মাসিক কবিতাকণ্ঠ, জুলাই’২৩, বর্ষ-১৬, সংখ্যা- ৮৭
পরিচালনা পর্ষদ
উপদেষ্টা সম্পাদক:
নাজমুল হক
সম্পাদক :
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন
নির্বাহী সম্পাদক:
এম, রেজা
লাভলী খন্দকার
বর্ণ বিন্যাস
সিনথিয়া
প্রচ্ছদ:
এম, আব্দুল্লাহ আল মামুন।
জুলাই- ২০২৩ (বর্ষ- ১৬, সংখ্যা-
আর একজন নজরুল চাই
সাগর মোহনায়
লাভলী খন্দকার।
আমি হয়তো থাকবোনা এ ধরায়
হয়তো হাত বাড়িয়ে আর ছুঁতে পারব না তোমায়
তবুও আমি আসবো বারে বারে
যদিও হারাবো আমি অন্ধকারে
আমার ভালোবাসা কখনই হবে না মলীন
আমি থাকবো শুধু তোমার হয়ে
যেমন থাকে আকাশের বুকে মেঘ রয়ে
আবারও ভালোবাসবো তেমন করে
যেমন করে ঝরনা নামে পাহাড় বেয়ে বেয়ে
আসবো সপ্ন হয়ে মনের গহীন কোনে
যেমন সাগর মোহনায় মিশে ঢেউয়ের টানে
তুমি ভুলে যাবে কেমন করে
রেখেছিলাম যে তোমায় বাহুডোরে।
তখন যেনে বলোনা এভাবে কেন এলে ?
মানুষ তখনই খোঁজে প্রিয়জন হারিয়ে গেলে।।।।
ভারি প্রশ্ন জাগে মনে ?
প্রণব চৌধুরী
ভারি প্রশ্ন জাগে মনে,
বইছে নাকি ঝর ?
সেই ঝরে নাকি সব হীরে, মণিমুক্তো, সোনা, দানা সব উড়ে যাচ্ছে,
সকলেই নাকি সেইগুলি কে ধরে,
প্রত্যেকে কোটিপতি এই জাহান্নামে ?
থুড়ি এই পুন্যভূমে !
যেখানে নাকি লেবার আমদানি করতে হয় বাইরের দেশ থেকে ৷
এতটাই শিল্প কলকারখানা ও কৃষি নিজেদের কে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছে তাই,
ইহা এখন বলে পৃথিবীর দ্বিতীয়় স্বর্গ ,
এর স্থানে নিজেকে উন্নিত করতে পেরেছে !
কিন্তু ভারি প্রশ্ন জাগে মনে,
দুই প্যাকেট বিস্কুট এবং ২০০ শত টাকার বিনিময়ে,
তবে কোন শিল্পে কাজ করতে যায় ?
লেবার রা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে ?
সেটি কি এই স্বর্গে না নরকে ?
ভারি প্রশ্ন জাগে মনে ,
যেইখানে বাতাসে বয় মণিমুক্তো,
রঙ্গিণ প্রজাপতি রা নাকি ডানা মেলে উড়ে এসে,
সকলের জীবনকে করে দেয় রঙ্গীণ,
তবে কেন সেই বাতাবরণে ,
এইরূপ অবাঞ্ছিত অথিতিদের কেন ঘটে তবে আগমন ?
ভারি প্রশ্ন জাগে মনে ,
যেখানে সবসময় ধ্বনিত হয় তোপধ্বনি,
হর্ষ ও উল্লাসে রাজা রাণীদের চিত্ত বিনোদনের নিমিত্তে,
প্রাণ যায় বেচারা সিপাহীদের,
যা ইতিহাস সাক্ষী দেয় মধ্যযুগে,
তবে কি আমরা সেই মণিমুক্তোর ঝরে,
সামনের দিকে না এগিয়ে পিছনের দিকে পিছিয়ে যাচ্ছি ?
ভারি প্রশ্ন জাগে মনে,
পাশ থেকে হামিল চাচা,
বুধরাই ও মালতী রা কয়-
আরে পাগলা ?
তুমি চিরদিন পাগলাই থেকে গেলি,
"তুই দেখবা পাঁচু না ?
বাতাস টা উত্তর দিক থেকি হবার কতা আঁচলো ,
কিন্তু হচে তো দক্ষিণ দিক থেকি,
তাইলে তুই যেটি আঁচলু তার থেকি পিছাবু না আগাবু মোক তুই ক ধেন ?"
ভারি প্রশ্ন জাগে মনে...........!
কোরবানি
মোঃ ইব্রাহিম মিয়া
শান্তি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে
ত্যাগের উৎসব এল আবার বছর ঘুরে
ভ্রাতৃত্তের বন্ধনের জালে
এক হব সবাই আবার সব ভেদাভেদ ভুলে ।
ভোগে ভোগে ভুলে গেছি
ত্যাগের মহিমা
মিথ্যা আর প্রবঞ্চনায়
সমাজ হল আজ অসুস্থমনা ,
বনের পশু কোরবানিতে
ঈদুল আযহা আজ শিক্ষা দিল
মনের পশু দূর করতে ।
ঈদুল আযহার মর্ম কথা বলতে গেলে
সমাজপতির মাথায় হবে ব্যথা
লুটতরাজ আর লুটের টাকায়
পকেট ভরে কিনল বড় পশুর বেটা ,
মনের পশু লালন করে
বনের পশু মারে
লক্ষ টাকার পশু কিনে
মানুষ দেখায় ক্ষণে ক্ষণে
কিন্তু, হাদিস কোরআন খুলে দেখো
তাকওয়া অর্জন হল
কোরবানির মুল লক্ষ্য ।
প্রভুর সৃষ্টির সৃষ্টি তুমি
যৌবনের রঙে কর বাহাদুরি
মনের কাছে সমপর্নে
প্রভুর ইচ্ছে ছুড়ে ফেলে
হাটলে তুমি জাহান্নামে ।
আজ আজ কাল বলে
ভাবলে তুমি থাকবে এ ভবে
ফিরে দেখ পিছন ফিরে
কেউ থাকেনি মানব দেহের আকার নিয়ে
মাটির ঘরেই সমাধি
মাটিতেই হবে বিলিন
তবে সময় থাকতে
এখনো কেন হয়না মুমিন ?
