Header Ads

মাসিক কবিতাকণ্ঠ, জুলাই-২২, বর্ষ-১৫, সংখ্যা-৭৫

kobitakontho

পরিচালনা পর্ষদ

সম্পাদক :

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

 

নির্বাহী সম্পাদক:

কবির পথিক

 

উপদেষ্টা সম্পাদক: 

কাজী হানিফ

(সিনি: ইন্সটাক্টর, টিটিসি)

 

প্রচ্ছদ:

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

জুলাই- ২০২২ (বর্ষ- ১৫, সংখ্যা- ৭৫)

আর  একজন   নজরুল   চাই

সত্য ভালোবাসা

আমিনুল ইসলাম

 

হে আমার হাসিমুখ প্রিয়ংবদা সুস্মিতা,

আমার হৃদয় ভুবনের বিজয়িনী,

তোমার সৌন্দর্য রাজ্যে অতুলনীয়,

একি সুন্দরী তুমি!একি মুখশ্রী মায়বী হাসি!তোমারই কস্তূরী সুগন্ধময় মেঘে ঢাকা কালো চুল,একি কোমলতা,সে কি চারুতা, চটুলতা তোমার অঙ্গে অঙ্গে রঙে সেজে আছে।

তোমার নিশ্বাসের নরম সুগন্ধে আমার আত্না তৃপ্ত হয়ে যায়, আমি পাগল হয়ে যাই তোমার মস্ত রূপে,তাই চুপে চুপে খুঁজি নিশি অন্ধকারেও,শুধু তোমাকে।

যেন ভুলতেই পারি না, কি চমৎকার

অনুভূতি তোমার , কি যাদুময় দৃষ্টি চাহনি।

কি মন মাতানো ছলকলা কথার ছন্দতা,

তোমার চোখ শীতল বাতাসের মতো আমাকে নাড়া দিয়ে যায়,

কি অজানা রহস্যে আবৃত তোমার মুখমন্ডল, আমি যতই দেখি চোখ ফেরাতে পারি আর কই? ভেসে যাই তোমার রূপের স্রোতে হালকা কাঠখড়ি হয়ে।

তুমি আমার ভরা বর্ষার স্রোতস্বিনী, আমার প্লাবন মেঘের ঊর্মি খেলা তরঙ্গিণী,

তুমি আমার বসন্তের লাল কৃষ্ণচূড়ার

বাতাসে দোলা লাজুক পাপড়ি।

তুমি লালপাড়ী সাদা শাড়ির ঝলক লাগা

বৈশাখী সাজে বাঙালি বউ,

আমার সংসারমনা গৃহিণী তুমি

ঘরের সৌন্দর্য আলোক শিখা --

প্রেমের বন্ধনে বাঁধা শ্রেষ্ঠ ঘরনী,

আমার প্রাণের সখি তুমি, মনের ময়ুরী,

তুমি আমার সহযোদ্ধা, সহচরী,

জীবন সঙ্গী হয়ে আমার নিথর বুকে --

লুকিয়ে থাকা প্রিয় সহধর্মিণী।

তুমি আমার জানের জান,

সৃষ্টিকর্তার মহা নেয়ামত,

তুমি আমার হাজারো প্রত্যাশার সুতায়

বুকভরা কাঙ্ক্ষিত সোনালী স্বপ্ন আশা,

তুমি হৃদপিন্ডের নিরলস কম্পন ছোয়া

স্বস্তিময় বুকের ভিতর মোলায়েম কলিজা

তুমি আমার নিঃস্বার্থ প্রেম, নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে

সত্য ভালোবাসা।

 

সোনাহাট স্থলবন্দর, কুড়িগ্রাম।

 

ভাষা দিবস "একুশে ফেব্রুয়ারি" উপলক্ষে আমার একটি কবিতা : কবিতাটির বৈশিষ্ট্য : এখানে 21 টি লাইন আছে। প্রতিটি লাইনে 21 টি কোরে অক্ষর আছে।

 

একুশের কবিতা

শেখ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

 

কত গান! কত কবিতা! আজ হয়ে গেছে লেখা;এই দেশে,

কবিতা আবার লিখিলাম আমি, একুশের কবি একুশে।

একুশ অক্ষরে লিখিলাম আমি, একুশে কবিতার গান,

চারিদিকে তাকিয়ে দেখি শুধু, একুশের কবিতার বান!

