Header Ads

সেপ্টেম্বর- ২০২৩ (বর্ষ- ১৬, সংখ্যা- ৮৯)

 

সংখ্যা- ৮৯

                                                              পরিচালনা পর্ষদ

উপদেষ্টা সম্পাদক

নাজমুল হক

 

সম্পাদক :

এমআব্দুল্লাহ আল মামুন

 



নির্বাহী সম্পাদক:

এমরেজা

লাভলী খন্দকার

 

বর্ণ বিন্যাস

সিনথিয়া

 

প্রচ্ছদ:

এমআব্দুল্লাহ আল মামুন।

সেপ্টেম্বর২০২৩ (বর্ষ- ১৬, সংখ্যা- ৮৯)

 

 

ভেদ অভেদ

 সৈয়দা তৈফুন নাহার

 

,,,, এর পর একদিন মানে ভালো , এর সাথে ওড়া ভাতের সুঘ্রাণ এসব শিখে নি , মানে শিখি ভূটান, ভারত , ভূমি , ভাই ইত্যাদিও

দিয়ে ভাঙি , ভেরেন্ডা ভাজি , তে ভর্তা , ভিন্নতরো অনেক কিছুই আঁকি ---

অনেক ভড়ং দেখতে দেখতেও একদিন মানে হঠাৎ ভুল শিখে ফেলি , ভুলে ভরে ওঠে জীবন -- ভীষণ ভীড় করে হুট করে এসে , ভীতু গলায়ও ভুলতে বলে ভজনগীত বা ভনিতা ম্যাকানিজম

সেই হতে ভ্রান্তি পথের একাত্মতা আলোর সাথে , ভয়ে ভয়ে টিপটিপ ক্ষুদ্র আশা জেগে থাকে তাও --

ভেঙে অঝোরে অনল নামে , আলো জ্বালে অতঃপর আগুন আগুন , ভেঙে বাসন্তী রঙ শাড়ী , তাকে জড়িয়ে রাতজাগা আগুন পাখি , আয়নায় তারই প্রতিচ্ছবি দেখি প্রতিরাতে --

ভেঙে দুঃ স্বপ্ন তৈরী করো যত্ন করে বিদিশার অন্ধকারে হীরকচূর্ণ পথে অগস্ত যাত্রা --- অগ্রীম অগ্রসর , তে অপসারণ , অপশরী অপশক্তি অপশ্রুতি, অনুপ্রেরণা বা অনুপযোগী

আসলে ভয়ানক এবং অনন্ত অমিলের এক পৃথিবী দেখি থেকে এর মাঝে সবগুলো স্বর আর চিহ্নতে

অতঃপর চন্দ্রবিন্দু আর ক্ষয়িষ্ণু ম্যানগ্রোভে সকল স্বত্তায় প্রয়োজনমত বর্ণের মেলা বসে স্বাধীন স্বাধীন !

 

মরিচিকা নাকি অসভ্য দর্পন!

আমিনুল ইসলাম

 

দোষারোপের রাজনীতি এখন

দেশের কশেরুকায় স্নায়ু তাড়িত করে,

স্বাধীন পতাকার সবুজাভ উর্বর ভূমিতে চলে,চোখ ফোড়ানো প্রতিহিংসার হালচাষ।

দেশের জন্য যাদেরই কপাল রঞ্জিত রহেছে

ঝাঁজরা হয়েছে হৃদয়ের চতুর্প্রকোষ্ট,

তাদেরই উত্তরসূরীরা

এখন সহদরের দুর্নাম রটে

শাসনের মরূভূমিতে,

মনুষত্ব চিৎকার করে মরে

বিবেক হয়েছে যখন স্বার্থের দাস।

সবারই চোখে শুধু নীল চশ্মার আগন্তুক ছায়া,

কারসাজি কল্পনার বাজিমাৎ খেলে

এদেশে স্বাধীনতারও এখন ভাগাভাগি চলে,

শুধু মিথ্যা -মিথ্যা-মিথ্যা অহংকারে--

ভৌতিক জীবাষ্মের মত আত্নাটাকেও করেছে লাশ।।

 

অশ্রু ভেজা ১৫ আগস্ট

মোঃ ইব্রাহিম মিয়া

 

রাত এখন অনেক

প্রায় দুই প্রহরের কাছাকাছি

রজনী তার আধাঁরের শিখা জ্বালিয়ে যাচ্ছে

হয়তো একটু পরেই শিখার আগুনে

রজনীর মোমটা ফুরিয়ে যাবে

আর জন্ম হবে নতুন একটি ভোরের

যে ভোরের নাম হবে

অশ্রুভেজা ১৫ আগস্ট

তাই দু চোখের পাতা আজ ঘুমাতে চায় না

কি যেন এক শোকের ব্যথায়

শোকের আহাজারি

চার পাশের আধাঁর কাপছে স্তব্ধ ভারি

জাতির এই কলঙ্কের আর্তনাদে

কি করে আমার কলম নীরব থাকতে পারে?

