Header Ads

মাসিক কবিতাকণ্ঠ, সেপ্টেম্বর’ ২২, বর্ষ-১৫, সংখ্যা- ৭৭

কবিতাকণ্ঠ

পরিচালনা পর্ষদ

সম্পাদক :

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

 

নির্বাহী সম্পাদক:

কবির পথিক

 

উপদেষ্টা সম্পাদক: 

কাজী হানিফ

(সিনি: ইন্সটাক্টর, টিটিসি)

 

প্রচ্ছদ:

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সেপ্টেম্বর- ২০২২ (বর্ষ- ১৫, সংখ্যা- ৭৭)

আর  একজন   নজরুল   চাই

বন্ধু তুমি আবার হারিয়ে যেও

নাজমুল

 

বন্ধু তোমার উঠোন জুড়ে রজনীগন্ধা ফুল

তুমি হয়ে যাও মেঘলা আকাশ

ছড়ালে তোমার চুল।

বন্ধু তোমার হৃদয় এখনো সোনার খঁচায় বন্ধ

সেই খাঁচা থেকে বাতাসে বিলায়

হাস্নাহেনার গন্ধ।

বন্ধু তোমার কন্ঠে বাজে বাঁশীর সুরেলা সুর

আজও কি তোমার মনের দূয়ার

যোজন যোজন দূর?

বন্ধু তোমার বাঁকা চাহুনিতে ্যোস্না লুটিয়ে পড়ে

হৃদয়ে কাঁদে বিদায়ী বিকেল

কষ্টেরা ঝরে পড়ে

বন্ধু তোমার হসিতে উঠে উপসাগরের ঢেউ

হৃদয় তখন উথাল পাথাল

কেউ জানে না কেউ

বৃষ্টি ধারায় লুকিয়ে তুমি বৈশাখী হাওয়াতেও

একবার এসে বুলিয়ে পরশ

আবার হারিয়ে যেও

 

প্রভূ এক মুষল বৃষ্টি দাও

আমিনুল ইসলাম

 

প্রভূ এক মুষল বৃষ্টি দাও

ওদের জন্য,

যারা দেশের কশেরুকায় পুষ্টি যোগায়--

যারা রোদে পুড়ে,

বৃষ্টিতে ভিজে ফসল ফলায়,

যাদের কষ্ট বার মাস,

ফসলের সোনালী হাসিতে যাদের তুষ্টি

দেশের মানুষ হাসলেই তারাও হাসে,

ওদের ধানের ক্ষেত গুলো

ফেটে চৌচির, অনেকটা হাপানি পিত্তেস

ওরা শুধু নিজের পেটের জন্য নয়,

মানুষের জন্যও কাঁদছে,

জোড় মিনতি মাঙছে,

এক মুষল বৃষ্টির জন্য।

 

স্মৃতির আয়না

মোঃ ইব্রাহিম মিয়া

 

