মাসিক কবিতাকণ্ঠ এপ্রিল’২২ বর্ষ-১৫, সংখ্যা-৭২

পরিচালনা পর্ষদ
সম্পাদক :
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
নির্বাহী
সম্পাদক:
কবির পথিক
প্রধান
শিক্ষক (উপশহর আদর্শ বালিকা
বিদ্যালয়,বগুড়া)
উপদেষ্টা
সম্পাদক:
কাজী হানিফ
(সিনি:
ইন্সটাক্টর, টিটিসি)
প্রচ্ছদ:
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এপ্রিল- ২০২২ (বর্ষ- ১৫, সংখ্যা- ৭২)
আর একজন নজরুল চাই
জীবন যখন স্বপ্নময়ী
আমিনুল ইসলাম
প্রত্যাশী মানুষের স্বপ্নগুলো দোল খায় -
চোখের পাপড়িতে,
ছটপট করে ভাবনার পরতে পরতে,
ঘুমকে নির্লিপ্ত ডানা ঋাপটা পাখির মতো উৎপাত করে; আলোস্যের ভোর ভাঙ্গাতে,
মস্তিস্কে সদা সফলতার ব্যস্ততা,
উত্তেজনায় হাতের আঙ্গুলের ডগায় -
অতৃপ্ত নেশার সুরসুরি;
অদম্য দু পায়ের ক্লান্তিহীন অনুরাগ ছন্দ,
শুধু বেপরোয়া দ্বন্দ্ব গুলো,
তপ্ত ধুলোর মতো চলতে
সান্দ্রতা তৈরি করে,
বার বার হোচট খায় কুপমন্ডুক সমাজের-
শক্ত অসভ্য দেয়ালে,
তবু উঠে দাঁড়ায়-অদম্য চলার--
অনুরাগ ছন্দে,
কৃতিত্বের মরিচিকা তন্দ্রা ধরায়,
আবারও সান্দ্রতা মুছে দু পা চলে--
বিজয়ের বন্দরে,
হয়তো বা হতাশার কুয়াশা ভেঙ্গে
একদিন রঙ্গিন পাপড়ি খোলে -
সেই লালিত প্রত্যাশার........।
সোনাহাট স্থলবন্দর, কুড়িগ্রাম।
স্বাধীনতা দিবস
মোঃ ইব্রাহিম মিয়া
১৯৪৭ সালের ১৯০ বছরের
ইংরেজ শাসন আমলের অবসান তুমি
তুমি ৩০ লক্ষ্য শহীদের রক্তের প্রতিক
তুমি বাংলার আকাশ পাড়ের
এক মুঠো হাস্য উজ্জ্বল রোদ্র ।
কি ভাষায় গাইব আজ তুমার গান
তুমাকে কুড়াতে বিধবার শাড়িতে
কাঁদছে অনেকের প্রাণ,
ছেলে হারা জলন্ত অনল শিখায়
আজও জলছে যাদের বুক
তুমি তাদের প্রাণে এক মুঠো সুখ ।
কি ভায়ায় গাইব আজ তুমার গান
বিষন্নতায় ভরা আজ আমার এই প্রাণ
কত আগ্রহ আর ব্যাকুলতায়
বোনের হারানো ইজ্জতের শানিলতায়
তবুও কুড়িয়েছি তুমায়
রনাঙ্গনের রক্তঝরা বিন্দু কনিকায় ।
একটা মানচিত্র আবিস্কারের প্রতিষ্ঠায়
তুমাকে ডাকতে হয়েছে হে স্বাধীনতা
মৃত্যু নামক বুলেটের সম্মুখে
হাজারো লাশের গন্ধের স্তুপে
আকাশের শকুন গুলোও
সেদিন কেঁদেছিল নিরবে ।
জাগুক প্রাণে স্বাধীনতার ছবি
ফরিদুজ্জামান
স্বাধীনতার সুখ পেতে চাই
সকল বাঁধন টুটে,
আকাশটাকে চাই পেতে চাই
নিজের হাতের মুঠে।
চাই পেতে চাই বদ্ধ খাঁচার
বাঁধনটা যাক খুলে,
উড়ুক পাখি মেলুক ডানা
মনের কষ্ট ভুলে।
