Header Ads

মাসিক ‘কবিতাকণ্ঠ’ জানুয়ারী-২০২১, বর্ষ-১৪, সংখ্যা-৫৭

কবিতাকণ্ঠ

পরিচালনা পর্ষদ

সম্পাদক :

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

 

নির্বাহী সম্পাদক:

কবির পথিক

প্রধান শিক্ষক(উপশহর  আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়,বগুড়া)

 

উপদেষ্টা সম্পাদক: 

কাজী হানিফ

(সিনি: ইন্সটাক্টর, টিটিসি)

 

প্রচ্ছদ:

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

জানুয়ারী-২০২১ (বর্ষ- ১৪, সংখ্যা- ৫৭)

আর  একজন   নজরুল   চাই

 ----------------------------------------------

 

সম্পাদকীয়

      প্রথমে জানাই সকল কবি ও লেখক গনদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা। ২০২০ সাল কারোই ভালোভাবে কাটে নি। অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছে। অনেকে ব্যবসা হারিয়েছে। অনেকে করোনায় চিরবিদায় হয়েছে। এক কথায় ২০২০ সাল খুব একটা খারাপ অবিজ্ঞতায় পার হয়েছে আমাদের। সকলের জন্য দোয়া করি যেনো ২০২১ সাল সকলের জন্য বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ। দেখতে দেখতে কবিতাকণ্ঠ আজ ১৪ বছরে পদার্পণ করলো। আপনারা নিয়মিত কবিতা লিখে এই ডিজিটাল যুগে সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রাখবেন । এই কামনাই করি। ধন্যবাদ সবাইকে।

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

 

অন্য জীবন

সেলিম আলতাফ (খুলনা)

 

ফুটপাতে যাদের সংসার,

জীবন যাপনের যত আয়োজন,

তাদের সাথে দুঃখরাই মিতালি করে অহরহ।

ভোরের আলো থেকে শুরু করে

রাতের শেষ কালোটুকু পর্যন্ত বেঁচে থাকার

সংগ্রাম নানাবিধ, নানা রঙ।

এখন এই শীতের শহরে তাদের জন্য কষ্টরাই

শুধু আষ্টেপৃষ্টে থাকে বন্ধুর মত।

হু হু বাতাসে কোন দয়াময় মানুষের দেয়া

পাতলা কম্বলে প্রাচীর হয়না ঠেকাবার।

পা মাথা মুড়ে অপেক্ষায় থাকা সকালের

রোদ আরামের।

কুয়াশা কাটায় না অলক্ষুণে সময় সহসা,

ক্ষিধে নিবারনে যাওয়া হয়না কোথাও- পাওয়া যায় না কিছু কারো দয়ায়।

ফুটপাতের জীবন আর ফুটপাতের মানুষ সব

যেন আবর্জনার স্তূপ শহরের শরীরে।

তাদের নিয়ে ভাববার সময় তেমন কারোর নেই।

শুধু কর্তব্য আছে দু'একটা পুরাতন গরম জামা কাপড়, কম্বল আর কিছু টাকা দান।

কষ্টগুলো হঠানোর ব্যবস্থা কোথাও নেই

কখনো কোনসময়।

 

কড়া লিপিস্টিক ঠোঁটে

চাইনা বৃষ্টি ছোঁয়া।

কবির পথিক (বগুড়া)

 

বনপোড়া হরিনের মতো

গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে

পুড়ে খাক হয় লকলকে জিহ্বা

 

একচিলতে শুভ্র-শীতল মেঘের আশায়

কিযে অধির আগ্রহে ফটিকজল

তবু চাইনা বৃষ্টি।

 

ডাস্টবিন গুরোর খাদ্য বিপ্লবে

মানব অস্তিত্বের

মোনালিসার রহস্য ঘেরা হাসি তবু থাক

মানব পাজর ভাঙ্গা ভ্রুন-বিনাশ বৃষ্টি

 

অস্থি চর্মসার চক্ষু কোঠরে

ধুকে ধুকে খোড়া পায়ে

তেলহীন প্রদীপ তুবু

ক্ষীণ আলো ছড়াক চৈত্রে,বৈশাখে,গ্রীষ্মে

রাস্তার মোড়ে, ফুটপাতে

ধার আনবিক বোমার গোল্লাছুট

আর ল্যাম্প পোস্টের নিচে

আলো আধারের লেখায় জীবন যাপন।

 

কোনো একদিন

সুব্রত কুমার মোহন্ত (ভারত)

 

