Header Ads

Crazy Meye | ক্রেজি মেয়ে । ছোট গল্প । নাটক । এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ক্রেজি মেয়ে

                                                                                   এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

Crazy

ছেলে রিক্সা নিয়ে যাবে। আর মেয়ে সামনে গিয়ে রিক্সা আটকাবে।

মেয়ে- দাড়াও দাড়াও এই দাড়াও কই যাচ্ছ ? এই বলে রিক্সা আটকাবে।

ছেলে :- একটু ভিতু হয়ে। কেন তোমাকে বলতে হবে কেন ? তুমি কে ?

মেয়ে :- আমি কে মানে ? দুদিন পর আমাদের বিয়ে আর তুমি বলছো আমি কে ? নামো রিক্সা থেকে।

ছেলে :- না আমি নামতে পারবো না। আমি একটু ব্যাস্ত আছি। এই রিক্সা যাও।

মেয়ে :- এক দম না। এক পা এগুলে তোমার খবর আছে, নামো বলছি। আমার সাথে এখন এক ঘন্টা সময় দিবে তার পর যেখানে খুশি যাও।

ছেলে :- অসম্ভব ! তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।

মেয়ে :- তুমি নামবা ? না কলার ধরে নামাবো ?

ছেলে :- ওকে ওকে নামছি। মান সম্মান নস্ট করো না।

মেয়ে টি রিক্সার ভাড়া দিবে। এবং দুজন বসে গল্প হবে।

মেয়ে :- আচ্ছা তোমার পেছনে যে আমি ৩ বছর ধরে ঘুরছি তুমি কেন বুঝনা ? আরে আমি একটা ছেলের দিকে তাকালে সে ১ মিনিটে পাগল হয়ে যায়। আর তুমি ! তোমার জন্য আমি আমার জানটা দিতে পারি তার পরেও তুমি আমার দিকে তাকাও না কেন ?

ছেলে :- আসলে আমি যেরকম মেয়ে চাই, তুমি সেরকম মেয়ে না।

মেয়ে :- কি রকম মেয়ে চাও তুমি। তুমি যেমন মেয়ে চাও আমি তেমনি হবো। তোমার জন্য আমি সব করতে পারি শুধু একবার বলো আমাকে কি করতে হবে।

ছেলে :- আসলে……… বলবো ? শুনতে পারবে তো।

মেয়ে :- একবার বলেই দেখনা পারি কিনা।

ছেলে :- তোমাকে আমিও মনে মনে পছন্দ করি। কিন্তু …..

মেয়ে :- কিন্তু কি বলো।

ছেলে :- মেয়েরা হবে মেয়েদের মতো। একটু লাজুক প্রকৃতির । যা বলবো তাই শুনবে। না শুনলেও তা সুন্দর করে আদর মাখা কণ্ঠে স্বামীদের বুঝাবে। স্বামী স্ত্রীর এমন মধুর ব্যাবহার দেখে পাগল হয়ে যাবে। আমি এরকমি পাগল হতে চাই। তা না কেমন যেন বাঘের মত গর্জন করো তুমি। পুরো এলাকায় মাস্তানি করে বেড়াও। আমার মোটেও ভাল লাগে না।

মেয়ে :- আমিতো বলেছি তোমার জন্য আমি সব করতে পারবো।

ছেলে :- সত্যি বলছো পারবে তো।

মেয়ে :- পারবো না মানে ১০০% পারবো।

ছেলে :- ঠিক আছে তাহলে আমিও তোমার হয়ে গেলাম। আর আজি আমি আমার বাবা মা কে তোমার কথা বলবো।

মেয়ে :- থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ। কাল তুমি এখানেই আসবে, আমি তোমার জন্য ওয়েট করবো। তোমার বাবা মা কি বলে জানাবে।

ছেলে :- ঠিক আছে চলো আজ উঠি।

এই বলে উঠে যাবে।

বন্ধুর সাথে দেখা হবে।

ছেলে- দোস্ত তিনার প্রস্তাবেতো আজ রাজি হয়ে গেলাম।

ফ্রেন্ড- কেন তুই যে এতো দিন বললি ওর মতো মেয়ে নাকি তোর পছন্দ না।

ছেলে :- আমার সব কথা সে শুনবে বলেছে। আমি যে ভাবে চাই সেভাবেই সে চলবে।

ফ্রেন্ড :- কিভাবে সম্ভব ও যে দজ্জাল মেয়েরে বাবা।

ছেলে – দেখি আগে চেন্জ না হতে পারলে । সম্পর্ক থাকবে না।

ফ্রেন্ড – দেখ কি হয়।

এই বলে চলে যাবে বা । ফোন রাখবে।

পরের দিন মেয়েটি ছেলেটির জন্য ওয়েট করবে।

ছেলেটি আসবে এবং সামনে দাড়াবে।

মেয়ে : ওয়া্ও এই টি শার্ট এ তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে। কোথা থেকে কিনেছো এই টি শার্ট ?

