Header Ads

মাসিক ‘কবিতাকণ্ঠ’ ফেব্রুয়ারী-২১, বর্ষ-১৪, সংখ্যা-৫৮

মাসিক

পরিচালনা পর্ষদ

সম্পাদক :

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

 

নির্বাহী সম্পাদক:

কবির পথিক

প্রধান শিক্ষক(উপশহর  আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়,বগুড়া)

 

উপদেষ্টা সম্পাদক: 

কাজী হানিফ

(সিনি: ইন্সটাক্টর, টিটিসি)

 

প্রচ্ছদ:

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ফেব্রুয়ারী- ২০২১ (বর্ষ- ১৪, সংখ্যা- ৫৮)

আর  একজন   নজরুল   চাই

 

সম্পাদকীয়

        মাসিক কবিতাকণ্ঠ প্রতিমাসের ১ তারিখে প্রকাশ হয়, কিন্তু এই মাসের ২১শে ফ্রেব্রুয়ারী উপলক্ষে আজ অর্থাৎ ২১ তারিখে প্রকাশ করা হলো। আগামী মাস থেকে মাসের প্রথমেই প্রকাশ করা হবে। ধন্যবাদ।

 

বসন্ত

কাজী হানিফ

 

বসন্ত আসছে,

কোকিল ডাকছে।

ভালবাসায় সিক্ত জীবন অন্যরকম।

শিমুল ফুলের লাল রংগে বিমুক্ত প্রতিক অনন্য।

আজ অন্যরকম ভালবাসা।

কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়া লাল হলুদে

অবগাহনে বিভোর।

এসো হে এসো হৃদয়ের মাঝে।

তুমি আর আমি।

ভাল থাক প্রিয় অনন্ত কাল।

 

শীতের সকাল

মোঃ ইব্রাহিম মিয়া

 

আমার দেখা কুয়াশায় মোরা

কেমন ছিল

হার কনকনে এক শীতের সকাল বেলা

সে কথাই বলছি কবিতার ছন্দ মালায়।

উত্তরের হিমেল হাওয়ায়

বাতাসের ভারি বর্ষনে

ঠান্ডা ঘেরা এক নিস্তব্দ প্রকৃতি

যেন জুব জুব ভোর

মনে হয়, বিধাতার হাতে আঁকা এক করুন সুর।

পশু পাখি সবাই

কুয়াশার অতন্ত্র পাহারায়

মুখ লুকিয়ে বসে আছে গাছের পাতায়,

কিষান বাড়ির উঠানের কোন এক প্রান্তে

উনুনের ধারে বসে আছে জলন্ত আগুনের পাশে,

কিষান বৌটির সুনিপণ হাতের পটুতায়

ঢাকনা ঢাকা হাড়ির উপরে

এক রতি কাপরের ভাজে উঠছে

আতপ চালের গুড়ো ঢাকা নতুন খেজুরের গুড়

আর নারিকেল কোরা দেওয়া ছোট বাটি

নামছে গরম ধোয়া ওঠা ভাপা টিঠা

মোড়ের চা এর দোকানে দেখি

ভোর হতেই জলসা

গরম চা এর কাপে সবাই মেতে আছে

যে যার গল্পে।

খেজুর গাছের আগায় ঝুলছে

ছোট্র রসের হারি

মটর শুটি আর সবুজ ঘাসের ডগায়

ঝুলে থাকা শিশির বিন্দু

যেন হৃদয় নাচানো আনন্দের সিঁদুর

সকালের রোদ্রের আলোকচ্ছটা

নানা রঙ ছড়ায় তাতে হীরক দ্যুাতি

সেই দ্যুাতির জলমতি টুপ করে

ঝরে পরে মাটির কোলে

তাই দেখিয়া মন আমার আনন্দে দুলে

 

তোমার হাতে কি সময় একটু সময় হবে মুন ?

প্রণব চৌধুরী

 

তোমার হাতে কি একটু সময় হবে মুন ?