শুক্লা তিথির কোনো এক শ্রাবণ রাতে

ঘন কালো আঁধারে ঢেকে যাবে আকাশ,

রূপোলী চাঁদ হারিয়ে যাবে দূরে কোথাও।

তারপর-- মেঘের গুরুগুরু, রিমঝিম বৃষ্টি

টুপটাপ টুপটাপ ঝরে পড়বে কদমফুল ছুঁয়ে--

অশ্বত্থের ঝুড়ি বেয়ে, পলাশ পল্লব চুয়ে।

সময়টা হবে, শনিবার রাতগত ভোর পাঁচটা কুড়ি।

এলোমেলো দুলতে থাকা দোলনাটা ছিঁড়ে যাবে অকস্মাৎ

দোলনার ভেতরের বৃদ্ধ শিশুটার চোখে জল গড়াবে দু'ফোঁটা

ভীষণ জোরে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠবে মেঘবালক,

ঠিক যেমন করে কেঁদেছিলো মানুষটা জন্মাবার সময়।

রবিবার সকাল থেকেই চলবে পারিপাট্যের আয়োজন

যত্নআত্তি, ফুলচন্দন, স্নান, ধূপ, গীতাপাঠ, কান্দন।

ইতিমধ্যে নিথর শরীরে অদৃশ্য অণুজীবের ঘরবসতি।

দুপুর বারোটা নাগাদ জ্বলবে চিতা শ্মশানে, উড়বে ছাই ঊর্ধ্বপানে।

এরপর-- যতসব শুদ্ধাচার, কতসব আয়োজন

একেবারে যেন সানাই, কাঁসর বিহীন বিয়েবাড়ি।

স্বল্প কিছুদিন গত; মেকি শোকাবহ, মুখোশ থেকে মুখ।

আবার আকাশে উঠবে চাঁদ, ফুটবে কদম, পাতায় পাতায় খেলবে জ্যোৎস্না।

 

নবীনের জয়গান

সামিয়া আক্তার (বাংলাদেশ)

 

বাংলা হাসবে ; বাংলা ভাসবে একদিন ;

নবীনের জয়গানে। জরাজীর্ণ পৃথিবীতে ফিরবে আলো ;

নতুনের আহবানে। ধূসর পৃথিবী দেখবে স্বপ্ন ;

মুখরিত কোলাহলে , প্রাণবন্ত নবীনের উচ্ছ্বসিত জয়গানে।

ঘুচবে যতো হতাশা ; পুরাবে যতো ব্যাথা, নবীনের আহ্বানে।

ঝলমলে রোদের ঝলসানিতে ; যেমন কেটে যায় কুয়াশার চাদর।

নবীনের আগমনে ; তেমনি ভাবে কেটে যাবে ,

ধূসর পৃথিবীর সকল আঁধারের ঘোর।

হাসবে পৃথিবী ভাসবে জগৎ ; নবীনের উচ্ছ্বসিত জয়গানে।

আশায় বাঁধবে মানুষ ; নতুন করে জীবনটাকে , দুঃখ নামের অতিথিকে বিদায় দিয়ে।

হাজারো হতাশার গ্লানি ; মুছে যাবে এমনি করে একদিন , নবীনের জয়োৎসবে।

হে নবীন! তুমি এসো ফিরে বারবার ; বিজয় নিশান উড়িয়ে ,

জরাজীর্ণ পৃথিবীকে নতুন করে সাজাতে।

তোমারই প্রতীক্ষায় কাটছে ; আমাদের সকল প্রহর।।

 

ফজর কাটে ঘুমে

বাবুল আখতার (বাংলাদেশ)

 

সন্ধ্যা কাটে দোকান-পাটে ঘুমায় গভীর রাতে,

আজান আমার যায় না কানে ফজর কাটে ঘুমে।

সূর্য উঠার দু'ঘণ্টা পরে চায়ের চরম নেশায় ধরে,

চা,বিস্কিট,পান,বিড়ি টেনে এভাবেই সকাল কাটে।

কৃষকের ছেলে কৃষক আমি মাঠে-ঘাটে যায় ছুটে,

যোহরের আজান শুনে আসি আমি বাড়ি ফিরে।

হাঁস-মুরগি, গোরু- ছাগল আছে সবি বাড়িতে,

বাস করতে সবকিছুই লাগে থাকি আমি গ্রামে।

আসরের আজান শুনে গোরু ওঠায় গোয়ালে,

টুকিটাকি কাজ সেরে মাগরিবে যায় দোকানে।

এশার আজান কখন হয় যায় না আমার কানে

সময় কাটে তো চা পানে,গল্প-গুজব আর চাটামে।

আমি বাড়ির কর্তা তাই সবাইকে রাখি শাসনে,

রাতের ভাত খেয়ে সবাই আমার ভাত রাখে খুলে।

এভাবেই চলছি আমি চলছে সমাজের দশ জনে,

সবার মুখে শুধু নীতিবাক্য শুণ্য কেবল কাজ-কামে।

 

বিড়ম্বনা

লেফাফা দুরস্ত (জয়পুরহাট)

 

কান যে আনমনে ভাবিতেছিলুম তোকে

তুই কি আর খেয়াল রাখিস মোর?

