মাসিক কবিতাকণ্ঠ, এপ্রিল-২১, বর্ষ-১৪, সংখ্যা-৬০

পরিচালনা পর্ষদ
সম্পাদক :
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
নির্বাহী সম্পাদক:
কবির পথিক
প্রধান শিক্ষক(উপশহর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়,বগুড়া)
উপদেষ্টা সম্পাদক:
কাজী হানিফ
(সিনি: ইন্সটাক্টর, টিটিসি)
প্রচ্ছদ:
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এপ্রিল- ২০২১ (বর্ষ- ১৪, সংখ্যা- ৬০)
আর একজন নজরুল চাই
তুমিময় আমিতেই পূর্ণ
মোঃ রায়হান কাজী
নীলের ভিড়ে মেঘেদের আনাগোনায়
খুঁজছি শুধু তোমায় চারিধারে আনমনে।
কোন সে আড়ালে লুকিয়ে অপরিচিতা তুমি
দিচ্ছ হাতছানি মনের কোণে ক্ষণে ক্ষণে।
শক্তি সঞ্চার করে যাবো আজানাতে বহিতে
অসীম প্রেমের ধারা আনবো হেঁয়ালির বাঁশিতে।
সেই সুরের তালে ছন্দের বন্ধনে জড়িয়া তোমায়,
নিয়ে যাবো অচিন দেশের আলোছায়ার কাছে।
জগৎ সংসারে তোমার আমার গতিপথে,
কৃপা করে জুটেছে এমন বন্ধন যেন না টুটে।
তোমার জন্য বসে মাঝ নদীতে ভাবতে গিয়ে,
ঢেউগুলো এসে আমায় নিয়ে করে শুধু খেলা।
আবাসের মিষ্টি হাওয়াতে দাও না দেখা,
কালো মেঘের আড়ালের ফাঁকে রবির মৃদু হাসিতে।
এসোনা জড়িয়ে দিবো তোমায় আমি বাহুডোরে,
রাখবো চোখে চোখ মণিকোঠার মায়াবী রন্ধ্রে।
একাকিত্বের চাদরের আবরণে সুপ্ত আমি,
দেখনা আছি বসে তোমার পথচেয়ে নির্জনে।
রাখিবো তোমায় আলোর পথে না রেখে ধন,
নিঃশেষ পথে এনে করবো তোমায় অকিঞ্চন।
না থাকে যেন অপমান লজ্জা শরম ভয়
তুমি আমি প্রমিকযুগল সমস্ত বিশ্বভুবনময়।
জালবো সত্যর দিশারি মিথ্যাকে মুছে দিয়ে,
তুমিময় আমিতেই যেন পূর্ণ অস্তিত্বে সজীবতা।
আমাদের পাপ গুলো
রাজীব আহমাদ
মুসা নবী পার হয় লোহিতের বুক চিড়ে
ফেরাউন পানি খেয়ে লোহিতের বুকে মরে
আদ ও সামুদ জাতি ধ্বংশ
তাদের পাপের ত্বরে
লুত জাতি নিঃশেষ
কঠিন পাপের ভারে,
আমাদের পাপ গুলো
তাদের চেয়ে অনেক বেশি
সীমাহীন ভয়ে তাই
কাঁদি যে দিবানিশি।
গোবেচারা মানুষ
মো আব্দুর রহিম
জরুরী ছাড়া কী করে বলি, একটু কলে আসা যাবে ?
