মাসিক কবিতাকণ্ঠ, জানুয়ারি’২৩, বর্ষ-১৬, সংখ্যা-৮১
পরিচালনা পর্ষদ
সম্পাদক :
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
নির্বাহী
সম্পাদক:
লাভলী খন্দকার
উপদেষ্টা
সম্পাদক:
কাজী হানিফ
(সিনি:
ইন্সটাক্টর, টিটিসি)
প্রচ্ছদ:
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জানুয়ারি- ২০২৩ (বর্ষ- ১৬, সংখ্যা- ৮১)
আর একজন নজরুল চাই
সেই শিশুটি
নাজমুল
জোৎস্না ধারায় শরৎ আকাশ
সাদা মেঘের ঝাঁকে
উড়বে যতই স্বচ্ছ্ব বুনো হাস
যাত্রা কালের ফাঁকে--
পুড়ে যাকে সোনা হতে হয়
সেই শিশুটি সূর্য কণায় থাকে।
ষোলকলা পুর্ন হওয়ার ডাকে,
প্রতিটি দিন জ্বলতে তাকেই হয়,
ক্ষনে ক্ষণে সারা জীবন ময়--
চিরদিন কেইবা ধরে রাখে।
প্রয়োজনের জীর্ন বেড়ায় তারে
লুকিয়ে রাখ যতই অনাহারে
আকাশ ধোয়া পাতার জলাশয়
পড়বে নুয়ে পায়ের উপর
দিতে তারে জয়।
আকাশ ধোয়া জোৎস্না ধারার মত
অমানিশার আঁধার কালোর
কাল পাতায় লিখবে আরো কত।
ঝরা চোখের আলোর আরাধনায়
আসুক শিশু আরো শত শত।
শেষ বিকেলের পাখির পালক,
হারায় যত শীর্ন আলো
বলবে সবাই আরো ভাল
সেই শিশুটি হাসলে অবিরত।
সময় যখন থমকে দাঁড়ায়
প্রণব চৌধুরী
সময়ের জন্য সময় করে সম্পাদনা সেইটি সমসাময়িক ৷
সলিল যখন হয় স্বচ্ছ সৌম্য স্বস্তিতে শান্ত সমরেখ বিন্দুতে শতাধিক ৷
জ্যামিতিক সব জ্যা গুলি তখন কাটে জাবর জঙ্গলের প্রান্তে এসে ৷
জল্পনায় যখন যতি চিহ্ন ঢালে জল জগত তব যায় জুড়িয়া জড়া তে ৷
কি করবে বন্ধু তখন কল্পনা তো কলকলিয়ে করবে কলতান কাবেরী তে ৷
কুসুম তব করবে প্রকাশ কলঙ্কের কাব্য কায়া করালের কামটেতে ৷
অলকরাশি আঁড়সিতে দেবেনা আঁচড় তবুও অকপট অতসি ৷
অনতিবিলম্বেই অতঃপরে অবিশ্রান্তে এই অবেলায় অবসরে আসক্তি ৷
তবুও তুমি বা তোমরা হবে না তৎপর তল্পিতল্পাতে
করতে তোড়জোড় ৷
তমসাতে হয়ে তন্দ্রাচ্ছন্ন তণয় তণয়া খাচ্ছে তৃণ তেপান্তরে তস্কর ৷
কাহিনীতেও কুন্তলের করবীর কায়া নয় কম জোড় তবু কবরে ৷
কুলষিত কুলাঙ্গারে সকল কৌরব হবেই কোতল কালঘামে কলেবরে ৷
সময় তাই তো সততাতে সত্যি সতী নয়তো স্বার্থপর ৷
শিবরাত্রির সলতে যেন স্বপ্রভতে স্বস্তঃফূর্ততে
সাবলিল স্বভাব
