Header Ads

মাসিক ‘কবিতাকণ্ঠ’, অক্টোবর’২২, বর্ষ-১৫, সংখ্যা-৭৮

 কবিতাকণ্ঠ

পরিচালনা পর্ষদ

সম্পাদক :

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন

 

নির্বাহী সম্পাদক:

কবির পথিক

 

উপদেষ্টা সম্পাদক: 

কাজী হানিফ

(সিনি: ইন্সটাক্টর, টিটিসি)

 

প্রচ্ছদ:

এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অক্টোবর- ২০২২ (বর্ষ- ১৫, সংখ্যা- ৭৮)

আর  একজন   নজরুল   চাই

 

প্রানের চেয়েও দামী

নাজমুল

 

তুমিই আছ হৃদয় জুড়ে বসন্তের এই দিনে

তোমার কাছে বাঁধা আমি ভালোবাসার ঋণে

তুমিই বাজাও আমার ধরায় মধুর সুরে বীণ

তোমার আলো আমার মনে জ্বলবে অমলিন

তুমিই আমার জীবন মরণ সুখ দূঃখের হাসি

তোমার প্রেমের মধু মেখে বাজাও মোহন বাঁশী

তুমিই শ্রাবন তুমিই আষাঢ় তুমিই ঝড়ো হাওয়া

তোমার মেঘে লুকিয়ে আছে আমার সকল চাওয়া

তুমিই আাঁধার তুমিই আলো তুমিই বিষাদ সুখ

আমার স্বপ্নে বিভোর থাকে তোমার হাসি মুখ

তুমিই আমার ফাগুন মাসের মধুকরের গান

তোমার ভেতর সুপ্ত আমার হাজার অভিমান

তুমিই এখন আমার আকাশ তোমার চন্দ্র আমি

তোমার ভালবাসা আমার প্রানের চেয়েও দামী

 

কাঁটায় আবদ্ধ ব্যথা

সৈয়দা তৈফুন নাহার

 

আজ ফাটলো তোমার জরায়ু , খুলে গেল আরও একবার সে মুখ জন্মের আহবানে --

গগণ বিদারী কাঁন্নায় চিৎকার করার কথা থাকলেও হলোনা , কাঁদলোনা সে , কুঁচকে গেলো শরীর , ভূ-কম্পনে কম্পিত স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধকার পৃথিবী ---

ছোট্ট খুব ছোট্ট তবু সামলে নেয় সে চুপচাপ সবকিছু , নিথর নিরবে সরব ! নিরাবতা মেনেই চৌকস তার গরব

চাঁপারা বসে বুকের ভেতর , আর গুমরে গুমরে মরে বাম বেঁদীতে ঘুমানো ধুকপুকানি , ব্যথার ঢেউ আছড়ে পড়ে , মৃত্তিকাকে উর্বর মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ রূপান্তরিত করে , ছলকে ছলকে উঠে উত্তাল স্রোত , ভাসিয়ে নেয় এক আস্ত পৃথিবী সংসার গ্রাম --- অথচ তীর ভাঙা সে ঢেউ কারো চোখে পড়তে না দিয়ে --- অভিমান আর কৃতজ্ঞতা মিলে হুড়োহুড়ি হৈ হুল্লোড় রাজত্ব

গন্তব্যে যাবার প্রসব বেদনার সাথে রেলের ধীর বদন দোলায় বাতাস , অকারন শিরহন জাগায় দেহে , যেন বলে দেখো , আবার এসেছে আরেক সন্তান তোমার , নবরূপে , উষ্ণ ছোঁয়ায় জীবন সাজিয়ে দিতে

অনেকদিন আগেই যে গর্ভধারন ছিল , ছিল ক্ষণিকের ডাকে হঠাৎ সময় মিলনে ;

ছিঁটে বর্ষায় -- ভেঁজা কাপড়ে জমা স্বৃতি তুলে রাখা গোধূলীর বাইকে , সে আজ শূণ্যের দেখায় খেয়ে নেয়া রং চা,

তখন ছিলনা জানা বোঝা ওখানেই হবে অভিষেক ,

হবে মিলন গুনীদের মেলায় রেডিও করিডোরে , ডাইনিং রুম পার হওয়া বিজনীয়া স্নেহে গুরু ছোঁয়া শ্বেতাঙ্গী আসনে !