অল্প কিছুক্ষন,

হত প্রাণের বিনিময়

অকর্ষিত ভূমিরূপ আজ বন্ধ্যাতে পরিণত,

তবুও তোমার সোনার বাংলায়,

নাকি হীরে মুক্তোের ফসলে ফলে কনকবরণ নাকি পীতবর্ণ তে ক্রমশ পরিণত

আর তুমি তো আত্মহারা,

দরজায় দরজায় নিমন্ত্রণ পত্র বিলি করতে,

আসন্ন তোমার বিবাহ বার্ষিকিতে কতটা শুভানুধ্যায়ী নবরূপে বরণ করবে তোমায়

আর আমরা ?

তোমার প্রাত্তনরা,

প্রাতঃকাল থেকে রবিকররের লাল লালীমা সব রঙ শুষে নেওয়ার অবসান্তের অবসান পরও

সতেজ গোলাপ ক্রমশ ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে,

দিনগুনে এই তুমি আসবে বলে

ছোঁয়াবে প্রাণের পরশ |

না,

একদন্ড নয়,

কেটে মেরে কয়েক পল সময় কথা বলার সময় নেই

যাতে তোমার দীপ্ত শিখার অনলে,

আমরা আবার আমি তে পরিনত হতে পারি

তোমার দুয়রে আজ বাসিয়েছ হরেক রকম পশার,

তবুও আবার চৈত্র সেল,

কোনোটাতে 90% অফ,

আবার কোনো কোনোটাতে 100% অফ

ক্রেতারা তো হুমরি খেয়ে পড়েছে,

কিন্তু কি জানো.............?

সেলের জিনিস তো ?

সে তো আবার দড়জা পেরুতেই !

যাগগে তুমি তো অংকে বরাবরই ভালো ছাত্র ছিলে,

বিশেষ করে সুদকষায়,

তাই হয়ত আমরা আজ রাফখাতায়,

নিছক হয়ত তোমার নিকট কালীর আঁচড় হতে পারে,

কিন্তু,

ফ্রেসখাতার অংক মিলাতে তার অবদান অনেক,

ঠিক বলিনি ?

আবার এও হতে পারে,

রাফ খাতাই ঠিক,

ফ্রেস খাতায় ক্র্যাস পড়ে গিযেছে

তাই একটু কি আমাদের সময় দেওয়া যেতে পারে কি ?

মুন ?

মরুভূমিতে যদি কখনও মরুদ্ব্যান,

না হয় কিছু ক্যাকটাসের জন্ম দেওয়া যায়

 

একুশের চেতনা

মোঃ রায়হান কাজী

 

একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে,

স্বপ্ন এঁকে যাই বাংলার বুক চিঁড়ে।

বায়ান্নর অদৃশ্য ঘাতকেরা উইপোকা সেজে,

মাঠে নেমেছিলো মানচিত্র খাওয়ার প্রয়াসে।

ক্ষুদ্র জীবনী তরে কত কথায় না মনে পড়ে,

পাখিরা গান গেয়ে যায় নিস্তব্ধ স্বরে।

ভাষার বাগানে ফুটুক ফুল গোলাপ হয়ে,

বর্ণমালা দিয়ে ভরিয়ে তুলুক শব্দ উল্লাসে।

সকালের সোনা রৌদ্রময়ী বানী হয়ে,

অন্তহীন নির্বাক নীলিমার দিকে তাকিয়ে

শহীদের রক্তময়ী স্মৃতিকাহন উঠছে ভেসে।

একুশে ফেব্রুয়ারি তুমি নির্বাক আত্মশুদ্ধিতে,

দিয়েছ প্রাণ মাতৃভাষার অধিকার ঢাল হয়ে।

রফিক সালাম বরকতসহ আর কত ভাই এক হয়ে,

রাজপথ রঞ্জিত করেছে ভাষার জন্য রক্ত দিয়ে।

কতশত বাঁধা বিপত্তি চিত্রের মতো বিত্ত হয়ে

অস্তমিত সূর্য হয়ে অকালে যাচ্ছে ডুবে।

দিচ্ছে হাতছানি দূষিত শব্দ ভান্ডারের

পরিপূর্ণ করতে আমাদের মাতৃভাষাকে।

সূর্য উঠেছে দেখ পূর্ব দিগন্ত অভিসারে,

রক্তে রাঙানো কত আবির মনিকোঠায় খেলা করে।

ভাষার স্রোতে মায়ের বুলি হয়ে এইপথে,

প্রাণের চেয়েও প্রিয় জানি বাংলা ভাষা টাকে।

একুশ তুমি আছ আমাদের অহংকার রূপে,

পুষ্প অলংকারে সজ্জিত স্বর্গের রানী হয়ে।

 

