মাসিক কবিতাকণ্ঠ ,এপ্রিল‘২৩ ,বর্ষ ১৬, সংখ্যা ৮৪
পরিচালনা পর্ষদ
উপদেষ্টা সম্পাদক:
নাজমুল হক
সম্পাদক :
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
নির্বাহী সম্পাদক:
এম, রেজা
লাভলী খন্দকার
প্রচ্ছদ:
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এপ্রিল- ২০২৩ (বর্ষ- ১৬, সংখ্যা- ৮৪)
আর একজন নজরুল চাই
যানযট চলছেই
নাজমুল হক
বগুড়ায় যেন কারো, খেয়ে দেয়ে কাজ নেই
রাস্তায় দিন পার, যান জট চলছেই।
সাত মাথা থেকে যদি, কালিতলা যেতে হয়
বিকেল পেরিয়ে যাবে, মনে মনে তাই ভয়।
জনতার দল ছোটে, ফুট পাথে রাত দিন
গাড়িগুলো রাজপথে, নির্জীব গতিহীন।
মার্কেট পোষ্টাফিস, জজকোর্ট ইস্কুল
জনতার ঢ্ল দেখে, হাট ভেবে হয় ভুল।
বিয়াম স্কুল আর, হাকির মোড় নামাজগড়ে
স্কুল বাস ছুটে চলে, এক সাথে আগে পরে।
পথচারী বিপদে , কোন পথে চলবে
রাজ পথের হয়রানি, কার কাছে বলবে,
এ সবের সমাধান, খুব বেশী সস্তা
কেউ হাতে দিবে না, টাকা ভরা বস্তা।
হবু চন্দ্রের পরিষদ, আর তার পুত্র
কারি কারি কড়ি পেয়ে, বের করে সুত্র।
যে খানে বাজার ছিল, সে খানেই রইলো
যান জটে জুবু থুবু, বগুরা হইলো।
চলে গেলে মনে পড়ে
এম রেজা
হঠাৎ করেই একদিন
যাব চলে না ফেরার দেশে
হয়তো কাঁদবে দু'দিন, তারপর
ভুলে যাবে সব!
সজন আর বন্ধুর মতো
তারা আসবে, বসবে, বলবে
ইস্ কতো ভালই না ছিল সে
হঠাৎ করে কেন এমন হলো!
বেঁচে থাকতে যে গুনগান
ছিলনা তা, মৃত্যুর পর
আফসোসের মালা গাঁথা হয়
দরদী সহমর্মি আর দীর্ঘশ্বাস।
মনভুলানো গালগল্প শেষে
ঘর ভর্তি লোকালয় ছেড়ে
তুমিও একদিন একলা হবে
নয়তো নতুন খুঁজে নিবে।
অনেক যুগ পরে
শ্রাবণ জলে ভিজে
গুনগুন গানে
আমার কথা পড়বে মনে....!
হয়তো কখনো আনমনে
খুব করে চাইবে, ইস্
আর একটিবার যদি
আমায় ফিরে পেতে।
কাছে থাকতে যে কথা
হয় না বলা, তা
সবাই একদিন বলে
শুধু চলে গেলে মনে পড়ে!!
১৩/০৩/২০২৩
দক্ষিণ চেলোপাড়া বগুড়া।
ভেবেছিলাম পৃথিবীতে মানুষের বাস দেখে যাবো
প্রণব চৌধুরী
ভেবেছিলাম পৃথিবীতে মানুষের বাস দেখে যাব,
কিন্তু সময় এসে হঠাৎই আমাকে আমার কানে কানে বলে,
কি বলছ তুমি ?