অযাচিত অশোভন ভাবনাটা যেমন

করো কাছে মনে হয় আস্ফালন।

উর্ধ গগনে চাতক পাখির মতোন

হারিয়ে যায় বেলায়, অবলীলায়, দুশ্চিন্তায়

এখনো হয়নি সময় মোর, তাই সপ্নে বিভোর।

অহেতুক বিমর্ষ দার্শনিকের ন্যায় উদ্দাম অভিজাতীয়

কোনো এক সন্ন্যাসীর আবেশে, ঘোর উত্তরের দেশে

হারিয়ে সূদুর জাগতিক বন্দনা ছেরে, হয়তো তোকেই

খুঁজি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মহাকর্ষ সূত্র ধরে, প্রতারিত বন্দনায়

চোখেমুখে পাষবিক হিংস্রতা নিয়ে।

কান যে মহারণে? আশ্রয় গ্রহণ করতে

হারিয়ে গেলি, আশ্চর্য জাদুকরী শব্দের ব্যবহারে।

তুই কোথায়? কোন বন্দনাবাক্য শুনে নিঃশব্দে চলছিস

অহেতুক বিমর্ষ বিড়ম্বনা কি সইছিস?

না- কি আজ- ছুটে চলছিস কোনো কাব্যিক পরমানন্দে?

কোন কালে আর্যগণের ঘনিষ্ট সম্পর্কের অবনতির ফলে

আজাচিত অশোভন ভাবনাটা তোর এতোটা কঠোর।

পরমানন্দের মূর্তরূপে অশুদ্ধ বাক্যগঠন দেখে

আজ আমি অতিক্রম করার চেষ্টারত

কোনো এক অহেতুক বিমর্ষ বিড়ম্বনাই

সূদুর জাগতিক বন্দনাই অভিলাষের সপ্নগুলোকে।

 

অনুভূতির ঊর্ধ্বে

রীতম দত্ত (ভারত)

 

তাড়া করে বেড়ায় আমাকে সে

ঘন কালো অন্ধকারে, ভোরের আবছা অন্ধকারে;

সে আমার পিছু নেয়,

আমাকে অনুসরণ করে সর্বত্র; দিনের প্রখর সূর্যরশ্মির মধ্যেও

আমি সারাক্ষণ দৌড়ে পালিয়ে যেতে চায়

আমি প্রতিযোগীতা করে হারাতে চায় তাকে

কিন্তু সে তারপরেও জিতে যায়

আমি হেরে গিয়ে মিলিয়ে যায় শূন্যে

আমি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় অসীমতায়।

সে তাড়া করলে না রাখে পালানোর অবকাশ

তবুও আমার বৃথা চেষ্টা তার থেকে দূরে যাওয়ার

অসহ্য সে, বিরক্তিকর সে;

নিজেকে সে সত্য মনে করে

বাস্তবিক অর্থেই সে নিরেট।

কত কথায় তাকে ভোলানোর চেষ্টা আমার

কাজে এলো না বিগব্যাঙ তত্ত্বের বর্ণনা

কোনো প্রভাব পড়লো না শুক্রাণু- ডিম্বাণুর মিলন কাহিনী

সে সর্বযুক্তির ঊর্ধ্বে

সর্ব কবির উপরের কবিতা সে

সে মহাকাল, সে- সর্ব লোকের মহারাজ

ঘুরেফিরে তাকেই স্বাগতম জানাই ঘরের বন্ধ দরজা-জানালা খুলে।

নিষ্ঠুর এক, নিরেট এক

এক অদ্বিতীয় সত্য তুমি

তোমাকে হারাতে চেষ্টা আমার অবিরত

তুমি তা স্মরণে রেখো;

কে তুমি? উৎসুক চোখে সকলের প্রশ্নবানে জর্জরিত আমি

উত্তরিলাম সে হলো মরণ।

 

ভালোবাসা

সৌরভ মজুমদার

 

এতো ভালোবাসা নয়তো অন্য কিছু,

মনের অনুভূতি ছাড়ছে না পিছু।

তাকে এতো ভালো লাগে কেন?

এটা তো আমার হৃদয়ের আকুতি নয়তো অন্য কিছু।

 

ফেরার

আবুল কালাম

 

আজকাল ভুল কোনো ঠিকানায় হারিয়ে যাওয়াটা ডিফিকাল্ট!

নগর জীবনে প্রথম যবে এলাম প্রযুক্তির ব্যবহার অপ্রতুল ছিল

লোকেশন দেখে রোডনাম্বার চিহ্নিত করা আমি জানতাম না।

আমি বা অন্যের হাতেও সেলফোন তখনো আসেনি! মহাসড়ক

পেরিয়ে গেছি ভুল পথে হেঁটে হেঁটে। নগর জীবনে ধুলোমাখা

সময় পার করেছি। রিকশা-অটোর যানজটে বুক বাড়িয়ে স্বপ্ন

দেখেছি। উপার্জনের কোনো উপায় না পেয়ে মশার কয়েল

বিক্রি করেছি। অবসর সময়ে জীবনকে জানতে বের হয়েছি

মহানগরে। কখনো দেখেছি ছদ্মবেশী পাগল, আবর্জনার স্তুপ!