শিশুপার্কে দুর্নীতি

মুন্সী মোঃ তোফায়েল আহমেদ

 

দুর্নীতিকে ন্যায় মনে করে,

ন্যায় করে তোলে অনেক পন্থায়।

সেখানে সত্যের পরাজয়,

থাকে না সত্যের নির্ভেজালতা,

হয় যে মিথ্যার জয় জয়াকার।

শিশু মনে লালিত হয়

সত্যের জয়তু শিশু থেকেই।

উন্মুক্ত আকাশে পাখা মেলে

দুলে বেড়াতে চাই তারা পার্কে।

পার্কে তারা হাসবে, খেলবে,

দৌড়াবে, ঘুরে বেড়াবে আরো কত কী।

সেই শিশুর পার্ক রেহাই

পাই নাকো দুর্নীতির হাত হতে।

ভবিষ্যৎও করে যে চুরি

সকল দুর্নীতিকারী।

পারবো নাকো দিতে সুন্দর খেলার উপকরণ

সকল দুর্নীতিকারীদের হাত হতে।

এরাতো দুর্নীতি করবেই

হোক না শিশু কিম্বা বৃদ্ধ,

হোক না তাদের ভবিতব্য।

এখনযে বড় ন্যায়কারী

সেজেছে দুর্নীতিকারীরা।

এরা শক্ত তাদের দুর্নীতি কৌশলে।

হবে যে ভঙ্গুর নিশ্চয়

আমাদের আগামী দুর্নীতিকারীদের দুর্নীতিতে।

 

শূন্যতা যখন পূর্নতায় রূপনেয়

রাজীব আহমাদ

 

উদ্দেশ্যহীন ভাবে একাকী পথচলা

মাঝেমাঝে নিজের কাছে নিজেকে লাগে বড্ড অচেনা

মাঝেমাঝে সবুজ মাঠে একাকী বসে

আকাশ পানে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি

পরন্তু বিকেলে হিমেল হাওয়ায়

প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলি,

 

মনের অতল গহব্বরে প্রশ্ন জাগে

কত সুন্দর করে সাজিয়েছ এই ধরণী

যেদিকে তাকায় মুগ্ধ হয়ে যায়

আমার এই চক্ষু যুগল

মনের ভেতর বিরতিহীন ভাবে

তোমাকেই ভেবে যাওয়া

যখন ক্লান্তির বেড়া জাল

আমাকে বিষন্নতায় জরিয়ে ফেলে,

 

ঠিক তখন তোমার সরণে আমার এই ক্ষুধার্ত হৃদয়

বারাং বার ফিরিয়ে নিয়ে আসে সালাত এর দিকে

আমার বিষন্নতা এক নিমিষে দূর হয়ে যায়

তখন সব মিলিয়ে আমি ভিষণ রকমের ভালো থাকি আলহামদুলিল্লাহ্।

 

অশ্রু ভেজা নীল চিঠি

মোঃ মিজানুর রহমান

 

প্রিয় কাজলী,

আমি ভালো আছি-

হেমন্তের আকাশে যেমন ফড়িং নাচে।

বর্ষার বৃষ্টিতে ভিজে হাসা কদমের মত।

কেমন আছ তুমি?

ভাল আছো তো!

নীল আকাশে উড়া পায়রার মত।

শ্রাবন সকালে ভেজা বেলী ফুলের

পাঁপড়ির মত বাঁকা ঠোঁটের হাসি

দেখিনা আজ কত দিন হয়।

অমাবস্যার দ্বিপ্রহরের মত গহীন কাল

তোমার চুলের স্পর্শ পেতে মন বড্ড ব্যাকুল।

আনমনে একলা পথে,

বাতাসে হাঁসনা ফুলের গন্ধ পাই

ভাবি।

তোমার শরীরের মাদকতা,

পিছু ফিরে চাই হাসি বোকাহাসি।

জানো!