স্মৃতির আয়নার ভিতর থেকে

ফেলে আসা দিনগুলি কাঁদে যখন সন্ধা গোধূলিতে

দূর থেকে থেকে ইশারাতে

কিছু কান্না দিয়ে তোমাকে

পাড়ি দিব বন্ধু আমি না ফিরার দেশেতে।

ঘুটঘুটে আধাঁর কাটা

একা একা ভীর জমালে মনের কৌঠায়

মধু মাখা স্মৃতিটুকু

হয়তো মনে পড়বে তোমার একটু একটু,

টাপুরটুপুর কান্না বৃষ্টি

চোখের কোণায় হবে তখন সৃষ্টি

মেঘে ঢাকা জীবন আকাশে

বেচে থাকা হবে তোমার কষ্টের নিশ্বাসে

চিনা জানা কিছু লোকে

খুঁজবে যখন আমাকে

কাছে দূরে সর্বস্তরে

হাত বাড়িয়ে পাবেনা যখন মোরে

ফেলে রেখে যাব তখন ভবের মায়া ছেড়ে।

স্মৃতির আয়নার ভিতর থেকে

ফেলে আসা দিনগুলি কাঁদে যখন সন্ধা গোধূলিতে

দূর থেকে ইশারাতে

কিছু কান্না দিয়ে তোকে

পাড়ি দিব বন্ধু আমি না ফিরার দেশেতে

ফিরে দেখা শৈশব গুলি

কাঁদে যদি হামাগুড়ি

সাদা শুভ্র মেঘের ভেলায়

লুকোচুরি প্রেমের খেলা

বৃষ্টিভেজা ছুটে চলার কৈশোরের হাসি

তোমার স্মৃতির দোয়ারে আজও বাজাবে বাঁশি

বাদল ধারার আষাঢ় মাসে

দুপুর বেলার বৃষ্টি শেষে

পুকুর পাড়ের হিজল গাছে

ফুল কুড়াবার বায়না শেষে

তুমি আমি মিলেমিশে

লাফালাফির সাতার খেলা

ছিল মোদের প্রেমের মেলা

স্বাক্ষী ছিল সবুজের বিকাল বেলা

জীবনের আলো যখন ডুবিবে অবেলায়

স্মৃতির পাতা খোলে

আমার কথা মনে হলে

ভেবে নিয় আমি তখন থাকব দূরে

ভবের মায়া ছেরে

স্মৃতির আয়নার ভিতর থেকে

ফেলে আসা দিনগুলি কাঁদে যখন সন্ধা গোধূলিতে

দূর থেকে ইশারাতে

কিছু কান্না দিয়ে তোকে

পাড়ি দিব বন্ধু আমি

না ফিরার দেশেতে

ঝুমুর ঝামুর পায়ের নুপুর

কলসি কাঁধে ভরদুপুর

যখন তখন জল ডোবাতে

অজুহাতের কারন খুঁজতে

দিন দুপুরে কালার বাঁশি

পুকুর পাড়ে কৃষ্ণ হয়ে বাজাতাম বাঁশি

আনচান আবেগি মন

ছটফট করত সারাক্ষণ

দুটি আঁখির তরে

তোমাকে দেখার স্বাধ মিটতনা দিন ভরে

দিনের শেষে আঁধারে মিশে

স্মৃতির জলে ভেসে

যদি কোন আঘাত এসে

তোমার বুকের পাঁজর রক্তে ভিজে

মনে রেখ,

সেখানে পাবে আমায খুঁজে

তখন হয়তো থাকব না আর বেঁচে

তোমার জীবনের মাঝে

 

আমার ভেতর শীতকাতুর মেঘ

সৈয়দা তৈফুন নাহার

 

মেঘে মেঘে মেঘ ডাকলে এখন আমি শীতকাতুর , আমার ভেতর ঘুমায় এক আতুর ঘর , সারা আঙিনায় ছড়িয়ে পড়লে কাঁঠাল চাঁপা ফুলের সুবাস --- নিঃশ্বাসে ঝরতেই থাকে কতক পুরনো বিশ্বাস -- আমিও কোঁচড়ে তুলে নি তাকে আদরে আদরে --

শীতার্ত কাঁচের মত ভাঙতে থাকা শব্দ ; স্বরবর্ণকে সাজিয়ে দেয় ময়ূরকন্ঠী নীল শাড়ী , তার চেনা বাগান পথ রেললাইন রেললাইন , স্বরচিহ্ন হতেই চলে যায় আড়াআড়ি ,

ঘরের নামতায় পড়ি হৈ হৈ -- ওপাড়ায় এর সমাহার ছাড়া আর কোন হিসাব কই ?

এঘরে যোগ বিয়োগ গুনে বড্ড বাড়াবাড়ি , বালাই নেই কোন সীমানার , আমার ঘরে তবু অতন্দ্র প্রহরী --

কাণ্ডজ্ঞানহীন ড্যামেজ বয়সের বাজেয়াপ্ত আবর্জনায় ভরে গেছে বর্তমান নামক -- সময়ের খেয়ায় অসম নীতি নির্ধারক মহল ,

অসভ্য ডিজাইন এখন প্রতিযোগিতার ফ্যাসন ! সেগুলো লুফে নিতে অপেক্ষায় মাদক নারী আসক্ত আম্র মুকুল , ফলিত বিদ্যায় বেহুস গোলাপী নেতা ---

মগডালে রাজনীতিবিদ আছে বলে মনে হয়না সব লুট নীতি আদর্শ নিয়ে সম্মূখে এগিয়ে চলতে সম্মূখে -- সিদ্ধঃহস্ত সকাল হতে সন্ধ্যা , রাত হতে ভোর কেবলই খেলা দৌড় দৌড় আর ভোঁদৌড়

আবাদী ফসল মাঠেরা শুষ্ক , আষাঢ়েও চৌচির চারদিক -- হৃদয়ে বুনতে চাওয়া বীজমন্ত্র , বিজন বিভাজনে বিষবাষ্প ছড়িয়ে স্বনামধন্য সর্বনাম --

আমি এক খরায় পোঁড়া কৃষক -- বনেদি ফলনশীল মৃত্তিকা , শীতলতা ভেঙে জেগে উঠি আমি , মেঘ-ঝরা পাতারা নড়ে অতলে , নাড়িয়ে দেয় ---

এবং অতঃপর গরলে অনল আমিই জলজ উষ্ণতা রাখি ভাসমান মেঘের ভেলায়

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.