তোমার ব্যস্ততার কাছে আমার যে কোনো
জরুরৎ মূল্যহীন।
কোনো ভাবেই আর কল দিতে সায় পাই না।
যদি তোমার ব্যস্ততার ব্যঘাত ঘটে।
আমি তো নিতান্তই গোবেচারা মানুষ
আমার কোনো জরুরৎ মানায় না।
মন তো কতো কথাই বলে
আকাশের পানে চেয়ে থাকে
বাতাসের দমকায় ভেঙ্গে পড়ে
মেরামতের পর সেড়ে ওঠে আবার।
ক’দিন আর হলো
না বলা কথার দিন
তবুও যেনো বহুকাল বয়ে গেছে,
বহু যুগ অতীতের কোলে গেছে ঢেকে,
মনের অজান্তেই হিসেব করি
সে কাল আর যুগের।
আমার মতো গোবেচারা মানুষের
কোনো জরুরৎ থাকবার কথা নয়,
আমি সর্বদাই উন্মুখ থাকি
থাকি কষ্টের সময়টুকু কণ্ঠ মেলাতে,
তোমার ব্যস্ততার কাছে তা যতো নগন্যই হোক।
রাতের গভীরতা ভেদ করে
ভেসে আসা কন্ঠের সাথে মিলিয়ে
সহসাই হারিয়ে যাই,
বিদ্যুৎ চমকানো রাতে পথিকের মতো।
কখনো হয়ে উঠি দুর্বার
কখনো থমকে থাকি তিথির অন্ধকারে
না কোনো ভাবেই মেলে না পথের সীমান্ত।
আমি তো নিতান্তই গোবেচারা মানুষ
আমার স্বাগত জানানোর মাঝে
তোমার কিচ্ছু যায় আসে না,
অনবরত তুমি তোমাতেই অটল থাকো।
আমি তো নিতান্তই গোবেচারা মানুষ
কায়মনে প্রার্থণা করি
আমার কোনো জরুরৎ তোমার কাছে
যেনো মূখ্য না হয় কখনো।
দোলের দোলায়
প্রণব চৌধুরী
মনের অঙ্গনের রাঙিয়ে রঙ,
চমকে দাও বাতায়ন কে,
সমস্ত বঙ্গ খিলখিলিয়ে উঠুক
তার স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে ৷
খুলে দাও সমস্ত বাতায়াণ
মনের চোরাগলি,
বন্ধ মনের বদ্ধ হাওয়া
হোক চোরাবালি ৷
সেই বালিতে দিয়ে পা
অশুভ ফানুস যত,
নিমজ্জিত হোক চোরাবালিতে
জন্ম জন্মান্তরের মত ৷
দোলের হাওয়া দেবে দোলা
মনের বাগিচায়,
খিলখিলিয়ে ফুটবে গোলাপ
মাতিয়ে দেবে হায়।
বলবে আকাশ আমায় দেখো
সাজিয়েছি রঙিন মেঘের ভেলা,
বিসুদ্ধ বায়ুর সঞ্চালনে বসবে
প্রজাপতিদের মেলা |
চারদিকের সব রঙিন আলো
বেষ্টন করবে আমায়,
খুশির হিল্লোলে হবে হিল্লোলিত
থাকবে না কেউ খাঁচায় ৷
নব দিগন্তের নতুন দ্বারে
ডাকবে আমায় বারে বারে,
মুচকি হাসির রেখাপাতে
আলিঙ্গনে করবে আবদ্ধ মোরে ৷
জীবনে থাকবে জীবন
প্রাণেতে পরাণ,
প্রাণবন্ত হবে পৃথিবী
সাবলীলে জীবন ৷
পঞ্চাশ বছর পরও
ফরিদুজ্জামান
স্বাধীনতার মানে খুঁজে চলি প্রাণে
পঞ্চাশ বছর পরও,
পাইনি খুঁজে আজো আসেনা বুঝে
মিলেনা ঠিক উত্তরও।
স্বাধীন হয়েছি স্বাধীনতা পেয়েছি
হারিয়েছি মানবতা,
দিনে কি'বা রাতে আজো ফুটপাতে
বোন হয় ধর্ষিতা।
নতুন বধুটি অবুঝ শিশুটি
আজো হয় নির্যাতিত,
মা-বাবাকে তার বাড়ি থেকে আবার
কেউ করছে বিতাড়িত।
স্বাধীনতা পেয়েছি স্বাধীন হয়েছি
পঞ্চাশ বছর পরও,
রাস্তা ফুটপাতে ঘুমায় প্রতিরাতে
এখনো মানুষ হাজারো।
আজো কাঁদে মা খাদ্য জুটে না
অবুঝ শিশুটির মুখে,
হতদরিদ্রজনা পায় না ঠিকানা
রয় আজো কষ্টে দুঃখে।
স্বাধীন হয়েছি স্বাধীনতা পেয়েছি
হারিয়েছি মানবতা,
কি লাভ হলো জীবন দিয়ে বলো
পেয়ে আজ স্বাধীনতা?