গরিব মিসকিন মুসাফিরকে
রিক্ত হাতে ফিরিয়ে দিয়ে
তাদের হক ভরে রাখ কেন ডিপ ফ্রিজে?
গরিবের এই আর্তনাদ শুনেন মাওলা
স্বয়ং রিজিকে রাজ্জাক
ভেবে বলে ভাবুক ইব্রাহিমে
পাপে ভরা এ লোভী মনে
হেটে হেটে যাচ্ছ তুমি নরকে ।
লাখ টাকা খরচ করে
প্রতিযোগিতার ফাঁদে পড়ে
আনলে তুমি বড় গরু মহিষ কিনে,
প্রভুর বিধান না মেনে
পশু হয়ে, পশু কোরবকনি করলে ময়দানে
হল না, হল না তোমার কোরবানি
খুলে দেখো আল হাদিসের বানি ।
সমীকরণ সমীক্ষা
সৈয়দা তৈফুন নাহার
জটিল এক সমীকরণ নিয়ে সময় চলমান , সমাধানের সমাধী কোথায় জানা নেই তার -- পৃথিবীর ইতিহাসে নামতার বহর , একে একে সাজিয়ে চলা নিয়মের পর নিয়ম । ধূলোর সন্ধ্যায় ঘুমায় পাখিদের দল -- বাঁশের বাঁশিতে তোলে সুর , বৃষ্টি ভেঁঝা কদম ঢাকা যেন কোন ধুন্দল
গজ ফিতে, ইঞ্চিতে ফুট মাপে অহরহ -- আনা কড়া গন্ডা তিল ধুল সেন্টিগুলো সবই যোগ বিয়োগ গুন হয়ে ; হয়ে যায় ভাগ -- অতঃপর ত্রিভুজ বৃত্ত কোণ সমকোণ --
সূচনায় , সুত্রঃ , মুহুর্ত সেকেন্ড ঘন্টা দিন এবং দিন মাস বছর সাথে সপ্তাহ হতে পক্ষকাল -- আপন আপন গড়ায় বছর বছর সময় -- আনাড়ী হিসাব ঝুলন্ত পালভূমি , মেরুদন্ডহীন জটিল রোগেও সে নিরাময় --
অংকের জরিমানা দেখে ধারাপাতে পাত , ওভারব্রিজ জেব্রাক্রশিং কি ভ্যানিস হয়ে ছড়ায় সুস্থ শুদ্ধ সুবাতাস ! পথচারী পারাপারের নিয়ম মানে না সব, তবুও সময়গুলো স্রোত চলমান
অপেক্ষার প্রহর বগল দাবায় পালা বদল করে জ্যা-মিতি ! পাব্লিক প্লাটফর্ম , হিসাবের পা অথচ গনিত উধাও -- ঝমঝমাঝম বরষন
স্বস্তির সিঁড়ি বেয়ে এক দুই তিন করে কখন ডাকে ভোর , ঘড়ি কাঁটা পাঁচটা ছুঁয়ে সুরের মূর্ছনায় আজানের ধ্বনি শোনায় মুহুর্মুহু -- মধুরতা হাত বাড়িয়ে দিনের খোলে গালা , ঘুড়ি উড়িয়ে পাখিরা হয়ে যায় শব্দের ডানা , পথিক শব্দচাষী -- কবিতার শরীর খেলে আঙুল জড়িয়ে সারাদিন
জটিলতা ছিঁটকে প্রভাতি রঙে ফাগুন রঙিন শারদ মমতা -- সমীকরণ ও জটিল হতে নাম লেখে জটিলতা , কবিতায় থাকে সময়ের স্বপ্ন গাঁথা বামতা ---- থাকে নিরব ঝড়ো কথা , অসংখ্য সরল, জটিল, কুটিলতা !
জীবনের নাম হলো সময়ের জটিল সমীকরণের এক সমীক্ষা ---
হিসাব
মোঃতারিকুল ইসলাম
আসা যায়া চলছে
দিবা নিশি ধরে
কত এসেছে কত গেছে
হিসাব নিয়েছে কে।
আমি তুমি যাবো চলে
এই পৃথিবী ছেরে
আমাদের ও হিসার
রাখবেনা কেউ করে।
অনেক সম্পদ জমায়ে তুমি
যাও যদি চলে।
তোমারি পতন হবে
সবার আগে।
তোমাকে নিয়ে টানা টানি
করবে জনম ধরে।
রক্তা রক্তি হবে
তখন এই পৃথিবিতে।
তোমাকেই করিবে দুষি
হিসাব করে করে।
তাই পাপ পূর্ণ
কর তুমি হিসার করে।
খোচা দিয়ে মেরে নিছো
কৃষকের ঐ ধন
খেয়ে ছো তুমি
নিজের হাতে
কৃষকের ঐ ধন
হিসাব তোমায় দিতে হবে
মনে রেখো বাচা ধন।
আগুনে পুরে ছাই হইবা
নিজের কর্ম গুণে।
তোমার ছেলেই চিনবে না
রোজ হাসরের দিনে।
কোন মন্তব্য নেই