মাসিক কবিতাকণ্ঠ মার্চ’২২, বর্ষ-১৫, সংখ্যা-৭১
পরিচালনা পর্ষদ
সম্পাদক :
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
নির্বাহী
সম্পাদক:
কবির পথিক
প্রধান
শিক্ষক (উপশহর আদর্শ বালিকা
বিদ্যালয়,বগুড়া)
উপদেষ্টা
সম্পাদক:
কাজী হানিফ
(সিনি:
ইন্সটাক্টর, টিটিসি)
প্রচ্ছদ:
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মার্চ- ২০২২ (বর্ষ- ১৫, সংখ্যা- ৭১)
আর একজন নজরুল চাই
শপথ
প্রণব চৌধুরী
সেদিন তো সকাল সকালে হয়ে সমবেত ৷
শাওলী তুমি করেছিলে শপথ সতত ৷
কোনদিন কোনো কারনে কক্ষনো তুমি |
করবেনা কপটাচারী কালের কপোলতলে কক্ষনি ৷
তারপর তোমার তুমিত্বে তুমি তথায় ততক্ষনে ৷
তাল তমাল তরুতলে করেছিলে তর্পণ তাতালে ৷
ফলশ্রুতির কোনো ফল ফলেনি ফসলে ৷
ফুড়ুৎ করে ফড়ফড়িয়ে ফুঁৎকারে ফাঁসালে ৷
আবহ ছিল অবর্তীণ আবাহমানে ৷
আকাশও আসে আশমানি রঙে জীর্ণ আলয়ে ৷
কথোপকথনের কত কথা হয়েছিল কওয়া ।
কাঙ্খিত কামনার কক্ষে করবে কোলাকুলি কমলা ৷
বর্তমানে বস্তুত তব বিধানের বিশেষণে ৷
বিদায়ে করেছো ব্যাথাতুর তব বসুধা বিষমে ৷
শপথের শয়তানীতে শতদ্রু তে নেই শতদল ৷
সমবিব্যাহারে সকলে গিয়েছে সহমরনে সকল ৷
পামড় পাপীষ্ঠ তুমি পাতকে পতিতা ৷
পারতপক্ষে পৃথিবীকে করতে পারতে পরায়ণতা ৷
অঙ্গীকারের অঙ্গনে আজি অশুভের আমমন ৷
অতল হয়ে অধিষ্ঠীত অতসি করেছো অবমনন ৷
বঙ্গ বরেণ্য কবি
আমিনুল ইসলাম
হে বঙ্গবরেণ্য কবি তুমি
এ বাংলার ছবি,
তোমার তর্জনী ছুয়েছে
দীঘল গগণ প্রান্ত জুড়ে
চির সবুজ জমিনের মাঝে
উদয় হয়েছে আজ রক্তিম রবি।
তোমার ঐ জ্বালাময়ী ভাষণের
সোনালী রঙে রৌদ্র ঝড়া তেজস্বী কবিতা
খরধারা সাহসী বজ্র আওয়াজ,
তোমার ঐ জাগ্রত চেতনার উর্বর ফসল-
এ বাংলার সবই।
হে বঙ্গবরেণ্য কবি তুমি
তোমার ঐ দুর্জয় চেতনার ছন্দে চলা
বিক্ষত বিজয়ী জীবনের দাম,
শুনেছি সেই অমর কবিতা তোমার --
"এবারের সংগ্রাম, মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।"
সোনাহাট স্থলবন্দর,
কুড়িগ্রাম।
নিজ প্রভাবে গড়ো নিজেকে
ফরিদুজ্জামান
নিজের প্রভাবে বেড়ে উঠো তুমি
পিতার প্রভাবে নয়,
নিজেই গড়ো নিজের যোগ্যতা
গড়ো নিজ পরিচয়।
পিতার আদর্শে তোমাকে সাজাও
তার অহংকারে নয়,
কর্মের গুণে যেন খুঁজে পায় তোমার
পিতার পরিচয়।
তোমাকে সাজাও তোমার মতোই
অন্যের মতো নয়,
অন্যেরা যেন ঠিক তোমাকে দেখে
তোমার মতো হয়।
অনুসরণ কর সদা ভালোর পিছু
মেতে থাকো ভালোয়,
মন্দের দুয়ার বন্ধ করে বাঁচো
পথ খুঁজো আলোয়।
তোমাকে চিনবে তোমাকে জানবে
অনুকরণ করবে তোমায়,
তবেই'তো সার্থক জন্ম তোমার
দুদিনের দুনিয়ায়।
মানুষ খুঁজছি এক প্রান্তে
ন্যান্সি দেওয়ান
আমি আমার স্বপ্নের মানুষ খুঁজছি,
যাকে আমি স্বপ্নে দেখি,
সেই আমার জীবন সাথী,
সেই আমার সব,
যার জন্য আমি আজও
পথ চেয়ে বসে আছি,
হয়তো আমি তার দেখা পাবো,
এই শহরে কোন এক সময়
কোন এক প্রান্তে,
সে আমাকে দেখাবে
এক নতুন পথের দিশা
আমি এক পরগাছা
তার গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়াবো !
