Shudhui Friend | শুধুই বন্ধু । ছোট গল্প । নাটক । এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

ছেলে- হ্যালো ।
মেয়ে- কৈ তুই ?
ছেলে- আমি ক্যম্পাস থেকে বের হলাম কেবল একটা কাজে।
মেয়ে- আচ্ছা তারাতারি আবার ক্যাম্পাসের পিছনে ঐ যায়গায় আয়।
ছেলে- আরে ক্যাম্পাসে আসবো কেন আমিতো মাত্র ক্যাম্পাস থেকে বের হলাম।
মেয়ে- এতো কিছু বুঝিনা তুই তারাতারি ক্যম্পাসে আয়।
ছেলে- না না আমি এখন ক্যাম্পাসে যাইতে পারবো না। আমার জরুরী কাজ আছে।
মেয়ে- তাহলে তুই আসবি না ……. আচ্ছা ঠিক আছে। আমি এখানেই সুইসাইট করবো। আর সুইসাইট করার সময় একটা কাগজে তোর নাম লিখে রাখবো। এর জন্য দায়ী তুই তাকবি।
ছেলে- ওফ….. তুই আমার নাম লিখে কেন সুইসাইট করবি। আচ্ছা সুইসাইট করা লাগবে না। আমি আসতেছি । একটু ধর্য্য ধরো।
আসার পর।
ছেলে- এই তোর সমস্যাটা কি অ্যাঁ । কিছু জানিনা কিছু শুনিনি হুট করে বলসিছ আমার নাম লিখে তুই সুইসাইট করবি। আচ্ছা তোর কাহিনীটা কি বলতো। এতো তারাতারি ডাকলি ক্যান ?
মেয়ে- তুই জানিস কালকে ওর সাথে আমার আবার ঝগড়া লাগছে।
ছেলে- এটাতো মনে কর তোর নতুন কিছুনা । বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড থাকলে ঝগড়া লাগবেই। আর তোদের মধ্যে এটা একটা দৈনন্দিন একটা ব্যপার সেপার। তোদের মধ্যে দৈনিকি ঝগড়া লেগে থাকে এটাতো নতুন কিছুনা।
মেয়ে- তোর কাছে এটা নতুন মনে হচ্ছে না।
ছেলে- তোর কাছে এটা নতুন মনে হচ্ছে তাই না ? ঝগড়া টা লাগলো কিভাবে ভাই। একটু খুলে বলতো।
মেয়ে- তোকে নিয়ে লাগছে।
ছেলে- দেখ তোকে আমি আগেও বলছি এখনো বলছি। আমি হচ্ছি যে যাস্ট তোর একটা ফ্রেন্ড। তোর সাথে সম্পর্ক হচ্ছে যে আজ ২ বছর, ঠিক আছে। আর সে হচ্ছে যে তোর বয় ফ্রেন্ড, ঠিক না ? এখন মনে কর তোর ২ বছর পর এমনো হতে পারে আমি বিয়ে সাধি করেছি আমার বাচ্চা কাচ্চা হয়ে গেছে বা দেখা গেছে আমি কোন একটা কাজে ব্যস্ত হয়ে গেছি। তোর সাথে কিন্তু আমার আর যোগাযোগ হবে না। কিন্তু তোর বয়ফ্রেন্ড, ২ বছর পর হোক বা ৪ বছর পর হোক তোকে বিয়ে করবে। বিয়ে করে তোদের বাচ্চা কাচ্চা হবে। বাচ্চা কাচ্চা বড় হবে আবার তারা বিয়ে করে আবার তাদেরদের বাচ্চা কাচ্চা হবে, তোরা নানা নানি হবি বা দাদা দাদী হবি। যেটাই হক, মানে তোর লাইফ লং একটা প্রেম। আর আমার সাথে টেম্পোরারী একটা ফ্রেন্ড, তোর কি দরকার আমার জন্য ওর সাথে তোর ঝগড়া করার। আর আমাকে নিয়ে কি ঝগড়া লাগছে বলতো শুনি।
মেয়ে:- তোর মনে আছে আমরা যে সেন্টমার্টীন গেছলাম টুরে।
ছেলে- তুই আর আমি ২ জন মিলে ?