স্বাধীনতা |
সামিয়া আক্তার
স্বাধীনতা নিয়েছে যেমন
দিয়েছে দু'হাত ভরে ,
শেষ হবার তা না |
স্বাধীনতা পেয়েছি বলে,
আজ মাথা উঁচু করে চলতে পারা |
স্বাধীনতা দিয়েছে শিক্ষা
একা নয়তো ,
ঐক্যতে বাড়ে শক্তির বারতা |
স্বাধীনতার মর্মকথা
আজো আমাদের কঠিন পথে চলার ,
দিয়ে যায় দীক্ষা |
স্বাধীনতার দীক্ষা বলে
আজো বাঙালি দৃঢ় মনোবলে ;
শত বাধ্যকে তুচ্ছ করে ,
সামনে এগিয়ে চলে |
স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা |
স্বাধীনতা পেয়েছি বলে
আজো লক্ষ কোটি বাঙালি ,
পরাশক্তিকে দাবিয়ে রাখার ক্ষমতা রাখে |
এই স্বাধীনতা বাঙালির রক্তে গাঁথা -
৫২ এর ভাষা আন্দোলন
৬৬ এর ছয় দফা মুক্তির সনদ
৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান
৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ
অবশেষে প্রাপ্তির ঝুলিতে,
স্বাধীনতা যুক্ত হওয়া |
হতোনা সহজ শুধু নয় মাসে স্বাধীনতা পাওয়া ;
যদি না থাকিতো ,
নিরস্ত্র বাঙালির মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা |
স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা,
স্বাধীনতা বাঙালির গর্বের স্বাধীনতা ||
চলতে পথে
ন্যান্সি দেওয়ান
পথ চলতে চলতে
চলতে পথে
নেই পথে আর
হারানোর ভয়
নেই কোন পিছুটান
নেই প্রিয় অভিমান
তবুও আমরা চলেছি
কিসের আশায় স্বর্গলোকে
একই বিন্দুর মাঝে একই ঠিকানায়
আপন মানুষ হয়ে যায় পর
দূরের পথের যাত্রী
অচেনা মুখ হয় আপন
নেই থামাবার ভয়
পিছুটান পরে রয়
শুধু ধোঁয়াশা হয়ে রয়
স্মৃতির পাতা
একাকী পথে চলা
নেই নেই কোনো ভয়
একা একা শুধুই একা
অপ্রেমিককে বৃদ্ধাঙ্গুলি
রীতম দত্ত
মুক্তমনা হয়ে তোমার চিন্তায় বুঁদ থাকা
কোনো বুদ্ধিজীবীকে শোভা পায়?