সে আমার স্বপ্নের মানুষ,
যাকে আমি খুঁজি প্রতিক্ষনে ।
একটু না হয় ছিল ভুল
মোঃ ইব্রাহিম মিয়া
একটু না হয় ছিল ভুল
তাই বলে কি ভুলগুলো হবে না আর ফুল
ঝরে পরা কিছু পাতা
অপেক্ষার প্রহর গুনে
ফুটার ব্যাকুলতায় ।
তুমি আজ রইলে কোথায়
স্মৃতিমাখা সব কথা
গুমরে কাঁদে নিরবতায়
নিরাশার কুয়াশা
চারিপাশে বাধে বাসা ।
একটু না হয় ছিল ভুল
তাই বলে কি ভুলগুলো হবে না আর ফুল
সুখের রঙের আল্পনা
একেছিলাম দু জনা
রঙ তুলির রঙে
তুমি ছিলে আমার সঙে,
নীল আকাশের প্রান্ত বেলা
স্বাক্ষী ছিল একলা
চুপিচুপি কাছাকাছি
ভুল না হয়ে হয়েছিল মিছামিছি ।
প্রতিশ্রুতির প্রত্যাশা
দু হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলে আশা
স্বপ্ন দেখা অপেক্ষা মন
ভরসার জল ডোবায় সারাক্ষণ
আসবে বুঝি বসন্তের ঐ লগন,
অবেলা এই অবুঝ মন
মানে না কোন বাধন
বসন্তের ঐ উঁকি ঝুঁকি
প্রেম রঙে মাখামাখি
ভুল যদি হয় একটু সখি
ভালবাসার জলে কাঁদবে আমার আঁখি ।
বসন্ত বরণ অঞ্জলি দিয়ে
মোঃ রায়হান কাজী
বসন্তের আগমনে কিঞ্চিত ইচ্ছে জাগে প্রাণে,
তোমায় নিয়ে হাজারো স্বপ্ন আঁকি বেকুল হৃদয়ে।
ফাগুনের আগমনে তোমায় নিয়ে রাস্তার মোড়ে,
কিছু ফুল কিনে গুঁজে দিতে চাই চুলের খোঁপাতে।
কোকিল পাখি ডাকছে দেখ কুহু কুহু মিষ্টি সুরে,
ফাগুন এসেছে দেখ হলদে গাধা ফুলের ভিড়ে।
কৃষ্ণচূড়ায় রাজপথ সেজেছ রুক্ষতা কাটে ধীরে ধীরে,
এ-তো সব নতুনের ভিড়ো তোমাকেই রাখি যত্ন করে।
ভালোবাসার এই উৎসবে হলুদের সমারোহে আঁচে,
বাসন্তীর রং পরিস্ফুট হয় যেন শাড়ীর আঁচলে।
আমি নব সংগীতের দরজায় কড়া নাড়তে চাই,
হলদে নীল পাঞ্জাবি পড়ে রিকশায় করে তোমার সাথে পথ চলাতে।
বৃক্ষ সাঁজে নতুন পল্ললে সজীবতা জাগে প্রাণে,
তোমার কোপালে চুম্বন এঁটে দিতে চাই সংগোপনে।
প্রকৃতির রঙিন প্রচ্ছেদে কবির কবিতার অমর ছন্দে,
বসন্তকে বরণ করতে চাই তুমি আমি মিলে ফুলের অঞ্জলি ছড়িয়ে।
কোন মন্তব্য নেই