Header Ads

মাসিক কবিতাকণ্ঠ, ডিসেম্বর’২১,

কবিতা কণ্ঠ

পরিচালনা পর্ষদ

সম্পাদক :

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

 

নির্বাহী সম্পাদক:

কবির পথিক

প্রধান শিক্ষক (উপশহর  আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়,বগুড়া)

 

উপদেষ্টা সম্পাদক: 

কাজী হানিফ

(সিনি: ইন্সটাক্টর, টিটিসি)

 

প্রচ্ছদ:

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

নভেম্বর- ২০২১ (বর্ষ- ১৪, সংখ্যা- ৬৮)

আর  একজন   নজরুল   চাই

 

ধন্য ওরা

আমিনুল ইসলাম

 

বছর ঘুরে ঘুরে আসে

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর,

বাঙ্গালিদের আমরণ স্মৃতি,

প্রাণ হারানোর যতো গীতি,

হৃদয়ের পরশে স্মরণ করি-

বীর শহীদদের জীবন্ত জৌলুশ!

হিষ্ট পুষ্ট প্রাণের বিনিময়ে

একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশের জন্য,

শুধু ক্ষণিকের তরে জীবন বাজি ধরে,

এনেছে ছিনে স্বাধীনতার সূর্য

গণ্য হলো, ওরাই ধন্য।

 

প্রিয় চা

সেলিম আলতাফ

 

এক কাপ ধোঁয়া উড়ানো চা-

দুধ নয় নানা মশলাদার লাল চা,

ভোরের কুয়াশায় হেঁটে হেঁটে চা-

ভেজা গাছের পাতা ছোঁয়াতে চা।

এরপর খবরের কাগজ হাতে চা-

ভালো বা খারাপ খবর সবেতেই চা,

সূর্য আলোয় শিশির হারানো পর্যন্ত চা-

লবঙ্গ আর অন্যান্য মশলার গন্ধে চা।

ঘর হতে বেরুবার আগে আবার চা-

সব গুছিয়ে নিতে নিতে শেষ চুমুকে চা,

এরপর অফিসে এসে মিলবে বিস্বাদ চা-

অনিচ্ছা স্বত্বেও গলা বেয়ে নামে চা।

বিকেলে বন্ধু আড্ডার উৎফুল্লতায় চা-

শুধু চুমুক আর চুমুকে অজান্তে শেষ চা,

অতঃপর বাড়ী ফিরলে মনমত আসে চা-

দিন শেষের প্রচ্ছন্নতা নিয়ে আয়েশী চা।

তার জীবন জুড়ে এভাবেই আছে চা,

কারণ আর কিছু নয় প্রিয়তায় আছে চা।

 

চল ফিরে যাই

ফরিদুজ্জামান

 

আজ লক্ষ টাকায় হয়না বাড়ি

হাজার টাকায় বাজার,

চল ফিরে যাই মিলে সবাই

আগের যুগে আবার।

আগের যুগে চল চলে যাই

ঘুরিয়ে সময় চাকা,

কিনবো বাজার পানির দরে

করবো দামী টাকা।

গড়বো বাড়ি টাকা আনায়

কিনবো পাইয়ে বাজার,

সবাই মিলে থাকবো সুখে

দিন কাটাবো রাজার।

 

সে দিনের ও স্মৃতিমাখা বেলা অবেলায়

প্রণব চৌধুরী

 

সেদিনের সেই সময়ের স্বতঃস্ফুত স্বমহিমায় কিছুক্ষন সহবস্থানে

সাত সকালের স্যাঁতস্যাঁতে শীতের সকালে সখা সম্মুখে সজল বদনে

কত কথার কথাকলি কাননে কাঁতড়িয়ে ছিল কবরে

কেমনে কিভাবে কতক্ষন কেটে গিয়েছিল সময় কেতকী তোমার কর কমলে

আমন্ত্রিত আবহের আহ্বাণে আশ্রিত যত অশ্রুত অতসীদের আননে

অবেলায় আসছিল নয়তো অবহেলে অস্ফুষ্ট স্বরে অবাক নয়নের নয়নে।

মর্মবেদনে মর্মকথা যতছিল মনের মন মন্দিরের মণিকোঠায় মর্মবেদন

মাতনে মেতেছিল মাতন মানস পর্দার মানসপটে নয়ত মূক হয়ে মনের মতন

স্বরণের স্বরণিকায় স্বরনীয় স্বমহিমায় স্বরূপে সবাকারে হয়ে স্বর্ণিল

স্বজনের স্বভাবে স্বভাবতই স্বাগত জানিয়ে ছিল সর্বজনের স্বমর্মে সামিল

বিদায়ক্ষনে বিঁধুময়ী তব বিঁধির বিধানে বিঁধেছিল বদনে বিধাতা |

বিলক্ষণে তবু নও তো বেসুরো বিধিলিখনে বিঁধি দেয়নি তো বাঁধা

প্রতিবাদী মন তোমার করেনি প্রতিবাদ পথের প্রান্তরে

প্রস্তরে প্রভাব পড়েছিল পরাহ্নে হয়ে পরাভূত পঙ্কিল সলিলে

তবুও তুমি তোমার তুমিত্বে তব তথায় ততক্ষনে তড়িৎসকটে

তর্পণ করনি তরলে তোমার তুমিত্ব তমশায় তপোবনের তল্লাটে

 