স্বাধীনতার সুখ পেতে চাই
পথের শিশুর ধারে,
চাই পেতে চাই সুখটা যেন
ঘুরুক সবার দ্বারে।
সব ভেদাভেদ ভুলে সবার
উঠুক জেগে রবি,
জাগুক প্রাণে সবার ঘ্রাণে
স্বাধীনতার ছবি।
দেবী
প্রণব চৌধুরী
হ্যাঁ,
আমি ঠিকই বলেছি,
তুমিতো অন্য কিছু বলতেই পারতে,
যখন মনাকাশে ঘনীভূত হয় মেঘের ঘনঘটা,
মৌসুমী জানিয়ে দেয় তার আগাম আগমনী বার্তা,
যে আমি আসছি,
তোমাদের অঙ্গণে অঙ্গণে,
আমার প্রেম করের ছোঁয়া,
তোমাদের দেহ মনে অবশ্যই,
তুলবে প্রাণের হিল্লোল,
বোধনে বোধিত হবে,
মুর্তিতে প্রাণের পরশ,
অঞ্জলীর সব উপাদান উপকরন,
থরে থরে সজ্জিত,
মন্দিরের মণিকোঠায়,
পুরোহীত সব অর্ঘ্য উপাচার,
অন্তে আরধ্য দেবীর পদযুগলে,
নিবেদিত প্রাণ ৷
সেই সময়ই দেবী তার স্বমুর্তি ধারন করে,
বলেন ওহে বৎস,
আমি তো আর,
তোমার ঘরে বাস করতে পারব না,
পুরহীত তো অবাক এবং বিশ্মিত !
বলে মাতঃ,
কি অপরাধ মমঃ,
আমি তো আমার সাধ্যমত,
তোমার আরাধনা করি,
দেবী বলে,
কিন্তু,
তুমি আমার প্রিয়ভক্ত নও,
যদিও তোমার কোনো ত্রুটি নেই,
তবে-
তোমায় আমি আমার মনে,
স্থান দিতে চাই না তাই ,
কেন ?
কেনোর কোনো উত্তর হয় না প্রিয় বৎস,
তাহলে এতদিন যে তোমায় আরধ্য দেবীরূপে,
আমি মেনে এসেছি,
ত-খ- ন তো--------?
না- না-,
ত-খ- ন- ও----------!
ও ছিল,
তোমায় বলিনি,
তবে কেন এতদিন,
আমার পূজা গ্রহণ করতে ?
তুমি ভালোবেসে ও শ্রদ্ধা মিশ্রিত কায়মনবাক্যে,
আমার অর্ঘ্য সাজাও নিবেদন করো,
কোনো সন্দেহ নেই,
ত-বু- ও- !
ভালোবাসি তাকে,
তা--- ই---!
ওঃ!
তোমরা দেবী বলে সব কিছুর উর্দ্ধে তাই না ?
কারন,
তোমরা যা কিছু করবে,
আমরা তা করতে পারব না,
কিন্তু যা কিছু বলবে,
তা আমাদের অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে,
তাই তো ?
সত্যি মহামায়া,
তোমার মায়া বোঝা দায় !
মায়ার রাণী তুমি,
কখন কোন লীলার অবতারনা করো,
ভক্তদের বোঝা ভার ৷
তবে যে লীলায় দেখাও না কেন,
তাতে তোমার ভক্তদের যেনো প্রাণহানি না হয়,
তার প্রতি একটু দৃষ্টি রাখবে,
এটাই মোদের করুণ প্রার্থনা তোমার নিকট ৷
সত্যের জয়
আশিকুর রহমান
আজ পৃথিবীর তখতে তখতে দানবের দল বসে,
মাতাল-নৃত্য করিছে নিত্য মজলুম-খুন শুষে।
ভয় পেয়ো না ক' বীর মুজাহিদ, ভাঙিয়া পড়ো না দুখে,
মাতাল দানব বেশিদিন আর র'বে না ধরার বুকে!
নির্যাতিতের অভিশাপে তার কপালে পড়েছে ছাই,
ঘুণ ধরিয়াছে গদিতে, ধসিতে আর বেশি দেরি নাই!