চিন্তাধারা যার তোমাকে ঘিরে
আবৃত করে রেখেছো তুমি ধোঁয়ার মতো ।
চারিদিকে পরিবেষ্টিত কুয়াশা
চাঁদরের পরশ লাগছে না তোমার গায়ে
তবুও তুমি কাঁপছো না থরথর করে
করছো না অভিযোগ কোন নাম না জানা শীতের সকালের নামে
তুমি আসছো তবু হেঁটে,
নগ্নতা বহন করে তোমার পায়ে
ফেব্রুয়ারির কৃষ্ণচূড়া তোমার পায়ের পাতায় পিষে যাচ্ছে
তবু দেখছো না পায়ের দিকে চেয়ে
তুমি হেঁটেই চলেছো সেই বুদ্ধিজীবীর আবাসে
তুমি ভরপুর করে যাচ্ছো আবহাওয়া তোমার সুবাসে।
চলে এসেছো প্রায় তোমার গন্তব্যে
আর কিছু কাল পরেই ঘিরে রাখা তোমার সেই বুদ্ধিজীবীকে বশ করবে তুমি
নড়বে ভূমি, কাঁপবে ধরণী
করবে হাহাকার সকল অপ্রেমিক
তুমি শুধু হাসবে,বুদ্ধিজীবী তোমাকে দেখবে
অবাক চোখে ।
তুমি শুধু হাসতেই থাকবে
তুমি শুধু বুদ্ধিজীবীকে চুমু দিতে থাকবে
এমন ভাবে স্পর্শ করবে তাকে যেন ,
তার সবটাই তোমার কেনা; তার অঙ্গে শুধুই তোমার অধিকার।
আর দূর হতে তোমার সৃষ্টি করা রহস্যকে
কবিতা রূপে গড়বো
তোমার দেওয়া সুখের উদাহরণে
কবি হয়ে এই জগতে হারাবো।
অবুঝ শিশু
মোঃ ইব্রাহিম মিয়া
মন আমার অবুঝ শিশু
যথায় তথায় চায় কত কিছু
লাগাম ছাড়া পাগলা ঘোড়া
মানে না কোন বেড়া ।
যতই টানি লাগাম রশ্মি
মন আমার দৌড়ায় বেশি
মনের চোখে রঙিন চশমা
দেখে কত সপ্ন আশা,
মিটেনা স্বাধ ভোগের নেশায়
থাকে শুধু পাওয়ার আশায়।
মন আমার অবুঝ শিশু
যথায় তথায় চায় কত কিছু
ভাল মন্দের দ্বার দ্বারে না
ন্যায় নীতির পথে হানা,
সু পথের সু কথা
মানে না মন কোন কথায়।
প্রেরণা চাইনা
এম এ হালিম শিশির
মেকি প্রেরণার প্রফুল্লতায় চাইনা হতে অভিভূত,
স্বচ্ছতার দিকনির্দেশনায় হতে চাই আমি বিগলিত।
দুর্গন্ধকে চাইনা আমি, জড়িয়ে থাকেও যদি প্রশংসা,
সুগন্ধি চাই অন্তরমহলে যদিও পাই তুচ্ছতাচ্ছিল্যতা।
লেখা আর দেখার মাঝে এখন নেই একাত্মা,
পরিচিত আর সুনামের জন্যেই ব'লে এখন মাশাল্লাহ।
সত্য আর মিথ্যা যদিও হাদিস কোরানে আকাশ-পাতাল
মানুষের কাছে সত্য মিথ্যা দ্বিখণ্ডিত করে দেখার নাই
এখন কোনক্রমেই ভাবনার স্বচ্ছতা।
প্রশংসার চাই, স্বচ্ছতার নির্বিঘ্নে হোক তার আলোচনা,
মিথ্যার হোক প্রতিবাদ করুক মুখেমুখে সমালোচনা।