তুমি
নেই
লাভলী খন্দকার
তুমি নেই তাই বিষাদের ছায়া এই বুকে
তুমি নেই তাই মরছি আমি ধুকে ধুকে
তুমি নেই তাই ফোটেনা ফুল, গায়না পাখি গান
তুমি নেই তাই নিস্প্রান দেহে থাকেনা প্রান
তুমি নেই তাই নদীতে আসেনা জোয়ার
তুমি নেই তাই আকাশে উঠেনা চাঁদ
তুমি নেই তাই স্নিগ্ধ সকালে শিশির পড়েনা
তুমি নেই তাই রংধনু সাত রংগে রাংগেনা
তুমি নেই তাই,সত্যিই তুমি নেই তাই
সকালের শুন্যতা বিকেল দিয়ে ভরেনা।
হাসি
ঠাট্রার গল্পের মেলা
মোঃ ইব্রাহিম মিয়া
হাসি ঠাট্রার গল্পের মেলা
সাঝের আলোয় হবে যেদিন কালা
দিনে দিনে গোনা দিন
শেষ হবে তোমার সেদিন,
মাটির ঘরের পোষা ময়না
শিকল ভেঙে উড়াল দিবে দূর অজানায় ।
একই ঘরে এক সাথে
দুধে ভাতে মিতালিতে
দিন কেটেছে যার ওতোপ্রোতো ভাবে
হাজার মাথা খুঁটলে
ফিরবে না সে আর মাটির মহলে
ছেড়ে গেলে দেহের পাখি
মিলবেনা আর মধুর প্রেমের এমন সখি ।
গোধূলির ঐ রুক্ষ ছোবলে
দিনের আলো কাঁদে যখন নিরলে
সন্ধা তারার আগমনে
পৃথিবীতে তখন আঁধার নামে
নীড়ে ফিরার পাখির চোখে
টলমল কান্না শোকে
উড়তে দেখছি তাকে আকাশের বুকে
দিনের প্রহর শুরুতে
হলনা ভ্রমন সু পথে
ঝরো ঝরো অনুশোচনা
মরিচিকার মলাট বাঁধে চোখের কোনায় ।
অন্তর ফাঁটা ব্যার্থতার কাঁটায়
ভবের পাড়ের ছোট কোঠায়
সু সময়ের সু রথি
হল না ধরা জীবন অবধি
ধরি ধরি সৎ সঙ্গ
ধরতে গেলে রিপুর তাড়নায় হয় ভঙ্গ
ভয়ে ভয়ে এখন আতঙ্ক
মিলে না আর জীবনের অঙ্ক ।
নীড়ের মালিক কর্তা বাবু
যিনি আমার স্বয়ং প্রভু
জিজ্ঞেসালে মোরে
কি করিলে ভবের পাড়ে?
কোথায় তোমার সওদা বানিজ্য
প্রভুর সামনে সেদিন হব বড় নির্লজ্জ
সভ্যতার সু পন্য
আমদানি হল খুব নগন্য
পূণ্যের ঘরের হলফনামা
লাল কালিতে লিখা আমল নামা
কি হিসাব দিব সেদিন মিজানের পাল্লায় ।
অবিরাম
ধারা
সেলিম আলতাফ
সব দিবস থাকবে কবিতা দিবস থাকবে না?
আজ সেই দিন পৃথিবী জুড়ে সারাদিন,
আজ বিশ্ব কবিতা দিবস।
কবিতার আলো নিয়ে ভেসে বেড়ানোর দিন।
আমার কাছে প্রতিদিন কবিতা দিবস-
আলাদা করে কোন দিন উদযাপন বিষয় নেই,
কবিতার সাথে বসবাস অহরহ অবিরাম ধারা-
একসাথে সময় কাটানো আনন্দ কষ্ট সবেতেই।
সেই কবে থেকে এই চেনা ছবি!