পথের আবর্জনা সম ওরা বাতাসে ঊর্ধে ওঠে –
ক্ষণিকের তরে – চোখের পলকে পথের ধুলায় লুটে।
দম্ভে মাটিতে ঠেকে না চরণ, জানে ওরা ইতিহাসে-
কত জালিমের তখত-প্রাসাদ গিয়াছে ধুলায় মিশে?
কত ফেরাউন, কত নমরূদ মরেছে তাদের পাপে –
তখত, ক্ষমতা, সম্পদ লয়ে – নির্যাতিতের
শাপে!
কত কায়সার-কিসরার তাজ হল ধূলিলুণ্ঠিত,
নশ্বর এই মসনদে বসে তবুও গর্ব কত!
হতভাগা ঐ জালিমেরে কভু বাঁচাতে পারে না তবু –
তখত, ক্ষমতা, সম্পদে ওরা পূজা করে ভেবে প্রভু।
“চিরকাল র'বে মসনদে সে-ই” – ভাবে সে গদিতে বসে,
জানে না – হয়তো বধিবে যে তারে গোকুলে বাড়িছে সে!
নির্যাতিত ও মজলুমে গদি ধরে টান দেয় যদি –
প্রাণের ভিক্ষা তত নাহি চাহে, যত চাহে ওরা গদি!
খাবি খায়, তবু ওরা তখতের দাবী কভু নাহি ছাড়ে,
শয়তানে বুঝি মন্ত্রণা দিয়া নাচে শিরে – চড়ে ঘাড়ে!
বোঝে না অত্যাচারী চিরকাল রহে না ক' ক্ষমতায়,
আল্লার মারে ধূলিতে লুটালে 'হা' করে ঊর্ধ্বে চায়।
সত্য পথের বীর মুজাহিদ! ভয় নাই, নাহি ভয়,
সাম্য-শান্তি লক্ষ যাদের – নাহি নাহি পরাজয়!
দৈবচক্রে দৈত্য-দানব মাঝে মাঝে পায় জয়,
অবশেষে চির-কলঙ্ক হয়ে কালের পাতায় রয়।
ওরা কৌশল আঁটে – কৌশল আঁটে খোদা এইদিকে,
উত্তম পরিকল্পনাকারী
কে বা আল্লার থেকে?
পর্বত-অটল রহিব – আসুক জয় কি বা পরাজয়,
জয়ী যদি হই, এক আল্লার মাহাত্ম্যের হবে জয়।
আল্লার রাহে যে বা যত লাঞ্ছিত হয় দুনিয়ায়,
পরকালে সেই আল্লার কাছে তত ভালবাসা পায়।
খোদার প্রেমের ঝর্ণা তাদের 'পরে ঝরে অবিরত,
কাতারবন্দি লড়ে যারা সীসাঢালা প্রাচীরের মত!
নিহত যদি বা হয় কেহ লড়ে প্রভু আল্লার পথে,
শহিদ হয়ে তাঁর চির-প্রিয় মেহমান হয় জান্নাতে।
হাশরের ময়দানে দেখে তাঁর অতুল মর্যাদায় –
জ্বীন, ফেরেশতা, নবী-সাহাবীরা জ্বলে মরে ঈর্ষায়।
ক্ষণিকের তরে কুফরের জয়ে পিছু হটিব না কভু,
বুঝিব মোদেরে মুসিবতে ফেলে পরিক্ষা করে প্রভু।
বিপদে হারায় ধৈর্য-সাহস – সে তো মুসলিম নয়,
হিমালয়-অটল ঈমান যাহার – তারে 'বিশ্বাসী' কয়!
কাপুরুষ যারা, জুলুমে যাদের শির উঁচু নহে কভু,
বেঈমান ওরা, কাফের – ওদেরে ভালবাসেন না প্রভু।
মুসলিম সেই – আল্লার 'পরে পূর্ণ যার ঈমান,
আল্লা ব্যতীত করে না কারেও ভয় – কোথা সেই প্রাণ?
উৎপীড়ন যে করে মজলুমে – নাহি ক' ধর্ম-জাতি,
উহাদের শুধু এক পরিচয় – “রাক্ষস” বলে খ্যাতি।
মানবজাতির মাথায় চাপিয়া ওরা প্রভুত্ব করে,
নৈরাজ্যের মেলা বসায় এরা তামাম বিশ্ব জুড়ে!