বিচিত্র নগরে বৈচিত্র্য চিত্র দেখে অসংখ্য অভিজ্ঞতার মালিক

হয়েছি। বহু বখাটে আমাকে আহ্বান জানিয়েছে তাদের দলে।

বহু মানুষ আমাকে ভালোবেসেছে হৃদয় থেকে। বহুমানুষ আমাকে

ঘৃণাও করেছে! পরিশেষে একদিন সবার গল্পাসরকে সরগরম

রাখতে চেষ্টা করেছি। আমার থেকে অন্যের সমস্ত প্রাপ্ত কষ্ট আমি

ক্ষমা করে দিয়েছি। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় সেদিন এই নগর থেকে ফেরার হতে হতে নির্দ্বিধে বলেছি :

'আমি কখনো হারিনি, হয় জিতেছি না হয় শিখেছি!

 

এসো হে নবীন

মোঃ রায়হান কাজী

 

সব জড়তা দূরে ঠেলে

নতুনত্বকে করবো বরণ।

সৃষ্টি সুখের উল্লাসে

হৃদয়ে ছন্দের দোলা লাগে।

পুষ্প সহিত বাজিয়ে সুর,

নবীন প্রবীণ সকলকে একসাথে।

এসো হে নবীন কুয়াশার চাদরে,

আনন্দ আহ্লাদীত প্রাণে।

এগিয়ে চলো ভোরের নিস্তব্ধতা সাথে,

রবির কিরণে লহরী উল্লাসিত দিগন্তে।

নির্মল পায়ে অগ্রসর হও

শত বাধা-বিপত্তি পিছনে ফেলে।

এসো হে নবীন ভালোবাসার সাঁজে,

সাত রঙা রামধনুর উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে।

পুরানোর সাথে তোমার বন্ধন সেতু,

আসবে নবীন বসন্ত আর ধূমকেতু।

ক্লান্ত দেহে বাহুতে অফুরন্ত শক্তি,

জাগবে ধরনীর ছায়াতলে আসল সুপ্তি।

জলপাই পাতার শান্তির বানীর নিশানা,

বিশ্ব দরবারে উড়িয়ে গুছাবো তার দ্বন্দ্ব।

এসো হে নবীন সোনালি আলোর সাঁজে,

করবো তোমাদিকে বরণ শুভকামনা জানিয়ে।

 

জাত

প্রণব চৌধুরী (ভারত)

 

কে বানালো এই জাত ওগো?

তুমি কি বলতে পারো ?

সেলিমের মা?

স্বজাতী হোক না খারাপ,

তবুও নাকি অনেক ভালো ,

সারা বছর নাইবা করল দেখভাল

মৃত্যুমুখে দিতে পারবে জল,স্বর্গের পথ করবে তোমার আলো

আচ্ছা বলতো টুসির মা ?

ভিন্ন জাতীর কি হয় ভিন্ন শরীর মন ?

আমাদের যেমন ক্ষিদে পেলে দেখি সর্ষেফুল,

তারা কি দেখে নন্দনকানন ?

আমার ছেলে পায়না চিকিৎসা,

যেতে পারেনা ভালো স্কুলে

আমিনার মাও আমিনা কে দিতে পারেনা দুইবেলা খাবার,

চাল দিয়ে পড়ে জল তবুও তো আছে তারা সব দুঃখকষ্ট ভুলে

তবে কেন মা তারা বলে ওরা মুসলমান ?

আমরা তবে কেমন করে হবো হিন্দু একই যখন মোদের মান ?

কিন্তু ?

মা?

লক্ষ্য কি করেছো তুমি পাঁচতলার পরে বিমলাদের ?

কিম্বা তাদের পাশের বাড়ি রহিম আকবরদের ?

গাড়ি করে তারা স্কুলে যায় নামী সব পোষাকপরে,

যাদের বাড়ির কুকুরের খাবারও তুমি দিতে পারোনা আমায় সমগ্রবছরে

সপ্তাহে সপ্তাহে আসে ডাক্তার টিউটরের তো হিসাব নেই,

তারা কেন হবে না মা?

অন্য জাত বলতে আজ তোমাকে হবেই

তা না করে কেন বলে তারা যাস না তাদের বাড়ি,

আর ওদের বাড়ির লোকের সাথে দেখা হলে করো কেন আসতে পীড়াপিড়ি

জাত যদি মা থেকেই থাকে তারা অন্য জাতী,

অহংকারে যাদের পড়েনা পা মাটিতে আমাদের করে ক্ষতি

আমাদের ব্যথ্যায় ব্যথিত হয় আমিনারা আমরা হবোনা কেন তবে ?

