা ধর্ষকরা উদ্দ্যাম নৃত্য নেচে মাতাল জুয়াড়ীদের অঙ্গনে তোলে কামুকতার চরম সপ্তম সুর

আমি কিন্তু মোটেয় কবর না তা

তাদের হটিয়ে দিয়ে প্রেম, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব সততা, বিশ্বাস কে পুনয়ায় ফিরিয়ে দেব তাদের জায়গা,

পুনরায় গাঢ় তমসা অমবস্যা কে করে দূরীকরন,

পূর্ণরাকা নব তরুণকে করব আহ্বান |

যেদিন আমি তোমার মত হব-

তুমিতো যুবক যুবতীদের রক্তাল্পতায় ভোগাচ্ছো খাদ্য থেকে খাদ্যপ্রাণ হরণ করে

নিজের নিকট নিজেরাই হয়েছে উপহাসের পাত্র

আমি কিন্তু মোটেয় তা করব না,

খাদ্য উৎপাদনে রাসায়নিক সার বিষ প্রযোগ বন্ধ করে,,

প্রাকৃতিক উপায়ে জৈব্য সার করে প্রয়োগ খাদ্যে খাদ্যপ্রাণের পুনর প্রতিষ্ঠা করব

অকালে সকল যুব সম্পদায় যেন রক্তাল্পতায় না ভোগে

আমি যদি তোমার মত হব.................!

 

সব কিছু আজ গদ্যময়

কবিতা(গদ্য)

তাং-০৯,১০,২০২০,

 

ছন্দ,তাল,লয়, সুর সব যখন বিলুপ্তির পথে,

বায়ু যখন বয় না বন্ধু তার নিজের ছন্দে,

সালোকসংশ্লেষ করতে পারেনা আজ উদ্ভিদকূল,

পৃথিবীর আহ্নিকগতি যখন স্তব্ধ প্রায়,

বার্ষিকগতির গতি ক্রমশ মন্থর,

দিকচক্রবালে সিমান্ত রেখায় আজ দৃশ্যত বহু গ্রহানণুপুঞ্জ,

শ্বাশ নিতে পারে না আর প্রাণীকূল প্রাণবায়ুর অভাবে,

উত্তরমেরু দক্ষিণমেরুতে যখন তুষার হয় উচ্চহারে বিগলিত,

তখন কি বন্ধু তোমার ছন্দ থাকবে কি ছান্দিকে ?

ছন্দের লয় কেটে সুরকে দিয়ে বলিদান,

তালের মাত্রায় আর না পড়ে যদি যতি গায়ক হয়রান

ছুরি ,কাঁচি ,বোমা ,পিস্তল ,ধর্ষক, ধর্ষিতা ধর্ষন |

নতুন নাকি বেঁধেছে সুর শ্রোতারা করে শ্রবণ ঝরে অশ্রুবর্ষন

তুমি হিন্দু?

নাকি মুসলমান না দলিত শ্রেণী ?

গানের বর্ম পরিধান করে গায়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে শোনা যায় তার কলধ্বণি

একই অঙ্গে এত রূপের বাহার চোখ ঝলসে যায়

সূর্য্য বোধ হয় পায় লজ্জা করে হায় হায়

পদ্য চিরদিন থাকেই পদ্য নিজস্ব সুর তাল লয়ে

গদ্যের গায়ে চাপানো হয় যদি সেই অলঙ্ককার আসে কি পরিচয়ে ?

তাই তো আজ সব গদ্যময় আকাশে বাতাসে দেখি তার প্রতিচ্ছবি

তুমি লেখক রইবে লেখকই কথাশিল্পী যেমন পারে না হতে রবি

 

নিজের জীবনের আলোকে

প্রতিবেদন

তাং-০৬,১০,২০২০,

 

আপনার কথা সহমত পোষন করেই বলছি তবুও কিছু কথা থেকে যায় কথার অন্তরালে চোখ মুখ বাঁধা অবস্থায়

এখন আমাদের এই পৃথিবী শুধু ১০ জনকেই Support করে বাকী ৯০ জনের থেকে

সর্বত্রই জমকালো prodioum উপস্থিত হয় তার বক্তব্য শুনানোর জন্য আর আপ্লুত হয়ে জনগন চেটেপুটে খায়

অপরদিকে যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে cript টি লিখে দিল তার কথা কেউ মনে রাখে না

এইটাই পৃথিবীর ধর্ম |

তাইতো পুঁথিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও বাস্তবতার কঠোর কড়াল কামড়ের যন্ত্রনা যে কোন দিন সহ্য করেন নি তারাই আজ ধরিত্রীপতি |

অপর দিকে ধনবানদের গঠিত সমাজে যে লোকগুলি দুই বেলা পেটের ভাত কি করে জোগাড করবে তার জন্য ইঁদুর দৌড়ে ব্যস্ত তাদের নিকট লিখাপড়া টাই দূরঅস্ত

আর কবিতা !

তাকে স্বপ্নে দেখাটাও অপরাধ |

সকলে কবি গুরুর মত সোনার চামুচ মুখে নিয়ে জন্ম গ্রহন করে নি

সেইখানে বিদ্রোহী কিশোর কবিরাও জন্ম গ্রহন করে

তারা সেইদিন শত প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে লিখেছিলেন

তাই তাদের কলম কে এখোনো কূর্নিশ করে সকলে

আমি নিশ্চই তাঁদের মত নিজেকে ভাবি না

কিন্তু তাঁদের যে করুন থেকে করুণতর পরিস্থিতি ছিল ক্ষুধা রোগ ব্যধির নিকট হার মানে নি একটা কবিতা লিখতে দুই বা তিন দিন সময় লেগে যায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে তাদের নিকট কোন পত্রিকা পড়ে মন্তব্য করা বিলাসিতা নয় কি ?

হ্যাঁ সকলেই আমরা ছাত্র এই পৃথিবী নামক বিশাল পুস্তকের কাছে

মৃত্যুর দিন অবধী শেখার সুযোগ থাকে সকলের

তবে তাকে যদি সেই সময় টুকু দেওয়া হয়

এই আপনাকে যে Reply করছি তবুও সেটা একটা ছাত্রের সময় চুরি করে

তাকে task দিয়ে

যে ব্যক্তি সকালে কি অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরুল তার কত রূপ পরিবর্তিত হতে হতে মধ্য রাত্রিতে বাড়ি ফেরে তার প্রিয় জনরা অপেক্ষা করতে করতে চোখকে আর অপেক্ষা করতে পারে না,

পুত্র তার পিতার অয়বব ঠিক মত বর্ণনা করতে পারে না তার নিকট কবিতা লিখাও বিলাসিতা নয় কি ?

জানি না বিশ্বাস করবেন কি না ?

কিন্তু এটাই আমার বাস্তব জীবন

অপরাধ নেবেন না

ভালো থাকুন

আর আমাদের নরকের কীটদের একটু না হয় ভালো চোখে দেখবেন

এই আর কি

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.