মেয়ে- হ্যাঁ।
ছেলে- হ্যা গেছিলাম তো।
মেয়ে- তুই আর আমি ছিলাম ২ জন দুই আলাদা রুমে।
ছেলে – হ্যা আলাদা আলাদা দুই জন দুই রুমে ছিলাম।
মেয়ে – কিন্তু ও ভাবছে আমরা দুজন একসাথে ছিলাম। এবং আমরা অনেক কিছু করেছি। রাত কাটাইছি । আরো অনেক কিছু।
ছেলে- এক সাথে এইটা করছি ঐটা করছি, মানে.. কি করছি আমি।
মেয়ে- তুই বুঝিস না কি করছি আমরা।
ছেলে- আমিতো অনেক কিছু বুঝছি। কিন্তু সে কি বুচ্ছে সেটা আমি কিভাবে বুঝবো।
মেয়ে- ও বলছে তোর সাথে আমার অনেক কিছু হইছে।
ছেলে- তুই ছিলি একটা সিঙ্গেল বেড রুমে আলাদা একটা রুমে। আমি ছিলাম আর একটা সিঙ্গেল বেড রুমে আলাদা একটা রুমে। দুই রুমে থেকে আমরা কি করতে পারি। কি এমন হইছে ?
মেয়ে – তুই কিছু বুঝিস না ?
ছেলে – কি ?
মেয়ে- কি মানে কি, তুই কিছু বুঝিস না।
ছেলে- না মানে একটু বুঝায় বল ?
মেয়ে- তুই আমার সাথে কিছু করছিস এটা ও বলছে।
ছেলে- মাথায় হাত দিয়ে- বাবা শোন আসলে এতো প্যাচানোর মত কোন ব্যপার সেপার না, ঠিক আছে। তোর বয় ফ্রেন্ড আমাকে দুই চোখে দেখতে পারে না। এটা কোন নতুন কথা না আমি তোরে সব সময় কই তুই ভাই তোর বয়ফ্রেন্ডের কাছে ফিরে যা। তুই এই জীবনে আর আমার সাথে দেখা করিস না, ঠিক আছে। আমি চাই না আমার জন্য তুই তোর বয়ফ্রেন্ডকে হারা।
মেয়ে- ব্রেক আপ । আমি ওর কাছে যেতে পারবো না। অসম্ভব। আমি ওর কাছে ফিরে যাবই না।
ছেলে- কি জন্য যাবি না।
মেয়ে- ওর মত একটা ছেলের সাথে থাকা মানে Next to be Impossible. ওর সাথে আমি থাকতে পারবো না। এতো প্যারা কে নেয় হ্যা, ওর সাথে সংসার করা অসম্ভব ? এরকম ছেলের সাথে আমি থাকতে পারবো না। সরি।
ছেলে- থাকতে পারবি না মানে কি করছিস তুই ?
মেয়ে- ওতো বলছে তোর সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ বেনিফিটের সম্পর্ক। আমি যানি তোর সাথে আমার কিসের সম্পর্ক। কিন্তু ও ভাবছে এইটা। আমি এতো দিন ও যেটা বলছে আমি সেটা শুনছি। যেটা করতে না করছে আমি সেটা করি নি। কারণ না শুনলে ওর খারাপ লাগবে তাই। বাট ও আমাকে একটা কথায় বলে আসছে যে তোর সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ বেনিফিটের সম্পর্ক, ওকে ফাইন। আমিও একটা জিনিসি ডিসাইড করছি তোর সাথে আমার বেনিফিটেরই সম্পর্ক। নে বেনিফিট নে।
ছেলে- কিসের বেনিফিট ?