কত কবি! কত কবিতা! লিখে গেছেন -অমর একুশে,

কত গায়ক! কত গান! গেয়ে গেছেন এই বাংলাদেশে।

কত গীতিকার! কত সুরকার! করেছেন গান রচন,

কত চিত্রকর! কত ছবি একেঁছন! ফুল ফল অংকন,

শত অশ্রু! তাজা রক্তে গড়া; বাংলাভাষা কোটি মানুষের,

কত মানুষের! একুশের কবিতা; এই ভাষা আমাদের।

একুশের ডাকে; একুশ বাক্যে করিলাম কবিতা রচন,

রবি-ঠাকুরের হাজারো প্রকৃতি, কবিতার স্বর্গ রতন।

বঙ্গ-সাহিত্যে কবিতার জগতে; বিদ্রোহী কাজী নজরুল,

গজলে-গানে তাঁহার সব; ফুটে উঠেছে পাখি বুলবুল।

একুশের কবিতা লিখিলাম আমি; কবি সুকান্তের নামে,

একুশ তাঁহার ছিল বয়স, গাহিল গান ভাষার দামে।

একুশ মানে লালন ফকিরের অবিনাশী সুরের গান,

একুশ জাগায় প্রাণে শিহরণ, এই বাংলার বৌ ধান।

মোর বয়স একুশের ঘরে, তাই গান গাই বারে বার,

সাড়া পৃথিবী জানে যেন, একুশের কবিতা 'ড়ে আবার।

জয় হোক একুশের, জয় হোক একুশের; -কবিতার।

 

রচনাকাল : 02/02/2013 ইং।

( সময়: মধ‍্যরাত: 1:30 মিনিট।)

উৎস্বর্গ : একুশে ফেব্রুয়ারি এবং কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য-কে।

 

মায়াবতি

মোঃ ইব্রাহিম মিয়া

 

নিস্তব্ধতার ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত

কোন এক নিঝুম নগরে

নিরব হিমেল হাওয়ার স্রোতে

আধাঁর ঘেরা পূর্ণিমার আলোতে

খন্ড খন্ড মেঘের ভেলা

আনন্দে মেতে থাকে যখন

সারা রাত্রি বেলা

ঝল মল রুপের কিরণ

কৃষ্ণ হয়ে তখন করে আমার মন হরন

কি যে এক আকর্ষণ

হৃদয় কোণে বাজে তখন

দূর আকাশে কিসের সুর

ভেসে আসে বাতাসে বহু দূর

মনে হয় ডানা মেলে

উড়ে চলি আকাশের পালে

থম থম এই নিশির শহরে

একা দাঁড়িয়ে আছি বেলকনিটির দ্বারে

কুহো কুহো রাতের পাখি

ডেকে বলে

কাছে আস সখি

মুখ ফিরিয়ে চেয়ে দেখি

সে যে রাতের এক মায়াবতি

চুল তার আঁধার কালো

চাঁদের আলোয় লাগছিল ভাল

চোখে তার তৃষ্ণার জল

মনে হয় সাথি হারা কোন ব্যাথায়

অভূক্ত তাহার মন,

দৃ্ষ্টি তার মায়া বরন

কাজল কালো চোখের ধরন

লাজুক লাজুক অল্প কথা

বলেছিলেন সে, এতদিন ছিলেন কোথায়?

ব্যাথিত বুকের ব্যাথার কণা

ছিল আমার সর্ব অঙ্গে বুনা

পুড়ে যাওয়া অশান্ত এই কায়ায়

এক ফেটা পূর্ণতা ছিল

মায়াবতির মায়া

 

যাচ্ছে ডুবে বেলা

ফরিুজ্জামান।

 

লোভ লালসা রঙ তামশা

বেশ জমেছে হাটে,

সেই তালে'তে ভুলে গেছি

নাও বাঁধা মোর ঘাটে।

না'য়ের মাঝি ঘাটে বসে

গুনছে প্রহর মেলা,

নেইকো দেরি ফিরতে হবে

যাচ্ছে ডুবে বেলা।

রঙ তামশায় মত্ত থেকে

হয়নি বাজার সারা,

যাচ্ছে সময় ডুবছে বেলা

কেমনে হবে ফেরা?

বাড়ির মালিক আছেন বসে

হিসাবে সে পাঁকা,

কড়ায়-গণ্ডায় নিবেন হিসাব

যাবেনা দেয়া ধোঁকা।

নেইকো দেরি মন আমার

নে তোর বাজার সেরে,

চলছে চলুক রঙ তামশা

পড়িস না তার ফেরে।

ভরছে ভরুক তামশা জমুক

যতোই ভবের হাটে,

সদাই-পাতি যা আছে মন

ভরে নে তোর গাঁটে।

 

মেঘ বালিকার কষ্ট

মো. নাছির উদ্দিন

 

আকাশ এখন মেঘে ঢাকা

গুড়ুম ডাকে দেবা

মেঘ বালিকার কান্না ঝরে

কষ্ট দিল কেবা?

কিসে তোমার কষ্ট বলো

দুঃখ কাহার 'পরে

কোন বেদনায় ঝরছে বারি

মেন টেকে না ঘরে?

প্রশ্ন শুনে মেঘ বালিকার

অশ্রু ঝরে আরও

আকাশ রাণীর কষ্ট বুঝে

সাধ্য আছে কারও?

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.