দুষ্টামি করে বলতে চাই- কাকের চেয়েও

তোমার চোখ অনেক বেশি সুন্দর।

রাগ করলে?

সত্যিই। একবার দেখ! কাকের চোখ কত সুন্দর।

বলো, কী নিবে এবারের মেলায়-

কাঠের উপর খোদাই করা চুড়ি

পোড়া মাটির কানের দুল সাদা পাথরের নাকফুল

আর তিন ঝুমকোর নূপুর, নাকি আরো কিছু?

সব দিব, আমার সার্ধের সবটুকু।

আচ্ছা, তোমারো কী ইচ্ছে হয়?

ডুবে যাওয়া সূর্যোর আভায়

মেঘের বুকে রংধনু ভাসা বিকেলে

চিলে কোঠায় দাঁড়িয়ে আপন ভুবনে স্বপ্ন বুনে

ব্যস্থ শহরে আমাকে খুঁজতে।

 

নারীর পর্দা

মোঃ তাইজুল ইসলাম (তাজ)

 

নারী তুমি পর্দা করো

নবীর পথে চলো,

নারী হলো মায়ের জাতি

খারাপ কেনো বলো।

 

পর্দা করা নারীর ফরজ

পর্দা নারীর মান,

ভালো পোশাক গায়ে দিলে

বাড়বে তোমার নাম।

 

ইচ্ছে মতো ঘুরবে না আর

খোলা কেনো মুখ,

রাস্তায় চলো হেলেদুলে

কি পেলে বল সুখ?

 

নারী তোমায় দেখবে স্বামী

পরপুরুষে নয়,

নারী তোমার পোশাক যেনো

ভালো একটু হয়।

 

এমন ভাবে পোশাক পড়ো

ঢাকা থাকে সব,

পাপের বোঝা আছে যত

ক্ষমা করো রব।

 

বিপথ ভক্ত

হৃদয়ের সীমানা

 

আজকে মোরা নাচ্ছি দেখ

সুভাষ, ক্ষুদিরাম আর নজরুল

কে নিয়ে

নাচ্ছি আরও

ভাষানী, মহসীন,ফজলুল

কে নিয়ে।

সত্যি যদি ওরা আবার

এই পৃথিবীতে আসে

আমরাই হব

হিটলার, ইংরেজ আর

জিন্না,রাজাকার।

শান্তি কামি ওরা মোদের

বলেছে শান্তিতে থাকার

তা হলে মোরা দুঃখি

কেন কে আছে বলার?

আমরা বুঝি শিক্ষা নিয়েছি

পশ্চিমাদের থেকে

তাই তো মোরা পথ চলছি

তাদের দেখে দেখে।

বৃথা গেল ওদের রক্ত

হাত ছিলনা ওদের শক্ত

তাই তো মোরা বিপথ ভক্ত

শিক্ষা নিলাম যত্র তত্র।

 

এবং তোমার প্রেম

ন্যান্সি দেওয়ান

 

তোমার ওই মুখ তোমার মতন কেউ নেই

তুমি আছো বা তুমি নেই

আমি আছি স্বপ্নের মাঝে তোমার কাছাকাছি

জানো,প্রেমের কোনো দিনও মৃত্যু হয়না

তুমি নেই কিংবা নেই, কিন্তু আমি আছি

শুধু তোমার কিছু স্মৃতি,পরে রয়েছে

সেই স্মৃতি গুলো আঁকড়ে ধরে

এতটা দিন কতটা বছর পার হয়ে গেল

কত বসন্ত চলে যায় জানিনা,

আজও কি পাবো তোমার দেখা ?