আমি শিশির আমিত্ব নিয়ে করিনা যেন বড়াই
মানুষের যোগ্যতার সুঘ্রাণে নিজেকে যেন গড়াই।
পর্যাক্রমে একেক করে দিতে সবাইকে অনুপ্রেরণা
গুণীদের মানসম্পন্ন লেখালেখির হয়না গ্রহণযোগ্যতা।
আমি চাই'না অপরকে কাঁদিয়ে নিতে সম্মানের স্মারক,
সবাইকে নিয়ে সুখনান্দে থাকতে চাই দ্বিপ্রহর।
কেউ করবে সুনাম এই লেখার, কেউবা করবে দুর্নাম,
নিঃস্বার্থতা যার মনে আছে পরিপূর্ণতার চাষাবাদ,
সেই'য়ে বলবে লেখার উপলব্ধি যথাযোগ্যের প্রকাশ।
আমি ভাই ক্ষমা চাই, ক্ষমা করো মোরে,
মেকি প্রশংসার অনুপ্রেরণা না দিয়ে দিকনির্দেশনা দিও মোরে বারেবারে।
জীবনের চলার পথ
মুন্সী মোঃ তোফায়েল আহমেদ
হাসি কান্না জড়ানো,
আশা নিরাশা ভরা,
সুস্থ অসুস্থতায়,
গুণ দোষের সাথে,
ভালো মন্দের দ্বারা,
নতুন পুরাতন নিয়ে,
সত্য অসত্যের মায়াজালে,
রোগ নিরোগে যুদ্ধ করে
জীবন চলছে বহমানে।
এরই সাথে ক্ষণিকের
তৃপ্তির আশায়,
অন্যায়কে করি ন্যায়।
হোক তা ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়।
দেখি দলাদলি করি পক্ষবিপক্ষ।
সময় অসময় হঠ্যাৎ বিষ্মিত হয়
খবরগুলো দেখলে,
শিক্ষিত করে অশিক্ষিতহালে,
দলের অপব্যবহার থাকতে
টিকে ক্ষমতার মসনদে।
হয় অরক্ষিত রক্ষিতের নিকটে।
জ্ঞান ঝড়ে পরে মূর্খতার কাছে।
জেদ ধ্বংস করে তোলে
মনুষত্বের দেয়ালকে।
হাজার বছর ধরে চলছে
এই ন্যায় অন্যায়ের সংগ্রাম,
দরিদ্র, অসহায়ের প্রতি নির্যাতন।
সামান্য জীবন কেন এত
দলাদলি, হানাহানি, জবরদখল,
নিজেকে বড় করে তোলা?
কেন এমন হয়
জীবনের চলার পথ?
ছন্নছাড়া
রতন দাস নিলয়
এই দীপ্তময় শহরে, সবাই ব্যস্ত ও নীদ্রার বাহিরে,
চারদিকে কতো কাজ, সেই যে শুরু হয়েছিল কোন প্রহরে।
কতো যনজট তার পরেও এই শহর ফাকা,
কেউবা ভাতে, কেউবা হাভাতে পরে আছে একা।
ধনশালীরা দেখায় কতো প্রাচুর্যের বরাই,
অন্যদিকে কারো আবার নুন আনতে পান্তা ফুরাই।
কর্ম ছিল কত মন্দ, বুঝবে নিঃশ্বাসের সাথে লাগিলে দন্দ।
নাহি থাকিবে বরাই,করতে হবে নিঃশ্বাসের সহিত লড়াই
সবাইতো সাকারে কতো করে দুষ্কর্ম ও মিথ্যার প্রচার
আজ তাই মনে হয়, এই শহর অন্ধকার।
তোমার স্মৃতিতে ভরা সে দিন
মোঃ মিজানুর রহমান
তোমার মনে আছে!?