কবিতার শব্দদের নাড়াচাড়া করি যখন তখন,
ভোরের আলোয়, ফুলের দোলায়, পাখির ডাকে-
নানারঙ আকাশ ব্যঞ্জনে কিংবা অনবরত বর্ষায়।
সেই থেকে আজ অব্দি থেমে নেই -
চলে যাচ্ছে একটা একটা সময় স্টেশন পিছুতে,
প্রতিটাতেই কিছু না কিছু বাক্স নামানো হচ্ছে -
তাতে যা আছে তা মূল্যবান না মূল্য নেই জানিনা।
ফিরে
এসো
মোঃ তারিকুল ইসলাম
অনেক স্বপ্ন অনেক আশা
ছিলো তোমার মনে
দেশের সবাই সুস্থ থাকবে
মরবে না কোন দিন।
সেবা করে সুস্থ করে
দিবা তুমি ছেরে
ভুলে যাবে পর করে দিবে
সবাই তোমায় আগে।
দুখি আর অসুস্থ যারা
আসতো তোমার ঘরে
তোমার খেলা খেলতা তুমি
সরকারি নিয়ম মেনে।
এতো মানুষ সুস্থ হইছে
তোমার হাতের ছোঁয়ায়
তুমি কেন যাবে আজ
অসুস্থ অবস্থায়।
সবাই তোমার মা-বাবা ছিলো
সারা জীবন ধরে
আমরা তোমার ছেলে-মেয়ে
আসবা তুমি ফিরে।
জলআরশীতে
প্রেম পিয়াসী
সৈয়দা তৈফুন নাহার
কিছু
অভিশাপ
কিনে
নেয়
তবু
অর্পিতা---মূল্য
চুকায়
এক
একফোঁটা রস
নিংড়ে
নিজের
! কিছু
কথা
বেঁধে
রাখে
বাতাসে
,সখ
করে
কিছু
গল্প
মেলে
দেয়
বুকের
ভাঁজে,
শুকায়,
ভেঁজায়
সেখানেই সে
নিজ
হাতে
-- নেড়ে
দেয়
আপন
উঠোনে
আপনারে
-- পাহাড়ের গায়ে
হেলান
দিয়ে
সবুজেরা ছাড়ে
আলসেমী
---- খোলা বুক তবু
অর্পিতা সেখানেই আসামী
--- শেকলে
বন্ধী
জীবন
---
হয়ত
বোঝে
সব
হয়ত
বুঝতে
চায়না
আদৌ
কেউ
!
তবু
বুড়ীগঙ্গার জলছুঁয়ে ঘোলাচাঁদের আলো---
ফোঁটা
ফোঁটা
বৃষ্টি
করে
চুরি
সেদিন
--- কিছু
অকেজো
মৃত
স্বাক্ষী ঘুমায়
রাতের
বিছানায় -- আকাশে
কান
রেখে
তারাদের সরিয়ে
বরণ
করে সে রজনীকে
।
শীতবাতাস কাঁপুনী, উষ্ণতায় ভরে
দিতে
সবখানি
অন্ধকার মিলেমিশে যায়
কোন
এক
পঁচিশে
!
আবার
একাত্তর কি
বাহান্ন ফিরে
এলে
---
একদিন
অর্পিতারও মরে
যেতে
ইচ্ছে
করে
।
অথচ
সব
পথই
হারিয়ে
গেলে
কচুড়ীপনা পুকুরে--
রাতেরা
মলীন
হয়
মুগ্ধ
আবেশে
---
সেদিন
হতেই
রাতগুলো সব পানকৌড়ি !
মেডিসিনগুলো ঘুমায়
একেএকে
শশ্মান
ঘাট
খুঁজে
-- চৌকাঠ
পেরিয়ে
গাছের
মগডালে
উঠে
পড়ে
দড়ী,
অতদূর
হাত
যায়নি
অর্পিতার সে
অব্দি
--- সেদিন
তাই
হয়নি
মরাটাই
আর
অর্পিতার !
খুব
কেঁদেছিল সে
একবুক
অন্ধকার ডেকে
---অতঃপর
মেঘডমরু শব্দের
ক্ষেতে
চষে
চাষে
বুনে
দিল
বীজ
----
সেদিনের সে ফোঁটাগুলোই এখন
জলআরশী
-- চোখ
পড়লেই
সে
অর্পিতা পিয়াসী
!!
কোন মন্তব্য নেই