মাসিক কবিতাকণ্ঠ, মে’২৩, বর্ষ-১৬ সংখ্যা-৮৫

পরিচালনা পর্ষদ
উপদেষ্টা সম্পাদক:
নাজমুল হক
সম্পাদক :
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
নির্বাহী সম্পাদক:
এম, রেজা
লাভলী খন্দকার
প্রচ্ছদ:
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মে- ২০২৩ (বর্ষ- ১৬, সংখ্যা- ৮৫)
আর একজন নজরুল চাই
তুমি আছ
চাঁদের জ্যোস্না
হয়ে
নাজমুল হক
তুমি থাকো আমার বিশ্বস্ত বুকে চাঁদের জোছনা হয়ে
অন্ধকার ভেদ করে হয়ে উঠো ভোরের স্নিগ্ধ আলো
সেই আলো ছড়িয়ে যাক অসীম অন্ধকারে
প্রানের ভিতর জেগে উঠুক অনন্ত অনুভব
তুমি ছিলে, তুমি আছো, তুমি থাকবে
আমার একান্ত ভাবনায়।
সহস্র রজনী কেটে যাক
দুঃখের তিমির শেষ হয়ে যাক
শত শত মহামারির সুনামি বয়ে যাক
তবুও তুমি অবিচল থাকো আত্মিক বন্ধনে
আমার অনন্ত ভালবাসায়।
তোমার গভীর ভালবাসার অনুভুতি
আজ ও আমায় দ্রবীভূত করে রাখে দেহমনে
কি দূর্বার সাগরের উর্মিমালার মত আছড়ে পড়ে
ভালবাসার বেলা ভূমিতে
আমার একান্ত আপনায়।
তুমি তো চাও তোমারই থাকি চিরন্তন সূর্য্যের মত
থাকবো গোধুলীর রাঙ্গা আলো হয়ে তোমার জীবনে।
কাল বৈশাখী ঝড়
আমিনুল
ইসলাম
দূর্যোগের দিন এলো বুঝি
কাল বৈশাখী ঝড়,
দুষ্ট ছেলে গগণ পাড়ে
ডাকছে কড় কড়।
ঘরবাড়ি আর বৃক্ষ বনে
শো শো বাতাসের ঢল,
নেয়রে উড়ে এক নিমেষে
ছাউনি ঘরের চাল।
বিজলি মেয়ে হাসে হাসি
মুখটি ঝিলিক মেরে,
শব্দ করে গুড় গুড়িয়ে
শিলা বৃষ্টি ঝড়ে।
ভাঙছে গাছের ডালপালা আর
ঝাড়ছে গাছের ফল,
মরছে কত পাখ পাখালি
নিঃশ্বাসে এক পল।
কালবৈশাখীর ঝড়ের এই
কালের প্রথম ডাল,
প্রকৃতির এই নচ্চর ছেলে
হয়রে খুব মাতাল।
লাইনচ্যুত রাধিকা পুর
প্রণব
চৌধুরী
বাধিকা পুর express আজ তুমি দূরন্ত,
বন্দেভারতে মাতৃবন্দনায়,
তুমি বুলেট কে ছাড়িয়ে শতাব্দীকেও পিছনে ফেলে খবরের শিরোনামে ৷
কেনো তুমি রাধিকাপুর express এখনও নিঃশ্চুপ ?
হাটে বাজারে , গীতাঞ্জলি, কালকা মেল রা তো সব সময় এগিয়ে যায় দূরন্ত গতিতে,
তবে আজ কি হলো তোমাদের ?
তোমাদের ভাতৃপ্রতিম রাধিকাপুর ,
আজ কেনো ছুটে যাবে না রাজধানীর দিকে ?
আজ তাহলে তোমরা নিরব দর্শক?
জেনে রাখো,
ঘুঁটে পোড়ে আর তা দেখে গোবর হাসে,
এইরূপ পরিস্থিতি হবে না তো তোমাদের ?
রাধিকাপুর আজ লাইনচ্যুত,
হাজার হাজার যাত্রীরা ,
প্রাণ ভয়ে দিকবিদিকে ছুটে চলেছে হতবুদ্ধি অবস্থায়,
আর গৌড় তুমি তো তার নিকটতম সব চেয়ে কাছের প্রতিবেশি ৷
তাই না ?
তোমার কি কোনো দায়িত্ব বা কিছুই করণীয় নেই তার জন্য ?
সত্যি ভাবতেই অবাক লাগে !
জ্বলছে সে,
মৃত্যুর মিছিলে হাজারও পদধ্বনিতে স্তব্ধ রাধিকাপুর !
আর তোমরা ?
গৌড়, শতাব্দী, রাজধানী, কালকা, বুলেট, দূরন্ত তোমরা আজ শীতঘুমে !
ঈদ উল ফিতর
মোঃ
ইব্রাহিম মিয়া
আজ কেন এত খুশি খুশি লাগছে
উল্লাসে আর উৎশ্বাসে সবায় কেন ভাসছে
বাঁকা চাদের হাসি আজ নীল আকাশে উড়ছে
রমজান পেরিয়ে ঈদুল ফিতর আজ এসেছে ।
কল্লোলিত কলরবে দুঃখ ভোলা অনুরাগে
সুখ জমেছে আজ ধনি গরিব সবার মাঝে
ভালবাসার এক সবুজ আকাশ
কৃষক শ্রমিকের মনে দোলছে আজ সুখের বাতাস
দীর্ঘ রমজানের ঐ রোজার পরে
ঈদুল ফিতর এল আজ সবার ঘরে ।
প্রতিবেশি পাশাপাশি আছে যত গ্রামবাসি
কান্না ভরা তাদের অশ্রু আঁখি
আনন্দের পুলকে
মুছে যাবে আজ সখি,
দুশমনের সকল শত্রুতা
বন্ধু হবে
বৈরীতাহীন মিত্রতায় ।
ঈদুল ফিতরের এই দিনে
প্রতিজ্ঞা করব আজ সবায় মনে মনে
অন্তরের যত কালো গ্লানি
আনন্দের এই শুদ্ধ বর্ষণে
দূর করব মোরা সবার প্রাণে ।
রমজানের শেষের এই ভোরের ররি
শিক্ষা দিল হইতে মোদের বিনয়ী
সাজতে হলে সাজব মোরা প্রীতির সাজ
গাইতে হলে গাইব মোরা প্রেমের গান
সমাজ থেকে তাড়িয়ে দিব
সকল মিথ্যাবাদী আর অপশক্তির প্রাণ ।
একটা বসন্ত চেয়েছিলাম
লাভলী
খন্দকার
তোমার কাছে একটা বসন্ত চেয়েছিলাম
যে বসন্তে ঝড়া পাতার মত
তোমার দেওয়া সমস্ত আঘাত আর
অপমানকে ঝেড়ে ফেলে
নতুন করে সাজবো আমি ---
যে বসন্তে বুকের মাঝে ঝড় উঠা কোকিলের সুরে
তোমার প্রেমের গীত ভুলবো আমি---
যে বসন্তে আম্র মুকুলের ঘ্রানে মাতাল হয়ে
তোমাকে দেখার নেশা কাটাবো আমি---
কিন্তু তুমি নীরবে চলে গেলে--
অথচ দেখো-
নিয়মের হাত ধরে হাজারো বসন্ত আসে আর যায় শুধু তোমাকে ঝেড়ে ফেলে সমস্ত কিছু ভুলে
বেঁচে থাকার বসন্তটা আর আসে না,,
আর তাইতো তোমাকেও আর ভুলা হয় না,,,,,
কোন মন্তব্য নেই