এখনও তো সময় হয়নি ,
আমাকে তো প্রমোটার মাস্টার বলেছে,
চুপচাপ গ্রীনরুমে ঘাপটি মেরে বসে থাকো,
নাটকের শেষ অংকের পঞ্চম তম দৃশ্যে তোমার প্রবেশ ঘটবে,
ততক্ষণ এইখানেই |
কিন্তু আমি যে ভে-বে-ছি-লা-ম,
জল জংগলে ভরা পৃথিবীতে,
পশু ও বাজ পাখিরা মনের আনন্দে করছে বিচরণ,
একে অপরের প্রতি হানাহানি,
আর কৌশলে একে অপরের ,
রক্ত চুষে খাবার যে অনাবিল আনন্দে তারা মেতে আছে ,
তার তো সমাপ্তি হওয়ার দরকার ৷
ও নিয়ে তোমাকে মাথা ঘামাতে হবে না,
এখনও আমি বলছি,
এই যে বির্বতনবাদ, তস্করতন্ত্র চলছে,
তুমি একা মানব সেখানে কি করবে ?
তাই তুমি তোমার দিব্য দৃষ্টি দিয়ে গ্রীমরুম থেকে দেখো,
আর নিজেকে তৈরী করো,
কিভাবে তাদের সম্পুর্ণ রুপে মোকাবিলা করবে,
প্রয়েজনে তুমি এমন মিসাইল বানাও,,
যাতে তাদের ঘুম পারিয়ে দিয়ে,
তাদের মতিস্কে মানবের মতিষ্ক প্রতিস্থাপিত করতে পারো ৷
দেখবে সেটা আবার বিবর্তণবাদের তস্করতন্ত্রের প্রভাবে বিগলিত না হতে পারে ৷
সেই জন্য চাই প্রকৃত প্রখর সূর্য্যের কিরণ,
চাই শ্যামল তরতাজা তরুবর,
তার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী করতে পেরেছো কি ?
তা তৈরী হতে এখনও অনেক ভৌগোলিক পরিবর্তনের দরকার ৷
দেখো ভূগোলের সঙ্গে কথা বলে,
সে কি বলে ৷
তারপর না হয় তোমার প্রবেশ ঘটবে ৷
আমি বললাম-
কিন্তু আমি যে ভে-বে-ছি-লা-ম--
পৃথিবীতে মানুষের বাস দেখে যা- বো !
মনুষ্যত্ব
মো: আলী আশরাফ মোল্লা
মানুষের চরিত্র বদলাবে আর কবে
খাদ্যে বিষ মিশাবে যেনতেন ভাবে
পবিত্র রমজান মাসেও কোন নিস্তার নেই
ব্যবসায়ে তাদের দ্বিগুণ লাভ লাগবেই।
মানুষ মেরে হোক আর যেভাবেই হোক
টাকার কুমির বনে যেতেই চাই
টাকা থাকলে আর কি লাগে
তখন সবাই এমনিতেই সমীহ করে!
ক্ষমতার কাছে সবাই বন্দী
টাকার কাছে সবাই ধরা
ক্ষমতা এবং অর্থ বিত্ত
তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন
প্রকৃত মানুষ হতে হবে
এ কথা কে ভাববে!
মনুষ্যত্ব জলাঞ্জলি দিলে
আর কি বাকি থাকে,বলো!
অর্থ বিত্ত একবার গেলে
আরেকবার হয়তো পাবে
কিন্তু বিবেক একবার পঁচে গেলে
আর কখনোই খাটিঁ হবে না ভবে।
বিবেক বির্বজিত হলে
অবশিষ্ট আর কিছু নাহি রবে
বাছ বিচারের সক্ষমতা
নিমিষেই হারিয়ে ফেলে
বিবেক জাগ্রত করো
আর মনুষ্যত্বকে রক্ষা করো।
জীবন,,
লাভলী খন্দকার।
মানুষের জীবন কেন এমন হয়
মনের মাঝে বহে শুধু অশান্ত ঝড়
কল্পনা বিলাসী মন হয় উদাসি
মিছে সপ্ন বুনে কেনো রাশি রাশি
জানি হবেনা পুরুন তবুও যে
ভালবাসতে ফিরে ফিরে আসি
ভাগ্য কেন হয় যে এমন
সবুজ ঘাসে শিশির যেমন
মনে হয় সুখপাখী আসবে
নতুন নামে নতুন করে ডাকবে
আসেনা তো সুখ
কোন সে ব্যথায় ভরে আছে এই বুক,,,,
বিদায় ফাল্গুন