ছেলে - ভারগোর শোরুম থেকে।

মেয়ে – তাই নাকি ? ভারগোর ডিজাইনতো অনেক সুন্দর। লেডিস আইটেম আছে কি ?

ছেলে – হ্যাঁ কেন থাকবে না। লেডিস আইটেম আরো সুন্দর।

মেয়ে – কোথায় শোরুম ?

ছেলে - সব যায়গায় আছে বসুন্ধারা সিটি, উত্তরা, মোহাম্মাদপুর,বরিশাল, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, নওগাঁ।

মেয়ে – আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে আমাকে তুমি কাল নওগাঁ শোরুমে নিয়ে যাবে। আমি কিছু ড্রেস নিবো।

ছেলে – আচ্ছা শোন আমরা এ রকম দাড়িয়ে না থেকে বসে কথা বলি।

দুজন বসবে।

মেয়ে- আচ্ছা তুমিযে তোমার বাবা মাকে আমার কথা বলতে চেয়ে ছিলে বলেছো ?

ছেলে - একটু মন খারাপ করে- হ্যা বলেছি কিন্তু …….!

মেয়ে- কিন্তু কি ?

ছেলে- মেনে নেয় নি।

মেয়ে- মেনে নেয় নি মানে । আমি কি এতোই খারাপ।

ছেলে- খারাপ না। তুমি এলাকায় মাস্তানি করো।

মেয়ে- আমি সব ছেড়ে দিবো। প্লিজ । তোমার জন্য আমি সব করতে পারি। কিন্তু তোমাকে ছাড়তে পারবো না।

ছেলে- তাতো জানি। আমিওতো তোমাকে ছাড়তে পারবো না। দেখি কি করা যায় ।

মেয়ে- চলো আমরা পালিয়ে যাই।

ছেলে- পালিয়ে জাবা ?

মেয়ে- হ্যাঁ।

ছেলে- পালিয়ে গিয়ে আমরা চলবো কিভাবে।

মেয়ে- আমার মার অনেক সোনাদানা আছে। অগুলো দিয়ে আমরা ১ বছর অনায়াসে চলতে পারবো। আর এর মধ্যে তুমি একটা কিছু করে নিও। তাছাড়া ১ বছরের মধ্যে আমাদের বাবা মা এমনিতেই রাজি হয়ে যাবে।

ছেলে- ঠিক আছে ভাবি ভেবে তোমাকে জানাবো।

মেয়ে- জানাবো না। কালকেই তুমি চলে আসিবে আমরা পালবো।

ছেলে- ভয় লাগছে খুব।

মেয়ে- ভয় নাই, কাল তুমি এখানেই আসবা। আমি তোমার জন্য ওয়েট করবো।

ছেলে- আচ্ছা ঠিক আছে।

ছেলেটি ভাববে। কিছুক্ষণ।

পরের দিন

মেয়েটি একটা ব্যাগ নিয়ে ওয়েট করবে।

ছেলেটি কোন ব্যাগ ছাড়ায় আসবে।

মেয়েটি দেখে একটু অবাক হয়ে- কি ব্যাপার তুমি খালি হাতে এসেছো কেন। পালাবে না।

ছেলে- দেখো তিনা বাবা খুব অসুস্থ । তাকে যদি এ অবস্থায় রেখে যাই। তারা বাঁচবে কি করে।

তাছাড়া কাল আমি তোমাকে নিয়ে অনেক ভেবেছি। পালিয়ে বিয়ে করা কোনো মহত কাজ নয়। এটা খুবই একটা জঘন্য কাজ। এতে বাবা মা যে কষ্ট পাবে তাতে আমরা কোন দিনই সুখে থাকতে পারবো না। তার চেয়ে তাদের কে রাজি করিয়ে বিয়ে করাটায় হচ্ছে মহত কাজ। আমরা দু’জন যদি সত্যিকারের ভালবেসে থাকি। তাহলে তারা রাজি হবেই। বাবা মা কে রাজি করিয়ে বিয়ে করার মত মজা আর কোথাও নেই।

মেয়ে-  জড়িয়ে ধরে, সত্যি তুমি অনেক ভালো।

এই গল্পের নাটক দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন- ক্রেজি মেয়ে

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.