অবশেষে ভীষণ অদ্ভুত নীল রঙ চোষ কাগজে কবিতার শরীর ঢেকে যাবে গোধূলির আলোমাখা আকাশপটে --

অচেনা শহুরে মানচিত্র খুললে বের হয়ে যাবে চেনা , চিরচেনা সীমানা , পৃথিবী গোলক বলয়ে জরায়ুটা ফিরে যাবে আগেকার রূপে , আলাদা হয়ে যাবে ভিন্ন আবেশে --

বাক্সবন্দী জীবন তার আয়ুকাল , শব্দরা বুমেরাং , জোড়াসিঁড়ি স্বপ্ন ঘাট বিশেষ জ্ঞান আর অজস্র সন্তান জন্ম দিয়ে রাখা তার আজন্ম বিপ্লবী ইতিহাস কথা

 

বুঝানোর চেষ্টা

মো: তারিকুল ইসলাম

 

ভালোবাসা কি আলোচনান মাধ্যমি বুঝানোর চেষ্টা করবো।

ভালোবাসা আপনার হৃদয়ের মধ্য থাকা উরান্ত কিছু বালি কনা।

রক্তের মধ্য মিশ্রিত বিশুদ্ধ অক্সিজেন দারা উরতে থারে।

যত দিন এই বালি কনা উরতে থাকবে তত দিন ভালোবাসা উবতে থাকবে।

টাকা পয়সা ধন সম্পদ নায় দির্ঘ্য সময় উপস্থিতিতে এই বালি কনার তৈরি হয়।

আপনি যখন চোখের আরাল হইবেন বালি কনাটি দুঃখ পাবে উবতে চাইবে না।

এক সময় রক্ত কর্নিকার সাথে লেগে যাইবে। উরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।

তখন আপনাকে আর মনে থাকরে না।কিন্তু বালি কনাটি হৃদয়ের মধ্য থেকেই যাইবে।

হঠাৎ করে বালি কনাটিতে বাতাস লাগলেই ভালোবাসার উপস্থিত হইবে।

ভালোবাসার সৃষ্টি আছে শেষ নেই।


কোথায় গেল

মো. নাছির উদ্দিন

 

কোথায় গেল ভোরের বেলা হৃদয় কাড়া ফিঙের গান

কোথায় গেল বুকের ভেতর জিঁইয়ে রাখা মাটির টান

কোথায় গেল শীতের ভোরে খড় পুড়িয়ে আগুন তাপ

কোথায় গেল ভাঁপা পিঠা মাটির থালায় মিস্টি রাপ

কোথায় গেল ছেলেবেলার বন্ধুরা সব ছেড়ে তান

কোথায় গেল ক্ষেতের আলে দল বেঁধে সব মাটির গান

কোথায় গেল চপল রোদে বাধনহারা খেলার দল

কোথায় গেল মায়ের হাতে ধরা পড়ার মিস্টি ফল

কোথায় গেল হারানো দিন বুকের ভেতর কষ্টরাগ

স্মৃতির খোঁজে অশ্রু ঝরে ভাঙ্গে হৃদয় ফুটে দাগ।

 

পিতৃ স্মরণে(প্রয়াণ দিবসে)

প্রণব চৌধুরী

 

বাবু(বাবা) দেখতে দেখতে আজ আমরা অষ্টমবর্ষে করলাম পর্দাপণ |

তোমাকে ছাড়া আজও মোরা অসহায় জীবন করছি প্রতিপালন |

জানিনা তুমি কোথায় আছো কি রূপে করছো তোমার জীবনযাত্রা

যেখানেই থাকো তুমি ঈশ্বর তোমায় রাখবেন ভালো এই মোদের প্রত্যাশা

তব আশীষ করে শিরোধার্য তব বাণী কে করে পাথেয়

আজও মোরা চলি পথ দেখি পথের দিশা সেইটিই মোদের প্রধান কার্য

আজি তোমার প্রয়াণ দিবসে জ্ঞাপন করি মোদের সর্শ্রদ্ধ প্রণাম

আর্শীবাদ করো মোদের ভবিষৎ এর পথচলা হয় যেনো আরো উজ্জ্বলতর মান

তোমার আদর্শকে সামানে রেখে এখনও মোরা করি প্রতিবাদ |

তুমি যেইরূপ একক ভাবে সরাতে চেয়েছিলে জঞ্জাল হলেও প্রতিঘাত

আজকের আবহ তে তুমি হয়ত শ্বাস নিতে হত কষ্টকর

তুমি হয়ত তোমার সুদর্শণ কে দিতে র্নিদেশ করো সংহারে প্রতিকার

তুমি হয়ত দেখছো সবই কি করছি মোরা মোদের প্রতিবেশী

তুমি নিঃশ্চয় বলতে তাদের কি করছো তোমরা হচ্ছে খুব বেশী

আজও তুমি পারবে বাবু তোমার দিব্যদৃষ্টি দিয়ে

সব আগাছা কে করে মুক্ত তোমার আদর্শ বাগান বানাতে

মর্তলোক আজ অসুর লম্পটদের হয়েছে বধ্যভূমি

দেবরাজ ইন্দ্রকে বলে পাঠাবে কার্তিক কে করতে বন্ধ খুন রাহাজানি

তাহলে তোমার নাতি নাতনিদের ভবিষ্যৎ হবে উজ্জ্বল

নইলে তারা ধরবে বোতল বেঁচবে চপ ঘুগনি করবে রেপ বিষাক্ত ধরাতল

আজ মোরা নেই সুখে বাবু মা তোমার বৌমারা অলক্ষ্যে মোছে অশ্রুজল

কিছু যদি পারো করতে তোমার অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে বাঁচাতে ধরতল

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.