পাঁচতলার মানুষেররা কি সত্যিই মানব ?

ওরাই অন্য জাত হবে

 

মনের সঙ্গে কথোপকথন

রাজীব আহমাদ (বগুড়া)

 

কত কাল দিয়েছি পাড়ি

ভুবন যেতে হবে ছাড়ি

কোন এক বেলা অবেলায়

পাপের বোঝা হয়েছে ভারী

পূণ্যের খাতা বুঝি আজ শূন্যতায়,

কি জবাব দিবো তবে প্রভুর কাছে

মৃত্যুর পরে কি বা বলার আছে আমার

বার বার করেছি ভুল

শুধরিয়ে নেই নি নিজেকে তবুও এক চুল

সময় যে ফুরিয়ে যায়

অপেক্ষার প্রহর গুনি তাই

মরীচিকাময় স্বপ্ন গুলো

পিছু ছাড়েনা তবুও ধরায়,

কতশত গল্প স্মৃতিকথা

জমা রবে জীবনের ডায়রীতে

থাকবো না কোন এক দিন

তবে কেন মিছে মায়া

এই পৃথিবীতে।।

 

বর্ণচোরা

মোঃ শাহিনুর রহমান রাসেল (রাজবাড়ী)

 

তুমি হারাম খেয়ে

দালাল সেজে

সাধুর বেশে চলো

সবার সাথে তাল মিলিয়ে

হি হি করে হাসো।

বুক উঁচিয়ে দম্ভ করে

নীতি কথা বলো।

অন্যকে ঠকিয়ে

নিজের স্বার্থ

উদ্ধার করে ছাড়ো।

ছলেবলে কৌশলতে

সবার আগে থাকো

নিজের ভুল চাপিয়ে তুমি

অন্যের কাঁধে তুলো

বর্ণ-চোরার মতো।

সব সফলেই কৃত্তি তোমার

বিফলতেই জড়তা তোমার

দায় এড়াতে_______

"উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে"

শ্রমের মূল্যায়নতা পণ্ডশ্রমে।

নিজের আয়নার পিছনে কয়

আমায় ছাড়া দেখো কি তোমায়?

অকৃতজ্ঞতায় মরি হায়!

সারা জীবনই আড়ালে রয়

কেউ রাখেনি খোঁজ তায়।

স্রষ্টার ভব লীলায়

মিছে বর্ণ- চোরায়

ঘুমিয়ে যাবে একদিন

জাগিবে না আর ইহ-দিন

কোন কিছুতেই হবে না কাজ সেদিন।

তবে কি লাভ এতো

আত্ম অহংকারে!

আত্ম বড়াই করে!

দুদিনের এই জগতে

কেবলি ভরসা

নিজের করা পূর্ণ-আমল নামা।।

 

সমতা

এম এইচ সাজু (জয়পুরহাট)

 

'সমতা ' এক মিথ্যে প্রতিশ্রুতি,

আড়ালে থেকে যায় 'বৈষম্য ' চিরকাল।

সুবিধাভোগী স্বার্থের চূড়ায়,

'অবহেলিত' যারাঃ হারায় পিঠের ছাল।

মামা কাকা আছে যাদের,

চলছে তারা হাওয়া লাগিয়ে গায়ে।

মামা দেখে ভাগ্নের দিকে,

দেখেনা, কে আছে মামার ডানে বাঁয়ে?

'অবহেলিত ' চুপসে গেছে,

ধৈর্য্য সীমানা দিয়েছে পাড়ি।

নীরবে কাঁদে সাম্যের বাণী,

আড়ালেই থাকে কিছু আহাজারি।

 

স্পর্শের সমাপ্তি

যাযাবর জীবন

 

এই যে আঙুলে আঙুল ছুঁয়ে থাকিস!

মুঠোতে ভরে হাত,

এভাবেই বছরের পর বছর পার হয়ে হয়ে

স্পর্শে স্পর্শে কেটে যাচ্ছে যুগ যুগ রাত;

সেই যে প্রথম রাত থেকে শুরু

আঙুলে আঙুল, হাতে হাত

তিরিশ বছর হয়ে গেলো আজো রাতে মুঠোবন্দি হাত

ওখানে ভালোবাসা, নির্ভরতা আর ঘুমনোর অভ্যাস;

জীবনের হিসেবে তিরিশ বছর বেশ অনেকটাই সময়

মহাকালের হিসবে হয়তো তিরিশ সেকেন্ড মাত্র!