কাঙালের শেষ সম্বল কেড়ে দানবীয় সুখ পায়,
পাহাড় সমান সম্পদ গড়ে আরেক পাহাড় চায়!
সর্বহারা ও নিপীড়িত – কোনো ধর্ম-জাতির নয়,
তারা বঞ্চিত, তারা মজলুম – এই এক পরিচয়!
আল্লার কোনো জাতি নাই, তিনি নির্যাতিতের তরে,
যুগে যুগে দূর হয় জালিমেরা তাঁহার প্রবল মারে।
তাহাদের তরে দোযখে ভীষণ অগ্নিকুণ্ড জ্বলে –
আল্লার প্রিয় সৃষ্টি মানুষে দলে যারা পদতলে।
অত্যাচারীর কদমে সালাম করে যে জুলুম সয়,
মনুষ্যত্বহীন দুইজনে – শয়তান পরিচয়।
খোদাপ্রদত্ত বলে যে জুলুমে নাহি করে প্রতিরোধ,
বোধজ্ঞান-হারা পশু ওরা, বিকিয়েছে মানবতাবোধ।
মুখ বুঁজে সহে জুলুম, জালিম সম অপরাধ তার,
ক্ষমা নাই তার এলেও দোযখ ঘুরে শতকোটি বার!
জুলুম যে করে, জুলুম যে সহে প্রতিবাদহীন মুখে,
আল্লার মারে উভয় শ্রেণি দূর হয় যুগে যুগে।
মানুষের অধিকার কাড়ে যে বা, কভু সে মানুষ নয়,
উৎপীড়ন যে করে, তার শুধু দানবের পরিচয়!
সর্বহারারে নিপীড়ন করে যারা অধিকার কাড়ে,
নির্যাতিতের অভিশাপে তার মসনদ ওঠে নড়ে।
শান্ত রয় এ পাপের ধরণী খোদায় শান্ত র'লে,
তামাম বিশ্ব ছাই হবে যদি খোদা ক্রোধে ওঠে জ্বলে!
সত্যের শিখা জ্বলে যার হৃদে – দুনিয়ার বুকে বীর,
'আল্লাহ' বিনে কারো সম্মুখে নত করে না সে শির!
এক আল্লারে ইলাহ ব্যতীত মানেনা কারেও প্রভু,
কুফরের আঘাতে প্রাণ নিভিলেও, নিভে না ঈমান কভু।
ঈমানের তেজ জ্বলে তত বুকে, যত সে আঘাত খায়,
যুগে যুগে হেসে প্রাণ দিয়া শত নির্জীব আত্মা জাগায়!
নব প্রাণ পেয়ে সে আত্মা হাঁকে হায়দরি হুঙ্কার,
বক্ষের ছাতি ঢাল করে চাহে রুখিতে সে অবিচার!
ওরা বিপ্লবী, ওরা বিদ্রোহী – যুগে যুগে দিয়ে প্রাণ –
আনে এ পাপের বিশ্বে নিখিল উৎপীড়িতের ত্রাণ!
বিপ্লবীদের জীবনের বিনিময়ে বিপ্লব আসে,
বিপ্লবীদের খুনে রেঙে নভে মুক্তি-সূর্য হাসে!
বীর মুজাহিদ! উল্কার বেগে সমুখে এগিয়ে চলো –
দুর্গম পথে - পর্বত-সম বাধা সব ভেঙে ফেলো।
খোদায় পর্বত-অটল ঈমান, সবর হোক চিরসাথী,
নিত্য জ্বালিবে সূর্য-চন্দ্র আমাদের পথে বাতি।
নিরাশ হয়ো না বীর মুজাহিদ, বেশিদিন নাই বাকি,
নির্যাতিতের শাপে জালিমের গদিতে লেগেছে ঝাঁকি!
মসনদে বসে যদি কেহ করে মসনদের অপমান,
অত্যাচারী সে! – খোদার হুকুমে যায় তার গর্দান।
মানুষের মনগড়া সে আইনে শান্তি আসে কি কভু?
শান্তি আনিতে বিশ্বে, কোরানে আইন দিয়াছে প্রভু!