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
ফাল্গুনের আসায় যত দূর দূরে,
আমার মনে কথা আছে আকাশের সুরে।
সুর যে বাজে দূরের দিগন্তে,
সেই সুরে আমার হৃদয় সুখে ভরে।
সেই দূরের দিগন্তে ফেরা প্রানের তানা,
কোন বনের সুবর্ণ ফুলের সুগন্ধ আছে না।
সেই দূরের দিগন্তে সাঁতারের গান,
সেই গানে আমার স্বপ্ন ভরে মন।
ফাল্গুনের আসায় যত দূর দূরে,
হাজার স্মৃতি জড়িয়ে রেখেছি হৃদয়ের ভিতরে।
ফিরে পাবার স্বপ্ন নিয়ে আমি রক্তপুষ্ট হই,
ফাল্গুনের আসায় জীবন সুখে ভরি হাসির সীমায়।
১৭ই মার্চ
মোঃ ইব্রাহিম মিয়া
১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ
মা সায়েরা খাতুনের কোল আলোকিত করে
মানবতার মুক্তির দাতা
এল বাংলার ঘরে ।
ডুবো ডুবো বাংলার স্বাধীনতা
কাঁদে যখন অস্তমিত হস্তে নির্মমতায়
প্রতিবাদি এক নক্ষত্র
ভাগ্য আকাশের ভাগ্য রেখায়
উঠল জেগে
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার অজপাড়া গাঁয়ে ।
দেখরে তোরা দেখ
ইতিহাসের সর্বসেরা
মানব এল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়
তাকেই বলে বাংলার রাখাল রাজা
যার নামে আত্মহারা
আজও এ দেশের প্রজা ।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শোষনের অগ্নিগর্ভে
পরাধীনতার শৃংখল ভেঙে
মুক্তির সনদ আঁকা
ছেলেটিই হল আমাদের টুঙ্গিপাড়ার খোকা।
মহত্ত্বের নিখুঁত প্রতিমূর্তি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সব কির্তি
নিপিড়ন আর নির্যাতনে
দেখেছিতারে ছন্নহারা ছিন্নমুলে
বজ্র কন্ঠে শক্ত হাতে
প্রতিবাদের প্রতিশোধ নিতে
ইতিহাসের নির্মম কষাঘাতে
তিনি আজ সমাহিত
গোপালগঞ্জর টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে ।
স্বপ্ন বোনার স্বপ্ন পাখি
কোন দিন দেখেছ নাকি?
জরাজীর্ণতার ক্রন্দন চোখে
সেই ছেলেটাই
বসন্ত আসার বার্তা সাজে
বঞ্চিত আর গরিব দঃখির মাঝে ।
যদি মন যেতে চায
সেই ছেলেটার খোঁজে
একটু খানি ঘুরে এস
টুঙ্গিপাড়ার গোপালগঞ্জে,
তোমাদের একেমন অকৃতজ্ঞতা
বাংলার স্থপতি
আজ মাটিতে সমাধি হয়ে
কাঁদে কেন নিরবতার?
ভাবতে গেলে শিউরে উঠে মনের পাতা ।
মুজিব মানেই স্বাধীনতা
বাবুল আখতার
একটি তর্জনী,একটি ভাষণ
অন্যায়ের বিরুদ্ধে মহা বিস্ফরণ।
সাত কোটি জনতার জাগরণ
স্বাধীনতার চূড়ান্ত সমন।
একটি নাম,একটি দেশ
বজ্র ধ্বনি-- মুক্ত শাসন,
গড়ে তোলো ঘরে ঘরে দূর্গ
হবেই হবে নব দিগন্ত উদিত।
একটি মাঠ,একটি মঞ্চ
শক্তি,সাহস আর অনুপ্রেরণা।
শহর-বাজার, গ্রাম-গঞ্জ
উজ্জীবিত আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা।
অগ্নির আস্ফালন মার্চ
সাত,সতেরো কিংবা ভয়াল রাত।
সবর্ত্র অর্থহীন মুজিব বিনা
কেননা,মুজিব মানেই স্বাধীনতা।।
কোন মন্তব্য নেই