নাকি,কোনোদিন মিলবে না

তোমার ঠিকানা স্বপ্নের রাজ্যতোর মনিকোঠায়,

অন্য কারো বসবাস তোমার ওই মুখ

এবং তোমার প্রেম

 

কবিতায় ফুল ফুটেছে

বুলবুল হাসান

 

আমার কবিতায় ফুল ফুটেছে

কবিতা বৃক্ষের শাখা-প্রশাখায়

তোমার হাতের ছোঁয়ায়-

একটি জবা একটি বকুল

আর একটি লাল টুকটুকে

গোলাপ ফুটেছে।

আমার কবিতায় ফুল ফুটেছে

অনেকদিন পর এবার-

মৌনতা এবং নীরবতা ভেঙ্গে

নতুন করে নতুন উচ্ছ্বাসে

জবা,বকুল,গোলাপের গায়ে

নতুন রঙ লেগেছে।

আমার কবিতায় ফুল ফুটেছে

তোমার হাসির মতো ফুল-

কখনো যেন তোমার হাসি

মেঘের মতোন মলিন না হয়

তোমার ফুল ফুটানো সেই হাসি

আমার কবিতায় ফুটেছে।

 

বিদায় বার্তা ও ঘুমহীন রাত

আব্দুর রহিম রাবু

 

কারও কোনো বিদায় বার্তাই আমায়

কখনই বিষাদে ভরাতে পারেনি

তবুও একটি বার্তাই যেনো

অমানিষা বয়ে আনলো জীবনে।

কুড়ে কুড়ে আমার সবটুকু

খেয়ে শেষ করবার প্রত্যাশী হলো

সে বার্তা। রাত কেটে গেলো

ঘুমহীন আর ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন যেনো

জীবনের প্রতিটি বাহু।

প্রেয়শীর কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়ার

ব্যর্থতর সময়গুলো অবলোকন করেছে

বাধ্য হয়ে আর সেদিকে এগোয়নি তার যাত্রা।

ঘুমহীন রাত সবার জন্য

মঙ্গলকর হয় না।

হয়ে ওঠে না তার ফিনকি দিয়ে

বের হয়ে আসা অজানার রক্তের উৎস।

অশ্রুজল কখন কার জন্য নিবেদীত হয়

সে জানে না, বোঝে না অনুরাগ সবার জন্য

মানায় না।

তবুও অশ্রুজল বাঁধ না মানার প্রচেষ্টায়

অবিরাম ঝরে পড়ে, হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার

প্রতুত্তরে উপহাস আর বেদনার প্রাপ্তিতে।

হায়রে রাত হায়রে অশ্রুজল!

বিদায় বার্তা যদি সহ্য করবার শক্তি নাই থাকে

তার নাগপাশ মুক্ত থাকার ব্যর্থতাকে

সহ্য করো অবিরাম।

 

শুন্যতা

মো: তারিকুল ইসলাম

 

চেনা মধ্য রাতে

অচেনা এই আমি

যার কোন উদ্দেশ্য নেই

নেই কোন স্বপ্ন

নেই কারো প্রতি আর গভীর টান

নেই আর কোন মমতা,

নেই আর করো প্রতি বিন্দুমাত্র ভালোবাসা

আছে শুধু সীমাহীন এক বুক শুন্যতা

 

মা’কে লেখা শেষ চিঠি

দেওয়ান এহছান কবির

 