মেয়ে- বেনিফিট নে।
ছেলে- কিসের বেনিফিট।
মেয়ে- বেনিফিট নিতে বলছি, নে।
ছেলে- এই দারা তুই এরকম কলার ধরছিস কিসের জন্য। মানুষ দেখলে বলবে কি। বেনিফিট টেনিফিন, কি বলিস এগুলা।
মেয়ে- এখানে কোন মানুষ থাকে না এসময়।
ছেলে- এটাতো বুঝতে ছিনা কি বলিস এসব।
মেয়ে- বেনিফিট নিতে বলছি নে।
ছেলে- এই দারা তুই এতোটা ক্লোজ হস না। হালকা ডিসটেন্স মেইন টেইন রাখ, ঠিক আছে। তোর সাথে আমি কিসের বেনিফিট নিবো আমি। তোর সাথে আামার ফ্রেন্ডশিপ কি বেনিফিটের ? কি বলিস তুই এগুলা, কলার ছাড় বলছি কলার ছাড়।
মেয়ে- তোরে আমি বলছি বেনিফিট নিতে বেনিফিট নে।
ছেলে ঢাক্কা দিয়ে রাগে – আরে… আজব অবস্থা। কিসের বেনিফিট নিব তোর সাথে আমি ? অ্যাঁ.. তুই কে? তুই আমার ফেন্ড না ? তোর সাথে আজকে আমার ২ বছর ধরে সম্পর্ক। কিসের বেনিফিট নিবো তোর সাথে আমি। আমি এতোদিন ধরে ভাবতাম তোর মনটা অনেক ফ্রেস। যার জন্য তোর সাথে আমি সব সময় সবকিছু শেয়ার করতাম। যেখানেই যেতাম তোকে সাথে করে নিয়ে যেতাম বা তোর সাথে যেতাম। এর মানে এমন নাযে এর জন্য তোর কাছ থেকে আমি বেনিফিট নিবো। ফ্রেন্ড কখনো বেনিফিটের জন্য হয় না। তোর মেইন্ডের মধ্যে এতো হাবি যাবি জিনিষ, আমিতো এগুলো যানতাম না। দেখ তোর বয়ফ্রেন্ডের সাথে কি হইছে না হইছে এসব ঝাল তুই আমার সাথে ঝারবি না। ঠিক আছে ? আমি এতোদিন পর্যন্ত জানতাম তুই অনেক ভালো কিন্তু তোর মনে যে এগুলা আছে আমি কখনো কল্পনা করতে পারি নি। তুই এখনি এখান থেকে চলে যা। যা। আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা। জীবনেও তুই আমার সামনে আসবি না যা।
মেয়ে- ঠিক আছে, দারা ও লাইনে আছে একটু কথা বলি- ফোন কানে দিয়ে। শুনছো তুমি না বলতা ওর সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ বেনিফিটের সম্পর্ক। দেখছো আমি সব কিছু ওকে খুলে দিছি এরপরও ও আমারে টাচ করতে রাজি না। আর তুমি বল ও নাকি আমার ফ্রেন্ডশিপ বেনিফিটের সম্পর্ক । আর তোমার মত ছেলের সাথে কোন রকম রিলেশান রাখারই আমার কোন ইচ্ছা নাই।
প্রেমিক- প্লিজ জান। তুমি আমার কথাটা একবার শোন জান। আর জীবনে কখনো তোমাকে আমি অবিশ্বাস করবো না। প্লিজ।
মেয়ে – আমি তোমার সাথে ব্রেকআপ করতেছি বুচ্ছ। এতো ছোট মনের মানুষের সাথে আমি থাকতে পারবো না, বাই।
প্রেমিক- প্লিজ । আর কখনো এমন হবে না।
ফোন কেটে যায়। প্রেমিক মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে।
ছেলে আর মেয়ে হাটতে থাকবে। মেয়ে আয়না দেখে বলবে – ও শিট ।
ছেলে – আবার কি হইছে।
মেয়ে- লিপিস্টিক উটে গেছে। আমি বাসা থেকে আনতে ভুলে গেছি। বাহিরে বের হলে আজকে আমি শেষ।
ছেলে- মানে.. তোর সাথে আমার রিলেশান হওয়ার পরে থেকে মানে ফ্রেন্ডশিপ হওয়ার পরে থেকে। এমন এমন মিসটেক করিস। কোন দিন যে তুই আামাকে ধরা খাওয়াবি আমি যানি না, ছেলে মানুষ হয়ে লিপিস্টিক পকেট নিয়ে ঘোরা লাগে তোমার জন্য।
তারপর পিছনে। রিকেপ।
ফোন রেখে দুজন দুজনকে জরিয়ে ধরবে।
ছেলেটি পকেট থেকে লিপিস্টিক বেড় করে দিবে। মেয়ে লিপিস্টি লাগাবে।
এই গল্পের নাটক ইউটিউবে দেখতে চাইলে এই নামের উপর ক্লিক করুন- শুধুই ফ্রেন্ড
কোন মন্তব্য নেই