আমরা আমাদের জীবনের হিসেবেই বাঁচি, জীবনকে ঘিরে

সুখ দুঃখ হাসি কান্নার অনুভব সব দাম্পত্য ঘিরে;

কোন এক রাতে হাতে হাত ধরে ঘুমোতে যাবি

তাহাজ্জুদের এলার্মে কিংবা ফজরের আজানে ঘুম ভেঙে উঠবি

আমার হাত তখনো তোর মুঠোবন্দি,

হয়তো কোন এক গরমের রাতে ফ্যান চলছে ফুল স্পীডে

এই গরমেও হাতটা কি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ঠেকছে?

কিংবা হয়তো কোন এক শীতের রাতে লেপমুড়ি দুজনে

লেপের ওমের নিচেও হাতটায় বরফ অনুভূতি,

একটু কি চমকে উঠলি?

নামাজে ওঠার জন্য ধাক্কা দিবি,

কি? শরীরটা বেশ ভারী ভারী

মুঠো খুলে গায়ে হাত রাখতেই

হাতে অন্যরকম অপরিচিত এক ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা অনুভূতি,

ধরমর করে উঠে বাতি জ্বালাবি

নিঃশ্বাসের আশ্বাসে নাকে আঙুল রেখেই স্তব্ধ

বুকে কান পেতে স্পন্দন অনুভবের চেষ্টা

তারপর আকুল কান্না;

শব নামাজ পড়বে কিভাবে রে!

 

তুমি আছ আমি আছি

ফরিদুজ্জামান

 

ভাললাগার পাশাপাশি

তুমি আছ আমি আছি,

ভালবাসো ভালবাসি

অভিমান মিছেমিছি।

হরদম চোখাচোখি

নেই কোন বকাবকি,

তুমি দেখ আমি দেখি

দুজনেই আছি সুখী।

তুমি বলো আমি শুনি

যা বলো তা- মানি,

তুমি জান আমি জানি

নিন্দুকের কানাকানি।

সংসার সংঘাত

নেই কোন অপবাদ,

কেটে যায় দিন রাত

দুজনেই সাথ সাথ।

বিশ্বাস বিস্তর

ভরে থাক অন্তর,

হবোনা কভু পর

দুজন দুজনার।

যতদিন বেঁচে রই

হাতে হাত রেখে কই,

লড়তে হয়ে লড়বোই

ভালবাসি বাসবোই।।

 

নিমন্ত্রণ

মোঃ ইব্রাহিম

 

গাঁয়ের নাম কৃষ্ণসখা

যেথায় আমার শৈশব মাখা

শালিক ডাকা শিশির ভেজা

বসন্তেরই কোকিল সাজা,

দিঘির জলে সাঁতার কাটা

হেমন্তরই ফসল ভরা

আমার গাঁয়ের রুপের ধারা

আইস বন্দু আমার গাঁয়

শ্রাবন মাসের কালো জলে

ঘুরবো মোরা নদীর কুলে

কচুপানা আর কলমিলতা

আমার গাঁয়ের পুকুর গাঁথা

শালুক ফুলের ভেজা পাতায়

বলবো মোরা প্রেমের কথা

শহর থেকে নামার পরে

খানিক যাইও একটু দূরে

ভাঙ্গা বাশের সাকুলতা

বিনা সূতার মালা গাঁথা

পরবে তুমার চোখের পাতায়,

ঘোমটা টানা রুপে সাজা

গাছের পাতায় আঁকা বাঁকা

আমার গায়ের শীতল পাখা

নামটি যাহার কৃষ্ণসখা

বকুল তলায় যাওয়ার পথে

কোকিল পাখি তোমার সাথে

কুহো কুহো সুরের মোহে

মিষ্টি সুরে গান কহে,

গানের সুরে মাতুয়ারা

হইয়না দিশাহারা

আইস বন্দু তাড়াতাড়ি

করিয়না রাস্তায় দেরি

আম কাঠাল আর চিরা মুড়ি

রাখছি আমি যতন করি

মায়ের হাতের চিতল বোনা

সঙে আছে দধি ছানা

সাজাইয়াছি কুটুমখানায়,

আর আছে সবরি কলা

খেজুর রসের পিঠার ডালা

আইস তুমি সুজন বেশে

থাকব আমি বাড়ির পাশে

 

আমিই সঠিক!

মো. আলী আশরাফ মোল্লা

 

আমি ভাবি এক হয় আরেক

এভাবেই কেটে যাচ্ছে দিন পঞ্জিকা

পারছি না কিছুই করতে

না পারছি অথই সাগরে ভাসতে

না পারছি কূল কিনারাই ফিরতে!

আমি এক ভবঘুরে জীব

যার নাই কোন নিদিষ্ট ঠিকানা

আজ এপ্রান্তে তো কাল ওপ্রান্তে

এমনি করেই পার হচ্ছে ২০২০।

সুস্থ মানুষিকতার জন্য

যেমন দরকার সুস্থ সুন্দর পরিবেশ

এই চিরন্তন কথা আমি বুঝলেও

যার বুঝার ভীষণ প্রয়োজন

সেইতো বুঝে বুঝে না!