গহরপুর ডাকঘর হয় স্থাপিত

দেওয়ান বাড়ীর সীমানায়,

গ্রামের লোকেরা ভীড় জমায়

থাকে প্রতিনিয়ত, চিঠির প্রতীক্ষায়।

প্রিয়জনের লেখা আসবে কখন

থাকে প্রতীক্ষায় সারাক্ষণ,

কেউ বা আসে ডাকঘরে, আবার

কারো বাড়ীতেই আসে পিয়ন।

আসবে আমার চিঠি মাগো

সপ্তাহের শেষ প্রান্তে,

প্রহর গুনতে সর্বদা হায়

তুমি সেটা জানতে।

তোমার দেয়া কথামতো

শব্দ চয়ণ করে,

চিঠির পাতায়, আমার লেখায়

থাকতে তুমি চুপিসারে।

অত্যাধুনিক এই জামানায় এখন

চিঠির আদান-প্রদান কম,

তারপরও লিখতে বসি প্রতিদিন

চলছে আমার কলম।

হঠাৎ করে জানতে পেলাম

তোমার অসুস্থতার খবর,

মাথায় যেন পড়লো বাজ

কাঁপছে মোর অধর।

ছুটে এলাম তোমার ডাকে

যেথায় সব মায়ামোহ ঘেরা,

হাতটি ধরে আছ মোর

যেন না হই বাঁধন হারা।

কানে কানে তুমি চুপি চুপি

জানালে বিদায়ের সুসংবাদ,

অশ্রুসিক্ত চক্ষু যে আমার

মানে না মানা, হানছে আঘাত।

তোমায় লেখা শেষ চিঠি

হয়তোবা হবে না পড়া,

পড়ে থাকবে ডাকঘরে, যেথায়

পুরোনো চিঠির স্তুপে ঘেরা।

বাড়ীর পাশে ডাকঘরটি

করবে তোমার স্মৃতিচারণ,

তোমায় লেখা শেষ চিঠিটি

থাকবে স্মরণ, জনমও জনম।

 

পিতা

গাংচিল বাবু

 

ভিত্তি তুমি সাফল্যের মাঝে

কখনো হারিয়ে যাও।

ভিত্তি তুমি স্বার্থকদের

মাঝে তৃপ্তি খুঁজে পাও।

ভিত্তি তুমি গোড়ায় থাকো

হাজার ভারের চাপে।

তোমার নাড়ায় বিশাল

ভবন থরথরিয়ে কাঁপে।

ভিত্তি তোমায় ভুলে

যায় অকৃতজ্ঞের দল।

হঠাৎ করে ছিটকে

পড়া বাড়াবাড়ির ফল।

ভিত্তি তুমি তিলে তিলে

সাফল্যের হাসি।

কৃতজ্ঞেরা জনম জনম

বাজায় সুখের বাঁশি।

ভিত্তি তোমায় পদে পদে

শত নমস্কার।

আমার হাতে, আমার

নামে, তোমার পুরস্কার।

 

ভুল

ফরিদুজ্জামান

 

ভুল কথা বলি

ভুল পথে চলি

ভুলের সাথে করি বাস,

ভুলে গড়ে জীবন

ভুলে হয় মরণ

ভুলের মাঝে সর্বনাশ।

ভুল বুঝা বুঝি

ভুল পথে খুঁজি

সবখানে ভুলের দোহাই,

ভুলে বাড়ে ভুল

গুনি তার মাশুল

ভুলে পেয়ে ভুলে হারই।

ভুলো ভুলো মন

ভুল করা বাড়ণ

তবুও ভুল হয়ে যায়,

ভুলের মাঝে আছি

ভুলে ভুলে বাঁচি

করছি বাস ভুল ঠিকানায়।

সবখানে সবার ভুল

নেই কেউ নির্ভুল

ভুলে ভরা গেটা দুনিয়া,

ভুল সব শুধরে

সবাই সবার ঘরে

বেঁচে রই দন্দ ভুলিয়া।

 

নিরীক্ষা

রীতম দত্ত

 

বড় সাধ করে ডেকেছি কাউকে

এলো কিনা জানি না

অদৃশ্যতম এক শক্তি আশেপাশে

ঘোরাফেরা করে, কিন্তু দেখি না।

কত কিছু দেখি কিন্তু বুঝি না

অনেক কিছু অনুভবেও আসে না

কিন্তু সেই অদৃশ্য শক্তি

অনুভবে আসে, কিন্তু দেখা যায় না

এলো কিনা কেউ আমার ডাক শুনে

পরীক্ষা করা খুবই প্রয়োজন

তাই তো মৃত্যুকে আহ্বান করে

করছি অদৃশ্য হওয়ার আয়োজন

 

আরশিনগর

অর্ণঃঈক্ষণ

 

তোর আকাশের ঘুড়ি হবো

একলা আমি শুধুই আমি

যদি নাটাই একা ধরিস।

তোর বাগানের ফুলের বুকে

বিষ মাখায়ে দেবো...

যদি ডানা মেলে ধরিস।

তুই কি আমার

একলা আধার হবি

প্রদীপ জ্বেলে শুধু

আমায় আলো দিবি।

তুই কি আমার

সতিদাহ প্রথা হবি!!!

 

বাবা

সৌরভ মজুমদার

 

বাবাটা খুব কষ্ট করে,

পূর্ণ করে আবদার।

মাঝে মাঝে শাসন করে

আদরও করে বারবার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.