Header Ads

মাসিক কবিতাকণ্ঠ, জুন’২২, বর্ষ-১৫, সংখ্যা-৭৪

কবিতাকণ্ঠ

পরিচালনা পর্ষদ

সম্পাদক :

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

 

নির্বাহী সম্পাদক:

কবির পথিক

 

উপদেষ্টা সম্পাদক: 

কাজী হানিফ

(সিনি: ইন্সটাক্টর, টিটিসি)

 

প্রচ্ছদ:

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

জুন- ২০২২ (বর্ষ- ১৫, সংখ্যা- ৭৪)

আর  একজন   নজরুল   চাই

স্বপ্নগুলো নিকষ কালো

ফরিদুজ্জামান।

 

স্বপ্নগুলো নিকষ কালো

আলোর মাঝে নাই,

ইচ্ছে গুলো নষ্টের সাথে

বেঁধেছে বুকে ঠাঁই।

জমছে জমে নিত্য দমে

কুলষিত ধোঁয়া,

নিত্য বাড়ে হাটবাজারে

যায়না দামে ছোঁয়া।

সৎ পথে সত্যের সাথে

মিথ্যে মিশে হায়,

উড়ছে উড়ে ঘুরছে ঘুরে

লোভ লালসায়।

ঘাড়ের কাছে ভুত চেপেছে

চাই দালান কোঠা,

গড়তে হবে গড়তেই হবে

নইলে জীবন বৃথা।

ইচ্ছে সবার নষ্টের ওপার

হারিয়ে গেছে তাই,

স্বপ্নগুলো নিকষ কালো

ভালোর মাঝে নাই।

 

কিছু আশা মিটে না

মোঃ ইব্রাহিম মিয়া

 

কিছু আশা মিটে না জানি

তবুও থামে না আমার ছুটে চলার পাগলামি

রবির আলো ফোটার আগে

পিপাসার তৃষ্ণা জাগে

কাতর এই অভুক্ত মন

সারা বেলা চায় শুধু একটু সুখের জল

ক্ষুধার্ত কাকের ন্যায়

কত ডালে উড়ি আমি

তবুও থামে না আমার ছুটে চলার পাগলামি

কিছু আশা মিটে না জানি

তবুও আমার স্বপ্ন দেখা থেমে থাকেনি

বর্ষার আকাশে

রংধনু যেমন থাকে মিশে

কালো মেঘের আড়ালে

সূর্য যেমন হাসে নিরলে

নদী যেমন ছুটে চলে সাগরের কাছে

সবকিছু ফিরে পায়

মোহনার জলে ভিজে

আমারও মন ছুটে চলে

অশান্ত তৃষ্ণা নিবারনে

কিছু আশা মিটেনা জানি

বেঁচে থাকার যুদ্ধটা তবু্ও থামেনি

আহার নিদ্রার অভাব হলে

রোদ বৃষ্টির কাঁদা জলে

পিপড়া তাদের পালে ছুটে চলে

মাছ রাঙা শিকার পাখি

মাছের আশায়

পুকুর পাড়ে উড়ে দিবা নিশি

মুরগির ছানা ভয়ে কানা

কখন জানি চিল পাখিটা করবে হানা

ভয়ে ভয়ে কাটে বেলা

তবুও থামেনা জীবন যুদ্ধের খেলা

ছুটে চলার ব্যাস্ততায়

আমার মন কাঁদে ভরসার আশায়

 

নব দম্পতি

মো.মামুন আল ইসলাম

 

লাল টুকটুক বউ,

নেইতো ঘরে কেউ।

তোমার এত রূপ,

তবু কেন চুপ।

ঘোমটা খানি খোলো,

নয়ন দুটি তোলো।

হাত দুখানি ধরো,

একটু আদর করো।

ওগো আমার বর,

কি গুপ্ত চর?

সয়না কেন তর ,

নেই কি মনে ডর?

একটু কাছে এসো,

মুখটি খুলে হাসো।

আমার পাশে বসো,

এবার ভালোবাসো।

 

আমি কে ?

প্রণব চৌধুরী

 

আমি কে ?

আমার আমিতে আমি আবাহমান কাল থেকে এক অনাহুত অতিথি,

আসম্ভব কে করতে সম্ভব অর্দ্ধসমাপ্ত কে করতে সমাপ্ত

অভিধানে অনন্তকাল ব্যাপি বিচরান্তে অবাক হয়ে অবলোকনে শুধুই অস্ততি,

অতঃপরে অবলীলাক্রমে অশনি সংকেতের অমোঘ আহ্বানে আদ্যপ্রান্ত

তবুও এই তব তপোবনে সকল তাপস তাপসিরা তপস্যায় তপস্বিত,

তরলিকরনে তমশার তারল্য তথাপি তথায় হয়নি তর্পণ |

তার জন্যই তাপীয় তাতালে আজও আমরা তাঁরা হয়েছি তটস্থ,

তর্ক বির্তকে তামিলের তালিম দিয়েও তমাল তরুতলে হয় তর্জণ

কভু কি কখনো কোথাও কোনোরূপে কলকল ধ্বনিতে,

বা পাখির কূজণে বা কলকা কুলির কলতানে তুমি করেছো কি কখনো

কেমন করে কঙ্কণ করমন্ডল বা কামরূপ করতোয়াতে,

কৃষ্ণা কাবেরীর পূৰ্ণ বারিধারায় রবিকরের কর করেছে কি কার্পণ্য

আমার আমিকে তবুও খুঁজেই চলেছি আসমানের অলীক বাদলে,

অবণীর সিমান্ত অতিক্রম করে অর্কের অনতিদূরে করেছি অবস্থান

অবয়ব ক্লান্ত চায় অখন্ড অবসর অসময় তবুও আঘাত হানে অঙ্গণে,

অনবরত অনর্গল অসির আঘাতে তবু আমি পাইনা খুঁজে আমার আমিত্বের স্থান

মনপাথারে করে মন্থণ মনের মণিকোঠার মন মন্দিরে,

মানব কে দেখেছি ময়াল বা ময়দানবে মলয়কে মাতাতে

মানবিক কখনো হয়েছে মহান কখনো ময়দানে মাতনের মরলখেলা,

মরাল মরালীরা তবুও আছে মরাল মরালে শুধু মানব মাতালে

সুমি তুমি চেয়েছো সমাধান সাধারনে বা সরল সমীকরনে,

সৎ সততার সখা নেই আর সাথীরা সত্যিই আজ সঙ্গীহীন

সাবলীলের সরল আজ প্রজ্ঞাল সুমি সত্য তো শায়িত সলিলে,

সঙ্গা আজ সঙ্গাহীন সুমি তবুও আমি খুঁজে ফিরি আমার আমিকে হয়ে সমীচিন

 

 



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.