এক বিকেলে
তুমি অপেক্ষায় ছিলে আমার
দৃষ্টির সীমানায় খুঁজছ
আমি আসলাম হৃদয় আঙ্গিনায়
মানুষের স্রোতে আমরাও ভাসলাম
রাজপথে
তুমি চাপা গলায় কাঁপা স্বরে
কিছু বলছিলে
আমার অবয়বে তখন
লজ্জারা ঢেউ খেলছিলো।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকে
ডানে মোড় ঘুরতেই বই মেলা
সে দিন ৮-ফেব্রুয়ারি
আলাদা আলাদা নিরাপত্তা দরজা পেরিয়ে
দাঁড়ালাম তোমার সামনে
তুমি রসিকতায় বললে-
আরে তুমি যে
কখন এলে
সাথে কে
আমি পাগল কিছুই বলতে পারলাম না
তোমার কাব্যিক চোখ চেয়ে
কেবল ছোট্টো একটা হাসি দিয়েই
বেখেয়ালে কিছু স্বপ্ন বুনলাম।
এ পাশ ঘুরে
যাওয়া হলো বাংলা একাডেমি চত্বরে
কোন এক বেনামি কবির কবিতায় ডুব দিয়ে
আবদার করে বসলে
সামনের বই মেলায়
তুমিও একটা বই করো
যদিও তুমি জানো কবিজীবন
যে নেশায় নিজেও দগ্ধ।
পাগলা ঘোড়ার মতো
দৌড়াচ্ছে ঘড়ির কাটা
সূর্য ডোবার উৎসবে
নীড়ে ফিরছে শহরের কাক
আঁধারের সাথে খেলা করছে
সারি সারি সোডিয়াম বাল্ব
তোমার শান্ত হাত
আমার বে খেয়ালি হাতের মুঠোয়।
অনেক দিন বাদে টিএস সি তে
এক দন্ড বসার প্রয়াসে
দেবর্শীকে তুমি শুনালে প্রেম যাতনা
তোমার ঐ শুষ্ক হাসি
কি যেনো বলছিলো
বুঝেও বোঝা হয়নি
সে হাসির রহস্য শেষ।
সময় যায়
কত দূত যায়
পাগলা তেজি ঘোড়ার মতো
ফিরবে বলে উঠে বেরিয়ে
আবার যখন বসে পড়লে
বিজয় চত্তরে
জোৎস্নার কিরন পাতা ঝরা গাছের ডাল বয়ে নেমে
খেলছিলো তোমার শূচি অবয়বে।
হৃদয়ের প্রফুল্লতায় ভেসে যাচ্ছে
শরীরের সমস্ত গ্লানি অবসাদ।
সেদিন প্রথম দেখি- তোমাতে আমাতে
এক টুকরো স্পর্শে শক্তির জাগরণ।
কল্লোলিত শহরে ফিরে চলছি ইশারাতে
এক পথে এক সাথে এক স্বপ্ন প্রয়াসে।
কি এক হট্টোগোল প্রেসক্লাবের সামনে
শাহবাগ থেকে গুলিস্তান
যান চলাচল বন্ধ
চরম সিদ্ধান্ত তোমার- চলো হাঁটি
আমার লোভী মন বেজায় তুষ্ট
এক মুহূর্তকাল দীর্ঘ কাছে থাকবে বলে।
কতো কথায় না জানো তুমি
উচ্ছ্বাসে উচ্ছ্বাসে এক এক
বলেই চললে বলেই চললে।
বিদুৎ বাল্বের আলোয় মৃদু বাতাসে
রাজপথে খেলছে বাহারি গাছের ছায়া
শিল্পকলা একাডেমী বামে রেখে
ডানে রাস্তা নিলাম
তোমার হাজারো অভিযোগ অনুযোগ
শুনতে শুনতেই পথ শেষ
বলতে দিলে না কিছুই।
বাস কাউন্টার। নাড়ীর টানে ঘরে ফেরা
কর্ম ব্যস্ত মানুষের অপেক্ষার বিরক্তি
আমার ভাবনা তখন অন্যকিছু –
বাসের অপেক্ষায় এভাবেই কেটেযাক
সহস্র কাল।
তোমার সমস্ত পৃথিবী জুড়ে
ক্লান্তিকর আর তৃষ্ণার ছাপ।
KADG PRAGMATIC PLAY | Online casino | Rakuten | Kadangpintar
উত্তরমুছুনKADG 인카지노 PRAGMATIC 온카지노 PLAY. Rakuten. Rakuten. 제왕 카지노 Rakuten. Rakuten. Rakuten. Rakuten.