স্বার্থের নীতি রচিয়া জালিম ইলাহের রূপে বসে -
নির্যাতিতের খুন খেয়ে তার অস্থিমজ্জা চোষে!
ভোগী-রাক্ষস! জালিম! – আজিকে হুঁশিয়ার! হুঁশিয়ার!
তখত-প্রাসাদ নির্যাতিতের ক্রোধে হবে ছারখার।
তোমাদের চেয়ে ইতিহাসে ছিল যাহারা প্রবলতর,
খোদার উপর খোদাগিরি করে ভাবিত 'শক্তিধর'!
জুলুম করিয়া মানুষে কহিত – “আমরা তোদের প্রভু!”
ইচ্ছা-অন্ধ! তাহাদের পানে চেয়ে দেখেছ কি কভু?
তখ্তে চড়িয়া নিজেরে ভাবিত “সর্বশক্তিমান!”
আল্লার মারে উড়িয়া গিয়াছে – দেখনি ক' পরিনাম?
অত্যাচারী সে রাক্ষসদের রাজত্ব হবে শেষ,
বিশ্বে চলিবে আজ হতে ঐ এক সে খোদার আদেশ!
সাত আসমান বিদীর্ণ করি ধেয়ে আসে ক্রোধ তাঁর,
জালিমে মারিয়া আনিবেন খোদা মজলুমের অধিকার!
এক আল্লার ভয় করি শুধু – করি না কারেও ভয়,
আসুক আঘাত শত দিক হতে – মানিব না পরাজয়।
সত্য পথের দিশারী, এক সে সর্বশক্তিময়,
তাঁর পথে লড়ে শহিদ হয়ে মোরা করিব 'স্বর্গ’ জয়!
সত্য পথের সেনারা করে না পৃষ্ঠপ্রদর্শন,
মৃত্যু আসিলে প্রিয়া ভেবে বুকে জড়িয়ে করে বরণ!
উৎপীড়িতের তরে প্রাণ দেয় - তার সম কেবা হয়,
আল্লার রাহে প্রাণ দেয় - তার মৃত্যু মহিমময়!
আল্লার পথে মানুষের কল্যাণে হেসে দেব প্রাণ,
পীড়িতের তরে বিশ্বে আনিব শান্তির ইসলাম!
সাক্ষী থাকিবে চন্দ্র, সূর্য, আকাশ, তারকারাজি –
পথভ্রষ্ট কারা? কারা রাখে তাঁর পথে প্রাণবাজি!
মাখিব মেহেদী জালিমের খুনে মোদের দু'হাত ভরে,
আমাদেরি লোহু লিখিবে মুক্তি-বার্তা ভূ-তল জুড়ে!
সত্য পথের বীর মুজাহিদ! নাহি ভয়! নাহি ভয়!
হুঙ্কার দিক কুফর! – আসিবে শেষে সত্যের জয়!
শেখ মুজিবুর রহমান
বাদশা
আলমগীর
মুজিব
তুমি
কই,
আজও
অপেক্ষায় রই
মুজিব
তুমি
কই।
খোজছে
সবে
হতাশ
হয়ে,
ঘাটছে
ইতিহাস
বই
মুজিব
তুমি
কই।
জানি
তুমি
ফিরবে
না
গো,
বাংলার
এই
তীরে
তবুও
তোমায়
পাই
গো
খুজে,
বাঙ্গালী জাতির
ভীরে।
দেশ
দিয়েছ,বাঙালি জাতি দিয়েছ,
দিয়েছ
মোদের
ভাষা
তাইতো
মোদের
তোমার
প্রতি
শ্রদ্ধেয় ভালোবাসা।
সাহস
দিয়েছ,
মনোবল
দিয়েছ,
দিয়েছ
স্বাধীনতার আশা
তাইতো
সবে,
রুখে
দারিয়েছে
ছাত্র,কামার,কুমার যত
চাষা।
মুজিব
তুমি
জন্ম
নাও
তরুণ যুবকের অন্তরে,
কেটে
দাও
যত,
ধর্ষ্য,
দুর্নীতিবাজের গর্ধান
বাংলার
এই
প্রান্তরে।
সোনাহাট স্থলবন্দর ভূরুঙ্গামারী কুড়িগ্রাম

কোন মন্তব্য নেই