মেধাহীন সংস্কৃতিতে এগিয়ে চলছে স্বদেশ

প্রজ্ঞা আর যোগ্যতার সাথে মিল নেই কাজের

যেই যে বিষয়ে দক্ষ আর পারঙ্গম

সেই সে বিষয়ে সবচেয়ে অবহেলিত আর বঞ্চিত।

চাটুকারের ভীড়ে চিনবে কি করে

কে আসল সোনা আর কে নকল

যাচাই করতে হলে মাঠে নামতে হয়

এসির ভেতরে বসে বাছাই অযাচিতই হয়।

যার যেখানে থাকার কথা সে তো নয় সেখানে

চেয়ার এক খান পেলে ধরাকে সরা জ্ঞান করে

আমার চেয়ে কে বড় জ্ঞানী কে বড় পন্ডিত

অহমিকাতেই পার হয় মূল্যবান সময়

কাজ করবার আর সময় কই!

কথার সাথে কাজের মিল নাই

আমিই মস্ত বড় অফিসার

আমি নিজেই বলি আবার নিজেই ভুলি তাতে কি আমাকে বুঝাবে এই সাধ্য আছে কার!

আমার ডিসিশনে ভুল হতে পারে

কথা মানতে আমি বড্ড নারাজ

জাতির গোষ্ঠীর বারটা বাজুক

তাতে আমার কি? আমিই সঠিক।

 

ঋতুর বাহার

হৃদয়ের সীমানা

 

আমি বাংলা দেশ

গ্রীষ্ম আমার শিশুকাল

বর্ষা যে কিশোর

শরৎ কালে লাগে

আমার, সবি যে ধূসর

হেমন্তের ছোঁয়া লাগে

আমার যৌবনে

পৌষে উঠে টগ-বগিয়ে

বসন্তে রাঙ্গিয়ে,

রানী আমি ভাবছে

সবাই আমাকে নিয়ে।।

 

বিদায় বিশ সাল

মোঃ তাইজুল ইসলাম (তাজ)

 

শত কষ্টে বিদায় দিলাম

দুই হাজার বিশ ভাই,

নতুন বছর কেমন কাটবে

তার তো জানা নাই।

 

এই বছরে ভাইরাস ছিলো

 বলার মতো নাই,

ঘরের বাইরে যেতে ভয়ে

ইচ্ছে নাহি চাই।

 

নতুন বছর খুশির বার্তায়

করবে সবে বাস,

আনন্দে এই খেলা খেলে

কাটুক বারো মাস।

 

নতুন বছর শুরু হবে

দিনটা আসুক ভালো,

হাসি খুশি সবার মনে

ফুটবে চাঁদের আলো।

 

এই দুই হাজার বিশ যে ভুলার

মতো যে আর নয়,

এমন বছর যেনো একটাও

যেনো আর না হয়।

 

এসো মুসলমান

ফারহানা রিনি

 

এসো মুসলমান এসো হাঁকিডাকি।

এসো দীনি পথে, স্রষ্টার চরণতলে।

এসো গো এসো দলে দলে

রাসূলের উম্মাতি।

গাহো প্রিয়ো নবীর নূরানী গীতি।

ওই যে ছেড়েছে হাঁক হাশরের মাঠ

ধ্বংস হবে পৃথিবী।

দেখো ওই সূর্য করেছে আঁধার কালো

শকুনের দল।

ধনুক সাজাও ছোড়ো তীর।

চলুক ঘোড়া টগবগিয়ে

কাফেরদের মুণ্ডু পদতলিতে।

গাহো ইসলামের গান, রাসূলের নাম,

গাহো আল্লাহ্- জয়গান।

এসো মুসলমান এসো,

এসো জিহাদের পথে যাই

আর নিওনা ঘরে ঠায়।

 

প্রতিবাদী মন

রোহিনী নন্দন কদমা

 

জাগছে কৃষক লড়ছে কৃষক

দেখছে লাক্ষো জনতা,

প্রতিবাদে সব গর্জো আজি

চাই কৃষকের স্ব-ক্ষমতা।

ফলাবে ফসল সকলের তরে

সরকার দেবে আশ্বাস,

বাঁচবে কৃষক বাঁচবে সবাই

প্রান ভোরে নেবে প্রশ্বাস।

সোনার ফসল ফলানোর তরে

দিন রাত যারা শুধু খেটে মরে

দেশের জন্য দশের সেবাই

কেন তারা পথধারে ?

তবে কি আজ শাসকের বেশে

 শত্রু এসেছে দ্বারে ?