বিবেকের বিভোর দায় থেকে

কলম ধরেছি কবিতার খাতাতে

জাতি স্থপতি শেখ মুজিবর এর কথাই বলবো

আজ আমার কবিতার পাতাতে,

কাঁদো বাঙালি কাঁদো

কলঙ্কের দায় মাথায় নিয়ে কাঁদো

আজ তোমাদের কাঁদার দিন

জাতির শ্রেষ্ঠ সূর্যসন্তান কে

ধরে রাখতে পারোনি বাহু বুকে

তুমি কাঁদো আজ এই শোকে

আকাশে আজ লাল আভা

কান্না ভরা চোখে

তাকিয়া আছে ধানমন্ডির 32 নাম্বার বাড়ির দিকে

বাতাসের মাঝেও যেন আজ জলের বর্ষণ

মনে হয় তার মহান নেতাকে হারিয়ে কাঁদছে সর্বক্ষণ,

কেননা এই দিনে

শ্রাবণ আর বঙ্গবন্ধুর রক্ত মিলে

মাতৃভূমির বুক কেঁদেছিল

মর্ম ছেঁড়া অশ্রু প্লাবনে

মুয়াজ্জিনের আযানের ক্ষনেক পরে

ভোরের বাতাস শত্রু মেঘে ঢেকেছিল

ঘাতকের ঝাঁঝরা বুলেট বৃষ্টিতে

বঙ্গবন্ধুর বুক থেকে যে রক্ত ঝরছিল

তা যেন বাঙালিরই অশ্রুপাত

সমস্ত বাংলা কেঁদেছিল সেদিন সে ভেজা বৃষ্টিতে

আজও সেই কান্না থামেনি বাঙালির চোখ থেকে

স্বাধীনতার এই রোদেলা দুপুর দিতে

কতবার যে বঙ্গবন্ধুর বুকের হাড় ভেঙেছে

বাঙালি জাতি হয়তো সে কথা আজ ভুলেই গেছে

জেলখানার স্তব্ধ ঘরে

বঙ্গবন্ধু কত স্বপ্ন আর বসন্ত যে গেছে ঝরে

সে খবর সাক্ষী হয়ে আছে

যুগ যুগ ধরে ইতিহাসের তরে

বন্দি শালায় মৃত্যুর খবর মাথায় ঝুললেও

স্বাধীনতার প্রশ্নে আপস করেননি

এই অকুতোভয় মহান বীর

তার নামই হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর

বিশ্ব মানব সভ্যতার এই নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে

হয়তো মারতে পেরেছে

মাটির গড়া বঙ্গবন্ধুর শরীরটাকে

কিন্তু তার আদর্শ রয়ে গেছে হাজারো বাঙালির কাছে

তাকে ধ্বংস করবে কোন বুলেটে ?

কোটি বঙ্গবন্ধুর জন্ম হবে

শেখ মুজিবর এর সেই আদর্শের বুলেটে

 

একা থাকাই সুখ

মেহবুব চৌধুরী

 

একা থাকার সুখ আমি বুঝিনি তো আগে,

এই অন্তরে এখন আমার কেমন কেমন লাগে।

তুলতে গিয়ে গোলাপ রক্ত যে ঝরে,

ক্লান্ত আমি ক্ষতবিক্ষত কাঁটার ঘায়ে।

দিন শেষে বাড়ি ফিরি ভয় লাগে মনে,

বউটা যে বসে আছে কি জানি কি বাহানা নিয়ে।

একা ছিলাম ভালো ছিলাম ছিলাম অনেক সুখে,

বিয়ে করে আমি এখন পড়লাম যে জঞ্জালে।

লোকে বলে সুখে থাকতে কিলায় নাকি ভুতে,

তাই বুঝি ছিল এত হইচই বউ আনতে ঘরে।

একা থাকার সুখ আমি বুঝিনি তো আগে,

এই অন্তরে এখন আমার কেমন কেমন লাগে।

লোকে বলে আমি নাকি হাসতে গেছি ভুলে,

বউ রেখে কি কেউ কোনদিন খোলা মনে হাসে।

তারা কি জানেনা বিবাহিত বউ আছে ঘরে,

নাকি জেনে শুনে আমার সাথে রংতামাশায় মেতে।

অনেক কিছু হয় হারাতে চাও যদি কিছু পেতে,

আমিও হারিয়েছি হাসি বউ পেলাম তাই সাথে।

এত কিছু লিখে নিলাম সাহস আছে বটে,

কে জানে কাল আমার সাথে কি ঘটনা ঘটে।

ভয় লাগে বউটা আমার যদি দেখে ফেলে,

ভাত দিবে না কথা বলবে না জুটবে কিল পিঠে।

 

এই সময় লিখনে-

 প্রণব চৌধুরী

 

বিশেষ কাজে বিশেষ্য

যায় বিশেষণের কাছে

সর্বনাম পথের ধারে

তখন মুচকি মুচকি হাসে |

ক্রিয়ার তো কৃতকর্মের

কালের কলতানে

অব্যয়ের নাই ব্যায়

আছে নিশ্চিন্তে বাগানে

অনুসর্গ আজ ভীষণ অণু

বিভক্তিকে দেয় অজুহাত

কারক সমাস তন্দ্রাভূত

তপোবনে আজ

ছন্দ আজ সব অমিত্রাক্ষরের

বাগানে করে খেলা

অনুপ্রাস আর ত্রিপদী পয়ার

নিজেদের মধ্যে করে ঝগড়া

লয় কবেই পেয়েছে লোপ

তাল তো আর ধরে না গাছে

কবিতা তাই আজ নেংন্টি পরে

সব জায়গায় তে নাচে

ভাবতো হয়েছে ভাবান্তর

ভাবসম্প্রসারণ অন্তরালে

পদ্য তাই আজ বলে ভাই

গদ্য আমরা যমজ তাহলে ?

পাঠক পাঠিকাগণ

করে আলাপণ |

মুখস্ত করি না বুঝে পড়ি

কিছু যে বুঝিনা এখন



 

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.