ভাবক(কালিয়াগঞ্জ)

উত্তর দিনাজপুর, ভারত

 

পরন্ত বিকাল

মোঃ ইব্রাহিম মিয়া

 

পরন্ত বিকালে তুমিই ছিলে সাথি

হৃদয়ে দোলা দেয় আজও সেই স্মৃতি

অনুরাগের বৃষ্টি ঝরা

কোন এক বিকাল পাড়ায়

মৃদু মৃদু বসন্ত

আকাশটা ছিল বড় শান্ত

ছায়ায় ঘেরা সবুজের সমারোহ

সেদিন ছিল অহরহ

থম থম নিরবতা

নীল শাড়িতে প্রকৃতি ছিল গাঁথা

দক্ষিনা বাতাস এসে

লাগল তুমার কালো কেশে

ইচ্ছে গুলি ডানা মেলে

উড়ে তখন হৃদয় পালে,

চাওয়া পাওয়ার সকল আশা

হৃদয়ে বাঁধে তখন বাসা

মগ ডালের বুলবুলিটা

স্বাক্ষী ছিল সে দিন বিকালটায়

শপথ নিলে বট বৃক্ষের ডালে

ভূলবেনা আমাকে কোন কালে

পরন্ত বিকালে তুমিই ছিলে সাথি

হৃদয়ে দোলা দেয় আজও সেই স্মৃতি

অনুরাগের বৃষ্টি ঝরা

কোন এক বিকাল পাড়ায়

লাজুক মুখে একটু হেসে

বসেছিলে আমার পাশে

নদীর জলের শিতল হাওয়া

বসন্তের বাতাস ছিল উতালা,

জলস্রোতের ঢেওয়ের মালা

মনে বাড়ায় প্রেমের জ্বালা

একাকিত্তের একাকি

লজ্জা সরম রাখেনা বাকি

মনের কথা মুখের ভাষায়

ইশারাতে ডাক আমায়

চুপি চুপি নিরলে

ভালবাসি বলেছিলে

 

বাঁধন ছেঁড়া মদন

মুহাম্মদ শামসুল হক

 

সাধনবাঁধন ছিঁড়ে আমি

চলছি একা একা,

মেঘ হয়েই জগতে নামি

থাকে জানি আঁকা।

জলপরী দেয় জল ঢেলে

আমার দুঃখ মাঝে,

প্রকৃতি শুধায় দেহ মেলে

সকালসন্ধ্যা সাজে।

লা- সেই হারমনিতে

যখনই উঠিবে সুর,

বাতাসীর মধুর চাহনিতে

তূর পাহাড়ের নূর।

আমি বাবুই প্রথম মানুষ

আমিই শেষ অর্ঘ্য,

সুখ-দুঃখ ক্ষণিক ফানুস

রচিব তবু স্বর্গ।

 

হাঁস আয় রে আয়

মোছাঃ সীমা ইসলাম (জয়পুরহাট)

 

হাঁসরে তোরা কোথায় গেলি

খুঁজি থই থই

সারা বিলে ঘুরে বেড়াই

করে হই চই।

আয় রে হাঁস আয় রে হাঁস

কোথায় তোরা যাস,?

আয় রে তোরা ঘরে আয়।

যাস না অদূর গাঁয়।

দিব তোদের খেতে

দিবনা বিলে যেতে।

শিয়াল মামা আছে বিলে

খাবে তোদের গিলে

হলো যে, সন্ধ্যা বেলা

তোরা গেছিস কই?

বারে বারে ডাকছি আমি,

আয় চই চই।

একটু পরে হবে যে,রাত

আয় রে ঘরে আয়।

হাঁস রে তোরা কোথায় গেলি

কি হবে উপায়?

             (শিশুতোষ কবিতা )

1 টি মন্তব্য:

  1. The payout might be much less, however your odds of profitable are much greater. Betting is completed by putting chip/s on an space of the desk grid. The recreation provides a range 카지노 사이트 of odds interesting to first-time gamblers and skilled gamers alike. It has an extended and far-reaching history, relationship again to ancient occasions.

    উত্তরমুছুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.