তাই কর প্রতিবাদ চড়িয়ে গলা

কৃষি বাঁচানোর তরে

কর্পোরেটের দালালির বাঁধ

ভাঙ্গো একতার সুর তুলে

এক নিমেশেই ছুঁড়ে ফেলো দাও

 তপ্ত ধুলার পরে।

বেদনার বালুচরে।

 

নীতির কয়লায় পুড়ে বিবেকের আত্মহত্যা

মোঃ মিজানুর রহমান

 

পেট্রোল বোমা আর বারুদে দগ্ধ শিশু

বুকে জড়িয়ে মায়ের করুন আর্তনাত ,

বাড়ি থেকে বেরুলেই শেষ বিদায় নেয়া

ঘরে না ফেরার সংশয়।

আজও সমোঝতা চলছে

ডাষ্টবিনের ফেলা নষ্ট খাবারে ভাগ নিয়ে

কুকুরের সাথে মানুষের।

 নিশাচর পতিতার নিস্তেজ শরীর

খুবলে খুবলে ভোগের তৃপ্তি নিয়ে

 প্রিয়ার বুকে মাথা রেখে

অবিশ্বাসের তীর ছোড়া

এখন পৈতিক স্বাধীনতা।

পাড়ার আমতলায় বটতলায়

বেকার যুবকের আড্ডা

নেশার ঘোরে স্বর্গ খোঁজে

সুযোগ হেলায় না ঠেলে

বিবেকের শিরে লাথি মেরে

 ভিক্ষুকের ঝোলা চুরি

সমাজ বদলের প্রথম ধাপ।

অসুস্থ মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে

কেবল ফ্যাল ফ্যাল চোখে চেযে থাকা

অভাবী পিতার ক্লান্ত মুখ চেয়ে

আবেগের দীর্ঘ শ্বাস ফেলা

ধর্ষিতা বোনের ঝরা অশ্রু

নীরবে সয়ে যাওয়া,

ভাবীর ছিন্ন শাড়ি দেখে

লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে নেয়া

খোকা খুকুর আবদার শুনে শুনে

বে খেয়ালে রাগ করা

যেন রক্ত বিকিয়ে কেনা, স্বপ্ন ভাঙ্গার ধুম।।

 

 

সিকিউরিটি গার্ড

গাংচিল বাবু

 

পার্কের সংকীর্ণ সরু

পথে প্রাতঃভ্রমণ শেষে।

দাঁড়িয়ে ছিলেম অামি

প্যারেড-গ্রাউন্ড ঘেঁষে।

গ্রাম্যবেকারেরা দারোয়ানের

চাকরির আশায় প্রশিক্ষণরত।

বারংবার দেহমন বুঝি তাঁদের

কমান্ডে কমান্ডে বিব্রত।

ডানে ঘোর। বায়ে ঘোর।

উল্টা ঘোর। উল্টা ঘোর।

চামড়া ফাটা জুতো ওদের

কুঁকড়ানো টোস্ট।

রঙচটা ইউনিফর্মগুলো

যেন খরতাপে রোস্ট।

কোমরকষা বেল্ট যেন নিজ

হাতে আপনকে গ্রেফতার।

কমান্ডারের হুমকী-ধামকী

থেকে নেই ওদের নিস্তার।

ডানে ঘোর। বায়ে ঘোর।

উল্টা ঘোর। উল্টা ঘোর।

মাথায় ওদের পোকায় কাটা

ঝাঁঝরা মলিন ক্যাপ।

বলিরেখার ললাটখানি

যেন এক শত ছিন্ন ম্যাপ।

দারোয়ানের চাকরি হলে

কোন এক রঙমহলে।

চারপায়ার বদলে দুপায়া

নিবে তাঁরা স্বল্প খরচে।

ডানে ঘোর। বায়ে ঘোর।

উল্টা ঘোর। উল্টা ঘোর।

অতঃপর

কর্কশকণ্ঠে যখন হুকুম আসে

"সিকিউরিটি - সোজা "

ভগ্নদেহে সেই হুকুম পালিত

হলেও মন হয় দ্বিধাগ্রস্ত -

ওরে বেটা!!

পুঁজিবাদের আঘাতে আঘাতে

মেরুদণ্ড যে আমাদের বিধ্বস্ত।

বুদ্ধু সুবেদার বুঝে না

সেই বিদ্রূপের ভাষা।

ওদের বিবেচনায় উত্তীর্ণ

করেও মিটে না তাঁর আশা।

তাই এবার অনিচ্ছায় হুকুম দেয় সে -

"সিকিউরিটি আরামে দাঁড়া"

আবার টলোমলো পায়ে সেই হুকুম

পালিত হলেও বিগড়ে উঠে মন।

শত প্রচেষ্টায় হয় না ওদের

পুঞ্জিভূত ক্রোধ দমন -

ওরে নির্বোধ !!

ওরে শোষকের হেফাজতকারী।

আরামে কি আমরা দাঁড়াতে পারি ?

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.